নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এ,রহিম

এ,রহিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

অবাক অন্তর্ধান।

২০ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৩:৫৩

পৃথিবীতে মাঝে মাঝে এমন সব রহস্যের জন্ম হয়েছে যা এই স্যাটেলাইট যুগেও উন্মোচিত হয়নি। তেমনি একটি অদ্ভুত ও লোমহর্ষক বিষয় হলো হুট করে গায়েব হয়ে যাওয়া। কখনো একজন, কখনো বা একটি আস্ত গ্রামের লোকজন; কোনো চিহ্ন না রেখে হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে অনেক জাহাজও। হারিয়ে যাওয়ার সত্যি গল্প শুনুন ইশতিয়াক হাসানের কাছ থেকে

১৯০০ সালের ঘটনা। বনভোজনে বের হয় অস্ট্রেলিয়ার একদল স্কুলছাত্রী ও শিক্ষিকা। একপর্যায়ে দলের তিন ছাত্রী আর এক শিক্ষিকা কৌতূহলী হয়ে হ্যাঙ্গিং রক নামে পরিচিত বিশেষ বৈশিষ্ট্যের একটি পাথরের ওপরে ওঠে। তারপর থেকেই নিখোঁজ তারা। অনেক চেষ্টা করেও তাদের খুঁজে না পেয়ে ফিরে যায় দলটি। পরে পুলিশ অভিযান চালায়। কিন্তু কোনো চিহ্ন না রেখেই যেন অদৃশ্য হয়ে যায় চারজন মানুষ। রহস্যজনক এ অন্তর্ধান নিয়ে তৈরি হয়েছে ১৯৭৫ সালের ছবি, 'পিকনিক অ্যাট হ্যাঙ্গিং রক'। এখনো নাকি অস্ট্রেলিয়ার ওই বোর্ডিং স্কুলের ছাত্রী ও শিক্ষিকারা শোক দিবস হিসেবে পালন করে দিনটি। তাদের হারিয়ে যাওয়ার রহস্যের সমাধান হয়নি আজও।

রহস্যজনক অন্তর্ধানের কথা উঠলেই শুরুতেই চলে আসে বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের নাম। আটলান্টিক সাগরের এই বিশেষ এলাকায় মানুষ থেকে শুরু করে যাত্রীবোঝাই জাহাজ হারিয়ে যাওয়ার কাহিনী শরীরে কাঁটা দেয়নি_এমন মানুষ পাওয়া ভার। মনে মনেই রহস্যগুলোর একটা সমাধান দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছেন অত্যুৎসাহী অনেকে। আবার যখন বিশেষজ্ঞরা তথ্য-প্রমাণ হাজির করে প্রমাণ করার চেষ্টা করেন বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে আসলে কোনো রহস্য নেই, সবই বানানো আর অতিরঞ্জিত কিস্সা-কাহিনী, তখন মনটা কেমন দমে যায়। তবে যে যা-ই বলুক, গোলমাল যে একটা কিছু আছে, তাতে সন্দেহ নেই। সব কিছুকে যুক্তি দিয়ে বিচার করে উড়িয়ে দেওয়াটা মনে হয় বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। এমনই কিছু রহস্যজনক অন্তর্ধানের গল্প এক সূত্রে গাঁথার চেষ্টা করা যাক।

