নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আরিফ আটলান্টা

আরিফ আটলান্টা › বিস্তারিত পোস্টঃ

গুলশানের এক চায়ের দোকানদার

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:১৯

"আসল মাস্টারমাইণ্ড"

শহরের ব্যস্ত রাস্তার মোড়ে এক চা দোকান।
নানা রকমের মানুষ দোকানে আসে। কেউ চা পান করে। কেউ বসে আড্ডা দেয়। আবার মাঝে মাঝে নানা পথচারী এসে দোকানদারের কাছে খুঁজে না পাওয়া অফিসের ঠিকানা জানতে চায়।
দোকানদার খুব সুন্দর করে কোন অফিসে কীভাবে যেতে হবে সেটা খুব ভালো করে বুঝিয়ে দেন।
শুধু একটা ব্যাপার লক্ষ করলাম- কেউ কোনো ব্যাংকের ঠিকানা জানতে চাইলে- দোকানদার কিছুই বলেন না। একেবারে চুপ করে থাকেন।

বেশ কিছুদিন ব্যাপারটা লক্ষ করে একদিন জিজ্ঞাসাই করলাম।
আচ্ছা, ব্যাপার কি বলেনতো। আপনি সবাইকে সব ঠিকানা বলে দেন। কিন্তু কেউ কোনো ব্যাংকের ঠিকানা জানতে চাইলে কিছুই বলেন না।
ঘটনা কি ?

চা দোকানদার বলেন-এটা আমার ওস্তাদের মানা।
আমি আরোও অবাক হই। তার মানে।

দোকানদার বলেন- একদিন একজন লোক এসে ওস্তাদের কাছে ব্যাংকের লোকেশান জানতে চায়।
ওস্তাদ কিভাবে কোন পথে ব্যাংকে যেতে হবে সেটা বুঝিয়ে দেন।
'
এর কিছুদিন পরই সেই ব্যাংকটা লুট হয়।
পুলিশ ডাকাতদের কাউকে ধরতে পারে না।

হঠাৎ করে একদিন কয়েকজন গোয়েন্দা অফিসার এসে আমার ওস্তাদকে ধরে নিয়ে যায়।
আমি বললাম- ওস্তাদকে ধরলেন কেন? ওস্তাদের অপরাধ কি?
অফিসারদের একজন বললেন- তোমার ওস্তাদই এই ব্যাংক ডাকাতির আসল মাস্টারমাইণ্ড।
আমি বললাম - কীভাবে।
ওনাদের একজন বললেন- যে ব্যক্তি কোনো কাজের পথ দেখায়-সেই তো সেই কাজের মাস্টারমাইণ্ড।

পরদিন পত্রিকায় ওস্তাদের ছবি সহ সংবাদ ছাপা হয়- "ব্যাংক ডাকাতির আসল মাস্টারমাইণ্ড এখন পুলিশের হেফাজতে"।

সেইদিন থেকে- সবাইকে সবকিছু বলি। কিন্তু কেউ কোনো ব্যাংকের ঠিকানা জানতে চাইলে বলিনা।
এই দেশে কে কখন কিভাবে মাস্টারমাইণ্ড হয়ে যায় তার কোনো ঠিক নাই ।


মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.