![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পিলখানা বিডিআর হেডকোয়ার্টারে গত ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি সংঘটিত নৃশংস ও নারকীয় হত্যাকাণ্ডের পর দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা তথা প্রতিরক্ষাব্যবস্খার ভবিষ্যৎ নিয়ে সচেতন মহলে দুশ্চিন্তার অন্ত নেই। বিডিআর’র মতো দু’শতাধিক বছরের পুরনো একটি সীমান্তরক্ষী বাহিনী যে সফলতার ঐতিহ্য ধারণ করে গত ৬০ বছর ধরে সেনাকর্মকর্তাদের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়ে আসছিল, সেই গর্বিত বাহিনী জওয়ানরা কিভাবে তাদের পরিচালক, সেনা অফিসার ও তাদের পরিবার-পরিজনদের এমন নৃশংসভাবে হত্যা করল তা বিস্ময়কর। ২৪ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় প্রধানমন্ত্রী বিডিআর সপ্তাহের প্যারেডে অংশ নিয়েছিলেন। সুতরাং পিলখানায় সর্বাত্মক গোয়েন্দা নজরদারি থাকার কথা। অথচ কিভাবে বিডিআর’র ডিজি মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ, ডিডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল বারীসহ ক্যাপ্টেন মর্যাদার অফিসারদের ওপর পরিকল্পিত হামলা চালিয়ে ৬৯ জন সেনা অফিসার ও তাদের অনেকের পরিবার-পরিজনকে নির্বিঘেí নৃশংসভাবে হত্যা করতে সক্ষম হলো, তার জবাব পাওয়া ভার। বিডিআর একটি আধাসামরিক বাহিনী হিসেবে সেনা অফিসারদের নেতৃত্বেই পরিচালিত হয়ে আসছে। বিশেষ করে এক দিকে বিদ্রোহে নেতৃত্বদানকারী একটি অংশের পিলখানার বাইরে এসে সরকারের সাথে সমঝোতা বৈঠকে যোগদান, অন্য দিকে পিলখানার ভেতরে ৬৯ জন সেনা অফিসারকে নৃশংসভাবে খুন করে গণকবর দেয়া, ম্যানহোলে নিক্ষেপ ও পুড়িয়ে ফেলে লাশ গুম করা ইত্যাদি নি:সন্দেহে কোনো অসৎ উদ্দেশ্যকে ইঙ্গিত দিচ্ছে। পলায়নরত বিডিআর সদস্যদের গ্রেফতারের পর তাদের কাছে ৫০০ টাকার নতুন নোটের অসংখ্য বান্ডিল পাওয়া গেছে। বিদ্রোহীদের সাথে আলোচনার জন্য সরকার ব্যাপকভাবে পরিচিত সিনিয়র কাউকে না পাঠিয়ে কেন দু’জন প্রতিমন্ত্রী মর্যাদার ব্যক্তিকে পাঠিয়েছিলেন তা নিয়েও নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। কেননা পরে প্রকাশিত হয়েছে বিদ্রোহের প্রধান হোতা ডিএডি তৌহিদ প্রতিমন্ত্রী নানকের সহপাঠী। এ ছাড়া পিলখানা হত্যাকাণ্ডের অন্যতম শিকার বিডিআর’র ডিডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম এ বারী ও কর্নেল গুলজার ছিলেন র্যাবের সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তা এবং বিডিআর বিদ্রোহের সমঝোতা কমিটির অন্যতম সদস্য মির্জা আজমের আপন ভগ্নিপতি, জেএমবি প্রধান শায়খ আবদুর রহমানের গ্রেফতারে নেতৃত্বদানকারী। সুতরাং এই সন্দেহ দেখা দেয়াই স্বাভাবিক যে, বিডিআর বিদ্রোহের বিষয়ে তারা কি কোনো না কোনোভাবে জ্ঞাত ছিলেন বলেই সরকার নানক-আজমকে সমঝোতার জন্য নির্বাচন করেছিলেন? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পুলিশের আইজিও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অìধকার পিলখানার ভুতুড়ে পরিবেশে উদ্ধার অভিযানে গিয়ে প্রশংসিত হলেও কিছু আত্মীয়পরিজন সেনাকর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যকে নিয়ে ফেরত আসা এবং বাকি সেনা পরিবারের সদস্যদের বিষয়কে গুরুত্ব না দেয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত হচ্ছেন।
