![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্মৃতি হত্যা গনহত্যার চেয়েও অপরাধ । বিস্মৃতির বেনো ভ্রান্তি যখন আমাদের অগ্রগামিতার পথে অর্গল হয়ে উঠেছে, অসম্মানের ভ্রুকুটি আমাদের প্রতি পদে পদে , তখন স্বাধীন বাংলার উদ্ধত তারুণ্যকে বুকের মধ্যে পুনঃস্থাপিত করার দাবিটাই সরবাগ্রে অনুভূত হয় । স্মৃতিকে ইতিহাসের পাতা থেকে , অতীত থেকে উন্মুক্ত করা বর্তমানের প্রধান কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায় ।
স্বাধীনতা সংগ্রাম ঃ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুলার রোডের সড়ক দ্বীপে জগন্নাথ হলের পশ্চিম পাশে অবস্থান ভাস্কর্যটির । এর স্থপতি শামীম শিকদার । এটি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ভাস্কর্য । একটি স্থানে এতগুলো ভাস্কর্য আর কোথাও নেই । প্রায় ১৫০০০ ফুট জায়গা জুড়ে অবস্থান এর । মূল ভাস্কর্যটিতে ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৬’র স্বাধিকার আন্দোলন , ৬৯’র গন অভ্যুত্থান এবং ৭১’র মুক্তিযুদ্ধ সর্বোপরি বিজয়ের আনন্দ ঠাই পেয়েছে । ভাস্কর্যয়ের একেবারে উঁচুতে বন্দুকের সাথে বাঁধা বাংলাদেশের পতাকা এবং তার নিচেই বঙ্গবন্ধুর ৭’ই মার্চের ভাষণের সেই ঐতিহাসিক তর্জনী উঁচু ভঙ্গিটি দেখতে পাওয়া যায়। মূল ভাস্কর্য ঘিরে অনেকগুলো ছোট ভাস্কর্য রয়েছে । যেগুলো অধিকাংশই বিভিন্ন মনিষীর। ভাস্কর্যটি ৬০ ফুট উঁচু , পরিসীমা ৮৫.৭৫ ফুট। রাতে ভাস্কর্যটি অনুপম সৌন্দর্য নিয়ে উদ্ভাসিত হয় । অনেক রক্তের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতা বুঝাতে রাতে লাল লাইট জলে উঠে । ভাস্কর্যটিতে ৪২ টি বাতি, ১ টি সংকেত বাতি, ১ টি লাইটিং , ১ টি পানির পাম্প, ৬ টি পানির ফোয়ারা সংযুক্ত করা হয়েছে । ইন্টিগ্রেটেড সাউন্ড সিস্টেম একমাত্র এ ভাস্কর্যটিতেই রয়েছে বাংলাদেশে । রাতে যখন সবগুলো বাতি জলে উঠে এবং সাউন্ড সিস্টেমে বেজে উঠে স্বাধীনতার গান , তখন এখাঙ্কার আবহ’ই বদলে যায় । রাত্রির অন্ধকার চিরে তখন যেন দর্পণের মত স্বচ্ছ হয়ে আমাদের সামনে উপস্থিত হয় আমাদের গৌরবের ইতিহাস । ১৯৯৯ সালের ৭ মার্চ ততকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি উদ্বোধন করেন । লিখিত ভাবে এটি সংরক্ষনের দায়িত্ত গোপাল দাসের ।
(কেন যেন ছবি সংযোজন করতে পারছিনা । এজন্য অপূর্ণ অপূর্ণ লাগছে ( )
©somewhere in net ltd.