নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনেক গুলা ড্রাফট এ আছে।। দেখি কেমনে নিয়ে আসা যায়

নষ্ট কবি

অবশেষে চাবি খুঁজিয়া পাইয়াছি

নষ্ট কবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

███আমার দেখা মৃত্যু গুলো ███ ১

৩০ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১১:১২

গতকাল সন্ধ্যায় সংগীত শিল্পী আবিদের মৃত্যুর খবর শুনে আমি অনেক ক্ষন নিশ্চুপ ছিলাম।ভাবছিলাম মানুষের মৃত্যু নিয়ে। ভাবছিলাম আমার মৃত্যু নিয়ে। কিভাবে মানুষ তার চারপাশের মানুষ গুলোকে কাঁদিয়ে চলে যায়। অসহ্য। বুকের ভেতর চিনচিন করে ঊঠে। ভাল্লাগেনা কিছু। বুঝিনা কেন মানুষ মানুষের ই মৃত্যু তে এত কষ্ট পায়। আবিদের মৃত্যু র কথা শুনে আমার মনে পড়ে যেতে থাকে আমার চোখের সামনে দেখা মৃত্যু গুলোর কথা। ভাবতে থাকি- মানুষ কত সহজে আমাদের ছেড়ে চলে যায়- চলে যায় চরম স্বার্থপরের মত।

*******

আমার প্রথম দেখা মৃত্যু ছিল আমারই এক আত্মীয়া-আমার খুব কাছের মানুষ আমার মেঝ ঠাকুমা। আমার দাদুর মেঝ ভাইয়ের স্ত্রী। আমি ঊনাকে মেঝ ঠাকুমা ডাকতাম। ছোট বেলা ঊনার সাথে চা খেতাম আর চা শেষ করে চায়ের মগ টা নিয়ে এটা আমাদের বলেই দিতাম দৌড়। আমি তখন অনেক ছোট। মাত্র দুই থেকে আড়াই বছর বয়েস। কিন্তু আমার পরিষ্কার মনে আছে উনাকে আমি দুষ্টামি করে বুজ্ঞা মা ও ডাকতাম। আর সারাদিন উনার কোলে কাটিয়ে দিতাম।

উনাকে ছেড়ে আসি আমি যখন বয়েস তিন থেকে সাড়ে তিন। আমাকে মা বাবা মিলে একটা কনভেন্ট স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেন। আমি ও প্রতিদিন সেখানে যেতে কান্না কাটি করতাম। যেতে চাইতাম না। আমাকে চকলেট কিনে দিলেই আমি যেতাম। তাও ঘণ্টা বাজলেই কান্না শুরু হয়ে যেত- অনেক ভয় পেতাম ঘণ্টা বাজা শুনে।

এমন ই একদিন মা হটাত করে আমাকে স্কুল এ দিয়ে বাসায় গিয়ে আবার ফিরে আসলেন। আমাকে অর্ধেক ক্লাস ফেলে নিয়ে গেলেন সেই মেঝ ঠাকুমার বাসায়। আমি গিয়ে দেখলাম উনাকে খাটে শুইয়ে রাখা হয়েছে। সবাই উনাকে ঘিরে কাদছে।আমি বুঝিনি উনার কি হয়েছে। আমি গিয়েই উনাকে ডাকলাম অনেক। উনি প্রতিবারের মত আমাকে জড়িয়ে ধরে আদর করলেন না। কোন উত্তর দিলেন না। আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলাম। তারপর সবাই আমাকে বলল -"তোর মেঝ ঠাকুমা মারা গেছেন"



সবাই কাঁদছে- আর আমি তাকিয়ে ছিলাম সেই ঠাকুমার লাশের দিকে। কি সুন্দর হাসছিলেন তিনি। বুঝে ঊঠতে শিখিনি মৃত্যু কি জিনিস। দেখেও যে কেন বুঝিনি কে জানে। চার বছর বয়সে একটা বাচ্চা আর কতটুকু ই বা বুঝে?



