নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আরিফ আটলান্টা

আরিফ আটলান্টা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুইডিশ শ্রমমন্ত্রী

১১ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:১৩

কিছুদিন আগে সুইডিশ শ্রমমন্ত্রীর একটা ছবি পোস্ট করেছিলাম। অফিস শেষ করে একা একা ট্রেনের অপেক্ষায় বসে আছেন।
সেই পোস্টে এক ভাই মন্তব্য করেছেন- বাংলাদেশে কোনো মন্ত্রী চাইলেও এটা করতে পারবেনা। কারণ- চেয়ারম্যান , এমপি তো দূরের কথা- একজন পাতি নেতার পাশেই এ দেশের জনগণ ভিড় করে। কাজেই এসব বলে লাভ নেই। এটা আমাদের পা চাটা জনগণেরই দোষ।

আমি চ্যালেন্জ দিয়ে বলবো- এতে জনগনের বিন্দুমাত্র দোষ নেই। দোষটা আমাদের পুরো সিস্টেমের। সিস্টেম যেদিন ঠিক হয়ে যাবে। সেদিন সবাই সবার কাজ করবে। কেউ কারো পাশে আর অযথা ভিড় করবেনা। কেউ কারো পা চাটবেনা।


কিছুদিন আগে আমি আর দেওয়ান শারফিন ভাই- জমির রেকর্ডের জন্য এই দেশের রেকর্ড অফিসে গিয়েছিলাম। বিশ্বাস করেন- জমির রেকর্ড বের করতে সময় লেগেছে বড় জোড় দু মিনিট। আর প্রিন্ট করতে রেকর্ড ক্লার্ককে দিতে হয়েছে মাত্র দশ সেন্ট।

এবার, এই কাজটা করা যদি আমার জন্য এতো সহজ হতোনা- তবেই না আমাকে অফিসে অফিসে দৌড়াতে হতো, অমুক ভাই, তমুক নেতার পেছনে ছুটতে হতো।

আপনার স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা সার্টিফিকেট দরকার, মার্কসীট, ট্রান্সক্রিপ্ট দরকার, এক স্কুল থেকে অন্য স্কুলে পাঠানো দরকার। আপনাকে কোনো অফিসে যাওয়ার দরকার নেই। শুধু একটা ইমেইল করবেন। কাজ হয়ে যাবে। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির লাইন দরকার-ফোন অথবা ইমেইলই যথেষ্ট। কোনো নেতা, উপনেতার দরকার নেই।

শুধু বাংলাদেশ না গোটা পৃথিবী ব্যাপী শহর থেকে গ্রাম অবধি নানা ইউটিউব কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা ইউটিউবের মাধ্যমে আয় করে। শুধু একটা ফরম পূরণ করে মনিটাইজ করে দিয়েছিলো। এরপর থেকেই ইউটিউব যার যার এ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেয়। প্রাপ্য টাকা আদায়ের জন্য কাউকে কোনো অফিসে দৌড়াতে হয়না। কোনো নেতার কাছে ধর্ণা দিতে হয়না। এই উদাহরণ থেকেই বুঝুন। একটা সিস্টেম সঠিক হলে কিনা হতে পারে।

একটা জরীপে দেখা গিয়েছিলো- আমেরিকার ৮৯% মানুষ তার স্টেটের সিনেট সদস্যের ( প্রতি স্টেটে মাত্র দুজন-এমপি সমতুল্য) নাম জানেনা। কারণ- তার জানার প্রয়োজন নেই। সে স্বাধীন নাগরিক। কারো মুখাপেক্ষি না। কিন্তু আপনি সুরা ফাতিহা সঠিক ভাবে পড়তে না পারলেও নিজ এলাকার এমপি, চেয়ারম্যানের নাম জানেন। শুধু এমপি না। এমপির বউ, শালাকে পারলেও স্যালুট দেন। কারণ- সিস্টেম আমাদের জিহ্বাকে তাদের পায়ের কাছে ফেলে রেখেছে। বজ্জাত সিস্টেমের যন্ত্রণাদায়ক পেরেক আমাদের মেরুদণ্ডে টুকে দেয়া হয়েছে। কারণ- তারা চায়না- আপনি মেরুদন্ড সোজা করে দাঁড়ান।

কারো কোনো পরিচয় ছাড়া যেদিন আপনি শুধুমাত্র একজন নাগরিক হিসাবেই আপনার সমস্ত কাজ আদায় করে নিতে পারবেন- আপনার প্রাপ্য সেবা আদায়ের জন্য যেদিন কারো মুখাপেক্ষি হতে হবেনা, আপনার পা থেকে যেদিন সমস্ত শেকল খুলে যাবে, আপনি যেদিন সিস্টেমের সমস্ত বন্ধীত্ব থেকে মুক্ত হবেন- আপনার মেরুদন্ডে টুকে দেয়া সমস্ত পেরেক যেদিন খসে পড়বে- শুধু সেদিনই আপনি বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারবেন - আর সেদিন থেকেই কোনো পাতি নেতা দূরের কথা- কোনো মন্ত্রী , এমপি, শালা, দুলাভাইয়ের পেছনে কেউ ঘুরঘুর করবেনা। সেদিন থেকে কেউ কারো পা ও আর চাটবেনা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.