![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এর জন্য, ওর জন্য, তার জন্য, যদু, মধু, রাম, শ্যাম সবার জন্য আপনি করেছেন, করছেন কিংবা করবেন। করুন ভালো কথা। কিন্তু এমন কিছু কাজ যা শুধুই আপনার জন্য। দেখুনতো সবার জন্য করতে গিয়ে আপনি নিজেকে ঠকাচ্ছেন কিনা?
সবার কথা ভাবতে গিয়ে যাকে আপনি ভালোবাসেন তাকে ভালোবাসার কথাটা জানাতে পারেন নি! মনের কথাটা বলতে পারেন নি! সময়ই হয়নি বলার। তাই দেরি না করে আজই মনের কথাটা খুলে বলুন। জানিয়ে দিন আপনার মনের কোণে লুকিয়ে রাখা ভালোবাসার কথা।
সারাদিন এত ব্যস্ত থাকেন যে শরীর চর্চা করার সময় কোথায়! কিন্তু শরীরটাই আপনার একমাত্র নিজের। কথায় আছে শরীরের নাম মহাশয়, যাহা সহাইবেন (সহ্য), তাহাই সয়...। তাই শরীরের দিকে আগে নজর দিন। প্রতিদিন শরীর চর্চা করুন। অল্প সময়ই করুন। তবে নিয়মিত। দৌড় ঝাঁপ, ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ যা খুশি। তবে শরীরের জন্য নির্ধারিত নির্দিষ্ট একটা সময় বেঁধে দিন। সকাল, বিকেল, রাত যেকোনো সময়।
নানা কাজের ব্যস্ততায় প্রিয় বন্ধুটির সাথে যোগাযোগ করা হয় না। নেওয়া হয় না কোনো খোঁজ, কিন্তু কত সময় কাটিয়েছেন তার সাথে বা তাদের সাথে। তাই বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ রাখুন। তারা আপনার মন ভালো করে দিতে পারে। সুযোগ পেলেই আড্ডা দিন। এতে আপনার শরীর-মন দুই-ই প্রাণবন্ত হবে।
এমন সঙ্গ ত্যাগ করুন, যে সঙ্গ আপনার ক্ষতি করে। অনুরোধে ঢেঁকি গিলবেন না। যা নিজে করতে ভালো লাগে তাই করবেন। বিশেষ করে খাবারের দিকে বিশেষ নজর রাখবেন। যে খাবার আপনার ক্ষতি করবে সে খাবারগুলো খাবেন না।
দুশ্চিন্তা করে রাত দিন পার করে দিচ্ছেন! কোনো সমাধান পেয়েছেন! পাননি? পাবেনও না। তাই চিন্তা করা ছাড়ুন। যা করার দরকার করুন। ভেবে ভেবে সময় নষ্ট করবেন না। চিন্তা করলে সেই বিষয়েই চিন্তা করুন, যেটার সমাধান করা সম্ভব।
আপনি খুব পরিশ্রমী! খুব ভালো কথা। তবে ততটুকুই পরিশ্রম করবেন, যতটুকু আপনি সহ্য করতে পারবেন। সারাদিন কাজ আর কাজ নয়, নিজের জন্য কিছুটা সময় রাখুন, যে সময়টুকু শুধুই আপনার। তখন যা খুশি তাই করবেন। নাচুন, গান করুন, বই পড়ুন... যা খুশি মানে যা খুশি! পরিবারকে সময় দিন।
আপনার খরচের হাত বেশ ভালো। কেউ কেউ হাতেম তাঈও ডাকে! কিন্তু নিজের জন্য কিছু রেখেছেনতো! তাই নিজের জন্য একটু একটু সঞ্চয় করুন। যা শুধুই আপনার। বিপদের দিনের বন্ধু। টাকা পয়সা যখন আয় করতে পারবেন না, তখন আপনাকে কেউ দেখবে না। তাই যখন আয় করছেন, তখনই একটু একটু করে সঞ্চয় করুন। বলছি না পুরোটাই জমাতে হবে। কিছুটা যেটা আপনার বাড়তি খরচ সেটা জমান।
অনেকতো হল- এবার সরি বলা শিখুন। ভুলতো মানুষেরই হয়, তাই ক্ষমা করে দিন। আর ভুলটা যদি আপনার হয় ক্ষমা চেয়ে নিন। দেখবেন মনটা প্রসন্ন থাকবে। মনের উপর অহেতুক চাপ দিয়ে কী লাভ! তাই মনের মধ্যে কালিমা না রেখে মন থেকে রাগ, দুঃখ, ক্ষোভ, মান, অভিমান সব ভুলে এক হয়ে যান।
দেখুন তো আপনি আপনাকে ঠকাচ্ছেন কিনা! যদি উত্তরটা হ্যাঁ হয় তাহলে আর দেরি না করে নিজের জন্য একান্ত নিজের জন্যই কিছু কাজ করুন। নিজে উপকৃত যেমন হবেন, ভালোও থাকবেন। এতে অন্যদেরও খারাপ নয়, ভালোই হবে।
২| ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৪০
মহা সমন্বয় বলেছেন: আমার দূর্ভাগ্যের অন্যতম একটা করণ ছিল না বলতে না পারাটা এখন আমি না বলা শিখতেছি।
পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।
৩| ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩২
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: না, নিজেকে ঠকাচ্ছি না। মোটেও না, পারলে অন্যকে ঠকাচ্ছি
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৬
মহা সমন্বয় বলেছেন: দারুণ পোষ্ট অনেক কিছুই যে মিলে গেল।
আমি এসব যদু, মধু, রাম, শ্যামদের সঙ্গ ত্যাগ করছি- এইবার একটু নিজের পিছনে সময় দেব ভাবছি।