![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাস করি, ইসলাম মেনে চলতে চেষ্টা করি এবং এই বিষয়ে প্রচারনা চালাতে পছন্দ করি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মখা আলমগীর বলেছেন, ইসলামী ব্যাংক কে নিজেদের ব্যাংক মনে করে লেনদেন করুন। ইসলামী ব্যাংক কোন ব্যাক্তি বা দল গোষ্টির নয়, এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের অধিনে পরিচালিত একটি বৃহৎ আর্থিক প্রতিষ্টান। তিনি বুধবার বিকেলে চাঁদপুর কচুয়ার সাচার বাজারে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ এর ২৭৭তম শাখার উদ্ভোধন করা কালে এসব কথা বলেন।
এতো গেল খবরের কথা। আমাদের কথা হলো নাপাক বিরানী মঞ্চ যখন ইসলাম ...ব্যাংকে হামলা করেছে, ইসলাম ব্যাংক বন্ধ করে দেওয়ার দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছে, তখন মখা পাগলার মনে হয়নি এটা রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত একটি গনমুখী ব্যাংক ? জাগরন মঞ্চ যখন বিভিন্ন শাখায় হামলা করেছেন তখন তার বাহিনী কি একটি মামলাও নিয়েছে। দেশের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্টানে হামলা রাষ্ট্রদ্রোহ হয় কিনা এই পাগলারে কেউ জিঞ্জেস করে দেখুন তো। জামায়াত বিরোধীতার নামে যারা রাষ্ট্রে অখন্ডতার বিরুদ্ধে শ্লোগান তুললো, জনপ্রিয় ব্যাক্তি প্রতিষ্টানের বিরুদ্ধে বিষেধাগার করতে লাগলো তখন এই মখা ও তার কুত্তালীগ স¤পূর্ণ নিরব ছিল। তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
যখন বিরানী মঞ্চের দিন শেষ হয়ে গেল, জনগনের কাছে এইডস সারখারদের লুচ্চামী আর ভন্ডামী প্রকাশ হয়ে গিয়ে হেফাজতের মতো একটি শক্তির উত্থান ঘটে গেল তখন আমাদের মখাদের বোল পাল্টে গেল। হেফাজতের বিরুদ্ধে নৃশংস গনহত্যা চালানোর পরে জামায়াত নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্টানের পক্ষে এভাবে খোলা খোলি মন্তব্য করে মখা বুঝিয়ে দিলেন যে, পাগলামীর বসে যে অনাচার আর অত্যাচার তারা আলেম ওলামাদের ওপর করেছে তার বিচারের মুখো মুখি হওয়ার স্বপ্ন এখন তাকেও তাড়িত করে ফিরছে। হয়তো কচিকাচার মন্ত্রীসভার বেবাক সদস্যই এই স্বপ্নে দেখা শুরু করেছেন। পোধান মন্ত্রীও একই স্বপ্ন দেখে নিজের বক্তৃতায় ইদানিং জেল জেল শব্দটি বেশি ব্যাবহর করছেন। এতদিন কেবল বিরোধী নেতৃকে জেলের ভয় দেখাতেন, ইদানিং নিজেকেও সেই কাতারে নামিয়ে এনেছেন। তিনি বুঝে গেছেন জেল খানা তার অপেক্ষায় আছে। আপনার বলেন এই মখার কথায় কে কি বুঝলেন।
২৯ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:১৮
আরিহা বলেছেন: কষ্ট করে দীর্ঘ্য মন্তব্য করার জন্য মোবারকবাদ। আপনার দেয়া পরামর্শ আমি মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। ভালো লাগলো যে, আপনি জাগরন মঞ্চের আউয়ালীন ছিলেন। এখন কি কারনে সরে গেছেন সেটাও বুঝার মতো বয়স আমার হয়েছে। ইসলাম সম্পর্কে আমাকে যে জ্ঞানটি দিলেন সেটি নিয়ে আমার যথেষ্ট আপত্তি আছে। ইসলাম আমরা কম বুঝি বলেই যে কোন অনাচার চিনতে কষ্ট হয় না। লাখো লাখো নারী পুরুষের যে বর্ননা দিয়েছেন সেটা এই অধমের সরাসরি দেখার এবং কাভার করার সুযোগ হয়েছে।
অন্যকে অপমান করার অধিকার কে দিয়েছে এই প্রশ্ন যদি আমি করি তাহলে আপনি কি উত্তর দিবেন। ইসলামী মুল্যবোধ কে নানান ভাবে হেয় করা, নবী মুহাম্মাদ (স) কে অশ্লিল ভাষায় গালাগাল করা ব্যক্তিরা যখন আপনাদের নেতা হয় কি করে। জাগরন মঞ্চের এমন সব ব্যক্তিদের নামের তালিকা দেওয়া যাবে যারা কথায় কথায় ইসলামী মুল্যবোধ কে গালাগাল করে, ইসলাম প্রিয় ব্যক্তিদের কে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেছেন। আপনি বললেন না যে, অন্যকে অপমান করা ইসলামে আছে কি না। চার বছরের ছেলে কে দিয়ে বাবার বয়সি লোকদের কে তুই বলে সম্বোধন যারা শিখাচ্ছে তারা কোন জাতের ভদ্রলোক শুনি।