সেদিক ট্রাকে করে বাড়িতে লাশ নিয়ে যাবার সময় খুব মজা পেয়েছিলাম। সবাই কাঁদছিল - আমি হাসছিলাম আমার বড় ছোট ভাই দের নিয়ে। সবাই মাসিত- পিসতুতো ভাই। সবাই আমার ছোট বড়। কেউ তখন মৃত্যু বুঝিনা।

*******

আমার আপন দাদু যখন মারা গেলেন তখন আমি ক্লাস সিক্স এ। চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তির জন্য আমাকে নিয়ে মা বাবার যুদ্ধ। আমাকে ভর্তি হতেই হবে। আমি পরীক্ষা দিলাম। যেদিন টিকলাম তার পরদিন ই দাদু মারা গেলেন। আমি তখন যথেষ্ট বড়। কিন্তু তখন ও কেন যেন মৃত্যু টাকে উপলব্ধি করতে পারিনি। সবাই কেদেছিল। আমি তাকিয়ে ছিলাম অপলক। আমি কেন যেন বুঝতে পারছিলাম না কিভাবে মানুষ মারা যায়।



গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর মানুষের ঢল নামে। হাজার মানুষের ভালবাসায় দাদুর চার পাশ মুখরিত হয়। ফুলে ফুলে ছেয়ে যায় খাটিয়া। শুধু মুখ টুকু দেখা যাচ্ছিল। দেখছিলাম আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে। কি সুখে দাদু যেন হাসছিলেন। সে এক অদ্ভুত হাসি। এখন ও মনে হয়- হয়ত সারা জীবনে কষ্টের পর এই একটা প্রাপ্তিই ছিল দাদুর জীবনে। হাজার হাজার মানূষকে কাঁদিয়ে দাদু চলে গেলেন।

*******



দাদু মারা যাবার পর আমার ঠাকুমা অনেক অসুস্থ হয়ে পড়েন। উনার ব্যাকবোনে ক্যান্সার ধরা পড়ে। উনাকে অনেক ডাক্তার দেখানোর পর ও তিনি সুস্থ হননি।



যেদিন তিনি মারা যান তার ঠিক আগ মুহূর্তে আমি বাবার সামনে বসে পড়ছিলাম। মা ছিলেন ঠাকুমার সামনে। হটাত মা দৌড়ে এসে বাবাকে কাঁদতে কাঁদতে বল্লেন-"মা তো কথা বলছেন না- তুমি একটু আসোনা"



আমি আর বাবা আমাদের ঘর থেকে দৌড়ে গেলাম ঠাকুমার রুমে। সেখানে ঊনার পালস চেক করে বাবা চিৎকার করে কেঁদে ঊঠলেন। আমি আবার তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছিলাম কিভাবে মারা গেলেন ঠাকুমা। মানুষ হয়ত এভাবেই মারা যায়।



*******

পাঁচ বছর আগে-আমার বাবা যখন অনেক অসুস্থ- তখন আমাকে ফোনে জানানো হয় আমি যেন খুব তাড়াতাড়ি চট্টগ্রাম চলে যাই। আমি শুনেই ক্লাস- আর ডিজাইন জমা ফেলে চলে যাই চট্টগ্রাম।



গিয়ে দেখি বাবা হাসপাতালে। আমার মা বাবাকে নিয়ে পাগলের মত বসে আছে । আমাকে দেখেই বাবা বললেন-

"ওকে কেন আনালে? ও তো পরীক্ষায় ফেল করবে "

এত অসুস্থ তার মাঝে ও বাবা র চেতনা ঠিক ই ছিল- কিন্তু আমি যাবার পর অবস্থার ও উন্নতি হয়। পরদিন বাবাকে ডাক্তার রিলিজ করে দেবেন বলে জানান। আমি ও কিছুটা ভরসা পেয়ে আমার বড় পিসি ( ফুফু) র বাসায় চলে যাই। সেখানে আমি আর আমার পিসিত ভাই ( ফুফাত ভাই) মজা করে ভাত খাচ্ছিলাম- এমন সময় একটা কল আসে আমার ভাইয়ের কাছে। সে অনেক গুলো টাকা নিয়ে আমাকে নিয়ে দৌড় মারে হাসপাতালে। আমি মনে করেছিলাম কোন একটা মেজর অপারেশন করাতে হবে। বার বার মনকে এই প্রবোধ দিচ্ছিলাম।