১৮৮০ সালের এক আলো ঝলমলে দিনে আমেরিকার টেনেসির এক খামারে বেশ কয়েকজন লোকের সামনে বিষ্ময়কর এক ঘটনা ঘটে। ল্যাং পরিবারের দুই ছেলেমেয়ে জর্জ আর সারাহ উঠানে খেলছিল। বাবা-মা ডেভিড এবং এমা ঘরের দরজায়ই ছিলেন। একসময় ঘোড়ার খোঁয়ারের দিকে এগোলেন ডেভিড। এ সময় পারিবারিক বন্ধু জর্জ অগাস্ট পিককে নিয়ে একটা বগি এগিয়ে এল। তাঁকে দেখে ডেভিড ঘুরে বাড়ির দিকে ফিরে আসতে শুরু করলেন। বন্ধুর দিকে হাতও নাড়লেন। কয়েক সেকেন্ড পরেই এমা, জর্জ আর ছেলেমেয়ে দুটোর চোখের সামনে হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে গেলেন ডেভিড। এমা চিৎকার দিয়ে উঠলেন। তারপরই সবাই ছুটে গেলেন, যেখানে ডেভিড অদৃশ্য হয়েছেন সেদিকে। তাঁরা ধরে নিয়েছেন কোনো গর্তের ভেতর পড়ে গেছেন ডেভিড। কিন্তু সেখানে গিয়ে অবাক হয়ে আবিষ্কার করলেন আশপাশে কোনো গর্তই নেই। নেই ডেভিডও। পরিবারের সদস্য, বন্ধুবান্ধব আর প্রতিবেশীরা অনেক খুঁজেও আর কোনো হদিস পেলেন না তাঁর। এ ঘটনার কয়েক মাস পরে ল্যাং-এর ছেলেমেয়েরা লক্ষ করল, যে জায়গাটায় তাদের বাবা অদৃশ্য হয়েছে, সেখানে ১৫ ফুট ব্যাসের একটা জায়গার ঘাস কেমন হলুদ, বিবর্ণ হয়ে গেছে। আর কী আশ্চর্য, খোঁয়াড়ের কোনো প্রাণী, এমনকি কুকুর-বিড়াল পর্যন্ত জায়গাটার ত্রিসীমানায় ঘেঁষে না!

২০ বছর পরের কথা। ১৯০০ সালের ওই ঘটনার কেন্দ্রস্থল ফ্ল্যানানা দ্বীপপুঞ্জ। এখানকার লাইট হাউসের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা তিনজন লোক হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে গেলেন। তাঁরা স্বেচ্ছায় জায়গাটা ছেড়ে চলে গেছেন_এমন কোনো প্রমাণও পাওয়া যায়নি। কারণ বছরের এই সময়ে এলাকায় টিকে থাকার জন্য যেসব জিনিস প্রয়োজন, তার কোনোটাই সঙ্গে নিয়ে যাননি তাঁরা। আশপাশের বিশাল এলাকাজুড়ে তল্লাশি চালিয়েও খোঁজ পাওয়া গেল না তাদের। রহস্যের কোনো কূলকিনারা করতে না পেরে তদন্তকারী কর্মকর্তারা এর সমাপ্তি টানেন এভাবে, আচমকা বড় একটা ঢেউ এসে সাগরে টেনে নিয়েছে তাদের। যদিও এমন অভিজ্ঞ তিনজন মানুষ এভাবে সাগরে ডুবে মরবেন, এ তথ্য বিশ্বাস করতে বেধেছে অনেকেরই।

বারমুডা ট্রায়াঙ্গল কিংবা অন্য জায়গা থেকে মানুষ রহস্যজনকভাবে অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার কারণ খুঁজে বের করতে গবেষণার কমতি ছিল না বিজ্ঞানীদের। আর তাই বেরিয়েছে নানা ধারণা। কেউ বলেন, এসব আসলেই উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ম্যাগনেটিক ফিল্ডের কারসাজি। পৃথিবীর কোথাও কোথাও এ ধরনের খুব শক্তিশালী ম্যাগনেটিক ফিল্ড কাজ করে। এরাই টেনে নিচ্ছে মানুষকে। কিন্তু এসব মানুষ, জাহাজ যাচ্ছে কোথায়? এখানেই চলে আসে বহুল জনপ্রিয় সেই প্যারালাল ইউনিভার্সের ধারণা। এই ধারণায় বলা হয়েছে, ঠিক আমাদের মহাবিশ্বের মতোই আরেকটি মহাবিশ্ব আছে। ম্যাগনেটিক ফিল্ডের আকর্ষণে আশ্চর্য কোনো অদৃশ্য দরজা পথে সেখানেই চলে যায় সব কিছু।

