![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবী আজ তার বার্ধক্যে এসে পড়েছে, শৈশব পেড়িয়ে যৌবন ও সে হারিয়েছে, তাই বৃথা আনন্দ করো না, ক্ষণিকের সময় হাতে, নশ্বর এ পৃথিবী যেন মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে। সে মৃত্যু আসার আগে আজ তীর্থে ভ্রমণ করো, পবিত্র জলে হে পৃথিবী তুমি অবগাহন করো। ধুয়ে ফেলো তোমার গায়ের শত কালিমা, সাজিয়ে নাও বিদায়ের আগে আবার আঙিনা।
১. আমার এক আত্মীয় ভাই প্রেম বিবাহ করে। ওগো জোড়া পুরা "রাব্ব নে বানাদি জোড়ি", মাশা-আল্লাহ! ভাইও গুন্ডা, ভাবির বাপও গুন্ডা। ভাইয়ের পরিবার বিয়াতে রাজি না দেইখা ইতিহাসের পাতায় লেখা একমাত্র অপশন ভাইগা বিবাহ । তারপর আর কি না চায়াও মানসম্মানের খাতিরে মাইনা লওন। ব্যস! এহন তো বাড়ির ইট বালু সিমেন্ট হাওয়া বাতাস তাগো ভালোবাসার সাক্ষী
। চেহারায় ভালোবাসার নিশানি যেমন পাউরুটি আর মাখন। সময় গড়ায় পুরানা ক্যাসেটের মতন তাগো ভালোবাসাও উল্টা দিকে ঘুরা শুরু
। এবার বাড়ির ইট বালু সিমেন্ট হাওয়া বাতাস তাগো ফাটাফাটি ফাইটিং এর সাক্ষী,
শরীরে ফাইটিং এর নিশানি যেমন দা কুমড়া সম্পর্ক। ফলাফল বিবাহ বিচ্ছেদ। কিন্তু পূর্বেই কইসি তাগো রাব্ব নে বানাদি জোড়ি। আবারও নতুন বোতলে পুরান মদ, কিন্তু খাসলত একই। এরহম কইরা কয়েক দফায় তালাক আর কয়েক দফায় পুনঃবিবাহ, পুরাই "কাসৌটি জিন্দেগি কি" এর মতন
। লাস্ট টাইম প্রত্যাবর্তনের পূর্বে নাকি ভাবির অন্যত্র বিবাহ হইসিলো। এরপর আর কাইজা লাগলেও তালাক হয়নি। তাগো দুই পুত্র সন্তান আছে এবং ঔরসসূত্রে প্রাপ্ত স্বভাব মোতাবেক বড় পুত্রও সমাজে বাপের মতন প্রতিষ্ঠিত মাস্তান, ছোটজনও সে পথের অনুসারী।
২. এবার এক বইনের কাহিনি কই, নাবালগ কাল থেইকা প্রেম করে। বইনটা মাশাআল্লাহ দেখতে সুন্দর কিন্তু প্রেমিক হইসে পাতিলার পিছের কালির রহম । কিন্তু প্রেম তো অন্ধ। কি আর করার বেশ কয়েক বছর প্রেম করে, চিঠির যুগ থেইকা মোবাইল পর্যন্ত প্রেম চলে
। এবার পাত্র বিয়া করতে চায় না। বহু সাধনা কইরা বিবাহ সম্পাদন কিন্তু পাত্রের পরিবার আগেই সারেন্ডার করসে ভবিষ্যতে উনিশ বিশ হইলে তাগো দায়িত্ব নাই
। রুচির অবক্ষয় হইলে মধুও বিষ লাগে। বইন জামাই পরকিয়া প্রেমে মশগুল রাইতে নেশা কইরা বাড়িত আয়া বইনরে মাইর ধইর, চুল টাইনা ঘরের বাইরে দিয়া গেট লাগায়া দিতো
। কিন্তু কিছু করার নাই। কাচা মাটির মতন ওই বইন সব অত্যাচার সহ্য কইরা গেসে, এহনও করতাসে
। দুই মাইয়া আছে। কোন বিয়ার অনুষ্ঠানে গেলে সপরিবারে জামাই ছবি তুইলা ফেবুতে দেয়। রাজনৈতিক দলের পদধারী ইমেজটাতো ধইরা রাখতে হইবো
।
৩. এবার এক প্রতিবেশী মাইয়ার ঘটনা কই। ওগো বাড়ির রেওয়াজ হইসে, বাড়ির প্রায় সবতেই ভাইগা বিয়া করে । রেওয়াজ মোতাবেক ওই ও একই রাস্তায় হাটে। পুরা এলাকায় তোলপাড় অমুকের মাইয়া ভাইগা গেছে। সমবেদনা জানাইতে আমিও ওগো বাড়িত হাজির। কি এলাহি কান্ড বাড়ির ভিত্রে। বাপে কয় ওই পোলার মুখে অমুক গুন্ডারে দিয়া এক পোস মাইরা দিমু
তাইলে কি আর আমার মাইয়া ওই দাগআলা জামাই লয়া ঘুরবো। আমি নির্বাক দর্শক হয়া তাগো ডায়লগগুলি হজম করলাম
। কি আর করার মাইয়া যহন আকাম কইরাই ফালাইসে মানতে তো হইবোই। আর্থিক টানাপোড়েন হাজারো ঝড়ঝাপটা সয়া সংসার চলে। দুইজনই তাবলীগের সাথি হয়া যায় । সাদা পাঞ্জাবি আর কালা বোরকাই তাগো লেবাস। আর্থিক অবস্থাও পরিবর্তন হয়, লগে লেবাসও, সাদাকালা বাদ দিয়া রংবেরঙের টিকটকে দেহা যায়
