![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ কেন জাপান ভালোবাসে?
এটা বললেই তো আবার বলবেন- এতোই যদি ভালোবাসে তবে মানুষ ওখানে এতো আত্মহত্যা করে কেন? না যেভাবে প্রচার করা হয় । সেরকম না। কারণ- আমরা একটু কষ্ট করে যাচাই করিনা। "লিস্ট অব কান্ট্রি বাই সুসাইড রেট" লিস্টে জাপান দশ, বিশ , ত্রিশ এমনকি চল্লিশেও নাই। এই লিস্টে প্রথম দশটি দেশে আফ্রিকার । এগারো নাম্বারে রাশিয়া।
জাপানকে ভালোবাসার কারণ হলো- এটি নিরাপদ, পরিষ্কার এবং এখানে দারুণ শৃঙ্খলা রয়েছে। এখানে খুব কম অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে। ট্রেনগুলো একেবারে সেকেণ্ড মেইনটেইন করে চলে। যখন আপনি কোনো রেস্টুরেন্টে খেতে যান, তখন যে খাবারটি আসে তা ঠিক একেবারে ছবির মতো যেমন দেখানো হয়, ঠিক তেমন।
সবাই সবার কাজকে খুবই গুরুত্ব দেয় এবং নিষ্ঠার সাথে পালন করে। সচরাচর অফিসে সেলফোন চোখে পড়ে না এবং সহকর্মীদের সাথে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা বলে না।
বেশিরভাগ সময় রাস্তাগুলো একেবারে পরিষ্কার থাকে, বিশেষত উপশহর এলাকায়। রাস্তায় ময়লা থাকা তো দূরের কথা। মাটিতে আগাছা কিংবা রাস্তায় পড়ে থাকা নুড়ি পাথর পর্যন্ত দেখা যায়না। ছবিতে দেখুন। পরিচ্ছন্ন কর্মীরা যে সাইডওয়াল পরিষ্কার করছে- বলতে গেলে সেখানে তেমন ময়লাই লাগেনি।
টোকিও পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যস্ত শহরগুলোর একটি হওয়ার পরেও এখানে নির্মল, নিরব, প্রশান্তির ছোঁয়া পাওয়া যায়। কারণ শব্দদূষণ নেই বললেই চলে। জাপানীরা মনে করে- রাত শুধু মানুষের জন্য না। পশু পাখির জন্য ও। তাদেরও বিশ্রামের দরকার আছে। সারা রাত ধরে মাইকের গর্জন চলবে -এটা ওখানে কল্পনাও করা যায়না।
সেদিন একটা প্রতিবেদনে দেখলাম- ঢাকা শহরের খালগুলো থেকে তোলা হচ্ছে- পরিত্যক্ত রেফ্রিজারেটর, নষ্ট হয়ে যাওয়া টেলিভিশন সহ সোফা, ফার্ণিচার, মনিটর ইত্যাদি। এগুলো কারা ব্যবহার করে। নিশ্চয়ই শিক্ষিত, ধনী মানুষেরা। ব্যবহার করার পর যাচ্ছেতাই ভাবে খালে ফেলে দিয়েছে। খাল ভরলে ভরে যাক। শুধু নিজের ঘরখানা পরিষ্কার থাকলেই হলো।
মায়ের অসুস্থতার কারণে কিছুদিন হাসপাতালে রাত কাটাতে হয়েছিলো। দেখলাম মানুষ রোগী দেখতে আসে। তারপর জানালা খুলেই আট দশ তলার উপর থেকে নীচে থু থু ফেলে দেয়।
দেশের আটারো কোটি মানুষের মাঝে পনের কোটি মানুষও যদি প্রতিদিন রাস্তায় রাস্তায় এরকম থু থু ফেলায় আর ময়লা করে-তবে কোনো সরকার কিংবা নগর কর্তৃপক্ষে কেন- ফিরিশতা এসেও তো এই দেশ পরিষ্কার রাখতে পারবে না।
ছবি কৃতজ্ঞতাঃ ডেভিড এ্যাটেনবরো।
©somewhere in net ltd.