নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রিয় মানুষেরা

জীবনের এই গতিপথ...পূর্ব-পশ্চিমে যেন এক নিছক অন্বেষণ

আরাফাত৫২৯

দূর থেকে দূরে, আরো বহুদূর......... চলে যেতে হয়, কত স্মৃতির ছায়ায়, এই রোদ্দুরের নীচে, নীল সবুজের খেলাঘরে জীবন মেতে থাকে কত নিয়মের প্রতীক্ষায়...

আরাফাত৫২৯ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোলনোস্কপি ও পুটুমারা

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ২:৩৬


মালয়শিয়ার প্রায় এক দশকের বেশি আগে তোলা ছবি।


এই মাসে আমার প্রবাস জীবনের পনেরোতম বছর হল। ২০০৮ সালের এই মাসে আমি মালয়শিয়ার উদ্দেশ্য যাত্রা শুরু করেছিলাম। মালয়শিয়ায় দীর্ঘকাল অবস্থানের কারণে আমার জীবনের অনেক স্মৃতি রয়েছে মালয়শিয়ায়। তেমনি একটা স্মৃতি আজকে শেয়ার করলাম। সবাই চাইলে আরো কিছু শেয়ার করতে পারি, আগামী কয়েকদিন। আগেই বলে রাখি, লেখা হবে আমার নিজের স্টাইলে। বিষয়বস্তু ভালো না লাগলে করার কিছু নাই, জাস্ট ইগনোর করতে পারেন।

*** *** *** ***

কোলনোস্কপি ও পুটুমারা

১/
আমি জীবনে একবার সত্যি সত্যি পুটুমারা খাইছিলাম। একেবারে বাস্তবিক ও রূপক দুই অর্থেই।

যারা আমাকে চিনে তারা সবাই জানে যে আমি কি পরিমাণ খুঁতখুঁতে স্বভাবের। তবে এই খুঁতখুঁতানি কোন ভালো কিছুতে নাই। দুনিয়ার সব আজাইড়া বিষয়ে আমার খুঁতখুঁতানি। মাথাতে একবার কিছু একটা ঢুকলে সেটার দফা-রফা না করে ছাড়ি না।

সেই সময় খুব স্বাস্থ্য-সচেতন ছিলাম। নিয়মিত জিম করে আর সাঁতার কেটে মোটামুটি পেটের উপর হালকা সিক্স-প্যাকের আভা আসতে শুরু করেছে। এই সময় মাথায় ঢুকল স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে সবার আগে পেট ঠিক রাখতে হবে।

প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে ছয় চামুচ করে ইসপগুলের ভুষি খাওয়া শুরু করলাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে চার গ্লাস পানি। তারপরে ঠান্ডা দুধ দিয়ে চিড়া আর কলা। তারপরে সকালের নাস্তা। দুপুর বারোটার ভিতরে লাঞ্চ শেষ। ইউনিভার্সিটি থেকে ফিরে সন্ধ্যা সাতটায় ডিনার। এরপরে এক ঘণ্টা জিম করে এক ঘন্টা সাঁতরানো। সে এক কঠিন রুটিনে বাঁধা জীবন।

কিন্তু এত সব করেও মনের মধ্য শান্তি ছিলো না। মনে হত পেটের ভিতরে কি জানি গুড় গুড় করতেছে। চারিদিকে শুনি মানুষ পেটের বিভিন্ন পীড়ায় মারা যাচ্ছে। হুমায়ুন আহমেদও এদের মধ্য একজন। আমারো মনের ভিতর ভয়ের দানা জমাট বাঁধতে শুরু করেছে। পেটের ভিতরটা কেটে দেখতে পারলে শান্তি লাগত। তাই পেট নিয়ে বিস্তর পড়াশোনা শুরু করলাম। কিছুদিনের ভিতরে মানুষের পেটের ভিতরের কি স্ট্রাকচার আর কি করলে পেটের ভিতরটা দেখা যাবে সেটা সম্পর্কে একটা সম্যক ধারণা হয়ে গেল। এই ধারণা নিয়ে গেলাম ইউনিভার্সিটির মেডিক্যাল সেন্টারে।

মেডিক্যাল সেন্টারের ডাক্তার মহিলা আমার পেট টিপে-টুপে দেখে বললেন, “তোমার কিছু হয় নাই। বাসাতে যাও।”

আমি উল্টো তাকে প্রশ্ন করলাম, “তুমি এন্ডোস্কপি না করে কিভাবে বুঝলে যে আমার কিছু হয় নাই? কিছু হতেও তো পারে।” তাকে আরো বললাম, “তুমি কি হেলিকোবেক্টর পাইরোলি ব্যাকটেরিয়ার কথা মাথাতে রাখছ? এন্ডোস্কপি না করে তো তুমি সিদ্ধান্তে আসতে পারো না।”

সেই মহিলা ডাক্তার মুখ কাঁচুমুচু করে বলে, “হেলিকোবেক্টর পাইরোলি কি?”

আমি উনার দিকে এমনভাবে তাকালাম যে উনি কেমন জানি কুঁকড়ে গেলেন। মনে মনে বললাম, “কই থেকে যে এইগুলা ডাক্তারি পড়ে আসছে?” তারপরে উনাকে কিছুক্ষণ পেপটিক আলসারের সাথে হেলিকোবেক্টর পাইরোলির সম্পর্ক বুঝালাম। উনি সব শুনে আমাকে ধন্যবাদ দিয়ে বললেন, “বাবা, গুগল করেই যদি ডাক্তার হওয়া যেত তাহলে তো আর আমাদের একাডেমিক শিক্ষার কোন মূল্য থাকে না। আমি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান দিয়ে বললাম তোমার কিছু হয় নাই। তাও আমার কথা তোমার ভালো না লাগলে ইউনিভার্সিটির মেডিক্যালে গিয়ে ডাক্তার দেখাও।”

আবার গজগজ করতে করতে উনার চেম্বার থেকে বের হয়ে ইউনিভার্সিটির মেডিক্যালে ফোন দিয়ে এপয়ন্টমেন্ট নিলাম।

আমাদের ইউনিভার্সিটির মেডিক্যাল মালয়শিয়ার অন্যতম সেরা হাসপাতাল। সেখানে যে ডাক্তার আমাকে দেখলেন তিনি ভারতীয় তামিল বংশোদ্ভুত। উনার চেম্বারে গিয়ে আমার সমস্যার কথা বলাতে উনি হাসি হাসি মুখে বললেন, “তোমাকে দেখে তো কিছু হয়েছে বলে মনে হচ্ছে না। তুমি কি সুন্দর একটা হাস্যজ্জ্বোল ছেলে।”

আমি আমার ভুল বুঝতে পারলাম। সাথে সাথে চেহারাতে একটা দুঃখী ভাব আনার চেষ্টা করলাম। ডাক্তার আমার এই দুঃখীভাবে আর আশ্বস্থ হলেন না। বললেন, “তোমার কিছু হয় নাই। বাড়ি যাও।”

আগের মহিলা ডাক্তারটা তাও পেট টিপে-টুপে দেখে বলছিলেন “কিছু হয় নাই” আর এই ব্যাটা ডাক্তার চেহারা দেখেই বলে দিল “কিছু হয় নাই”। এটা কোন কথা?

