নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আবু রায়হান রাকিব

অন্যকে সম্মান করুন। নিজেও এর অধিকারী হতে পারবেন।

আবু রায়হান রাকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

তামাকমুক্ত দেশ গড়তে তামাক কোম্পানির লাগাম টানতে হবে

১৬ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৮


৩১মে বিশ্ব বিশ্বব্যাপী তামাকমুক্ত দিবস পালন করা হয়ে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০২১ সালে দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে “Commit to Quit”। যার বাংলা ভাবানুবাদ করা হয়েছে ‘আসুন আমরা প্রতিজ্ঞা করি, জীবন বাঁচাতে তামাক ছাড়ি’। ১৯৮৭ সাল থেকে এ দিবসটি বৈশ্বিক পরিসরে উদযাপন শুরু হওয়ার পর থেকে তামাক নিয়ন্ত্রণ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে মানুষকে সচেতন ও নীতিনির্ধারকদের জনবান্ধব নীতি গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়। এবছরের প্রতিপাদ্য বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, চলমান করোনা মহামারীতে ধূমপান/তামাকজাত দ্রব্য পরিহার করার তাৎপর্য বা গুরুত্ব অনেক বেশি। কেননা, ধূমপায়ীদের করোনা সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি অধূমপায়ীদের তুলনায় অন্তত ১৪ গুণ বেশি!

২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের উহানে COVID-19 বা করোনা ভাইরাস নামক মহামারী ভাইরাসটির উৎপত্তির পর দ্রুত এটি সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। ব্যাপক প্রাণহানির পাশাপাশি করোনার কারণে সারা পৃথিবীতে যোগাযোগ ও উৎপাদন ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উন্নত দেশগুলোতে এ প্রভাব কম হলেও অনুন্নত, দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর অবস্থা শোচনীয়। বিভিন্ন দেশ এ অচলাবস্থা কাটিয়ে ওঠার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। করোনা ভাইরাসের আগ্রাসন দেড় বছর হতে চলেছে। বিজ্ঞানী, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের অক্লান্ত পরিশ্রমে ইতিহাসের স্বল্পতম সময়ের মধ্যে প্রতিষেধক টিকা আবিস্কার ও ব্যবহার শুরু হয়েছে, তবু কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বরং, বিভিন্ন দেশে ভাইরাসটির জেনেটিক ধরণ পরিবর্তিত হয়ে তা আরো ভয়াবহ হয়ে উঠছে।

চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি তাদের মধ্যে করোনা আক্রান্তের হার অল্প এবং আক্রান্ত হলেও মৃত্যুঝুঁকি তুলনামূলক কম। বিপরীত দিকে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাদের কম কিংবা যারা অসুস্থ্য, ডায়বেটিস, সিওপিডি, হাঁপানি, এজমা, ফুসফুসের অন্যান্য রোগ, হৃদরোগ, স্ট্রোকে আক্রান্ত - তাদের কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। একইসঙ্গে আক্রান্ত হওয়ার পর কোভিড-১৯ জনিত মৃত্যুঝুঁকিও বেশি।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় এক ধরণের রূপান্তর ঘটছে। সংক্রামক রোগজনিত মৃত্যু কমলেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। কিন্তু অসংক্রামক রোগজনিত মৃত্যু ক্রমশ বাড়ছে। বর্তমানে মোট মৃত্যুর ৬৮% অসংক্রামক রোগ (ক্যান্সার, হৃদরোগ, স্ট্রোক, শ্বাসতন্ত্র ও ফুসফুসের দীর্ঘমেয়াদি রোগে (যেমন: হাঁপানি, এজমা, সিওপিডি) এর মাধ্যমে ঘটছে। অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন যেমন: ধূমপান ও ধোঁয়াবিহীন তামাক সেবন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও মুটিয়ে যাওয়ার প্রবণতা অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। তার উপর চিকিৎসা নির্ভর স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কারণে এ ভোগান্তি ক্রমেই বাড়ছে।