এ দিকে সরকার পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত বিডিআর সদস্যদের গ্রেফতার করতে ‘অপারেশন রেবেল হান্ট’ নামে সেনা অভিযান শুরু করেছে এবং ঘটনার কারণ ও দায়ীদের চিহ্নিত করতে একজন সাবেক অতিরিক্ত সচিবকে প্রধান করে দ্বিতীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এফবিআই এবং স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের মতো আন্তর্জাতিক সংস্খারও সহযোগিতা নেয়া শুরু করেছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও জেনারেল জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে স্বতন্ত্র একটি তদন্ত টিম কাজ করছে। তবে প্রশ্ন উঠেছে, এত বড় একটি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে সরকার কেন প্রথমে পদত্যাগের দাবি ওঠা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি করেছিল এবং পরে চাপের মুখে সাবেক পূর্ণ সচিবের পরিচয় দিয়ে নিুমর্যাদার অতিরিক্ত সচিবকে প্রধান করে কমিটি পুনর্গঠন করল? অধিকতর স্বচ্ছতার দাবিতে বিচার বিভাগীয় কিংবা সংসদীয় তদন্ত কমিটি গঠনের ইস্যুকে কেনই বা অগ্রাহ্য করা হলো। তা ছাড়া হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত বিদ্রোহী বিডিআর সদস্যদের উল্লেখযোগ্য অংশই আজ মিডিয়া ও ভিডিও ফুটেজ থেকে চিহ্নিত। তাদের একটি টিম সরকারের সাথে আনুষ্ঠানিক দেনদরবারে বৈঠক করেছে এবং পরে গ্রেফতারও হয়েছে। তাহলে এফবিআই বা স্কটল্যাল্ড ইয়ার্ডকে ডেকে আনার প্রয়োজন কী? সরকার তাহলে কি বিশেষ কোনো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তদন্ত রিপোর্টের বৈধতা দেয়ার জন্যই তাদের ডেকে এনেছে? তা ছাড়া তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করতে না করতেই যেভাবে দায়িত্বশীল প্রধানমন্ত্রী ও তার সহকর্মীরা জাতীয় সংসদে বিরোধীদলের কোনো কোনো নেতানেত্রী এ হত্যাকাণ্ডে কিভাবে কথিত নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে অপবাদ দিলেন, তাতে সরকারের নিরপেক্ষ তদন্তের সদিচ্ছা নিয়ে বিরাট প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। অন্য দিকে বিডিআর’র পাঁচটি গেটের মধ্যে হাজারীবাগসংলগ্ন ৫ নম্বর গেট খোলা রেখে কেন ভেতরের ১০-১১ হাজার বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবার-পরিজনকে বিদ্রোহ ও হত্যাকাণ্ড শেষে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হলো তারও কোনো সদুত্তর মিলছে না। অভিযোগ উঠেছে, সেনা অভিযানের নেতৃত্বদানকারীদের অìধকারে রেখেই সরকারদলীয় স্খানীয় এমপি ফজলে নূর তাপসের নেতৃত্বে পিলখানা-পার্শ্ববর্তী ৩ কিলোমিটার এলাকাকে ফাঁকা করতে সবাইকে সরে যেতে বলা হয়েছিল। এমনকি জিয়া আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে বিজি-০৪৯ নম্বর ফ্লাইটটি ২ ঘন্টা দেরি করিয়ে পিলখানার কিলিং মিশনের চারজন সদস্যকে বিদেশে পালানোর সুযোগ করে দেয়া হয়েছে বলেও খবর প্রকাশিত হয়েছে। কিলিং মিশনে অস্ত্র সরবরাহে ব্যবহৃত ছাই রঙের পিকআপ ভ্যানটির কোনো হদিস পাচ্ছে না সরকার। তা ছাড়া ২৬ তারিখে বিদ্রোহী বিডিআর সদস্যদের আত্মসমর্পণের পরপরই প্রধানমন্ত্রী সংসদে জানালেন, বিদ্রোহী নেতা ডিএডি তৌহিদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তখন নানা মহলে গুঞ্জরণ উঠেছিল, তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে সরকারদলীয় একজন এমপি’র গাড়িযোগে পালিয়ে যাওয়ার সময়। এটা গোপন করতেই কি তৌহিদকে গত ৫ মার্চ বিকেলে সুইপার কলোনি থেকে অন্যদের