আমিও নাছোড়বান্দা। আমার পেটের ভিতর আমি দেখেই ছাড়ব। এদিকে ডাক্তার আমার এন্ডোস্কোপি করবেন না। আমি বলি, “আমি টাকা দিব। তোমার সমস্যা কি?” ডাক্তার বলে, “দেখো এটা সরকারী হাসপাতাল। এখানের সবকিছুতে জনগণের হক আছে। তোমার টাকা আছে মানে এই না যে তুমি একটা রিসোর্স অপচয় করে যার টাকা নাই তার হক মেরে দিবে। তোমার টাকা থাকলে প্রাইভেট হাসপাতালে যাও।”

এইসব নীতিকথা শুনতে বিরক্ত লাগে। উনার চেম্বার থেকে বের হয়ে একটা প্রাইভেট হাসপাতালে ফোন দিয়ে এপয়ন্টমেন্ট নিলাম। এই প্রাইভেট হাসপাতাল আবার এক কাঠি সরেস। ওরা সরাসরি ইউনিভার্সিটির হাসপাতাল থেকে ওদের প্রাইভেট হাসপাতালে চলে যেতে বলছে। দরকার লাগলে ওরা নাকি এখনই এম্বুলেন্স পাঠাবে আমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। ডাক্তার নাকি সকাল থেকে আমি আসব বলে পথ চেয়ে বসে আছেন।

আমি মনে মনে বলি, এই না হল আসল ডাক্তার। এরা রোগীর সমস্যার আর চাহিদার কথা বুঝে। কালবিলম্ব না করে চলে গেলাম সেই প্রাইভেট হাসপাতালে।



২/
হাসপাতালে গিয়ে দেখি এলাহি ব্যাপার-স্যাপার। বিশাল হাসপাতাল, কিন্তু রোগী তেমন নাই। ডাক্তার, নার্স, বয় সবাই কেমন জানি এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছে। হাসপাতালের দেয়ালে দেয়ালে অসম্ভব দামী সব পেইন্টিং। সিলিং-এ বিশাল বিশাল ঝাড়বাতি। মেঝেতে দামী কার্পেট, তার উপরে বসার জন্য দামী সোফা। দেখে মনে হয় ফাইভ-স্টার হোটেল।

আমার ডাক্তার একজন ভারতীয় শিখ। উনাকে আমার সমস্যার কথা বলাতে উনি নিজেই বললেন, “শুধু এন্ডোস্কপি করলে তো পুরো জিনিস বুঝা যাবে না। সাথে কোলনস্কপিটাও একটু করতে হবে।”

আমি এবার অবাক হয়ে বলি, “এটা আবার কি?”

“এটা হল এন্ডোস্কপির বিপরীত। এন্ডোস্কপিতে যেমন মুখ দিয়ে ক্যামেরাওয়ালা পাইপ ঢুকানো হয় ঠিক তেমনি কোলনস্কপিতে তোমার পুটু দিয়ে ক্যামেরাওয়ালা পাইপ ঢুকানো হবে। একটু চিনিচিনে ব্যাথা হবে বটে কিন্তু তোমার পুটুর ভিতরটার ফকফকা একটা পিকচার পাওয়া যাবে।”

আমি তো মহাখুশি। এতো মেঘ না চাইতেই শুধু বৃষ্টি না, একেবারে তুফানের তান্ডব।

ডাক্তার আরো বলে, “শুভ কাজে দেরী করতে নেই বাছা। কালকেই করে ফেল। আসলে করতে পারলে এখনই করতাম। কিন্তু কিছু মেডিসিন দিয়ে তোমার পেটের ভিতরটা আগে সাইজ করতে হবে। তাই আজ রাতে এই পথ্যগুলো খেয়ে আগামীকাল সাত সকালে চলে আসো। আমরা তোমার পথ পানে চেয়ে বসে থাকব।”

আমিও বললাল, “আসলেই শুভ কাজে দেরী করতে নেই। সবাই যদি আপনাদের মতন করে বুঝত তাহলে পৃথিবীতে আজ কোন জরা-ব্যাধি থাকতনা।”

আমার কথা শুনে ডাক্তার কেমন যেন হে হে করে হাসতে থাকে। আমি ডাক্তারের দেয়া মেডিসিন নিয়ে বাসাতে চলে আসলাম। এখন নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে আগামী দিনের জন্য। আগামী দিন আমার স্বপ্ন পুরণের দিন।



৩/
পরেরদিন সকালে এক সুরেলা নারী কন্ঠের ফোন পেলাম। ডাক্তার নাকি আমার পথ চেয়ে অধীর আগ্রহে বসে আছেন। আমার কিঞ্চিৎ দেরী দেখে নাকি উনার খুব চিন্তা হচ্ছে। ডাক্তারের সচেতনতায় আমি মুগ্ধ। কালবিলম্ব না করে বউকে নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশ্য বের হলাম। যদিও আমার বউ আমার এইসব কার্যকলাপে মহাবিরক্ত।

ডাক্তারের চেম্বারে গিয়ে দেখি ডাক্তার সাহেব তার আরেক ডাক্তার বন্ধুকে নিয়ে বসে আছেন। উনার ডাক্তার বন্ধুটি নাকি এনেশথেশিয়া বিশেষজ্ঞ। সাথে রয়েছে অতীব সুন্দরী এক ভারতীয় শিখ নার্স। আমার ডাক্তার নাকি আমার জন্য মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করছেন। উনার এনেশথেশিয়া বিশেষজ্ঞ বন্ধু আমাকে সুনিয়ন্ত্রিত মাত্রার ঔষধ দিয়ে ঘুম পাড়াবেন যাতে পুটুতে ক্যামেরা ঢুকানোর সময় ব্যাথা না পাই। আমি উনাদের কাজ-কর্ম দেখে একেবারেই মুগ্ধতার চরম সীমানাতে পৌছে গেলাম।

এবার বউয়ের কাছ থেকে বিদায় নেবার পালা।

বউয়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে এন্ডোস্কপি করার রুমে গিয়ে দেখি সেই সুন্দরী নার্স বসে আছে। সে আমাকে জামা-কাপড় খুলে একটা আলখাল্লার মত কাপড় পড়তে বলল। সেই আলখাল্লার মত কাপড়ের পাছার জায়গাটা আবার বিশাল গোল করে কাটা। মানে আমি জামা ঠিকই পড়ে আছি, কিন্তু পাছাতে কোন কাপড় নাই।

এই সময় সেই নার্স আমাকে জিজ্ঞেস করল, “তুমি কি করো?”