প্রতিরোধযোগ্য রোগ, মৃত্যু ও এর কারণে অন্যান্য ক্ষয়-ক্ষতি কমিয়ে আনতে মানুষের জীবনযাত্রা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। করোনা মহামারীর এ সময়ে সারা বিশে^র মানুষ বিষয়টি উপলব্ধি করতে পেরেছে। বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা এ বছর বিশ^ তামাকমুক্ত দিবসের থিম নির্ধারণ করেছে মানুষের মধ্যে তামাক ছাড়ার প্রবণতাকে উৎসাহিত করার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে। যা অত্যন্ত উৎসাহ ব্যঞ্জক।

তামাক একটি মারাত্মক ক্ষতিকর নেশাদ্রব্য। এজন্যই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই তামাক পণ্য সেবনে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আসছেন। গবেষণায় প্রমাণিত যে, “ধূমপান করোনায় আক্রান্তের ঝুঁকি ১৪ গুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে তোলে।” কেননা, ধূমপায়ীদের ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমে যায় ও ফুসফুসের দীর্ঘমেয়াদী রোগে আক্রান্ত করে- যা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বৃদ্ধি করে। একারণেই ধূমপায়ী/তামাক সেবনকারীরা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এবং প্রাণহানির ঝুঁকিতে শীর্ষে অবস্থান করছে। যা চীন, ইতালি, ফ্রান্সে করোনা আক্রান্তদের মাঝে পরিচালিত গবেষণায় পরিলক্ষিত হয়েছে।

উন্নয়নশীল ও জনবহুল বিবেচনায় বাংলাদেশ বহুজাতিক তামাক কোম্পানিগুলোর কাছে বিশাল বাজার। বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে এদেশে মৃত্যুশলাকা’র ব্যবসা বিস্তৃত করার লক্ষ্যে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। যার সর্বশেষ উদাহরণ জাপান টোব্যাকো (জেটিআই)। প্রায় সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকায় আকিজ টোব্যাকো’র ব্যবসা কিনে এখন তারা দেশে বিএটিবি’র পরেই দেশে বড় বহুজাতিক তামাক কোম্পানি! বিনিয়োগেই শেষ নয়, বরং ভোক্তা তৈরীতেও এ সকল কোম্পানিগুলো রাষ্ট্রীয় আইন লঙ্ঘণ করে নানান কূট-কৌশল প্রয়োগসহ সমস্ত অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করে আসছে।

Global Adult Tobacco Survey-GATS এর তথ্যানুসারে, বাংলাদেশে ১৫ বছর ও তদুর্ধ বয়সীদের ৩ কোটি ৭৮ লাখ (৩৫.৩%) মানুষ নানান উপায়ে তামাক ব্যবহার করেন এবং প্রায় ৪ কোটি ১০ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ নিজ বাড়িতেই পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন। বছরে ১ লক্ষ ৬১ হাজারের অধিক মানুষ তামাকজনিত রোগে অকালে মৃত্যুবরণ করে (Tobacco Atlas-2018)। মানুষকে তামাক সেবনে নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি কোম্পানিগুলোকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ না করা হলে এই বিপুল সংখ্যক তামাক সেবীর সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে! সুতরাং- তামাক কোম্পানির লাগাম টানতে হবে।

সরকার জনস্বার্থে ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫’ প্রণয়ন করেছে, ২০১৩ সালে আইনটি সংশোধন করেছে। পাশাপাশি আইনটি যথাযথ বাস্তবায়ন না হওয়ায় তামাক কোম্পানিগুলো এর সুবিধা নিচ্ছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মানুষকে তামাক সেবন থেকে বিরত রাখতে আইন/নীতি গ্রহণ, তামাক বিরোধী বেসরকারী সংস্থাগুলোকে সাথে নিয়ে সচেতনতামূলক কাজ করছে। অন্যদিকে, তামাক কোম্পানিগুলোও তাদের পণ্যের ব্যবসা সম্প্রসারণ ও ভোক্তা তৈরীতে অপতৎপরতা চালাচ্ছে। আইনে তামাক পণ্যের সব ধরনের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ হলেও এখনো কৌশলে বিজ্ঞাপন চালিয়ে যাচ্ছে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ‘ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্ট’ বাজারে আনছে যেমন: ই-সিগারেট। এসকল পণ্যের দীর্ঘমেয়াদী ভোক্তা তৈরীতে তামাক কোম্পানিগুলোর প্রধান টার্গেট আমাদের তরুণ প্রজন্ম! ছবি: স্টপ টোব্যাকো বাংলাদেশ।