সাথে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে প্রকাশ করা হলো এ প্রশ্ন সচেতন মহলের। তা ছাড়া ডিএডি তৌহিদসহ যে ১৪ জন আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দফতরে গিয়েছিলেন, তাদের নাম সংরক্ষণ না করা এবং দেহ তল্লাশি না করেই নিরুদ্বেগে তাদের নিয়ে বৈঠক করা নিয়ে প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে। বৈঠকস্খলে সেনা, নৌ বা বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কাউকে ঢুকতে দেয়া হয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে। বিদ্রোহীদের জিম্মি করে কেন অবরুদ্ধ সেনাকর্মকর্তাদের অবস্খান জানা বা মুক্ত করার চেষ্টা করা হলো না, সে প্রশ্নের জবাবও মিলছে না। বিদ্রোহী প্রতিনিধিরাও কিভাবে নিরুদ্বেগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বা হোটেল আম্বালা সুইটসে একের পর এক বৈঠক করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করল তারও জবাব পাওয়া যাচ্ছে না। গ্রেফতারের পর ডিএডি তৌহিদের মোবাইল কল রেকর্ডে সরকারের সমঝোতা টিমের আলোচনা সূচনাকারী সদস্যের সাথেই ১১০ বার কথোপকথনের তথ্য পাওয়া গেছে। কিন্তু এসব বিষয় যথারীতি গুরুত্বের সাথে বিবেচিত হচ্ছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। ঘটনার শিকার হয়েও বেঁচে যাওয়া, সেনা অফিসারদের দেয়া তথ্য মতে, আক্রমণের আগ মুহূর্তে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই দরবার হলে অবস্খানকারী চার-পাঁচ হাজার বিডিআর সদস্যের দরবার হল থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয় থেকে মনে হচ্ছে তারা সবাই হত্যাকাণ্ডের পূর্বপরিকল্পনা সম্পর্কে জ্ঞাত ছিল, তাহলে সরকারের এতগুলো গোয়েন্দা সংস্খা সরকার বা দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারদের অবহিত করেনি কেন? জওয়ানদের দরবার হল ত্যাগের পরপরই ডিজি একে একে প্রধানমন্ত্রী, সেনাপ্রধান ও র্যাবের ডিজি’র সাথে কথা বললে খুব দ্রুত সেনা অভিযান শুরু হবে বলে আশ্বস্ত করা হলেও কেন ধীরগতিতে অপারেশন শুরু করা হলো এবং কালক্ষেপণ করে রাজনৈতিক সমঝোতার নামে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্রোহীদের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া হলো তা নিয়েও বিস্ময়ের অন্ত নেই। প্রধানমন্ত্রী ২৪ তারিখে প্যারেডে অংশ নিয়েও কেন ২৬ তারিখের নৈশভোজে অংশ নেবেন না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন? বিদ্রোহ পরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিত কোনো মহল থেকে প্রধানমন্ত্রীকে নৈশভোজে অংশ নিতে নিরুৎসাহিত করার কৌশল নেয়া হয়েছিল কি না। তা ছাড়া ২২ তারিখে বিডিআর এবং বিএসএফ’র যে যৌথ মার্চপাস্ট হওয়ার কথা ছিল তা ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কেন আকস্মিকভাবে স্খগিত ঘোষণা করল? তাহলে কি এ ধরনের একটি ঘটনার কথা ভারতীয় কর্তৃপক্ষ আগেই জানত? বিডিআর’র ডিজি মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ যে সস্ত্রীক নিহত হয়েছেন; তা জানতে আমাদের দেশীয় প্রচারমাধ্যমসহ রয়টার, এপি, এএফপি’র মতো সংবাদমাধ্যমেরও সময় লেগেছে ২৭ তারিখ সকালে গণকবর আবিষ্কার পর্যন্ত অথচ তা ভারতীয় টিভি চ্যানেল এনডিটিভি কিভাবে ২৫ তারিখ ঘটনা শুরু হওয়ার মাত্র ৪ ঘন্টা পর বেলা ২টার খবরে নিশ্চিত করে প্রচার করল, তারও কোনো সদুত্তর মিলছে না। এ দেশের পত্রপত্রিকাসহ টিভি চ্যানেলগুলোতে