বললাম, “ইঞ্জিনিয়ার, এখন PhD করছি।”

নার্স পুরাই অভিভূত হয়ে বলল, “ওয়াও। তুমি তো সেই ব্রিলিয়ান্ট।”

আমি মনে মনে বলি, হে ধরনী তুমি দ্বিধা হও, আমি আমার উদোম পাছা নিয়ে তোমার ভিতরে ঢুকে যাই। আমার কথা বিশ্বাস না হলে যে কেউ পাছাতে কাপড় না পড়ে নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জনটা কোন সুন্দরী মেয়েকে বলার চেষ্টা করবেন। আমার অনুভূতিটা তখন আপনি বুঝতে পারবেন।

একটু পরে ডাক্তার সাহেব উনার এনেশথেশিয়া বিশেষজ্ঞ বন্ধুকে নিয়ে রুমে প্রবেশ করলেন। এই সুন্দরী নার্স ডাক্তারকে বললেন যে আমি ইঞ্জিনিয়ার ও বর্তমানে PhD করছি। আমি আবার মনে মনে বলি হে ধরনী তুমি দ্বিধা হও, আমি আমার উদোম পাছা নিয়ে তোমার ভিতরে ঢুকে যাই।

ধরণী দ্বিধা হল না, আমি আমার উদোম পাছা নিয়ে ডাক্তারের রুমে বসে থাকলাম। ডাক্তার আগ্রহের সাথে আমার ফিল্ড অব রিসার্স জিজ্ঞেস করছেন। আমি উদোম পাছা নিয়ে ব্যক্তিত্ব সহকারে উনাকে বুঝানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু কেন যেন আমার ব্যক্তিত্ব ধরে রাখতে পারছি না।

হাতে ক্যানোলা লাগিয়ে সেই নার্সটা একটা ইনজেকশন পুশ করতেই কেমন যেন তন্দ্রাতে চলে গেলাম। মানে কে কি বলছে সব আবছাভাবে শুনতে পাচ্ছি, কিন্তু চেতনা কেমন যেন নাই হয়ে গিয়েছে। এর মাঝেই ডাক্তার আর নার্সের ভিতর কথোপকথন শুনতে পাচ্ছি। তারা বলাবলি করছে আমি নাকি ইঞ্জিনিয়ার, আমি নাকি PhD করছি, আমি নাকি সেই ব্রিলিয়ান্ট। এর মাঝে পুটুতে সুরসুরি টের পাচ্ছি। খুব হাসি পাচ্ছিল তখন।

যখন জ্ঞান ফিরে আসল তখন ডাক্তার বললেন, “বাছা তোমার পুটুর ভিতরের ভিডিও খুব সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এখন ভিডিওটা এডিটিং করে তোমাকে দেখাব। ভিডিওটি আলরেডি আমাদের এডিটরের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। আধাঘন্টার মত সময় লাগবে। তুমি পাশের রুমের বেডে গিয়ে বিশ্রাম নাও।”

আমি এই হাসপাতালের কার্যকলাপে পুরাই মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এদের নাকি নিজস্ব প্রফেশনাল ভিডিওগ্রাফার, ফটোগ্রাফার, এডিটর সব আছে। যাদের অনেক টাকা তারা নাকি এই হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাসায় যাবার ক্ষণটা ভিডিও করে রাখে। আবার বাচ্চার জন্ম, অথবা ছোট ছেলেদের সুন্নতে খাৎনাও নাকি অনেকে ভিডিও করে। আমি তো অবাক। কালে কালে কত কিছু যে জানতে হবে। কোলনস্কপির মতও একটা জিনিসও যে মানুষে ভিডিও করে, এডিটিং করে সেটা এখানে না আসলে জানতাম না।

আধা ঘন্টা পরে ডাক্তার আমাকে আর আমার বউকে একটা প্রজেক্টর রুমে নিয়ে গেলেন। রুমতো না একটা ছোটোখাটো থিয়েটার। রুমে সুন্দর আরামদায়ক সোফা। বসলে মুখ দিয়ে আপনা-আপনি বের হয়ে আসে “আহ”। আধো অন্ধকার সেই রুমে এনেশথেশিয়া বিশেষজ্ঞ আর সেই সুন্দরী নার্স আছে। শুরুতেই আমার ডাক্তার একটা নাটকীয় বক্তৃতা দিলেন। উনি ও উনার সহকর্মীরা আমার মত এক মহান ব্যাক্তির ‘পুটু’ নাড়াচাড়া করে কিভাবে ধন্য হলেন সেই বিষয়ে বিশদ বর্ণনা ছিল। বিবিধ বিশেষণে জর্জরিত সেই বক্তৃতা শুনে আমার সন্দেহ হল যে এদের এইসব লিখে দেওয়ার জন্য হয়ত আলাদা লোক আছে। সবশেষে বেশ নাটকীয় কায়দায় উনি ঘোষণা করলেন যে আমার আসলে কিছুই হয় নাই। এই আনন্দে উনি ও উনার সহকর্মীরা প্রায় কেঁদেই দিলেন। আমি সত্যি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। মনে হচ্ছিল উনারা না জানি আমার কতদিনের পরিচিত।

ভিডিও শুরু হল এক নাটকীয় মিউজিকের মধ্য দিয়ে। শুরুতেই আমার নাম-ধাম ও পরিচয় দেখাল। নামের পাশে আবার ব্রাকেটে PhD লেখা। যদিও PhD শেষ হতে তখনও ঢের দেরী কিন্তু এটা দেখে চোখে প্রায় পানি চলে আসল।

ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান “ইত্যাদি”-এর সূচনা সংগীতে যেভাবে একটা টানেলের ভিতর দিয়ে “ইত্যাদি” লেখাটা যেতে থাকে ঠিক সেভাবে আমার পুটুর ভিতরে এক গোলাপি টানেলের ভিতর দিয়ে ক্যামেরাটা যেতে থাকে। ভিডিওতে অনেক নাটকীয় কায়দায় এটা-সেটা বলা হচ্ছে। আমি মুগ্ধ হয়ে দেখছি। আমার এতদিনের স্বপ্ন নিজের পেটের ভিতরটা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখা সম্ভব হচ্ছে। পরিশেষে ভিডিওতে বলা হল যে আসলে আমার কিছু হয় নাই। এতদিন ধরে চলা নাটকের শেষ হল বলে আমার বউ হাফ ছেড়ে বাঁচল। আমি ভেবেছিলাম আমার কিছু হয় নাই সেই আনন্দে সে হাফ ছেড়ে বেঁচেছিল। কিন্তু পরে বুঝেছি যে আমি আসলে অনেক ভুল ছিলাম।

ডাক্তারের দেয়া ডিভিডি রেকর্ড নিয়ে প্রজেক্টর রুম থেকে বের হলাম। এবার বিল দেবার পালা।

বিলের কাউণ্টারে গিয়ে শুনি আমার ইন্সুরেন্স নাকি এই প্রসিডিউর কভার করতে পারবে না। কারণ, প্রথমত আমার কিছু হয় নাই। দ্বিতীয়ত, আমি স্বেচ্ছায় কোন ডাক্তারের রেফারেন্স ছাড়া নিজে মাতবরি করে এই প্রসিডিউরের ভিতর দিয়ে গেছি। তাও যদি আমার কোন অসুখ ধরা পড়ত তাহলে নাকি ইন্সুরেন্স কোম্পানি পুরো বিলটাই দিত। যেহেতু কিছুই হয় নাই, তাই ইন্সুরেন্স কোম্পানির কোন দায়বদ্ধতা নাই। আমি মনে মনে ভাবি, এরা কি মানুষ? এত পাষাণ কি কেউ হয়?

আমি ভাব দেখিয়ে বললাম, “আমি বিল নিজের পকেট থেকেই দিব। দেখি আমাকে বিলটা দাও।”

বিল সাথে সাথেই সামনে চলে আসল। ভক্কর-ঝক্কর সব মিলায়ে বিল আসছে প্রায় আট হাজার রিঙ্গিট। সেই সময়ের হিসাবে প্রায় দুই লাখ বিশ হাজার টাকা। বিল দেখে আমার অন্তরাত্মা শুকিয়ে গেল। এতক্ষণ পুটুতে ব্যাথা না করলেও সত্যি সত্যি বিল দেখে আমার পুটুতে চিনিচিন ব্যাথা হওয়া শুরু করল। এতক্ষণে এই হাসপাতালের এত ভক্কর-ঝক্কর কার্যকলাপের মর্ম বুঝতে পারলাম। আমি ভাবছিলাম এইগুলো সব এমনি-এমনি ফ্রি করছে। ইউনিভার্সিটির হাসপাতালে এই প্রসিডিউর করলে খরচ সব মিলায়ে আসত সর্বোচ্চ পনেরো হাজার টাকা। আর এই প্রাইভেট হাসপাতালে সেই পনেরো হাজারের সাথে আরো প্রায় দুই লাখ পাঁচ হাজার টাকা যোগ করতে হচ্ছে। আমি মনের দুঃখে ক্রেডিট কার্ড এগিয়ে দিলাম। চোখের সামনে দেখলাম কার্ড থেকে টাকাগুলো কাটা হচ্ছে। মুখের ভিতরটা শুকিয়ে যাচ্ছে, বুকটা খালি হয়ে যাচ্ছে, পুটুতেও ভীষণ ব্যাথা হচ্ছে খালি মুখ ফুটে বলতে পারছিনা “পুটুমারা খেলাম আমি, আবার বিলও দিতে হচ্ছে আমাকে।” হায়দার হোসেনের সেই গানের মতঃ

আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া
করিতে পারিনি চিৎকার
বুকের ব্যাথা বুকে চাপায়ে নিজেকে দিয়েছি ধিক্কার

ট্যাক্সিতে করে ফেরার সময় জানালা দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে বুকে হাত দিয়ে বসে ছিলাম। বুকটা সত্যি একটু ব্যাথা করছিল। বউকে বললাম, “এতগুলো টাকা জলে গেল। এখন তো বুকটা একটু ব্যাথা করছে। হার্ট এটাক হলো নাকি?”

বউ উদাস হয়ে বলল, “হার্ট এটাক সত্যি হলে তো সমস্যা নাই। এটা ইন্সুরেন্স কভার করবে। সো নো চিন্তা, ডু ফুর্তি।”
________________________________________________
সমাপ্ত

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:৩৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: আরাফাত৫২৯,




একেই বলে আসল "পুটু" মারা! :#)
অনবদ্য ভাবে বর্ণনা করেছেন । জাষ্ট ঝাক্কাস........

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৪

আরাফাত৫২৯ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ঝাক্কাস মন্তব্যের কারণে

২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:২২

বাকপ্রবাস বলেছেন: সোনাগাজী বলেছেন:
আপনার মাথা দেখানোর কথা, আপনি দেখায়েছেন পেট! সমস্যা তো রয়ে গেছে!

আহমেদ জী এস বলেছেন: আরাফাত৫২৯,
একেই বলে আসল "পুটু" মারা! :#)
অনবদ্য ভাবে বর্ণনা করেছেন । জাষ্ট ঝাক্কাস........

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৫

আরাফাত৫২৯ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। উপরে ভাইদের রিপ্লাই দিয়েছি।

৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩৫

ধুলো মেঘ বলেছেন: বাকপ্রবাস বলেছেন: সোনাগাজী বলেছেন:
আপনার মাথা দেখানোর কথা, আপনি দেখায়েছেন পেট! সমস্যা তো রয়ে গেছে!

আহমেদ জী এস বলেছেন: আরাফাত৫২৯,
একেই বলে আসল "পুটু" মারা! :#)
অনবদ্য ভাবে বর্ণনা করেছেন । জাষ্ট ঝাক্কাস........

