![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি রিফাতুল ইসলাম। ডাক নাম বাবু । আমি ছোট খাটো একটা আইটি সেন্টারে চাকরী করি । একা থাকি স্বাধীন চিন্তা করতে ভালবাসি, সবকিছুর উপরে মানবতাকে এগিয়ে রাখি।
আমির খান অভীনিত থ্রি ইডিয়েট ছবি। আমার জীবনে দেখা প্রিয় একটা ছবি , ছবিটার মধ্যে বর্তমান মূর্খ সমাজের (ভূল) শিক্ষা বা মুখস্ত বিদ্যার পদ্ধতির কাছে আমাদের নতুন করে পরিচয় করে দেওয়া হইয়েছে , বুঝানো হইছে শিক্ষা বা যন্ত্রের মত মুখস্তবিদ্যার পার্থক্য । স্বাধীনভাবে নিজেকে- নিজের মত পরিচালনা করতে হই সেটা ভালভাবে দেখানো হইছে। শিক্ষক আর মা বাবারা ছাত্রদের ঘাড়ে বইয়ের বস্তা আর মুখুস্ত বিদ্যার শর্ত দিয়ে ঘোড়া দৌড়ের মত প্রতিযোগীতাই নামিয়ে দেই ।ছাত্ররাও এক পর্যায়ে কে আগে বাড়ে সেই কুশ্চিন্তার মধ্যে থাকে , তারপর ছাত্রদের মানসিক চাপ নিয়ে ছাত্রজীবনে অনেক যন্ত্রণায় ভুগতে হই । একটা সময় আসে তারা কোন উপায় না খুজে আত্মহত্যা করে বসে । ছবিটার মধ্যে ৩ টি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে ফারহান কোরায়েশী, রাজু রাস্তোগী এবং রাঞ্চোরদাস শ্যামলদাস চাঁচর ইম্পেরিয়াল ইন্সটিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ত। তাঁরা কলেজের আবাসিক রুমে একসাথে থাকত। ফারহানের ইচ্ছে ছিল সে ‘ওয়াইল্ড লাইফ’ ফটোগ্রাফার হবে, কিন্তু সেই স্বপ্নকে জলাঞ্জলি দিয়ে বাবার ইচ্ছা পূরণ করতে সে ইঞ্জিরিয়ারিংয়ে ভর্তি হয়। রাজুর স্বপ্ন সে পড়াশোনা করে বড় চাকরী করবে এবং পরিবারের দারিদ্রতা দূর করবে। অন্যদিকে রাঞ্চো ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তো ভালোবেসে, যন্ত্রপাতির প্রতি তার ছিল অদম্য কৌতূহল। রাঞ্চো বিশ্বাস করতো যে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে সফল হতে হলে এর সম্পর্কিত বিষয় গুলোর বাস্তব প্রয়োগ ঘটাতে হবে, পাঠ্যবই এবং প্রফেসর কর্তৃক প্রদত্ত বিষয়গুলো ভালভাবে না বুঝে শুধু মুখস্ত করলেই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে সফলতা হওয়া যায় না। তার মতে, সফলতার নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে উৎকর্ষের পেছনে ছুটা উচিৎ, সফলতা এমনিতেই চলে আসবে।
কিন্তু তার এই ব্যতিক্রমধর্মী শিক্ষানীতি নিয়ে কলেজের ডীন ভিরু সাহাস্ত্রাবুদ্দে (যাকে আড়ালে সবাই “ভাইরাস” নামে ডাকে) সহ বিভাগের সবাই ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করতে লাগলো। ভাইরাসের প্রিয় ছাত্র চতুর রামালিঙ্গম ( যাকে সবাই “সাইলেন্সার” নামে ডাকে) সবসময় মুখস্ত বিদ্যার উপর নির্ভর করে চলতো। প্রথাগত নিয়মে শিক্ষাগ্রহন করে সে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে চাইতো। তারপর ফারহান আর রাজূ, রাঞ্চোরদাস এর স্বাধীন চিন্তার অনুসারী হয়ে তাদের জীবনকে নিজের ভাবে চালিয়ে প্রতিষ্ঠিত করে ।
(বি: দ্র: আর আমিও ছবিটার উপর কিছু মতামত ব্যাক্ত করলাম যদি ভূলভ্রান্তি হই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন )
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৯
রিফাতুল ইসলাম আরাফাত বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৭
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ছবিটা অনেক আগেই দেখেছিলাম। শিক্ষাব্যবস্থার সবচেয়ে বড় দুর্গতির কারণ তুলে ধরা হয়েছে ঐ ফিল্মে। আমার অন্যতম ফেভারিট ওইটা!!!!
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৯
রিফাতুল ইসলাম আরাফাত বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০০
ঢাকাবাসী বলেছেন: আমাদের নাহিদ সাহেবের এটা দেখা উচিৎ।
৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:১৮
রিফাতুল ইসলাম আরাফাত বলেছেন: নাহীদ সাহেব কে ?
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২০
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার ভালো লেগেছে শুনে ভালো লাগলো; ওরা জানতো জানতো যে, আপনি ও আপনার বন্ধুদের দল ভারী সব সনয়।