![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক দরিদ্র, দিনমজুর, শ্রমজীবী মানুষ আমেরিকায় বাস করে। যারা দিনে আনে দিনে খায়। সকালে কাজের সন্ধানে বের হয়। সারাদিন কাজ করে সন্ধ্যায় মজুরি নিয়ে ঘরে ফিরে।
যেদিন কোনো কাজ পায়না, সেদিন তাদের কোনো আয় হয়না।
এদের বেশিরভাগই অবৈধ অভিবাসী। যাদের বেশিরভাগ এসেছে ম্যাক্সিকো, গুয়েতেমালা, হুণ্ডুরাস, আলসালভাদর, কলম্বিয়া ইত্যাদি দেশ থেকে।
আমার বাড়ি থেকে বের হয়ে মাইল দুয়েকের মধ্যে একটা ছোট শপিং বিল্ডিং আছে। এই বিল্ডিং এর সামনে খুব ভোরে এসে কাজের সন্ধানে এই মানুষগুলো জড়ো হয়। যে কোনো রকমের কাজ এরা করে।
কোনো গাড়ি সেই শপিং বিল্ডিংটার পাশ গেলেই ওরা দৌড়ে আসে-যে কোনো একটা কাজ পাওয়ার আশায়।
যারা বিখ্যাত "বাইসাইকেল থিফ" ছবিটা দেখেছেন। তারা একটু বুঝতে পারবেন- একটা কাজ পাওয়ার জন্য মানুষের কি আহাজারি।
আজকে সকালে গাড়ি চালিয়ে যখন ঐ ভবনটার সামনে দিয়ে আসছিলাম আমার বুকের ভিতরটা তখন হাহাকার করে ওঠেছে।
কারণ- প্রায় ৮৮ টি অপরাধ জনতি মামলায় জড়িয়ে যাওয়া ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে অভিষিক্ত হওয়ার পর থেকেই সেই শপিং বিল্ডিংটার সামনের এলাকা এখন পুরোটাই ফাঁকা।
জানিনা- গ্রেফতার এড়ানোর ভয়ে এই মানুষগুলো কোথায় লুকিয়ে আছে।
এদের পরিবারের কি অবস্থা।
নিশ্চয়ই ঘরে বউ বাচ্চা আছে।
অথবা নিজ দেশে ফেলে আসা কোনো দুঃখি বাবা -মা সন্তানের জন্য রোদন করে মরছে।
কেউ সুখে নিজ দেশ ছেড়ে আসেনা। দরিদ্র দেশের অসৎ রাজনীতিবিদরা নিজ দেশগুলোকে লুটে না নিলে কে চায় মাতৃভূমি ছেড়ে আসতে। কে চায় অবৈধ অভিবাসী হয়ে প্রতিটি মুহুর্ত ভয়ে আর আতঙ্কে কাটাতে।
কিন্তু এক রোখা ট্রাম্পকে এসব কে বুঝাবে?
কে বুঝাবে -ট্রাম্পের বউও একদিন অবৈধ অভিবাসী হয়ে পূর্ব ইউরোপের দেশ থেকে আমেরিকায় এসেছিলেন।
কে বুঝাবে ট্রাম্পের যেমন পেট আছে, এইসব দুঃখী মানুষেরও পেট আছে।
©somewhere in net ltd.