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৫

আরাফাত৫২৯ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। উপরে ভাইদের রিপ্লাই দিয়েছি।

৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:১৭

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


নিজের পুটুমারা গল্প ছোট করে লিখতে হয়।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৬

আরাফাত৫২৯ বলেছেন: ছোট করে লিখলে মানুষে ভুল বুঝতে পারে। হাহা

৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:০৭

নতুন বলেছেন: আপনি ২০০৮ এ মালোয়েশিয়া গেছেন আর আমি মালোয়েশিয়া থেকে দুবাই পাড়ী দিসি...

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৭

আরাফাত৫২৯ বলেছেন: বলেন কি? আপনার কাহিনীগুলো পড়তে চাই। আমিও মালয়শিয়া ছেড়ে এসেছি মেলাদিন। তবে ওখানে অনেক স্মৃতি।

৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: ভাষা টা অশোভন হয়েছে।
সুন্দর ভাষা ব্যবহার করুণ। নইলে লেখা পড়ার আগ্রহ পাই না।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:০৮

আরাফাত৫২৯ বলেছেন: ভাই শোভন-অশোভন তো আপেক্ষিক ব্যাপার। আর আপনি নিশ্চয় লেখকের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন। আর আমার কাছে এই ভাষাটা অশোভনের চেয়ে একটু কিউট বেশি। কনটেক্সট অনুসারে একই শব্দ শোভন বা অশোভন হতে পারে। আর এইভাবে চিন্তা করলে তো মন খুলে কিছুই লেখা যাবে না। আমার কাছে যখন কোন হুজুর বলে 'জাহান্নামি' অথবা অন্যের পার্সোনাল ব্যাপারে এটাক - সেইসব বেশি অশোভন লাগে। ধন্যবাদ ভাই।

৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৫

ইসিয়াক বলেছেন: আপনার লেখার সরস ভাব আমাকে আকর্ষিত করেছে। লেখায় গতি আছে।বেশ উপভোগ্য।
লিখতে থাকুন।
শুভেচ্ছা।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৭

আরাফাত৫২৯ বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭

বাউন্ডেলে বলেছেন: লেখা মচৎকার হয়েছে। এরকম অভিজ্ঞতার মুল্য সেরমই হয়।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২১

আরাফাত৫২৯ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৯| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৪৪

আরাফাত৫২৯ বলেছেন: হাহা, উত্তর দিব না কেন? আপনি আমার চোখে অনেক ভালো ব্লগার।

১০| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৫৫

জিকোব্লগ বলেছেন:



আপনার এই গালগপ্পটার পুরাটাই তো চাঁপাবাজি মনে হলো।
সোনাগাজীতো ঠিকই বলেছে আপনার মাথা দেখানোর কথা,
আপনি দেখায়েছেন পেট! সমস্যা তো রয়ে গেছে! সোনাগাজী হঠাৎ
মটাত সমস্যার মূল জায়গায় হিট করতে পারে।

সোনাগাজীর মন্তব্যের উত্তরেও চাঁপাবাজি আছে। ভালোই
এক চাঁপাবাজ আরেক চাঁপাবাজকে ধরতে পেরেছে।

চাঁপাবাজি চালাইয়া যান, ব্লগে ধরতে পারার মতন লোক
কমই আছেন। আর চাঁপাবাজি পড়তে মজাই লাগে ;)

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১:২৭

আরাফাত৫২৯ বলেছেন: আপনি মিয়া লুজার। অন্ধকারের বাসিন্দা। গ্রামের কুটনামি পাকানো লোক যে নিজে জীবনে কিছু করতে পারে নাই বলে যে করতে পারছে তার সম্পর্কে খারাপ কথা পিছনে বলে বেড়ায়। আপনার মত লোকরে দুই পয়সা পাত্তা দেবার দরকার আছে বলে মনে করি না।

সোনাগাজী ভালো লোক। আপনি এইসব লেভেল চিন্তাও করতে পারেন না। ট্রাকের আড়তে গিয়ে মদ খান।

১১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৭

জিকোব্লগ বলেছেন:



১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১:২৭

লেখক বলেছেন: আপনি মিয়া লুজার। অন্ধকারের বাসিন্দা। গ্রামের কুটনামি পাকানো লোক যে নিজে জীবনে কিছু করতে পারে নাই বলে যে করতে পারছে তার সম্পর্কে খারাপ কথা পিছনে বলে বেড়ায়। আপনার মত লোকরে দুই পয়সা পাত্তা দেবার দরকার আছে বলে মনে করি না।

সোনাগাজী ভালো লোক। আপনি এইসব লেভেল চিন্তাও করতে পারেন না। ট্রাকের আড়তে গিয়ে মদ খান।

- আসল জায়গায় হাত দিয়েছি বলে চেইত্তা গিয়ে গালাগালি শুরু করেছেন।
জানেনই ই তো মানুষ যখন হেরে যায় তখন সে না পেরে গালাগালি শুরু
করে। নিজেই নিজেকে আয়নায় দেখেন , কে লুজার।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৩

আরাফাত৫২৯ বলেছেন: ভাই ভাবছিলাম আপনাকে কড়া করে একটা রিপ্লাই দিব। কিন্তু আসলে লাভ নাই। কিন্তু কিছু কথা বলে রাখলাম। আপনার কাজে লাগতে পারে।

১/ আপনাকে মানুষের 'আসল জায়গা'-তে হাত লাগায়ে রাখতে কে বলছে? আপনি আপনার 'আসল জায়গা' ধইরা বসে থাকেন। কেউ নিষেধ করে নাই।

২/ আমার বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার লিংক এই গ্রুপের বিভিন্ন পোস্টে আসছে (বিশেষ করে সোনার মেডেলের ব্যাপারটার ছবি সহ পোস্ট আছে)। আমার গুগোল স্কলার বা এই টাইপ জিনিসের লিংক সোশ্যাল মিডিয়ায় আছে যেটা ব্লগের যে কারো একটু মাথা থাকলে বের করতে পারবে। কথা হইল, সেই সব আপনাকে বলে বা দেখায়ে তো আমার লাভ বা ক্ষতি কোনটাই হবে না। আমার ধারণা, আপনার সেইসবের ইমপ্যাক্ট সম্পর্কে বোঝার ক্যাপাবিলিটিও নাই। সবার থাকেও না। সরি টু সে।