হাসপাতালে ঢুকে দৌড়ে গিয়ে দেখি মা চিৎকার করে কাঁদছেন- আর আমাকে বললেন- বাবা নেই।

হটাত করে আমার মাঝে কেমন যেন একটা শুন্যতা কাজ করছিল। মনে হচ্ছিল কেন যেন সবাই আমার সাথে মিথ্যা কথা বলছে। বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। বাবার লাশ আমার সামনে আনা হল। আমি একফোঁটা ও কান্না ও সেদিন কাঁদতে পারিনি। কেমন যেন মনে হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল আমার চার পাশে সবাই কাঁদছে- আমি কেমন যেন একটা ঘোরের মাঝে। হাটতে ও পারছিলাম না। আমাকে ধরে এ্যাম্বুলেন্স এ ঢোকানো হল। সাথে বাবার লাশ। আর মা- আমাকে ধরে কাঁদছেন তো কাদছেন-অথচ আমি যেন কাঁদতে ভুলে গেছি।

এ্যাম্বুলেন্স এ উঠলাম- বাবার লাশ আমার সামনে। তখন ও লাশ ঠান্ডা হয়ে যায়নি। আমি অপলক তাকিয়ে ছিলাম সেই লাশের দিকে। কি সুন্দর করে ঘুমাচ্ছেন বাবা।

এমন সময় জ্যামে আটকে যায় এ্যাম্বুলেন্স। তখন আমি দেখলাম- আমাদের চারপাশে সব মানুষ একজন আরেকজনের সাথে কথা বলছে- কেউ হাসছে। কেউ চিৎকার করে মোবাইলে কথা বলছে। অথচ আমার মাঝের কষ্টটা কেউ বুঝছেনা। কেউ দেখতে পাচ্ছেনা যে আমি কাঁদতে ও পারছিনা। পৃথিবী কি অদ্ভুত। অদ্ভুত তার মানুষ গুলো।



বাবাকে স্নান করানোর পর চিতায় তোলা হল। আমার কোন হুশ ছিলনা তখন।মুখাগ্নি ছেলে হিসেবে আমাকেই করতে হবে। ঘোরের মাঝেই আমি মুখাগ্নি করলাম।তিলে তিলে বাবার শরীর ভষ্ম হয়ে গেল- আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলাম।সব ঠিক আছে- শুধু বিশ্বাস করতে পারছিলাম না- এর পর কেউ আমাকে বাবা বলে বুকে জড়িয়ে ধরবেনা। ঢাকা আসার সময় বাস আসা অবধি কেউ দাঁড়িয়ে থাকবেনা। মোবাইলে শুনতে পাবোনা বাবার ডাক। কি অদ্ভুত এই পৃথিবী। বাবার মৃত্যুর পর ই আমি চিনেছিলাম এই স্বার্থপর পৃথিবীকে- পৃথিবীর মানূষ গুলোকে। আমার জন্য যেটা ছিল পরম শিক্ষা।



এরপর কত মৃত্যু আমাকে ঘীরে ঘটেছে- বাবার মৃত্যু র মত শোক আমি কখন ও পাইনি। কখনো পাবোনা। হয়ত আপন জন হারালে এমন ই হয়।

এমন ভাবেই কষ্ট পায় সবাই- এই কষ্ট সবাইকে পেতে হবে। মরতে হবে সবাইকেই....



( চলমান)

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১১:১৭

ৈজয় বলেছেন:

পরের পর্বটা লিখবেননা দয়া করে।


এগুলো পড়তে কষ্ট হয়।

৩০ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১১:২৭

নষ্ট কবি বলেছেন: এই এক পর্ব লিখেই মন টা খারাপ হয়ে গেল। বাবার কথা খুব মনে পড়ছে।

২| ৩০ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১১:২২

ধর্ম-ঘট বলেছেন: মৃত মানুষ দেখতে এমনিতে ভালো লাগেনা, অনেক কষ্ট লাগে, তবে এখনও নিজের চোখের সামনে কাউকে মারা যেতে দেখিনি। জানিনা কি যে ভয়াবহ হবে সেই কষ্ট, অনেক কষ্ট লাগে যখন আমার খুব পরিচিত মানুষকে আর দেখতে পাবোনা এটা মনে পরে। কাদতে পারিনা কিন্তু বুকের ভেতর কেমন যেন করে। সেই কষ্ট সত্যি ............। আর কিছু বলতে পারছিনা। আপনার বাবার আত্মার সদ্‌গতি কামনা করছি।

৩০ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১১:২৮

নষ্ট কবি বলেছেন: আসলেই অনেক কষ্ট ভাই অনেক কষ্ট
এখন ভাবলেই কান্না পায়

৩| ৩০ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১১:২৯

ছাইরাছ হেলাল বলেছেন:

