![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন সাংবাদিক ও লেখালেখি করি
বিচারে আন্তর্জাতিক মানের কথা বলার সময় বিএনপির শহীদ পরিবারগুলোর কথাও স্মরণে রাখা উচিত যারা প্রশ্ন তুলেছে, তাদের পিতা-মাতা-ভাই-বোনকে হত্যার সময় কোন্ আইন অনুসরণ করা হয়েছে, কোন্ আইনে একাত্তরে গণহত্যা চালানো হয়েছে, কোন্ আইনে লাখ লাখ নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে? এখন কেনো এতো আইনের কচকচানি? শহীদদের সেই কষ্ট মনে রেখেই ন্যায়বিচারের স্বার্থে আন্তর্জাতিক মানের আইন হয়েছে, আন্তর্জাতিক মানের আদালতে বিচার চলছে। এ বিচার বিএনপি-জামায়াত ছাড়া আর কারো কাছে প্রশ্নবিদ্ধ নয়।
অন্য বিষয় নিয়ে শেখ হাসিনার শত সমালোচনা থাকলেও একজন রাজনীতিক হিসেবে এখানেই তাঁর সাফল্য যে তিনি তাঁর চেতনা দিয়ে নতুন প্রজন্মকে উদ্দীপ্ত করতে পেরেছেন। আবার সেই প্রজন্ম যখন গণজাগরণে তাঁর রাজনৈতিক সীমাবদ্ধতাকে চ্যালেঞ্জ করেছে, তখন তিনি সেই জাগরণের চেতনাকে ধারণ করেছেন।
এখানেই বেগম খালেদা জিয়ার ব্যর্থতা; যে খালেদা জিয়া এখনও জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধ, কয়েকদিন আগেও জনসভার ভাষণে দাবি করেছেন, কাদের মোল্লারা যুদ্ধাপরাধী নন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের নামে বিরোধী জোটকে দুর্বল করার চেষ্টা চলছে। অথচ এখন বিএনপি দাবি করছে ‘বিএনপি সর্বদা এই বিচারের পক্ষে’।
দল হিসেবে এখন তাই শাহবাগের তরুণদের খোঁড়া কবরের সামনে দাঁড়িয়ে আছে বিএনপি। জিয়াউর রহমানের দলের সামনে এখন দুটি বিকল্প:
১. জামায়াতকে কোলে নিয়ে ওই কবরে নেমে পড়া, এবং
২. জামায়াতকে কোল থেকে কবরে ছুঁড়ে ফেলে নিজেদেরকে শাহবাগের গণজাগরণে জনস্রোতে পরিণত করা।
©somewhere in net ltd.