নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যের সন্ধানে ....

সত্যান্বেসী

কলকাতা হাই কোর্টের উকিল

সত্যান্বেসী › বিস্তারিত পোস্টঃ

রিচার্ড ডকিন্সের গড ডিলিউসান বইয়ের সমালোচনা পর্ব ৮

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৫০

এই অধ্যায়ে ডকিন্স ধর্মের সান্ত্বনাদানের ক্ষমতা ও উদ্বুদ্ধ করার ক্ষমতা নিয়ে আলোচনা করেছেন | তার মতে ধর্মের সান্ত্বনাদানের ক্ষমতার রহস্য লুকিয়ে আছে আমাদের ছোটবেলার কাল্পনিক মানুষের অভ্যাসের মধ্যে | আমরা বাচ্চা বয়সে কাল্পনিক মানুষের সাথে কথা বলি , খেলা করি, যেমন সান্তাক্লস ইত্যাদি | বড় হলে এই কাল্পনিক মানুষই ঈশ্বরের চেহারা নেয় | তখন আমরা সুখেদুখে ওই কাল্পনিক ঈশ্বরের সাথে কথা বলে শান্তি পাই | এছাড়া ধর্মের সান্ত্বনাদানের কোনো ক্ষমতা নাই | কে যেন একটা বলেছিল না ঈশ্বর হচ্ছেন বড়দের সান্তাক্লস |

ডকিন্স আরো দেখিয়েছেন যে ধার্মিক লোকেরা ঈশ্বর-পরলোক তেমন বিশ্বাস করে না | অমর আত্মাকেও বিশ্বাস করে না | কারণ কোনো মৃত্যুপথযাত্রী প্রিয়জনকে তারা বলে না যে তুমি পরলোকে আমার মৃত বাবা মাকে আমার ভালবাসা দিও | তারা করুনামৃত্যুর বিরোধিতা করে | সুতরাং আত্মার অমরত্বে তারা বিশ্বাসী নয় | তাহলে ধর্ম তাদেরকে কিভাবে সান্ত্বনা দেয় ? এখানে ওই কাল্পনিক মানুষের তত্বই একমাত্র ব্যাখ্যা |

ডকিন্সের মতে এটা ছেলেমানুষী দৃষ্টিভঙ্গি | তার মতে পরিনত দৃষ্টিভঙ্গি হলো : জীবন একবারই পাওয়া যায় | অতএব খাও-পিও-মৌজ কর | কালই তোমার মৃত্যু হতে পারে | জীবনের প্রতিটা মুহূর্তই ভীষণ মূল্যবান | একটা মুহূর্তও বৃথা ব্যয় কর না | এরপরে ডকিন্স বলেছেন যে তার জীবনের প্রেরণা কি ? সেটা অবশ্যই বিজ্ঞান | বিজ্ঞান জগতের অবগুন্ঠন ধীরে ধীরে উন্মোচিত করে দিচ্ছে |

আসুন দেখি তার যুক্তি কতটা গ্রহনযোগ্য |

ধর্মের সান্ত্বনা দানের ক্ষমতা যাই হোক না কেন সেটা যদি কিছু মানুষের দুঃখ জর্জরিত মনে শান্তি দিতে পারে তাহলেই কি ধর্মের সার্থকতা হয় না ? ধর্মের বাণী সবাই মানেন না | আত্মার অমরত্বে সবাই বিশ্বাস করেন না | চিরকাল যে কেউ থাকে না বলে ধর্ম বলে সেটাও কেউ মানেন না | তাই যখন প্রিয়জন বিচ্ছেদ হয় তখন সবাই শোকে মুহ্যমান হয় | সেই সময় যদি ধর্ম তাদেরকে পরকালের কথা বলে কিছুটা সান্ত্বনা দেয় তাতে ক্ষতিটা কি ? সবাই খাঁটি ধার্মিক হতে পারে না | ডকিন্স নিজেও কি খাঁটি নাস্তিক ? তিনি তিনটে বিয়ে করেছেন | সেই বিয়েগুলি নিশ্চই চার্চে ঈশ্বরকে সাক্ষী না রেখে তিনি করেছেন | নিজের যে মেয়ে আছে তার ব্যাপ্তিস্ম নিশ্চই করেননি | কিন্তু তা সত্যি নয় | ডকিন্সের অন্তত দুটো বিয়ে চার্চে হয়েছে | সুতরাং তিনিও খাঁটি নাস্তিক নন | তো ধর্ম যদি শিশুকালের কাল্পনিক সান্তাক্লোসের বিবর্তিত রূপ হয় তাহলে ডকিন্সের নাস্তিকতা যে যৌবন বয়সের হিরো হবার শখের বিবর্তিত রূপ নয় তাই বা কে বলতে পারে ?

