নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হে মু\'মিনগণ! তোমরা আল্লাহ্‌কে যথার্থভাবে ভয় কর এবং তোমরা আত্মসমর্পণকারী (মুসলমান) না হইয়া কোন অবস্থায় মরিও না।(আলে- \'ইমরান,আয়াত-১০২)

আরিফুর রহমান হাওলাদার

আরিফুর রহমান হাওলাদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে ভুলে করছি মেরুদন্ডের হাড় ক্ষয়

০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৫


আমাদের শরীরের অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হল মেরুদন্ড। সোজা হয়ে দাঁড়ানো, হাঁটা-চলা করা এবং ভার বহনে তার ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। মেরুদন্ডের কোনো সমস্যা হলে জীবিত থাকবো ঠিকই কিন্তু তা হবে শুধুই জড় পদার্থের মতো বেঁচে থাকা। অথচ নিজেরাই গুরুত্বপূর্ণ এই অংশের ক্ষতি করে চলেছি নিরবে। বেখেয়ালে করা কিছু ভুল মেরুদন্ডের হাড় ক্ষয় করে দিচ্ছে মারাত্মকভাবে। তাই প্রতিদিনের করা সে ভুল সম্পর্কে আমাদের সচেতন থাকা জরুরি। যেমন-

সঠিকভাবে চেয়ারে না বসা
সঠিকভাবে চেয়ারে না বসার কারণে মেরুদন্ডের ওপর অনেক বেশি চাপ পড়ে। এতে মেরুদন্ডের ওপর অনেক বেশি চাপ পড়ে। একাধানে এমন চাপ সহ্য করতে না পেরে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় মেরুদন্ডের হাড়।

হঠাৎ মেরুদন্ড বাঁকানো
অনেকের অভ্যাস আছে, দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার পরে হঠাৎ আড়মোড়া ছাড়তে মেরুদন্ড বাকিয়ে নেন। দেহের আড়ষ্ঠতা ভাঙতে হুট করেই মেরুদন্ডের ওপর এমন চাপ অনেক বেশি ক্ষতিকর। এতে খুব দ্রুত হাড় ক্ষয়ে যেতে পারে। খুব বেশি ভঙ্গুর হয়ে যায় ক্ষয়ে যাওয়া সে হাড়।

ভারী জিনিস তোলা
সোজা হয়ে দাঁড়ানো থেকে কোমর বাঁকা করে নিচু হয়ে মেঝে থেকে ভারি জিনিস তোলার মতো কাজ আমরা অনেকেই করি। এই অভ্যাস মেরুদন্ডের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এই কাজটি করা মোটেও উচিত নয়। ভারি জিনিস তোলার ক্ষেত্রে আগে কিছু সময় দেহে শীথিলতা এনে নিতে হবে।

বিছানায় আধশোয়া হয়ে থাকা
বই পড়া বা ল্যাপটপ চালানোর সময় দীর্ঘক্ষণ বিছানায় আধ শোয়া হয়ে থাকতে হয়। এতে আমাদের মেরুদন্ডের ক্ষতি করে অনেক। এছাড়াও সোফায় শুয়ে শুয়ে টিভি দেখার অভ্যাসটিও খুবই খারাপ।

একটানা বসে বা দাঁড়িয়ে থাকা
একইভাবে অনেকক্ষণ থাকা আমাদের মেরুদন্ডের জন্য অনেক ক্ষতিকর। একটানা বসে থাকা বা একটানা দাঁড়িয়ে থাকা দুটোই মেরুদন্ডের ওপর অনেক চাপ ফেলে। তাই ২০ মিনিট পরপর অবস্থান পরিবর্তন করা উচিৎ।

পুরাতন ম্যাট্রেস ব্যবহার
আমাদের ঘুমানোর বিছানাটি যদি আরামদায়ক না হয়, তবে মেরুদন্ডে ব্যথা হবেই। খাটে ব্যবহৃত ম্যাট্রেস ৮ থেকে ১০ বছরের পুরাতন হলেও অনেকে তা পরিবর্তন করেন না। বেশি সময় পার হয়ে গেলে ব্যবহৃত ম্যাট্রেস অতিরিক্ত শক্ত বা নরম হয়ে যায়। এমন বিছনিায় প্রতিরাতে শোয়ার কারণে বাঁকিয়ে থাকা মেরুদন্ড একসময় ভঙ্গুর হয়ে পড়ে।

ভারী ব্যাগ বহন করা
একটানা ভারি ব্যাগ বহন করলেও মেরুদন্ডে ব্যথা হতে পারে। বিশেষ করে এক কাধে ভারি ব্যাগ বহন করার অভ্যাস তৈরি হলে, তা আমাদের মেরুদন্ডের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়। তাই মেরুদন্ডের সুস্থতায় ব্যাগ হালকা রাখার চেষ্টা করতে হবে।

হাই হিল পরার অভ্যাস
অতিরিক্ত হাই হিল পরার কারণে মেয়েদের মেরুদন্ডে ব্যথা হতে পারে। উঁচু হিল পরলে দেহের হাড়ের জোড়া গুলোতে চাপের সৃষ্টি হয়।এতে ব্যথার জন্ম নেয়। কিন্তু অনেক মেয়েই এই ব্যাপারটি অবহেলায় এড়িয়ে চলেন।

মানসিক চাপ
এক গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা সহজেই ক্ষমা করে দিতে পারে, তাদের মানসিক চাপজনিত রোগে কম হয়। তাদের মাঝে হতাশা, রাগ, শারীরিক ব্যথাও কম হয়। কিন্তু যাঁরা তা না পারেন তাদের অবস্থা হয় বিপরীত। আমাদের মনের আবেগ আর মানসিক অবস্থার প্রভাব দেহের মাংসপেশিতেও পড়ে। যা থেকে সৃষ্টি হতে পারে পিঠে ব্যথা।

স্বাস্থ্যসম্মত জীবন যাপন করতে হলে আমাদের অবশ্যই সচেতন হতে হবে। তাই শারীরিক অবস্থা ভালো রাখতে সুস্থ সুন্দর জীবনধারা মেনে চলা প্রয়োজন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.