![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হল্যান্ড দেশটি ছোট। জমির পরিমান সীমিত । গবাদি পশুর সংখ্যা প্রায় দুই মিলিয়ন। তারপরও এই দেশটি নানা দেশে ডেইরি পণ্য সরবরাহ করে বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছে।
অন্যদিকে বিপুল আয়তনের সুদানে গবাদি পশুর সংখ্যা প্রায় আট মিলিয়ন । তবুও তাদের জনগণকে প্রতিদিন দারিদ্র্যের সাথে কঠোর সংগ্রাম করে জীবন যাপন করতে হয়। এবং প্রতি বছর প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার থেকে বেশি দামে ডেইরি পণ্য আমদানি করতে হয় হল্যান্ড থেকে।
হলাণ্ডের চারণভূমি সুদানের চেয়ে চার গুণ ছোট হওয়ার পরও হল্যান্ডের দুধ রপ্তানি থেকে বার্ষিক আয় প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার। যা সুদানের ২৪ বিলিয়ন ডলারের বাজেটের প্রায় অর্ধেক।
হল্যান্ডের পার্লামেন্টকে বলা হয় দ্য স্টেটস জেনারেল। এর সদস্যরা প্রতি বছর তাদের আয় ব্যয়ের হিসাব জনগণের সামনে উন্মুক্ত করে। যে করতে ব্যর্থ হয় সংবিধান অনুযায়ী তার পদ অটোমেটক্যালি বাতিল হয়ে যায়।
একের অধিক গাড়ী এবং বাড়ি থাকলে তার জন্য জবাবদিহি করতে হয়।
অন্যদিকে সুদানের এমন কোনো রাজনৈতিক নেতা নেই যাদের ইউরোপ, আমেরিকা -কানাডায় বাড়ি ঘর নেই। এরা বিদেশ থেকে যখন নিজ এলাকায় যায় -তখন গাড়ীর বিশাল বহর নিয়ে যায়। আর খেটে খাওয়া মানুষ এই সব গাড়ি চড়ে, নেতার পাশে বসে, নেতার পিছনে ঘুরে দেশপ্রেমের বিশাল আনন্দ পায়।
সম্পদ অধিকারী হওয়াই আসল কথা নয়। বরং তা বুদ্ধিমত্তার সাথে পরিচালনা করার ক্ষমতাই হলো আসল কথা। দরকার রাজনৈতিক স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা।
একটা দেশের সমস্যা যে শুধু সম্পদে নয় বরং মূল সমস্যা হলো দেশ পরিচালনায় এবং ব্যবস্থাপনায়! তার প্রকৃত উদাহরণ হলো সুদান আর হল্যাণ্ড।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:০৭
কলমনাই বলেছেন: শয়তানে দুয়াডা নাই!!!!
জটিল ভাই!!!