আর ডকিন্সের পরিনত জীবনদর্শন ? না বন্ধু সেটা কোনমতেই গ্রহনযোগ্য নয় | এটা খাঁটি চার্বাক জীবন দর্শন | জীবন একবারই পাওয়া যায় , অতএব খাও-পিও-মৌজ কর : এই জীবনদর্শনের পরিনাম কি সাংঘাতিক হতে পারে তা একবার ভেবে দেখুন | কামনা বাসনা কি প্রচন্ডভাবে বাড়তে পারে তা একবার ভাবুন | জীবনের প্রতি মুহূর্ত মূল্যবান , অতএব তা নষ্ট করা যায় না | সুতরাং বন্ধুর সুখেদুখে সামিল হয়ে লাভ কি ? প্রেম করে লাভ কি ? তার চেয়ে প্রেমের নাটক করে কিছু বাগিয়ে নিলে ভালো হয় না ? স্যারের নোটস, কোনো একটা চাকরি ইত্যাদি | সন্তানের পেছনে সময় নষ্ট করে লাভ কি ? তার চেয়ে বসের কোলে শুয়ে প্রমোশনটা বাগিয়ে নিলে ভালো হয় না ? জীবন তো একবারই পাওয়া যায় | তার একটা মুহূর্তও নষ্ট করা যায় না | ভাবুন একবার এটাই কি ক্যারিয়ারিস্ট লোকেদের জীবনদর্শন হতে পারে না ? এটাই কি মানুষকে চরম স্বার্থপর , ধান্দাবাজ বানাতে পারে না ? ভোগের প্রবনতার পরে আসে ভোগের জিনিসপত্র নিয়ে কাড়াকাড়ি-হানাহানি-ষড়যন্ত্র, স্বার্থ নিয়ে কামড়াকামড়ি ইত্যাদি | সব মিলিয়ে পৃথিবীটা একটা জীবন্ত নরকে পরিনত হতে পারে এই দর্শনের ফলে |

অনেকে হয়ত বলবেন যে ধার্মিকেরা কি পৃথিবীটাকে জীবন্ত নরকে পরিনত করেনি হানাহানি-মারামারি-সন্ত্রাসবাদ ইত্যাদি দিয়ে ? তাহলে নাস্তিকদের থেকে তাদের পার্থক্যটা কি ? দুজনেই হানাহানি করছে , একজন ভোগের জন্য (তার কাছে সময় নেই ,প্রতিটা মুহূর্ত মূল্যবান, জীবন একবারই পাওয়া যায়) আর একজন ধর্মের জন্য (তাকে খিলাফত আনতে হবে ,ঈশ্বরের সাম্রাজ্য আনতে হবে ইত্যাদি) | এইমাত্র পার্থক্য | ঠিক কথা | আমি অস্বীকার করছি না | এইসব ধর্মের ঠিকাদাররাই ধর্মের মুখে চুনকালি লেপে দিয়েছে | আমি বলতে চাইছি যে যারা ধর্মের নামে হানাহানি করছে তারা যথাযথভাবে ধর্ম পালন করছে না | তারাই ডকিন্সের সেইসব ব্যক্তি যারা প্রিয়জনের বিচ্ছেদে কাতর হয়, ইচ্ছামৃত্যু অনুমোদন করে না, বা এককথায় বলা যেতে পারে যে এরা ধর্মের ফিলিস্তিন | এরা এদের সমস্ত অপকর্মকে ধর্মের চাদর দিয়ে ঢাকতে চেষ্টা করে | এদেরই জন্য ধর্মের বদনাম হয় | এদের সাথে নাস্তিকদের আরো একটা পার্থক্য আছে | নাস্তিকেরা এদের থেকে বেশি সৎ | তারা সোজাসুজি ধর্মে অবিশ্বাস করে | আর এরা ধর্মের নামাবলী গায়ে দিয়ে অপকর্ম করে জগতকে প্রতারণা করে | ধর্মের নাম এরাই জগতকে শোষণ করে | এরা ভন্ড প্রতারকমাত্র |