Global Youth Tobacco Survey তে দেখা যায়, ২০১৮ সালে বিশ্বব্যাপী উঠতি বয়সী (১৩-১৫ বছর বয়সী) ছেলে-মেয়েদের মধ্যে অন্তত ৪.৩ কোটি (১.৪ কোটি মেয়ে এবং ২.৯ কোটি ছেলে) তামাক ব্যবহার করে। বাংলাদেশর চিত্রও আশঙ্কাজনক! বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা পরিচালিত গ্লোবাল স্কুলবেইজড স্টুডেন্ট হেলথ সার্ভে, ২০১৪ এর তথ্য মতে, বাংলাদেশে উঠতি বয়সী (১৩-১৫ বছর বয়সী) ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে তামাক ব্যবহার করে ৯ দশমিক ২ শতাংশ। উদ্বেগজনক এই পরিস্থিতির প্রধান কারণ- তামাক পণ্যের বিজ্ঞাপন, প্রচারণা, সহজলভ্য ও সহজপ্রাপ্যতা।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশেপাশে ও জনবহুল এলাকায় ছোট ছোট বিক্রয়কেন্দ্রগুলোকে (Point of Sale) তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন ও প্রচারণার প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে তামাক কোম্পানিগুলো। ক্রেতা-বিক্রেতাকে উপহার, উপঢৌকন প্রদানের মাধ্যমে তামাক পণ্য সেবনে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি চলছে দেদারছে। এছাড়া নাটক, সিনেমায় জনপ্রিয় অভিনয় শিল্পীদের ব্যবহার করে পরোক্ষ প্রচারণা, তরুণদের সম্পৃক্ত করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন এবং তামাক বিপণন কাজে তরুণদের ব্যবহার তামাক কোম্পানিগুলোর অন্যতম বড় কৌশল।

তামাক একটি মারাত্মক নেশা। নিকোটিনের নেশার কারণে মানুষ সহজে তামাক বা ধূমপান ছাড়তে পারে না। আন্তর্জাতিক তামাক নিয়ন্ত্রণ চুক্তি ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি) আর্টিকেল ১৪-এ তামাকের আসক্তি কমানোর বিভিন্ন পদক্ষেপ বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। বাংলাদেশ এ চুক্তিকে স্বাক্ষর ও অনুসমর্থন করলেও তামাক ত্যাগে সহায়তামূলক কোন কর্মসূচি চালু করতে পারেনি। তামাকের নেশায় আসক্তদের এ নেশা বর্জনে সহায়তার জন্য প্রধানত তিন ধরনের পদক্ষেপ কার্যকর। প্রথমত; কাউন্সেলিং, দ্বিতীয়ত; কুইট লাইন (তামাক বর্জনে সহায়তার জন্য সুনির্দিষ্ট টেলিফোন লাইন) তৃতীয়ত; তামাক বর্জনে সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র সুলভ ও সহজলভ্য এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে বিনামূল্যে সরবরাহ করার ব্যবস্থা করা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার MPOWER Policy Package ‘O’ offer help to quit tobacco use সেকশনেও ধূমপান ত্যাগের বিস্তারিত বলা আছে। পর্যায়ক্রমে এ পদক্ষেপসমূহ বাস্তবায়ন করা গেলে ধূমপায়ীরা তামাকের নেশা থেকে বেরিয়ে আসতে উৎসাহী হবেনা।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ধূমপান ত্যাগে সহায়তার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে। কোন কোন দেশে কুইট লাইন (সার্বক্ষনিক ফোন), মোবাইল অ্যাপস, অনলাইনে তামাক বর্জনে সহায়তা কর্মসূচি রয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, মানসিক সহায়তার জন্য মনোচিকিৎসক ও সহায়ক কর্মী রয়েছে, যারা তামাক বর্জনের বিভিন্ন ধাপে আসক্ত ব্যক্তিকে সহায়তা করে থাকে। আমাদের দেশের চিত্র সম্পূর্ণ বিপরীত। এখানে তামাক আসক্তদের এ নেশা হতে বেরিয়ে আসতে সহায়ক কর্মসূচি নেই। এ বিষয়ে একটি জাতীয় ‘হেল্পলাইন/কুইটলাইন’ চালু করা দরকার।