একজন, দুজন মানুষ অদৃশ্য হওয়া এক কথা, কিন্তু যখন গোটা একটা সেনাদল অদৃশ্য হওয়ার ঘটনা ঘটে, তখন? ১৯১৫ সালে গোটা একটা ব্যাটালিয়ন চোখের সামনে অদৃশ্য হয়ে যেতে দেখার দাবি করেন নিউজিল্যান্ড ফিল্ড কম্পানির তিনজন সৈনিক। তাদের চোখের সামনেই নাকি নরফোক রেজিম্যান্টের সেনা দলটি তুরস্কের একটি পাহাড়ি ঢাল ধরে এগিয়ে আসছিল। পাহাড়ের ওপর হালকা একটা মেঘের দেয়াল চোখে পড়ছিল। বিনা দ্বিধায় সৈনিকরা এর মধ্যে ঢুকে পড়েন। শেষ সৈনিকরা ঢুকে পড়ার পর মেঘটা আস্তে আস্তে ওপরে উঠে আকাশের অন্য মেঘগুলোর সঙ্গে মিশে যায়। কিন্তু সেই সৈন্যদের আর দেখতে পেলেন না তাঁরা। এদিকে এদের কোনো খোঁজ না পয়ে ব্রিটিশরা ধরে নেয় তুরস্কে বন্দি হয়ে আছেন তাঁরা। যুদ্ধ শেষে সেনাদের ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেন তাঁরা। কিন্তু তাদের অবাক করে দিয়ে তুর্কী কর্তৃপক্ষ জানাল, এ ধরনের কোনো সেনা দলকে বন্দি করেনি তারা। তাহলে কী মেঘের সঙ্গে আকাশে উঠে গিয়েছিল তারা?

১৯২০ থেকে ১৯৫০ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ভারমন্টের বেনিংটনে কয়েকজন মানুষও একইভাবে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান। ১৯৪৯ সালের ১ ডিসেম্বর জনাকীর্ণ এক বাস থেকে অদৃশ্য হন টেলফোর্ড। সেন্ট আলবানস থেকে তাঁর বাড়ি বেনিংটনে ফিরছিলেন সাবেক এই সৈনিক। আরো ১৪ জন যাত্রীর সঙ্গে বাসে বসেছিলেন টেলফোর্ড। সিটে গা এলিয়ে ঘুমে ঢলে পড়তে দেখে তাঁকে তারা। কিন্তু বাস যখন বেনিংটনে পেঁৗছাল খুঁজে পাওয়া গেল না টেলফোর্ডকে। তাঁর সঙ্গের সব জিনিসপত্র বাসেই আছে। এমনকি যে সিটে বসেছিলেন, তাতে খোলা অবস্থায় পড়ে আছে বাসের একটি সময় নির্দেশিকা। নেই শুধু টেলফোর্ড। আর কখনোই ফিরে আসেননি তিনি।

১৮ বছরের পলা ওয়েলডেন হাঁটতে বেরিয়ে অদৃশ্য হলো ১৯৪৬ সালের ১ ডিসেম্বর। গ্লেসটেনবাড়ি পর্বতমালার রাস্তা ধরে হাঁটছিল মেয়েটা। অলসভাবে হাঁটতে থাকা এক জোড়া দম্পতি তাদের শ-খানেক গজ সামনে মেয়েটাকে দেখে। একটা ঢাল দিয়ে ওঠার সময় তাদের দৃষ্টির আড়ালে চলে যায় সে। যখন ঢালটা পার হলো আর দেখতে পেল না তাকে। পরে চিরুনি অভিযান চালানো হয় পলার খোঁজে। কিন্তু কোনো চিহ্ন না রেখেই যেন হারিয়ে গেছে মেয়েটা, চিরতরে।

১৯৫০ সালের অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে বেনিংটনের এক খামার থেকে অদৃশ্য হয় আট বছরের পল জেপসন। তার মা খামারের পশুগুলোর দেখাশোনা করতে যাওয়ার সময় তাকে শূকরের খোঁয়াড়ের পাশে খেলতে দেখে যান। কিন্তু একটু পরে ফিরে এসে আর খুঁজে পেলেন না পলকে। পরের কয়েক দিন প্রতিবেশীরাসহ গোটা এলাকায় তন্ন তন্ন করে অনুসন্ধান চালিয়েও কোনো খোঁজ পাওয়া গেল না তার। যেন কোনো এক জাদুমন্ত্রের ভেল্কিতে অদৃশ্য হয়ে গেছে।