সুতরাং বন্ধু ডকিন্সের এই নাস্তিক জীবনদর্শন কোনো মতেই গ্রহনযোগ্য নয় | এটাই মনে হয় ডকিন্সের যাবতীয় সিদ্ধান্তের মূলে আছে যা আমরা আগে আলোচনা করেছি | এই দর্শনই মানুষকে শেখায় যে প্রতি মুহুর্তে তার আরো জগতটাকে ভোগ করা চাই | প্রতিটা মুহূর্ত মূল্যবান | শুধু নিজের ভোগবিলাস নিয়েই ব্যস্ত থাক | প্রতিটা মুহুর্তে নিজের জাগতিক লাভ নিয়ে ভাব | এই ধরনের ব্যক্তিরা কখনো দান-ধ্যান-দয়া ইত্যাদি করতে পারে না কারণ এইসব করে তার কোনো জাগতিক লাভ হয় না বরং তার জাগতিক সম্পদ কমে আসবে,ভোগ কমে যাবে | এটা মানুষকে প্রচন্ডরকম স্বার্থপর করে তোলে,আত্মসুখী করে তোলে | মানুষ স্বার্থপর হলে কখনই নিজের দায়িত্বকর্তব্য পালন করতে পারে না | তখনই বঞ্চনা চলে আসে | যার প্রতি মানুষ দায়বদ্ধ, তার প্রতি দায়িত্বপালন না করলেই তাকে বঞ্চিত করা হয় | স্বার্থপরতার ফলে বঞ্চনার পাশাপাশি শোষণ চলে আসে | তখন দুর্বলকে সবল ব্যক্তি শোষণ করে | ফলে ধনী আরো ধনী হয় আর গরিব আরো গরিব হয় |ফলে অর্থনৈতিক, সামাজিক বৈষম্য চলে আসে | সবের মূলে আছে জীবন একবারই পাওয়া যায় আর খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়, অতএব খাও-পিও-মৌজ কর : এইরকম একটা স্বার্থবাদী দর্শন |

ভারতের ধর্মগ্রন্থে চার্বাক তথা নাস্তিকদের এই কারণেই নিন্দা করা হয়েছে | ধূর্ত বামপন্থীরা চার্বাকদের প্রশংসা করে বলে যে ধর্মীয় শোষনের বিরুদ্ধে চার্বাকরা নাকি এক জ্বলন্ত প্রতিবাদের নিদর্শন |মানে চার্বাকরা বোধহয় শোষণ বন্ধ করে দিয়েছিল |ওদের নিজেদের মধ্যে বোধহয় শোষণ ছিল না | কিন্তু তলিয়ে দেখলে বোঝা যায় যে এই ধারণা কত ভুল | চার্বাকদের ভোগেচ্ছা যে কতদূর প্রবল সেটা তাদের দর্শন থেকেই বোঝা যায় | বৈদিক সমাজে পরিমিত ভোগের ব্যবস্থা আছে, বিশেষ বিশেষ সময়ে ভোগের ব্যবস্থা আছে (মুসলিমদের যেমন রমজান মাসে উপবাস করতে হয় অর্থাত ভোগ বিরতি) | চার্বাক সমাজে প্রতি মুহুর্তে ভোগের ব্যবস্থা আছে | বৈদিক সমাজে ত্যাগের মাহাত্ম্য প্রতিষ্ঠিত আছে | সব ধর্মেই আছে | চার্বাক সমাজে ত্যাগের কোনো ব্যবস্থাই নেই | এরকম একটা ভোগবাদী সমাজ অসুস্থতার লক্ষণ |

সুতরাং ডকিন্সের কথা গ্রহনযোগ্য নয় |

উপসংহার

গোটা বইটার মূল থিম হলো ধর্মের খারাপ দিক | ধর্ম যে কত খারাপ তা দুইভাবে দেখানো হয়েছে : ১] ধর্মের কিছু কিছু অপ্রাসঙ্গিক অর্থ করে , ২] ধর্মগুরুদের কুকীর্তি দেখিয়ে | দুটোই ভুল পথ |

