নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আবু রায়হান রাকিব

অন্যকে সম্মান করুন। নিজেও এর অধিকারী হতে পারবেন।

আবু রায়হান রাকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানবতা আজ ভুলুন্ঠিত, জেগে উঠুক বিশ্ব বিবেক

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৪

যদি দানব কখনো বা হয় মানুষ, লজ্জা কি তুমি পাবে না। ও বন্ধু, মানুষ মানুষের জন্য-জীবন জীবনের জন্য। কথাগুলো বিখ্যাত একটি বাংলা গানের লাইন বিশেষ।

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের উপর সাম্প্রতিক নিষ্ঠুর, নির্দয় বর্বরতা দেখে মনে হচ্ছে, হিংস্র পশুও এতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে না মানুষের জন্য! যেন চতুষ্পদী জন্তুর চেয়েও দ্বিপদী মানুষ ভয়ঙ্কর সমস্ত প্রানীকূলের জন্যে ! মানুষের প্রতি মানুষের এমন নিশৃংসতা যেন তারই বহি:প্রকাশ মাত্র।

আজ রোহিঙ্গা নামক মুসলমানরা মানুষ নামধারী যে হায়েনাদের বর্বরতার শিকার হচ্ছে, দু:খজনক হলেও সত্য, এমন অত্যাচার, যুলুম নির্যাতন বিশ্ব নেতাদের মনে দাঁগ কাটছে না। প্রভাব ফেলছে না বৈশ্যিক সংঘটিত ঘটনাচক্রে। গুটিকয়েক দেশ কিংবা রাষ্ট্র প্রধান বিরোধিতা করলেও জালিমদের কাছে যেন তা ধোপে টিকছে না।

বাংলাদেশ ছোট দেশ। আয়তনের তুলনায় এমনিতেই ঘনবসতি। উপর্যুপরি এই রোহিঙ্গা মুসলমানদেরকে এদেশে নাগরিকত্ব দেয়া সরকারের আত্নঘাতি সিদ্ধান্ত হিসেবেই ধরে নেবে সর্বস্তরের জনগণ। আমিও এর ব্যাতিক্রম নই। তাই বলে তাদের এই দু:সময়ে প্রাণ বাঁচানোর আকুতিকে প্রত্যাখ্যান করা দুনিয়ার আদালতে না হলেও স্রষ্টার আদালতে এর জবাবদিহিতা হবে নিশ্চয়ই!

শোষিত মানুষগুলোর দিকে তাকালেই চোখে পড়ে শুকনো মলিন মুখ আর পাজরের স্পষ্ট হয়ে ওঠা হাঁড়গুলো। আহা, কতদিন হলো খায় না, কে জানে? মায়ের বুকের দুধ না পেয়ে নিষ্পাপ শিশুগুলোর গগন বিদির্ণ করা আর্তনাদ পাষাণের মনেও মায়ার উদ্রেক জাগায়।

আজ বলতে ইচ্ছে করে, আমিও রোহিঙ্গা! আমার মত যারা একবুক আশা নিয়ে অথৈ সাগর পাড়ি দিয়ে এদেশের সীমানায় পাড়ি জমাচ্ছে শুধুমাত্র প্রাণটা বাঁচাতে, সীমানা রক্ষীদের বন্ধুকের নলা ভুপাতিত করে সীমান্ত খুলে দিন। আলিশান বাড়িতে না হলেও গাছ তলায় আশ্রয় দিন। দুমুঠো খাবার দিন ও হে বিত্তবানরা। এ যে দুনিয়ারই লিলা খেলা। আজ তুমি অঢ়েল সম্পত্তির মালিক। কাল ফকির হবে না তার কোন নিশ্চয়তা নেই। একটা কথা প্রচলিত আছে, গরীবরা মেহমান দেখে ভয় পায় না। রুটি, রোজগার যা আছে তাতেই চলে যাবে।

গরীর রাষ্ট্রের সামান্য নাগরিক হিসেবে সরকারকে আহবান জানাই, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আশ্রয়প্রার্থী বিপদগ্রস্থ ভাসমান মানুষগুলোকে সমায়িক সময়ের জন্য হলেও আশ্রয় দিন এ ভূখন্ডে। অকূল সাগরের ওপারে যে মৃত্যু তাদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে। রুঢ় আচরণে ফিরিয়ে হতাশ করবেন না। কারন, “দূর্দিনেই বন্ধুর পরিচয়”।

সাধ্যের মধ্যে যা সম্ভব, করুন। মানবতা, মহানুভবতা মানুষই দেখায়। আর তা মানুষের মাঝেই শোভা পায়, দানব কিংবা পশুর মাঝে নয়। মানুষের এই ভয়ঙ্কর রুপ দেখে সত্যিই যদি সেই অসত্য কথাটা (যদি দানব কখনো বা হয় মানুষ) বাস্তবতার রুপ ধারন করে, তবে সেইদিন মানুষ সত্যিই লজ্জিত হবে। পরাজিত হবে বিশ্বমানবতা। [/sb
ছবি: সংগৃহিত।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.