এবার যে কাহিনীটি বলব, সেটা আরো বিস্ময়কর। ১৯৩৯ সালের নভেম্বরে জো লেবেল নামের এক পশম ব্যবসায়ী উত্তর কানাডার এস্কিমো গ্রাম রানিজিকুনির দিকে রওনা হোন। গ্রামটির সঙ্গে আগে থেকেই পরিচিত জোর জানা আছে, এই গ্রামে প্রায় হাজার দুয়েক মানুষের বাস। কিন্তু সেখানে গিয়ে গ্রামের একজন মানুষকেও খুঁজে পেলেন না। গ্রামের কুঁড়ে আর গুদামগুলো খালি পড়ে আছে। এমনকি এক জায়গায় আগুনে স্ট্যু গরম হতে দেখতে পেলেন। বিষয়টা কর্তৃপক্ষের নজরে আনলেন জো। এল তদন্তকারী দল। তাদের অনুসন্ধানে পাওয়া গেল রহস্যময় কিছু আলামত। কুঁড়ের আশপাশে কোনো এস্কিমোর পায়ের ছাপ খুঁজে পাওয়া যায়নি। ১২ ফুট উঁচু এক বরফের স্তূপের নিচে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেল এস্কিমোদের কুকুরগুলো। আশ্চর্যজনক হলেও গ্রামবাসীর সব খাবার আর জিনিসপত্র তাদের কুঁড়েতেই আছে। তবে সবচেয়ে পিলে চমকানো বিষয় হলো, এস্কিমোদের পারবারিক সমাধির সবগুলো কবরই পাওয়া গেল ফাঁকা অবস্থায়।



অলিভার লার্চের গল্প

এক শীতে কুয়া থেকে পানি আনতে গিয়ে অদৃশ্য হয়ে যান যুক্তরাষ্ট্রের অলিভার লার্চ। বরফে তার পায়ের চিহ্ন পাওয়া গেলেও কিছু দূর গিয়ে হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে গেছেন। এ ছাড়া আর কোনো ধরনের আলামতই পাওয়া যায়নি। তবে আশপাশের মানুষ সাহায্য চেয়ে চিৎকার শুনেছে তার। মনে হলো যেন নিচের কোথাও থেকে ভেসে আসছে। কেউ কেউ বলে লার্চের এই ঘটনা ঘটে উনিশ শতকের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানায়। অন্যরা আবার দাবি করে, ইন্ডিয়ানা নয়, নর্থ ওয়েলসে বাস করতেন লার্চ। অন্য একটি সূত্র অবশ্য জানাচ্ছে, মধ্য ওয়েলসে ১৯০৯ সালে অদৃশ্য হন লার্চ।



প্যারাফিটের ভাগ্য

ভয়াবহ এক স্ট্রোকে ওয়েন প্যারাফিটের শরীর প্রায় অবশ হয়ে যায়। ১৭৬৩ সালের এক সন্ধ্যায় বোনের বাসার সামনে বসেছিলেন প্যারাফিট। আরাম পাওয়ার জন্য কোটটা ভাঁজ করে রেখে বসেছিলেন তার ওপরে। রাস্তার অপর পাশে একটা খামারে কাজ করছিল শ্রমিকরা। সন্ধ্যা ৭টার দিকে একটা ঝড়ের আভাস পেয়ে এক প্রতিবেশীসহ প্যারাফিটকে ঘরে ফিরিয়ে নিতে আসে তার বোন সুসানাহ। কিন্তু কোথাও খুঁজে পেলেন না ভাইকে। কেবল তার কোটটা পড়ে আছে। ১৯৩৩ সাল পর্যন্ত এই রহস্য সমাধানের চেষ্টা করেন গোয়েন্দারা। তবে তাকে পাওয়া যেতে পারে এ ধরনের কোনো সূত্র পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।



কোথায় গেলেন কূটনীতিক

১৮০৯ সালে ব্রিটিশ কূটনীতিক বেঞ্জামিন বেথার্স্ট যেন বাতাসে মিলিয়ে যান। কাজ শেষে সঙ্গীসহ জার্মানির হামবুর্গে ফিরছিলেন ভদ্রলোক। পথে রাতের খাবার সেরে নেওয়ার জন্য একটা রেস্তোরাঁয় যাত্রাবিরতি করেন। খাবার শেষে অপেক্ষা করতে থাকা তাদের ঘোড়ার গাড়ির দিকে ফিরে চলেন দুজনে। কূটনীতিকের সঙ্গী ঘোড়াগুলোর অবস্থা দেখার জন্য গাড়ির সামনে উঠতে দেখেন তাকে। তারপরই গায়েব হয়ে গেলেন। আর কোনোদিনই সন্ধান পাওয়া যায়নি তার।