প্রথমত ধর্মের অপ্রাসঙ্গিক অর্থ করা হলো ধর্মের অপব্যাখ্যা করা | যেমন লুতের গল্প | লুত যে সমাজে ছিলেন সেই সমাজটা ছিল সদোম আর গোমরার সমাজ | সেখানে মানুষগুলো ছিল চোর, ডাকাত, লুটেরা, ধর্ষক আর সমকামী | গোটা জাতিটাই এইরকম শুধু লুত বাদে | এমন সময় লুতের কাছে দুজন বিদেশী পর্যটক অতিথি আসে | শহরবাসীরা খবর পেয়ে তাদের দেখবার (?) জন্য লুতের বাড়ি আসে | লুত তো জানেন দেখবার অর্থ লুন্ঠন , হত্যা এবং স্ত্রীলোকের ধর্ষণ | লুত কেন জেনে বুঝে ওই দুই বিদেশী অতিথিকে এভাবে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেবেন ? লুতের জায়গায় আমি থাকলে কিন্তু দিতাম না | লুত বিনিময়ে নিজের মেয়েদেরকে ওদের হাতে তুলে দিতে পর্যন্ত রাজি ছিলেন এটা জেনে যে ওই মেয়েদের কি দশা হবে | আমি হয়ত লুতের মত স্বার্থত্যাগ করতে পারব না , বড় সাধারণ মানুষ আমি | কিন্তু আমি এটুকু জানি যে ডকিন্স লুতের সাথে কোনো ন্যায় করেননি | তিনি লুতকে তার পারিপার্শ্বিক পরিবেশ থেকে আলাদা করেছিলেন | তিনি লুতকে সদোম আর গোমরা থেকে তুলে এনে আজকের সুসভ্য লন্ডনে বসিয়েছিলেন | আর সেই পরিবেশে লুতের কাজের বিচার করেছিলেন | এটি সম্পূর্ণ অন্যায় বিচার | লুতের গল্পটিকে বাইবেলে এইজন্য দেয়া আছে যাতে মানুষ বিদেশী পর্যটকদের প্রতি দয়া করে | ওল্ড টেস্টামেন্টের জেহোবা বার বার বিদেশীদের প্রতি সদয় ব্যবহার করার আদেশ দিয়েছেন | লুত তো সেই আদেশেরই পালন করেছেন মাত্র | আজকের দিনে কেউ অবিশ্যি এত দয়াদাক্খিন্য দেখায় না | বলা বাহুল্য যে লন্ডনেও বিদেশী পর্যটকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা আছে চোর ডাকাতদের হাত থেকে | কিন্তু লুতের সমাজ আর ডকিন্সের সমাজ একরকম নয় |


আরেকটা অপব্যাখ্যা হলো আব্রাহামের নিজ পুত্রকে বলিদানের গল্প | আব্রাহাম ট্রাইবাল সমাজের লোক ছিলেন | সেই সমাজে সমাজপতির প্রতি আনুগত্য একটা বড় ব্যাপার ছিল | ঈশ্বর আব্রাহামের সেই আনুগত্যেরই পরীক্ষা নিয়েছিলেন | বিষয়টা ট্রাইবাল সমাজে খুব সাধারণ ব্যাপার | আবার ঈশ্বর আইজাকের বলি দিতে দেননি | দেয়ার আগেই আব্রাহামকে নিরস্ত করেছিলেন | ডকিন্স এখানেও সেই পুরনো গেম খেলেছেন | আব্রাহামকে ট্রাইবাল সমাজ থেকে তুলে নিয়ে সুসভ্য লন্ডনে বসিয়ে তার কাজের বিচার করেছিলেন | ডকিন্স ভুলে গেছেন যে আনুগত্যের পরীক্ষা বিভিন্ন সমাজে বিভিন্ন রকম হয় | লন্ডনেও আনুগত্যের পরীক্ষা আছে | তবে তা ট্রাইবাল সমাজের মত নয় |

আর ধর্মগুরুদের কুকীর্তি দেখিয়ে ধর্মকে গালি দেয়ার মানেই হয় না কারণ ধর্মগুরু আর ধর্ম দুটো পৃথক বস্তু | ধর্মগুরুরা ধর্মকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করে ধর্মের মুখে চুনকালি মাখাচ্ছে | তাতে ধর্মের কি দোষ ? ডাক্তাররা ভুল চিকিত্সা করে রুগী মেরে ফেললে কি চিকিত্সা শাস্ত্রের দোষ হয় ? ডকিন্সের মত নাস্তিকরা প্রায়শই ধর্ম আর ধর্মগুরুদের এক করে ফেলেন | এতে ধর্মের কোনো দোষ হয় না |


বইটার প্রথম পাঁচটা অধ্যায়ের (৩ থেকে ৭ ) সাথে আমি একমত নই | এখানে ধর্ম , ঈশ্বর , নৈতিকতা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়েছে | অধ্যায় ৮ আর ৯ –এর সাথে আমি একমত | এখানে ধর্মের নামে ধর্মগুরুদের অত্যাচার আর অপকর্মের বর্ণনা দেয়া হয়েছে | অধ্যায় ১০ এর সাথে আমি একমত নই কারণ এখানে ধর্মের সন্ত্বনাদানকারী ক্ষমতা ও নাস্তিক জীবনদর্শনের কথা বলা হয়েছে | অধ্যায় ১ আর ২ তে ডকিন্সের নিজের কথা আর বিশ্বের ধর্মের বিবরণ দেয়া আছে | এখানে আমার কিছু বলার নেই |

সব মিলিয়ে বইটার ১০ তা অধ্যায়ের মধ্যে দুটো অধ্যায় খুব ভালো (৮ আর ৯ ), বাকিগুলো কোনটাই ভালো নয় | ডকিন্সের বইটা পুরোদস্তুর বাগাড়ম্বর আর বাকচাতুরিতে ভরা বেস্টসেলার |

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.