৩/ তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেই আমি আমার মন্তব্যে চাপাবাজী করছি, আপনি সেটা ভুল প্রমাণ করতে পারবেন? আমি কিন্তু আমার বক্তব্য প্রমাণ করতে পারব। তারপরেও কথা থাকে, এই ব্লগে ৫০ জন ব্লগার আছে কি না সন্দেহ। এই ৫০ জন ব্লগারের সামনে নিজেকে জাহির করে আমার কোন লাভ আছে? আমি আমার কাজ নিয়ে যথেষ্ট গর্বিত। কিন্তু সেটার জন্য এই ব্লগ কোনভাবেই উপযুক্ত প্লাটফর্ম না। তাই এইখানে অনেকের কাছে সেইসব চাপাবাজী মনে হতেই পারে। আপনিও এই লেভেলের বাহিরে এসে ভাবতেও পারেন নাই। আপনি ঠিক ততটুকুই ভাবছেন যতটুকু আপনার গন্ডি।

৪/ গালাগালির ব্যাপারে বললেন। কিন্তু দেখেন আপনি নিজেই প্রথমে অযাচিত ভাবে আমার ব্লগে এসে আপত্তিকর মন্তব্য করে চলে গেলেন। বিনিময়ে আমি আপনাকে লুজার বললাম। আপনি এখন নিজেই নিজেকে দেখেন। আপনার এই মন্তব্যে আমার কিছু কিছুই আসল বা গেল না, কিছুটা মানসিক অস্বস্থি ছাড়া। কিন্তু এর বিনিময়ে আপনি কি কিছু পাইলেন? এইভাবে ব্লগে ব্লগে গিয়ে আলগা মোরাল পুলিশিং করে, মানুষের অস্বস্থির কারণ হয়ে, মানুষের জায়গামত না জেনে হাত দিয়ে খুব বড় কিছু করছেন বলে যারা ভাবে তাদের আপনি লুজার ছাড়া কি বলবেন? আপনি বলেন? আপনাকে তো আমি চিনিও না। আপনিও আমাকে চিনেন না।

যাইহোক, ভালো থাকবেন।

১২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ইচছা কিংবা অনিচছায়( চাইতে কিংবা না চাইতে)ও আমরা অহরহ এরকম পুটুমারা অনেকেই খাই।
তবে, একানে প্রার্থক্য একটাই আপনি পুটুমারা খেয়েছেন নিজ ইচছায় ।

অবশ্য মাঝে মাঝে এরকম পুটুমারা খাওয়া আমাদের জন্য মংগলও বটে । নিজেকে জানার জন্য।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৮

আরাফাত৫২৯ বলেছেন: হাহা, জীবন মানেই বাশবাগান। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৫৭

করুণাধারা বলেছেন: আপনি আগেও জানতে চেয়েছেন ইন্দোনেশিয়া নিয়ে লিখবেন কিনা। অনেকেই আগ্রহ দেখিয়েছিলেন, কিন্তু তারপর আর আপনার লেখার দেখা নেই!!!

আপনার লেখার হাত চমৎকার। সেজন্য এত বড় লেখা হলেও একটানে করে ফেলা যায়। লিখতে থাকুন।

আপনার তো হাইপোকন্ড্রিয়া মনে হচ্ছে!! এখনো কি রোগ রোগ করে অস্থির হন, নাকি কোলোনস্কপির পরে হাইপোকনড্রিয়া থেকে রেহাই পেয়েছেন??

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৭

আরাফাত৫২৯ বলেছেন: ভাই লিখতে তো চাইছিলাম। কিন্তু ব্লগে যে হারে ক্যাচাল দেখি তাতে লেখার ইচ্ছা কমে গেছিল। তারপরে কিছু লোক আবার গায়ে পড়ে ঝগড়া লাগায়। যেহেতু এই ভ্রমণটা একটু ব্যাক্তিগত সেহেতু মনে হচ্ছিল যে মানুষে আমার ছাইপাশ কেন পড়বে? কিন্তু আবার আপনাদের মত কয়েকজনের জন্য লেখার ইচ্ছা করে। আমার প্রায় ১৫ টা পর্ব লেখা আছে। আজকে থেকে দেয়ার চেষ্টা থাকবে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আর হাইপোকন্ড্রিয়ার ব্যাপারে যেটা বললেন (আসলে এই নাম আজকেই প্রথম শুনলাম মনে হয়), আসলে ব্যাপারটা তা না। কিছুটা কারণ ছিল বৈকি আমার এমন আচরণের। ডাক্তারের কাছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় নাই, কিন্তু আমি রিস্ক নিতে চাই নাই। লেখাটায় সেই অংশটা বাদ দিছি। হাহা।

১৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:০৬

ঢাকার লোক বলেছেন: লেখা বেশ হয়েছে। পশ্চিমা দেশে সাধারণত বয়স ৫০ পার হলে কলওনওস্কপি করতে বলে। তেমন কিছু না পাওয়া গেলে আবার ১০ বছর পর করতে বলে।
এত অল্প বয়সে কোন উপসর্গ ছাড়াই নিজ থেকে কলোনোস্কপি করতে যাওয়াটা ছিল ভুল।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫৮

আরাফাত৫২৯ বলেছেন: কোলনোস্কপি য়ামার আইডিয়া ছিল না। এইটা প্রাইভেট হাসপাতালের ডাক্তারের আইডিয়া ছিল। কারণ নিশ্চয়ই বুঝছেন। রোগীর পকেট কাটার জন্য। তবে আমারো দোষ ছিল। হাহা। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

১৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ২:৪০

জিকোব্লগ বলেছেন:






আপনি বলেছেন , আপনিও আমাকে চেনেন না। এটা ভুল। আপনাকে আমি চিনি।
আপনাকে আমি খুব কাছে থেকেই দেখেছি। আপনার পরিবার , আপনি কোথায়
লেখাপড়া করেছেন, এবং সেখানে কি কি করেছিলেন , তার কিছুটা জানি।
ব্লগীয় আইন ভঙ্গ করে, সেইসব কথা আমি এখানে বলব না। এই পোস্ট ও আপনাকে
খুব কাছে থেকে দেখার অভিজ্ঞতা থেকেই বলেছি , আপনার এই গালগপ্পটার পুরাটাই
তো চাঁপাবাজি মনে হলো।

গালগপ্পে মানুষ কতই না চাঁপাবাজি করে , এটাও আমি জানি। এটা শুধু আপনি না ,
অনেকেই করে।

আপনাকে এই সামান্য সত্য কথা বলাতে আপনি আমাকে যে গালাগালি ও প্রতিক্রিয়া
দিচ্ছেন , তাতে মনে হচ্ছে ছাগলের পশ্চাৎদেশ হালকা পুটুমারা দিলে যা হয়, আপনার
অবস্থাও তাই হয়েছে।

আপনাকে যখন কাছে থেকেই দেখেছি তখন আপনার বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার লিংক
ঘেটে কী করবো! ঐ গুলো যাদেরকে দেখলে হাত তালি পাওয়া যায় তাদেরকে দেখান।
তাদেরকেই আপনার আপেক্ষিক দৃষ্টিতে ঐ সবের ইমপ্যাক্ট সম্পর্কে বোঝার ক্যাপাবিলিটি
আছে বলে মনে হবে।

আপনি বলেছেন , বিশেষ করে সোনার মেডেলের ব্যাপারটার ছবি সহ পোস্ট আছে।
বুয়েটে কবে গোল্ড মেডেল পেলেন ? ছবি অথবা লিংক দেন। বুয়েটে গোল্ড মেডেল
পেতে হলে কত সিজিপিএ থাকতে হয় ? সেটা কি আপনার ছিল ?

