![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধর্ম নিয়ে গবেষনা করি। ধর্মের আবেদন খুজে বের করার চেষ্টা করি।
আমরা কি জানি, দৈনন্দিন জীবনে আমরা যে লোহা ব্যবহার করি তার উৎস কি? সূর্য? না, পৃথিবী বা অন্য কোন গ্রহ বা সূর্যে এই লোহা তৈরী হয়নি। কারণ, অধুনা গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে নিউক্লিয়ার ফিউশন বিক্রিয়ার মাধ্যমে আয়রণ তৈরী হতে কয়েকশ মিলিয়ন ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা লাগে, যেখানে সূর্যপৃষ্ঠের তাপমাত্রা মাত্র ৬০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সূ্র্যের কেন্দ্রের তাপমাত্রা মাত্র ১৫ মিলিয়ন ডিগ্রি সেলসিয়াস। একারণে এই সৌরজগতে থাকা আয়রন এই সৌরজগতে তৈরী নয়।
মূলত, আয়রণ তৈরী হতে দরকার সূর্যের থেকে বড় গ্রহ যা আরো বেশী উচ্চ তাপমাত্রা একোমডেট করে। যা একসময় রেড জায়ান্ট, এরপর ডোয়ার্ফ, এরপর রেড সুপার জায়ান্ট, এরপর নোভাতে পরিণত হয়। এই নোভা স্টেজ এই ফিউশন বিক্রিয়ায় আয়রণ তৈরী হয়। এই নোভা একসময় বিস্ফোরিত হয় এবং তাতে উৎপন্ন লৌহ আউটার স্পেস এ মেটিওর আকারে ছড়িয়ে পড়ে।
যে কারণে আর্কিওলোজিস্টদের ধারণায় পৃথিবীতে থাকা লোহা পৃথিবীর নিজস্ব নয়। বরং আউটার স্পেস থেকে বিভিন্ন লৌহ মিটিওর (উল্কা) পৃথিবীতে আসার কারণে আমরা এখন লৌহ পাচ্ছি। তার মানে, বিজ্ঞান বলে যে লৌহ বা আয়রণ পৃথিবীর বাহির থেকে এসছে, তাইনা?
এখন দেখুন কুরআন কি বলছে-
অধ্যায় ৫৭, সূরা হাদীদ, আয়াত ২৫।
▪ And We sent down iron, wherein is great military might and benefits for the people. [Sahih International]
▪ আর আমি নাযিল করেছি(আকাশ থেকে বা উপর থেকে) লৌহ, যাতে আছে প্রচন্ড রণশক্তি এবং মানুষের বহুবিধ উপকার। [বঙ্গানুবাদ]
এই আয়াতগুলোর বর্ণনাভঙ্গি এরকম, যে লোহাকে উপর থেকে নাযিল করা হয়েছে। চিন্তা করেন, ১৪০০ বছর আগে প্রকাশিত বইয়ে এসব তথ্য কিভাবে এলো?
©somewhere in net ltd.