নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আরিফ আটলান্টা

আরিফ আটলান্টা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওয়েস্টার্ন গপ্পোঃ

১২ ই জুলাই, ২০২৪ ভোর ৪:০৮

ওয়েস্টার্ন অনু গপ্পোঃ


একজন বৃদ্ধ মহিলা তার বুড়ো গাধাটাকে খুঁটির সাথে বেঁধে দাঁড়িয়ে আছেন। পরনের কাপড় মলিন। মুখে লেগে আছে শ্রান্ত পথের ধুলো।

ঠিক সে সময় একজন তরুণ বন্দুকধারী এক হাতে বন্দুক এবং অন্য হাতে হুইস্কির বোতল নিয়ে পাশের সেলুন থেকে বাইরে আসে। হুইস্কি পান করতে করতে আর হাতে পিস্তল ঘুরাতে ঘুরাতে সে অট্টহাসিতে বুড়ো মহিলাকে বলে "ওহে বুড়ি, তুমি কি কখনো নৃত্য করেছো ?
বৃদ্ধ মহিলা বন্দুকধারীর দিকে তাকিয়ে বলেন , "না,... আমি কখনই করিনি এবং করতেও চাইনা।"

আজকে মজার কিছু ঘটবে এবং বেশ বিনোদন পাওয়া যাবে এটা ভেবে আশে পাশ থেকে লোক জমা হতে শুরু করেছে।

বন্দুকধারী এবার মুচকি হেসে বৃদ্ধার দিকে চেয়ে বলে - "ঠিক আছে, তুমি আজকে নাচবে। আর শুধু নাচবে তাই না । কি ভাবে ভালো করে নাচতে হয়- সেটার সবচেয়ে ভালো প্রশিক্ষণ আজকে পাবে। এ কথা বলতেই বলতেই বন্দুকধারী বৃদ্ধার পায়ের চার পাশে গুলি ছুড়তে শুরু করে।

বৃদ্ধ মহিলা নিজেকে বাঁচাতে একবার এদিকে আরেকবার অন্যদিকে ঘুরছেন। কখনো পা মাটি থেকে তুলছেন, কখনো পা মাটিতে রাখছেন। এভাবে চলতে থাকে বন্দুকধারীর বন্দুকের শেষ গুলিটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত।

আশেপাশের লোকেরা ভরপুর বিনোদনে তাল মিলিয়ে মজা পাচ্ছে।

শেষ গুলিটি ছুড়া হয়ে গেলে বন্দুকধারী খালি হুইস্কির বোতল এক দিকে ছুড়ে ফেলে হাসতে হাসতে সেলুনের দিকে পা বাড়ায়।

বৃদ্ধা মহিলাও খুঁটির সাথে বেঁধে রাখা গাধার কাছে আসেন। তারপর গাধার পিটে রাখা বোঝা থেকে একটা ডাবল ব্যারেলে শটগান বের করে প্রথমে আকাশে গুলি ছোড়েন। গুলির শব্দে হতভম্ব বন্দুকধারী থমকে দাঁড়ায়। তারপর পিছনে ফিরে দেখে বৃদ্ধ মহিলা তার বুক বরাবর ডাবল ব্যারেল শটগান তাক করে আছেন।


বৃদ্ধ মহিলা এবার শান্ত কিন্তু খুবই দৃঢ়ভাবে বলেন - বাছা, "তুমি কি কখনো গাধার পশ্চাতদেশে চুমু খেয়েছ?"
বন্দুকধারী ডোক গিলে কাঁপতে কাঁপতে বলে "না ম্যাম..কখনো খাইনি এবং খেতেও চাইনা।
বৃদ্ধ মহিলা বলেন- আজকে তুমি শুধু গাধার পশ্চাতদেশে চুমু খাবেনা তাই না। গাধার গোবরের স্বাদও তুমি ও গ্রহণ করবে।

এই গল্পের পাঁচটি শিক্ষাঃ

১) হুইস্কি পান করে মানুষ নিজেকে যত স্মার্ট মনে করে আসলে সে তত স্মার্ট না।
২) অযথা গোলা বারুদ নষ্ট করা বোকামি। তারচেয়ে বড় বোকামি হলো- বন্দুকের শেষ গুলিটি ছুড়ে ফেলা।
৩) কার কাছে আসল ক্ষমতা সেটা বুঝতে না পেরেই যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়া ,
৪) বৃদ্ধদের অক্ষম মনে করা। তারা জীবনের নানা চড়াই উৎরাই পার করে এই বয়সে এসেছে। এমনি এমনি বুড়ো হয়নি।
৫) অহঙ্কারীর পতন যে খুবই সন্নিকট সেটা কোনো অহংকারীই সহজে বুঝতে পারেনা।

অনুবাদঃ আরিফ মাহমুদ

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.