২০১৬ সালে সাউথ এশিয়ান স্পীকার সামিটে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের মধ্যে ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার প্রত্যয় দৃঢ় ব্যক্ত করেছেন। ২০১৭ সালে পরিচালিত Global Adult Tobacco Survey-GATS এর ফলাফলে দেখা যায়, ২০০৯ সালের চাইতে ২০১৭ সালে দেশে তামাক সেবীর হার ৮% কমেছে। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করতে হলে তামাক ছাড়তে মানুষকে উৎসাহী করতে হবে। একই সঙ্গে যারা এখনও তামাক সেবন শুরু করেনি তারা যেন শুরু না করে সেজন্য তামাকের উপর কর বৃদ্ধি ও আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

যারা তামাক সেবন করেন তাদের অর্ধেকই তামাকজনিত ক্যান্সার, হৃদরোগ, স্ট্রোক, সিওপিডি, ডায়বেটিস ইত্যাদি প্রাণঘাতী রোগে মারা যায়। উপরন্তু, মৃত্যুর আগে এসব রোগের চিকিৎসা করতে গিয়ে পরিবার ও রাষ্ট্রে প্রভাব পড়ছে। তাই সুস্থ্যতার জন্য তামাক বর্জন জরুরি। এ প্রেক্ষাপটে সকল তামাক সেবনকারী ও ধূমপায়ীদের প্রতি আহবান - আসুন, আমরা প্রতিজ্ঞা করি, জীবন বাঁচাতে তামাক ছাড়ি।

লেখক: মো: আবু রায়হান
উন্নয়ন কর্মী, ফ্রিল্যান্সার সাংবাদিক
[email protected]

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুন, ২০২১ রাত ৯:৪৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক তথ্যবহুল লেখা। তামাকের বিরুদ্ধে ব্যাপক সামাজিক আন্দোলন প্রয়োজন। আইন করে এগুলি নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের মত দেশের জন্য কঠিন। তবে তামাক কোম্পানিগুলির উপর আরও বিধিনিষেধ আরোপ করতে হবে। তবে সমস্যা হোল এই সব তামাক কোম্পানি সরকারকে প্রচুর পরিমান রাজস্ব দিয়ে থাকে। ফলে এই সব কোম্পানিগুলির প্রতি সরকারের একটা প্রচ্ছন্ন সমর্থন আছে।

১৭ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১২:৫১

আবু রায়হান রাকিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ‘তামাক খাত থেকে প্রচুর রাজস্ব আসে’ আসলে এটি একটি মিথ। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তামাক খাত হতে প্রাপ্ত ২২,৮১০ কোটি টাকার রাজস্বের বিপরীতে স্বাস্থ্যখাতে সরকারের ব্যয় ৩০,৫৭০ হাজার কোটি টাকা। দু:খজনক হলেও সত্য যে, তামাকজনিত এসকল ক্ষয়-ক্ষতিকে ছাপিয়ে তামাক কোম্পানি প্রদত্ত রাজস্বকে বড় করে দেখার প্রবণতা খোদ সরকারের নীতি নির্ধারণী মহলেই লক্ষ্য করা যায়। এমনকি, সাধারণ মানুষের মগজেও এটি গেঁথে গেছে যে, ‘তামাক কোম্পানির টাকায় দেশের রাষ্ট্রীয় কোষাগার পরিপূর্ণ হয়।’

আসল বিষয় হলো, তামাক কোম্পানি প্রদত্ত রাজস্বের ৮০ ভাগের বেশি জনগণের দেয়া ভ্যাট, ট্যাক্স। এসব অর্থের সাথে কোম্পানির সামান্য কিছু মুনাফার অংশ যুক্ত করে পুরোটাই নিজেরদের প্রদত্ত ট্যাক্স বলে চালিয়ে দিয়ে আসছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.