নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বহুদূর যেতে হবে

চলনবিল

আমি এক ফেরিওয়ালা ভাই, স্বপ্ন ফেরি করে বেড়াই।

চলনবিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাস্কর্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২৬

আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সকল গৌরব ও ঐতিহ্যের ভাগিদার । আর সে সকল ঐতিহ্য ও গৌরবের স্মারক হিসাবে বেশ কিছু ভাস্কর্য স্থাপিত হয়েছে এই ঐতিহ্যবাহী ক্যাম্পাসে । সমগ্র দেশ যখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জিবীত , রাজাকারদের বিচারের দাবীতে উচ্চকিত ঠিক তখনি হেফাজতে ইসলাম নামক একটি সংগঠন দেশের সকল ভাস্কর্য গুলো ভাঙ্গার হুমকি দেয় । এই প্রেক্ষিতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ভাস্কর্য নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত পরিচিতি দেওয়া সময়ের দাবী মনে হচ্ছে ।



আজ রইল প্রথম কিস্তি (১ম)





অপরাজেয় বাংলা ঃ

বাংলাদেশের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্মিত প্রথম ভাস্কর্য অপরাজেয় বাংলা ।তিন তরুন মুক্তিযোদ্ধার এ আবক্ষ মূর্তিটি আমাদেরকে নিয়ে যায় সুদূর অতীতের সেই মুক্তিযুদ্ধের দিন গুলিতে । যে দিন গুলি ছিল বন্দীত্তের গ্লানি মোচনের , সাহসী সংগ্রামে অবতীর্ণ হবার । ঐতিহাসিক এ ভাস্করজটির ভাস্কর হচ্ছেন আব্দুললাহ খালেদ । সহকারী হিসেবে ছিলেন বদরুল আলম , এবং বিভিন্ন পর্যায়ে সহযোগী হিসেবে ছিলেন ম হামিদ । ভাস্কর্যটির উদ্বোধন করা হয় ১৯৭৯ সালের বিজয় দিবসে । উদ্বোধন করেন একজন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা । ৬ ফুট উচু বেদীর উপর মূল ভাস্করজের উচ্চতা ১২ ফুট , প্রস্থ ৮ ফুট, এবং ব্যস ৬ ফুট । ১৯৭৭ সালের ২৮ আগস্ট এ ভাস্করজের অপসারনের দাবীকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছিল এবং প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছিল । ততকালীন সময়ে অনেক গোঁড়া এটি মেনে নিতে পারেনি । কিন্তু পরিস্থিতির পরিবর্তন হয় । এর নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৯৭৯ সালে । ভাস্করজের নির্মাণ ব্যয় প্রায় ১ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা । এ ভাস্করজে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের তিন জনের প্রতিকৃতি স্থান পায় । মুক্তিযোদ্ধার ভুমিকায় মডেল হিসেবে ছিলেন বদরুল আলম, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের ভূমিকায় ছিলেন সৈয়দ হামিদ মক্সুদ ফজলে এবং নারী মডেল ছিলেন হাসিনা আহমেদ ।কলা ভবনের সামনে অবস্থিত এ ভাস্কর্য এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমার্থক হয়ে উঠেছে ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.