গাড়িতে গায়েব

১৯৭৫ সালে জ্যাকসন রাইট নামের এক লোক স্ত্রীসহ নিউ জার্সি থেকে নিউইয়র্ক সিটির দিকে যাচ্ছিলেন। পথে লিংকন টানেলের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল তাদের। পরে রাইট বলেছিলেন, তিনি যখন গাড়ি চালাচ্ছিলেন তখন তার স্ত্রী মার্থা পেছনের আসনে বসে জানালা পরিষ্কার করছিলেন। কিন্তু হুট করে যখন আরেকবার পেছনে ফিরলেন, মার্থাকে দেখতে পেলেন না। পরে বিষয়টি নিয়ে জোর তদন্ত চালিয়েও রহস্যের কূলকিনারা করতে পারেননি গোয়েন্দারা। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক কিন্তু ভালই চলছিল। তাই রাইটকে সন্দেহ করাও ছিল দুরূহ ব্যাপার।



স্টোনহ্যাঞ্জ কাণ্ড

আজব সব পাথরের জন্য স্টোনহ্যাঞ্জ এমনিতেই মানুষের মনে বিস্ময় জাগিয়ে তোলে। কিন্তু ১৯৭১ সালের আগস্টে যে ঘটনাটি ঘটে, সেটা আরো বাড়িয়ে দিল জায়গাটার রহস্যময়তা। যখনকার কথা বলা হচ্ছে, তখন স্টোনহ্যাঞ্জ ছিল সবার জন্য উন্মুক্ত। এক দল হিপ্পি তাঁবু টানিয়ে রাত কাটানোর সিদ্ধান্ত নিল এখানে। আগুন জ্বালিয়ে চারপাশে জড়ো হয়ে গান গাইতে আর হট্টগোল শুরু করে দিল তারা। রাত ২টার দিকে আচমকা বজ্রবিদ্যুৎসহ একটা ঝড় ধেয়ে এল স্টোনহ্যাঞ্জের দিকে। দুই প্রত্যক্ষদর্শী একজন কৃষক আর একজন পুলিশ জানান, একটা নীল আলোয় স্টোনহ্যাঞ্জের পাথরগুলো এভাবে উজ্জ্বল আলোসহ জ্বলে ওঠে যে চোখ বন্ধ করে ফেলতে বাধ্য হন তাঁরা। তারপরই তাঁবুর দিক থেকে চিৎকার শুনে কেউ হতাহত হয়েছে মনে করে দেখতে ছুটে যান। কিন্তু সেখানে একজন মানুষকেও দেখতে পেলেন না। তাঁদের তাঁবুর ধ্বংসাবশেষ, নিভে যাওয়া অগি্নকাণ্ডের চিহ্ন সবই আছে। গায়েব হয়ে গেছে কেবল জলজ্যান্ত মানুষগুলো।



এক্স ফাইলস টিভি সিরিজের ভক্তরা বলবেন তিনটি থিওরির কথা। প্রথমত, প্যারালাল ইউনিভার্স তথা সমান্তরাল মহাবিশ্ব, দ্বিতীয়ত টাইম স্লিপ তথা ভিন্ন সময়ে চলে যাওয়া আর সবশেষ কারণটি হলো ক্ষেপাটে এলিয়েনের হস্তক্ষেপ। এর কোনোটিই এখনো প্রমাণিত হয়নি। তবে ঘটনা যাই ঘটুক, পৃথিবীর বিষ্ময় ভাণ্ডারের তালাটি যে সহজে খুলে যাবে, এমনটি নিশ্চয়ই কেউ আশা করবে না। সুত্রঃhttp://www.kalerkantho.com/

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:০১

আর.এইচ.সুমন বলেছেন: আমি এই বিষয়ে আগেই পড়েছি,,,,,,,,,,
আপনাকে ধন্যবাদ ,,,,,,, পোস্ট টি সংগ্রহে রাখলাম.....

২| ২০ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:০৯

সাকিরা জাননাত বলেছেন: কি সাংঘাতিক।:(

৩| ২০ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:২৫

অভ্র ভাষা হোক উন্মুক্ত বলেছেন: :-* :-* :-*

৪| ২০ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:৪৩

মো: হাসিব বলেছেন: সত্যিই ভয়ঙ্কর

৫| ২০ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪২

সায়েম মুন বলেছেন: B:-) B:-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.