আপনার অবস্থা এখন হয়েছে কি হনু টাইপ। থাক এই পোস্টে আপনার সাথে আর
কথা বাড়িয়ে লাভ নাই।

অনেক কাজের ব্যস্ততায় আমারও সময় অনেক কম , হটাৎ মটাত ব্লগে মন্তব্য করি।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ভোর ৪:৫২

আরাফাত৫২৯ বলেছেন: ডু ইউ নো, ইউ সাউন্ডস ক্রিপি?

আপনার এই মন্তব্যের পরে আমি নিশ্চিতভাবে বলতেছি আপনার কাউন্সেলিং দরকার। একদম লাইন বাই লাইন ব্যাখ্যা করে বলতেছি। মন দিয়ে পড়েন। আপনার ভালো চাই বলেই স্পষ্ট করে বললাম।

১/ আপনার সাথে আমার কাজিয়ার সূত্রপাত আপনি আমার হালকা চালের একটা লেখাকে শুধু বিরূপ মন্তব্যই না, সেখানে একজন সিনিয়র ব্লগারকে তাচ্ছিল্য ভাষায় কথা বলছেন। সেই সিনিয়র ব্লগারকে আমিও ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। ব্লগে কমেন্টের বাহিরে তার সাথে আমার কখনো কোন কথাও হয় নাই। আপনার সাথে উনার বিরোধ থাকতে পারে। সেটা নিজেদের মধ্য রাখেন। আমার ব্লগে এসে গ্রামের কুটনাদের মত উনার সম্পর্কে বিরুপ মন্তব্য করা যে বেহায়াপনা সেটা বুঝার মত জিনিস আপনার ভিতরে নাই। কারণ আপনি নিজেই বলছেন আপনার অভ্যাস ‘মানুষের আসল জায়াগাতে’ হাত দিয়ে বেড়ানো। দয়া করে নিজের আসল জিনিস হাতে ধরে বা মুখে পুরে বসে থাকেন। সমস্যা নাই। আমার ব্লগে আসলে আমার লেখা নিয়ে কথা বলতে হবে। আপনার চুলকানিওয়ালা মস্তিস্ক প্রসূত জিনিস আমি এন্টারটেইন করব না। কথা ক্লিয়ার।

২/ আমার লেখার ব্যাপারে আপনি বলছেন ‘চাপাবাজী’। এটা আপনার চিন্তাভাবনার লেভেল। আমার লেখায় আমি এমন কোন বাহাদূরীর কথা বলি নাই যে সেটার উপর ভিত্তি করে আমার সম্মান বাড়বে বা কমবে। তার উপর এই ব্লগের জনাকয়েক প্রায় অপরিচিত মেম্বারের কাছে বাহাবা নেবার কোন দরকারও আমার নেই। এটা দৈনন্দিন জীবনের খুব সাধারণ ঘটনা। দৈনন্দিন জীবনে এমন ঘটনা অনেকেরই ঘটে। আপনার কাছে চাপাবাজি লাগছে কারণ আপনার জীবনে এই রকমও কোন ঘটনা নাই। কিন্তু সেটা তো আমার দোষ না। তাই ‘মানুষের আসল জায়াগাতে’ হাত না দিয়ে নিজের কাজে মন দেন।

৩/ কয়েকবার কথা চালাচালির পর আপনি বললেন যে আপনি নাকি আমাকে চিনেন। চিনতেই পারেন। কারণ আমি আপনার মত না। আমাকে অনেকেই চিনে। আপনিও তেমন। কিন্তু আমার জিকো নামে এমন কোন বন্ধু নাই যে আমার ফ্যামিলির খবর পর্যন্ত জানে। আমি নিশ্চিত যে আপনাকে আমি আমার পরিবার সম্পর্কে জানার এখতিয়ার দেই নাই। আপনি যেহেতু জানেন সেহেতু ধরে নিতেই পারি যে আপনি নিজের উদ্যোগে কিছু জানছেন। হয়ত নিজের মোরাল পুলিশিং এর জন্য এইভাবে আপনি মানুষের পার্সোনাল স্ফেয়ারে গিয়ে হানা দেন। আবার ব্লগে ব্লগেও হানা দিয়ে মানুষের তথ্য নিয়ে বেড়ান। হতে পারে এটা আপনার খাসলত। কারণ, আপনি যেভাবে আমার সাথে সিনিয়র ব্লগারের কথার দাড়ি, কমা বিশ্লেষণ করে নিজে মোরাল পুলিশিং করতে আসছেন (আপনাকে সেই কনভারসেশনে কেউ ডাকে নাই), সেহেতু ধরে নিতেই পারি আপনি মানসিকভাবে গ্রোণ-আপ না। সেই ব্লগারের সাথে আপনার ব্যক্তিগত সমস্যা আমার ব্লগে এসে বমি করার মত উগলিয়ে যাবেন আর আপনাকে আমি খাতির করব সেটা কেন ভাবলেন? আপনি তো আমার কাছের বন্ধুও না। সেই ব্লগারও আমার পরিচিত না। জিকো নামে আমার কোন কাছের বন্ধু নাই। যেই কয়জন জিকো নামের মানুষ চিনি তারা আমার সম্পর্কে তেমন কিছু জানে না।

৪/ আর আপনি যদি আমাকে চিনতেনই, তাহলে সেটা শুরুতে বললে কি হত? আমাকে চিনলে এটাও নিশ্চয়ই জানেন যে আমি বন্ধুবতসল। আড্ডা দিতে পছন্দ করি। গল্প বলতেও পছন্দ করি। তো আপনার কি এত ভয় আর লুকোচুরি যে নিজের পরিচয় দিয়ে কথা বলতে পারেন না? আপনি তো চুরি-ডাকাতি করতেছে না। কি এমন এত আত্মপরিচয়ের সংকট আপনার?