আল্লাহর কালাম থেকে জেনে নিন, ভালে এবং সৎ কাজে পরস্পর কে সহযোগিতা করা উচিত এবং অন্যায় এবং অশ্লিল কাজে কারো সহযোগী হওয়াও অপরাধ। অথচ আপনারা এটা জেনেও না জানার ভান ধরেন। মনে হয় জামায়াত বিরোধীতায় সব কিছু জায়েজ। যে সকল মেয়েরা রাতের পর রাত পুরুষদের সংঙ্গে শাহবাগে অবস্থান করছে ইসলামী শরীয়াত মতো যে কোন নারীর তাদের থেকেও পর্দা করা ফরজ। সহযোগীতার তো প্রশ্নই আসে না।
আমাকে বলুন তো দেখি যুদ্ধপরাধ মামলা যখন বিচার চলমান তখন এখানে নিদিষ্ট দাবি নিয়ে আন্দোলন করে কি ফায়দা হয়েছে। বরং গোটা বিষয়টি কে আরো বিতর্কিত করে দেওয়া হয়েছে। বিচার মানি কিন্তু ফাসী হতে হবে, এটা কি ইনসাফ। আর জুলুমের পক্ষে কথা বলার নাম যদি জাগরন হয় তাহলে ধিক্কার এমন জাগরন কে। আমরা চাই প্রতিটি অপরাধের বিচার তার অপরাধ বিবেচনায় নিয়ে হোক, ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক বিরোধীতায় যেন কাউকে আদালতের কাঠগরায় দাড়াতে না হয়।
কথায় কথায় অন্যকে ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান দেওয়ার আগে কিছু লেখা পড়া করুন এই বিষয়ে। আমার মনে হয় আপনি বুঝতে পারেন নি যে, দাবি আদায় করার নামে অশ্লিলতা কে প্রশ্রয় দেওয়া এবং পরিচিত কিছু স্বগোষিথ নাস্তিকদের সংঙ্গে ঘাট ছাড়া বেধে আন্দোলন করার কোন সুযোগ ইসলামে নেই। এসব বলা আমার ঠিক হচ্ছে না কারণ আপনার গোটা বিষয়টি কে রাজনৈতিক ভাবে দেখছেন। আর একটি কথা হচ্ছে যে, আমার পোষ্টে কোথায় পতিতা শব্দটি পেলেন জানালে খুশি হবো।
২| ২৮ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০১
রাখালছেলে বলেছেন: আরিহা কে ধইন্ন্যা । অনেক কস্ট কইরা এই ধরনের হেফাজতি ধ্যানের পোষ্ট দেয়ার জন্য । বিরানী মঞ্চ থেকে আইজকা থিকা হেফাজতি মঞ্চ-এ যোগ দিলাম।
আমারে কেউ মিষ্টি মুখ করা ।
২৯ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৩২
আরিহা বলেছেন: ভাই জান, হেফাজতী হওয়ার দরকার নেই। যদি পারেন মানুষ হন, আওয়ামী লীগ হইয়েন না। কারন আওয়ামী লীগ মানুষের জাতে পড়ে না। নাস্তিক হোন তবে ঘোষনা দিয়ে হোন, গোপন করে কেবল মাত্র ইসলামরে টার্গেট কইরেন না। ধর্ম সম্পর্কে কিছু লিখতে চান, গবেষনা করে লিখুন। খায়েশ পুরনে ধর্মটাকে বাধা মনে করে খিস্তিখেউর লিখার কোন দরকার নেই। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২১
খাটাস বলেছেন: মখা যে বাংলাদেশের সব চেয়ে উজবুক প্রকৃতির দায়িত্ব জ্ঞান হীন মন্ত্রী, তা নতুন করে কিছু বলার নেই।
কিন্তু আপনাকে বলার আছে কিছু। আপনি লিখছেন, ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাস করি, ইসলাম মেনে চলতে চেষ্টা করি এবং এই বিষয়ে প্রচারনা চালাতে পছন্দ করি। কিন্তু কোথায় আপনার মূল্যবোধ। আমাদের ইসলাম অন্য সাধারণ মানুষ কে অপমান করা শেখাই ছে? গণ জাগরন মঞ্চ নাপাক বিরিয়ানি মঞ্ছ? ইসলাম ইসলাম করেন , ইসলাম কত টুকু আসলে মন থেকে মানেন? নাকি অন্নে ঢলা ঢলি করে, আপনি পারেন না বলে এত রাগ? ঐ গজাম বিরধিরা মনে করে যে, ওখানে মানুষ গেছে মেয়েদের সাথে ঢলাঢলি করতে। শোনেন আমাদের ইসলামে হয়ত এভাবে পুরুষের সাথে কাধ মিলিয়ে চলা নিষেধ, এবং পর্দা করার বিধান আছে। তাই ওখান কার যে সাধারণ মেয়েরা ছিল, তারা হয়ত ইসলামের বিধান মানে নি। তাহলে তারা আল্লাহ এর গুনাহগার। তাই বলে আপনারা তাদের ঢালাও ভাবে পতিতা বলবেন? আপনার শিক্ষা কি বলে?
শোনেন, আমি নিজে ও গণ জাগরন মঞ্ছে কিছুদিন গেছি, তারপর আর যাই নি। কারণ আমার মনে হয়েছিল যে এটা পেছনের কোন শক্ত খুঁটি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত সুদুর প্রসারি পরিকল্পনা। এখন ও তাই বিশ্বাস করি। কিন্তু এর মানে এই না , যে ওখানে যাওয়া লাখ, লাখ লোক কে আপনি অপমান করবেন। যেসব সাধারণ মানুষ ওখানে গিয়েছিলেন, তারা রাজাকারের ফাসির দাবিতে এক হয়েছিলেন, কোন ছারখার রে নেতা বানাতে নয়। যুদ্ধাপরাধ নিয়ে আপনার মন্তব্য কি? কাও কে দোষারোপ করলে স্পষ্ট ব্যাখ্যা সহ দোষারোপ করবেন। এক জন এর ভুল যে দেখে , সে ও ভুল ই শিখবে।