![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিখ্যাত মিস্টিক ফিলোসফার কবি কাহলিল জিবরান ছিলেন রাজনীতির প্রতি খুবই সতর্ক।
কেন তিনি গণতন্ত্র নামের মোহভঙ্গ থেকে সরে এসেছেন সেই শৈশব থেকেই। সে কথাই তিনি বলেছেন "দ্য প্রফেট অব স্পিরিচ্যুয়ালিটি" নামক গ্রন্থে।
সেদিন ছিল বৃহস্পতিবার। পরদিন ছুটি।
আমরা সবাই রাতের খাবারের টেবিলে বসেছি। বাবা মা, ভাই বোন।
বাবা বললেন: আগামীকাল তো তোমাদের ছুটি। তোমরা কোথায় যাবে? চাচার বাড়ি না মামার বাড়ি?
আমরা সবাই চাচার বাড়ি যাওয়ার পক্ষে মত দিলাম।
শুধু মা বললেন- না। আমরা তোমাদের মামার বাড়িই যাবো।
যেহেতু সংখ্যাগরিষ্ঠতা চাচার বাড়ির পক্ষে ছিলো। আমরা ভাবলাম সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। ব্যস। মনের আনন্দ নিয়ে সবাই রাতে ঘুমাতে গেলাম।
কিন্তু শুক্রবার সকালে ঘুম থেকে উঠে শুনি মায়ের হাসি। তিনি বললেন- সবাই কাপড় পরে তৈরি হয়ে নাও। আমরা তোমাদের মামার বাড়িই যাচ্ছি।
আর বাবা তখন খবরের কাগজ পড়ার ভান করছিলেন যেন এই ঘটনায় তার কোনো হাত নেই।
সেই দিন থেকেই আমি বুঝে গেছি গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, জনগণের মত এসব কেবল শব্দমাত্র এবং মন ভুলানো মায়া।
বাস্তবতা অন্য রকম। সিদ্ধান্তগুলি আসলে নেওয়া হয় আড়ালে আর নীরব আঁধারে। যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনতার ঘুমন্ত স্বর কখনো পৌঁছায় না।
©somewhere in net ltd.