বিশেষ একশ্রেণীর বুদ্ধিজীবী সব সময় শক্তিশালী সেনাবাহিনী না রাখার পক্ষে মত প্রকাশ করে থাকেন। তারা বিডিআরকে বিলুপ্ত করার জন্য অতিউৎসাহী বক্তব্য দিয়েই চলেছেন। ২০০০ সালেই বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের এক আন্তর্জাতিক সেমিনারে ভারতীয় এক প্রবìধ উপস্খাপক বিডিআরকে বিলুপ্ত করে আনসার বা রক্ষীবাহিনীর মতো একটি দুর্বল বাহিনী গড়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এরপর ২০০১ সালে পাদুয়া ও বড়াইগ্রামে বিডিআর’র সাহসিকতায় বিএসএফ’র চরম পরাজয় এবং তাদের বহু সদস্য নিহত হওয়ার পর থেকেই ভারতীয় পক্ষ থেকে বিডিআরকে ভয়ঙ্কর এক বাহিনী হিসেবে চিহ্নিত করে প্রচারণা অব্যাহত রাখা হয়েছে। বিডিআর বিদ্রোহের শুরু থেকেই ভারতীয় পত্রপত্রিকা ও টিভি চ্যানেলগুলোতে একের পর অতি উৎসাহী প্রতিবেদন প্রকাশ যেন এরই ইঙ্গিতবাহী। বিদ্রোহ চলাকালে এ বিদ্রোহে সহযোগিতা দেবে বলে বিএসএফ বিডিআর সদস্যদের মোবাইলে একের পর এক এসএমএস পাঠিয়ে উৎসাহ দিয়েছে। বিদ্রোহ দমনের পরদিনই গত ২৭ ফেব্রুয়ারি আউটলুক নামে ভারতীয় ম্যাগাজিনে সাবেক শীর্ষ র কর্মকর্তা বি-রমনের বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে লেখা একটা নিবìধ বিডিআর’র প্রশিক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ সেনাকর্মকর্তাদের হাতে থাকায় রৌমারী-পাদুয়ার মতো বিভিন্ন অপারেশনে বিএসএফ’র ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এবং বিডিআরকে এক ভয়ঙ্কর বাহিনী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বিডিআর বিদ্রোহের প্রেক্ষাপট নিয়ে এ দেশের সমর বিশেষজ্ঞদের অভিমত, অর্ধশতাধিক সেনা অফিসারকে হত্যা করার মাধ্যমে প্রকৃতপক্ষে বিডিআরকে ধ্বংস এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্খাকে দুর্বল করে দেয়ার অ্যাজেন্ডাই বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বিষয়টি উপলব্ধি করেও জাতীয় এ দুর্যোগে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদলগুলোর সাথে একত্রে বসে কাজ করতে আগ্রহী হলেন না এবং এ ধরনের প্রচেষ্টাকে তার ছেলেমেয়ের বিয়ে নয় যে, বিরোধী দলকে দাওয়াত দিয়ে সমস্যার সমাধানে চেষ্টা করতে হবে বলে ব্যঙ্গ করে বসলেন। এমনকি তদন্তের কাজ শুরু করতে না করতেই এ ঘটনা বিরোধীদলীয় নেত্রীই ঘটিয়েছেন বলে বক্তব্য দেয়ায় জনগণ হতভম্ব হয়ে গেছে। বিটিভিও কার বিশেষ ইঙ্গিতে সংসদে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম জিয়ার বক্তব্য প্রচারে বিরত থাকল, তারও জবাব পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি যে সময় সংসদের বিরোধী নেত্রীকে উপেক্ষা ও উপহাস করছেন, আনন্দবাজার পত্রিকার তথ্য অনুযায়ী তিনি সে সময়েই বিডিআর বিদ্রোহ ও পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সরাসরি বেনিফিশিয়ারি ভারত সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রণব মুখার্জির সাথে কথা বলেছেন।