আমাদের
মন খারাপ করে দেয়া
আপনার ঠিক হয় নাই।

৩০ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১১:৩২

নষ্ট কবি বলেছেন: ভাই মৃত্যু আসলেই অনেক কষ্টের

দুঃখিত

৪| ৩০ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১১:৪৪

সাকিন উল আলম ইভান বলেছেন: কষ্টের লেখা ,তবুও অশ্রু নয়নে প্লাস দিলাম :((

৩০ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১১:৪৬

নষ্ট কবি বলেছেন: ধন্যবাদ

৫| ৩০ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১১:৫০

সাকিন উল আলম ইভান বলেছেন: mritto k voy pete laglam.....joto na nijer mrittor kotha vebe tarcheye boro holo,mrittor por nikotjoner osohayotto dekhe....

৩১ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৮:৪০

নষ্ট কবি বলেছেন: নিজের মৃত্যুর কথা চিন্তা করলেই কেমন জানি লাগে-
আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজেকে দেখি-
আয়নার ভেতরের আমি কি আসলেই আমি?
আমি কে?
কি?
কেন আমি /???
আমি কিভাবে এলাম////

কেন আমাকে ও মরে যেতে হবে?

৬| ৩১ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৮:৫১

জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
সব মৃত্যুই ভয়ানক কষ্টের ।

৩১ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৮:৫৯

নষ্ট কবি বলেছেন: সেটাই ভাই-অনেক কষ্ট- বুক ফেটে যায়

৭| ৩১ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ১:৩৫

আজাদ আল্-আমীন বলেছেন: সত্যিই মনটা খারাপ হয়ে গেলে। কিছুদিন আগে আমার বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলো, অপারেশন করা হয়েছে, এখন অনেক ভালো আছেন। আমার বাবা-মা দুজনই জীবিত আছেন। ভাবছি কখনো যদি তাঁদের মৃত্যু দেখতে হয় তাহলে কেমন করে সহ্য করবো।

৩১ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৩:২৬

নষ্ট কবি বলেছেন: ভাই সহ্য তো করতেই হবে

৮| ৩১ শে জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১২

কবির, মোঃ আহসানুল বলেছেন: মন ডাহা খারাপ হয়ে গেল, চোখ দিয়া পানি বাহির হল। এই বছরে অনেককে হারিয়েছি, আশা করি আপনারা সকলে নিজের জীবনের দিকে লক্ষ রাখিবেন।
শুধু নিজের জীবনের দিকে নিজের জীবনের প্রতি রাখিলেই চলিবেনা, তৎসংগে দেশের সরকার/প্রশাসনকে তাঁর দেশের জণগণ যেন এইরকম কারণে মৃত্যুবরণ না করে সেটার শতভাগ গুরুত্ব দিতে হবে আর তা বিন্দুমাত্র অসম্ভব নহে।

৩১ শে জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১২

নষ্ট কবি বলেছেন: :|

৯| ৩১ শে জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৫

কবির, মোঃ আহসানুল বলেছেন: আমি সচল সিঁড়ি সম্পর্কে আরেকটি ব্লগ লেখেছি, অনুগ্রহ করিয়া এখানে গিয়ে Click This Link পূর্ণ মনযোগ দান করে পড়ুন এবং কমেন্ট যোগ করুন সেথায়, Thank you so much

৩১ শে জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৫

নষ্ট কবি বলেছেন: দিলাম দেখে আসেন

১০| ০১ লা আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:৫৯

বাল্যবন্ধু বলেছেন: :( :( :( :( :( :(

০২ রা আগস্ট, ২০১১ রাত ১২:০৪

নষ্ট কবি বলেছেন: মন খারাপ হল? আরও এক পর্ব আসছে কালকেই

১১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১:১১

গ্রীনলাভার বলেছেন: আমার মার কথা মনে পড়ে খুব...

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:২৩

নষ্ট কবি বলেছেন: তাই????

১২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:২৭

মুকুট বিহীন সম্রাট বলেছেন: লেখাটা পড়তে পারছিনা, ডান পাশে অনেকটা চেপে গেছে।
এই সমস্যার সমাধান কি কবি?

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:১০

নষ্ট কবি বলেছেন: cntrl+ - দিয়ে দেখেন কোন সমাধান হয় কিনা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.