নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হুগলীর হুনুমান

বুবলা

বুবলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালবাসার অনুভব না বেইমানি

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০৩

১টি ছেলে বিয়ে করার জন্য মেয়ে দেখতে গেল।মেয়েটা তার ভাল লাগলো। তারপর সবাই সবার সবকিছু খোজ খবর নিলো।তার ১৫ দিন পর ছেলেটার পক্ষথেকে মানুষ জন গিয়ে মেয়েটার হাতে আংটি পড়িয়ে দেয় আর বিয়ের কথা পাকা করে আসে।তারপরেতাদের মাঝে ফোনালাপ চলতে থাকে।তার ৩ দিনপর ফোনের আলাপ আলোচন :-ছেলে:- আচ্ছা তুমি কি আরও পড়তে চাও?
মেয়ে :- হ্যা... কারণ আমার আশা ছিল ডাক্তার হবো।
ছেলে:- ডাক্তার হলে তুমি খুশি হবে ?
মেয়ে :- হ্যা.. এটাই আমার সবচেয়ে বড় চাওয়া ওপরওয়ালার কাছে।
আর চাইলে কি সব পারবো!
ছেলে:- কেনো ?
মেয়ে :- কারণ.. ১। আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে ২। আমার বাবার এত টাকা নাই।
ছেলে:- আমার তো আছে। তোমাকে আর কিছু দিতে পারি আর না পারি।তবে তোমার আশাটা আমি পুরনকরব। তুমি কি পড়তে রাজি ??
মেয়ে :- হ্যা. কিন্তু বিয়ের আর মাএ ৯ দিন বাকী ।সেটার কি হবে??
ছেলে:- এটা আমার উপর ছেড়ে দাও ।
মেয়ে :- OK.
ছেলে তার ফ্যামিলির সবাইকে বুঝিয়ে বলাতে সবাই রাজি হল। মেয়ের লেখাপড়ার জন্য সব খরচ ছেলেটা দিচ্ছে আর দেখা শুনা ঠিকমত ছিল কিন্তু কিছু দিন পর
মেয়ে :- আমার ১টা কথা রাখবে ?
ছেলে:- হ্যা. বল আমি কি করতে পারি?মেয়ে :- কিছু মনে করনা। আমার সাথে আর দেখা করিওনা !
ছেলে:- কিন্তু কেনো?মেয়ে :- তোমাকে দেখলে নিজেকে ধরে রাখতে পারিনা। ওদিকে আমার পরীক্ষার ২ বছর বাকী। যদি,,ফেল করি সমাজে মুখ দেখাতে পারবো না। আর তোমার টাকা ও কষ্ট বিথা যাবে।
ছেলে:- OK. কিন্তু ফোনে কথা বলবা না ?
মেয়ে :- হ্যা.
ছেলে:- ok.
২ বছর পর মেয়েটা পরীক্ষা দিল এবং পাশ করল।সেই খুশিতে মেয়ের বাড়ীতে মেহমান বরপুর।কিন্তু ছেলেটাকে বলল না ।কারণ এখন ঐ ছেলেকে স্বামী হিসেবে সবার সামনে পরিচয় করাতে পারবে না বলে ।তার ১৫ দিন পর মেয়েটা একটি চেম্বার নিয়ে বসে।তখন জানতে পেরে ছেলেটা তাকে ফোন করলে,মেয়েটা ফোন কেটে দেয় এবং বন্ধ করে দেয়।ছেলেটা তার বাড়ীতে যায় । আর মেয়েটা তাকে বলল "আমাকে ক্ষমা করে দাও এবং মনে কষ্ট নিওনা। আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারবোনা"
ছেলে:- কেন?
মেয়ে :- কারণ তুমি আমার যোগ্য না এবং লেখা পড়াও জানো না ।
ছেলে:- আমাদের ফেমিলি থেকে যে সব ঠিক করা ?
মেয়ে :- ওটা আগে ছিল। আমি এখন তা মানতে পারবোনা ।
ছেলে:- দু চোখ ভরা কান্না নিয়ে বলল । OK. আমিতোমার জন্য দোয়া করি ভাল থেকো। বলে চলে আসলো।
কিছু দিন পরে ছেলেটা অসুস্থ হয়ে পড়ে । আর ঐ দিকে মেয়েটা এক হাসপাতালের বড় ডাক্তার হয়। ঘটনাক্রমে ছেলেটার অবস্থা খারাপ হওয়াতে সবাই ঐ হাসপাতালেই ছেলেটাকে নিয়ে যায়।ঐ খানে এক ডাক্তার তাকে দেখে চিনে ফেলে।আর ওর ফেমিলির সবাইকে বকা জকা করল। কারণঅনেক লেট করে ফেলেছে। তখন মেয়েটা ঐ ডাঃ কে বলল আপনি ওদের বকছেন কেন ?? তখন ডাঃ বলল এইমানুষটা আজ থেকে প্রায় ৫ বছর আগে ওর বউয়ের ডাক্তারী পড়তে টাকা লাগবে বলে ১টি কিডনী বিক্রিকরল। আমি নিষেধ করলে সে বলল আমার বউ ডাক্তার হলে আমাকে সে ভালো করে দিবে তা শুনে,,মেয়েটার চোখ থেকে জল নেমে এল।।.....।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুন, ২০১৬ রাত ১০:৪৮

সৈয়দ আবুল ফারাহ্‌ বলেছেন: মেয়েটার চোখে জল এসেছে, হয়ত সে বুঝতে পেরেছে। ৫/৬ বছর দূর থেকে ছেলেটিকে দেখে হয়ত বুঝতে পারেনি। যে মা সন্তানকে বড় করে তোলে সে মা-কেই তো অনেক সন্তান (ছেলে বা মেয়ে) যথযথা মর্যাদা দেয় না। বাবার অর্থে ও সহযোগিতায় সন্তান বড় হয়। বাবার দেখাশোনা করে কতজন ? হিসাবে বসলেই বোঝা যায় দাতা-গ্রহীতা কে কেন কিভাবে দান করে বা গ্রহণ করে। ধন্যবাদ

২| ১৮ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: বেশ সিনেমাটিক গল্প।

৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪০

বুবলা বলেছেন: এটা একটা জায়গা থেকে কালেকশান করা

৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: হুম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.