৫/ আপনি যেহেতু আমাকে চিনেন, তাই আপনি কে সেটা দেখার জন্য আপনার ব্লগে গেলাম। বিশ্বাস করেন, আপনার ব্লগ দেখার আমার কোন আগ্রহ ছিলো না। জাস্ট জানার জন্য যে কোন জিকো নামের ছেলে আমার ফ্যামিলির পর্যন্ত খবর রাখে, অথচ আমি তাকে চিনি না? কিন্তু গিয়ে দেখলাম আপনার কোন পোস্টই নাই। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় আপনার কমেন্টগুলো দেখলাম। অবাক ব্যাপার! সেইসব কমেন্টে দেখলাম আপনি আদা-জল খেয়ে এক ব্লগারের পিছে লেগে আছেন। রিয়েলি ম্যান! এই লেভেল! এমন সব শিশুশুলভ কমেন্ট করছেন যে আমি নিশ্চিত যে আপনার চিকিতসা দরকার। কারণ ব্লগে নানা মত ও পথের মানুষ থাকবে। কারো চিন্তা ভাবনা আপনার লেভেলের না হইলেই সে খারাপ এবং জনে জনে সেই মানুষ সম্পর্কে বিরুপ কথা বলে দল পাকানোর চেষ্টা করা যে কতটা শিশুসুলভ সেটা বোঝার জন্য আপনার কাউন্সেলিং দরকার। আপনার অনেক কমেন্টের ভাষা নিতান্তই লো-লেভেলের। এক জায়গায় দেখলাম সিনিয়র ব্লগার নিয়ে বেশি স্মার্টনেস দেখায়ে কমেন্ট করতে গিয়ে আবারো ধরা খাইলেন। আবার আরেক পোস্টে আবারো সেই ব্লগার নিয়ে অযাচিত কমেন্ট করে ব্লগের মডারেটরের কাছে কথা শুনলেন। যেটা বুঝলাম, যে আপনি আসলেই চিকিতসাযোগ্য, যেটা আমি আগে বলছিলাম।

৬/ আপনি এতটাই কম বুঝেন যে দুনিয়াতে আপনার মত-পথ, চিন্তা-দর্শনের বাহিরে যে মানুষ থাকতে পারে সেটা আপনার মস্তিস্কের রাডারের উপর দিয়ে যায়। সেই কারণে নিজের পজিশন জাস্টিফাই করার জন্য আপনাকে মানুষের ব্লগে গিয়ে দল পাকানোর মত কাজ করতে হয়। এই আপনার মত কিছু ব্লগারের কারণে বাংলাদেশে ব্লগিং এর পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেছে। বস্তির আওয়ামী-বিএনপি লোকের মত কাজিয়া করার ইচ্ছা থাকলে নিজের লেভেলের কাউকে বের করে এইসব করেন। আমার ব্লগে আমার অপছন্দের ব্লগার সম্পর্কেও অপ্রাসঙ্গিকভাবে খারাপ কথা বলা যাবে না।

৭/ আমার সোনার মেডেল পাওয়া নিয়ে একটা পোস্ট এই ব্লগে দিছিলাম। এর বেশি দেয়ার দরকার আছে বলে মনে করি না। বুয়েটে খালি সিজির ভিত্তিতেই মেডেল পাইতে হবে, এটা আপনার পার্স্পেকটিভে ঠিক আছে। এর বেশি জানতে গেলে আপনাকে যেই তরিকা দেখায়ে দিছি সেই পথে অগ্রসর হোন। কিন্তু কথা হইল, মেডেল সংক্রান্ত কোন তথ্য তো আমি আপনাকে বলি নাই। এমনকি আমার এই পোস্টেও বলি নাই। বলছি অন্য একজনের কমেন্টে যেইখানে আপনাকে আপনার ন্যাস্টি আংগুল ঢুকাইতে কেন ডাকে নাই। এমনকি বুয়েট কথাটা আসছে ক্রনোলজিক্যালি যেহেতু আমি আমার বুয়েটে পড়াটাকে একটা সম্মানজনক অধ্যায় বলে মনে করি। কিন্তু কেন সেইটা আপনাকে ব্যাখা করতে হবে? কারন কি আপনি মোরাল পুলিশ? ব্লগে ব্লগে হানা দিয়া বেড়ান? আমি নিজেকে নিয়ে কেন গর্বিত থাকতে পারব না? নিজেকে নিয়ে গর্ব করলে কি সেটা ‘মুই কি হনু’? না কি, অন্যের শান্তিতে বাগড়া দিয়া মোড়াল পুলিশিং করাটাই মুই কি হনু? দুনিয়ার সবাইরে কেন আপনার মনের মত করে জাহির করতে হবে? আপনি কোনখানকার কি আসছেন?

৮/ আমি তো তাও নিজের ছবি দিয়া ব্লগিং করি। আপনার তো সেই লেভেলই নাই। আবার আসছেন আরেকজনের লেভেল নিয়া কথা বলতে? আপনার প্রোফাইলের ছবিটা কি আপনার? চুরি করা লেখা নিয়ে দেখলাম অনেক কমেন্টে বেশ সোচ্চার? আর নিজেই একটা অন্য মাসুম বাচ্চার ছবি প্রোফাইলে দিয়ে বড় বড় কথা বলে বেড়াচ্ছেন।

৯/ সবার শেষে বললেন ‘অনেক কাজের ব্যস্ততায় আমারও সময় অনেক কম, হটাৎ মটাত ব্লগে মন্তব্য করি।’ আপনার এত ব্যস্ততা, তো আপনাকে কে ডাকছে? কাজ তো আমরাও করি। এর বাহিরেও তো ব্লগে বা বিভিন্ন ফোরামে লেখালেখি করার সময় বের করি। কিন্তু আপনি কেন পারেন না। কারণ, আপনি অন্যের আসল জায়গায় হাত দিয়ে বসে থাকেন।

এইবার অনেক হইছে। অন্য ব্লগে গিয়া যা ইচ্ছা তাই করেন।

১৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:২৫

মিরোরডডল বলেছেন:




জীবন থেকে নেয়া রম্য ভালো হয়েছে।
অনেক হাসলাম :)

এরকম আর কি কি আছে ষ্টকে, লিখে ফেলা হোক।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ২:৫৩

আরাফাত৫২৯ বলেছেন: থ্যাংক্স ভাই। স্টকে অনেক আছে। আস্তে ধীরে দিব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.