শায়খ আবদুর রহমানকে গ্রেফতার করার কাজে জড়িত, সাবেক শীর্ষ র্যাব কর্মকর্তা (পরে বিডিআর’র ডিডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল বারী, কর্নেল গুলজারসহ সেনা অফিসারদের নৃশংসভাবে হত্যা করে এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টা করা হয়েছে? এ প্রশ্নও উথাপিত হচ্ছে নানা মহল থেকে। ডিএডি তৌহিদের সাথে মোবাইলে কথোপকথনের যে কল রেকর্ড পাওয়া যাচ্ছে, তাতেও এমন এক ইঙ্গিত রয়েছে বলে পত্রপত্রিকায় আলোচিত হচ্ছে। বিদ্রোহ চলাকালে ‘বিডিআর-জনতার সংহতি’ প্রকাশ মিছিলে নেতৃত্বদানের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত অবসরপ্রাপ্ত সুবেদার তোরাব আলীর যে রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশিত হয়েছে, তা পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটন প্রচেষ্টাকে যেন নতুন করে ভাবতে বলছে। তোরাব আলী ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ৫৮ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি এবং হাজারীবাগ থানা সহসভাপতি। তার ছেলে হারুনুর রশিদ লিটন ওরফে লেদার লিটন মহানগর ছাত্রলীগ উত্তরের সাবেক সহসভাপতি এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য। বিডিআর বিদ্রোহ চলাকালে ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তাকে মিছিলে অংশ নিতে দেখা গেছে। তোরাব আলীর বাসায় বিদ্রোহের মাত্র সাত দিন আগে ষড়যন্ত্রকারীদের বৈঠক হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ২৫ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহ শুরু হওয়ার মাত্র দু’দিন আগে ২৩ তারিখে ঢাকার একটি পোশাক শিল্প অফিসে ইউনিফর্ম পরা ষড়যন্ত্রকারীদের যে গোপন বৈঠকটি হয়েছিল বলে পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে, সে দিকটিও কেন একটি মহল এড়িয়ে যেতে চাচ্ছেন তাও বোধগম্য নয়।
প্রকৃত রহস্যের আদৌ উদঘাটন হবে কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রশ্ন তাই দোলাচলের ঘূর্ণিপাকে ঘুরপাক খাচ্ছে। আমরা আশা করব, নির্বাচিত সরকারপ্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী এসব প্রশ্নের প্রতি যথাযথ গুরুত্বারোপ করেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের পদক্ষেপ নেবেন এবং লাখো প্রাণের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে প্রতিরক্ষা ব্যবস্খাকে সুসংহত করতে সক্ষম হবেন।
লেখক--
মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম
২| ০২ রা এপ্রিল, ২০০৯ রাত ২:১৩
বোলারস ব্যাকড্রাইভ বলেছেন: চাঘোল
৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০০৯ রাত ২:৩৫
আথ্যরিক বলেছেন:
১২২ টি জংগী সংগঠন পেয়েছে সরকার।
বাংলাদেশের জন্য কঠিন দিন অপেক্ষা করছে।
ক্ষমতায় থাকার এই আওয়ামী লোভ ১৫ কোটি মানুষের জীবনকে তুচ্ছ করে দিচ্ছে, ভারত সহ পশ্চিমা বিশ্ব বাংলাদেশে এই জংগীবাদের উসিলায় আওয়ামিলীগ ছাড়া যে-ই আসবে তাদের জন্য কার্যকর করবে নিজের দেশের সার্বভৌমত্ব কক্ষার নাম করে (আওয়ামিলীগ বলেছি এ জন্য যে, এই ভয়ংকর বিষয়টাতে অন্য কেউ এখনো পা দেয়নি আর জয় তো রেডিমেইড কারজায়ী বা নূরী মালিকী হয়ে-ই আছে )। যেমনটা আমেরিকা করছে ইরাক আর আফগানিস্তানে। আমরা না বুঝেই নিজের হাতে আমাদের কবর বানাচ্ছি। ইন্ডিয়া এমনিতেই নিজের দেশের সমস্যার সাথে বাংলাদেশের নাম জড়িয়ে দিচ্ছে, আর যখন আমরা আরও আসকারা দেবো তখন আর নাম জড়াবে না সরাসরি একশনে যাবে, যার ধরন শ্রীলংকায় আর পাকিস্তানে দেখতে পাচ্ছি। । ।
ধন্যবাদ।
৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৫:৫০
ধীবর বলেছেন: আওয়ামী লিগের কোন শাসনামলটা ভালো ছিল শুনি? দেশবাসির অবস্থা হলো, ভিক্ষা চাইনা মা, কুত্তা সামলাও।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:৫৮
অলস ছেলে বলেছেন: লেখাটা ভালো। প্রশ্নের কোন উত্তর নাই।