। এ কি হঠাৎ খবর পাইলাম পোলার আরেক জায়গায় গোপনে বিবাহ ও কয়েকখান পরকিয়া
। রাগের মাথায় বউরে তিন তালাক আর মারামারির কথা বাদই দিলাম। কষ্টের ঠেলায় বউ খাইসে হারপিক
। কিন্তু মরে নি, মরলেও হয়তো বাইচা যাইতো। সব মিটমাট কইরা সংসার এহনও আছে কিন্তু সুখ নাই। আমি যতদূর ওই পোলারে চিনি হিল্লা ছাড়া বউ ঘরে লওনের না। বাকিটা গোপন বিষয় বিস্তারিত আর শরমে জিগাইনি
। বাবাখোরের সংসারে দুই পোলা আছে, মাদ্রাসায় পড়ে।
৪.এহন স্কুলের এক পোলার কথা কই। স্কুলে থাকতেই এক মাইয়ারে পছন্দ করতো। মাইয়া আসিলো ইস্পাত কঠিন। ওর লেইগ্যা যদি চোখের সামনে কেউ বিষ খায়া গড়াগড়ি দেয় তাও ওর মন গলবো না । কয়েক বছর পর পোলা আরেক মাইয়ার প্রেমে পড়ে
এবং বিবাহ করে। মাশা-আল্লাহ পাঁচটা পোলাপান আছে
। সংসারে কোন কমতি নাই কিন্তু পোলা কয় আমি এহনও আমার প্রথম পছন্দরেই ভালোবাসি
এই লয়া নিত্য বউ জামাইর ঝগড়া বাঁধে। পোলার জীবনের অন্যতম স্বপ্ন ওই মাইয়ারে বিয়া করন, ইহকালে না হইলে পরকালে
। আমার বুঝে আহে না, ওই মাইয়া তো কোন দিন ওই পোলার লগে ভালোমত কথাও কইতো না তাও কেমনে ভালোবাসা হয়!!! সুখ্যে থাকলে ভুতে কিলায়।
৫. এই ঘটনাটাও আমার এক সহপাঠীর। ভার্সিটিতে দুইজন একই ক্লাসে পড়তো। মাইয়াটা আসিলো একটু তেজআলা। পোলাটারে তেমন পাত্তা দিতো না। কিন্তু পোলা আছিলো নাছোড়বান্দা। শেষমেষ প্রেমে রাজি কইরাই দম লইসে । এহন মাইয়ার পরিবার চায় বিবাহ হোক কিন্তু পোলার বাপে রাজি না
। শেষ পর্যন্ত মাইয়ার পরিবারের পিড়াপিড়ির ঠেলায় পোলা তার বাপের সম্মতি ছাড়া বাকি সদস্য লয়া বিবাহ সম্পন্ন করে। সময় চলতে থাকে। বউ জামাইর বাড়ি থাকে তিন দিন আর বাপের বাড়ি থেকে সাতাইশ দিন। বন্ধুরা টিটকারি মাইরা কয় ভাবি কি বাড়ি আছে নাকি বাপের বাড়ি গেসে?
কয়েক বছর পর কন্যাসন্তান হয়। বউ কয় শ্বশুর বাড়ি যামু না, জামাই কয় তোরে লয়া ভাত খামু না
। পোলার বাপ আগেই বিয়াতে না করসিলো এইবার তালাক দেওয়ার লেইগা ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম
। অবশেষে কন্যার মুখের দিকে চায়া তালাক মাটি দিয়া, বাপের বাড়ি ছাইড়া ভাড়া বাসায় থাকে।
পোলায় কয় জীবনে বাপের দুইটা কথা না হুইনা বড় ভুল করসি, এক এই মাইয়ারে বিয়া কইরা, দুই এই মাইয়ারে তালাক না দিয়া। দুনিয়ায় সহ্য কইরা গেলাম জান্নাতে ওর মুখ আর দেখবার চাইনা।
(লেখাটা নিতান্তই রম্য হিসেবে পোস্ট করলাম, গল্প হিসেবে কার কোনটা ভালো লাগলো জানাবেন )
১৩ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ৯:৩৬
আরোগ্য বলেছেন: পোস্ট করার পর আরেকটা ঘটনা মনে পড়েছে। যেহেতু আর কোন মন্তব্য আসেনি তাই নতুন করে যোগ করে দিলাম।
জগতের পিরিত ভালা না এই অমূল্য জ্ঞানগর্ভ কথাটা বুঝতে বুঝতে মানুষের জীবন পার হয়ে যায়।
আলহামদুলিল্লাহ আলা কুল্লি হাল। সর্বাবস্থায় আল্লাহর শোকর। ব্লগিং করেও এখন তেমন জমে না। সমসাময়িক ব্লগারদের তো দেখাই যায় না, তাদের মন্তব্য পাওয়া তো দুষ্কর। সেই সময়টা খুব মিস করি। আপনার মন্তব্য পেলে নস্টালজিক হয়ে যাই।
আল্লাহ সবাইকে ভালো রাখুক।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৫:২৫
নজসু বলেছেন:
কোনটা ছেড়ে কোনটার কথা বলি? দুই নম্বরটা
ভাই, জগতের পিরিত ভালা না।
কেমন আছেন আপনি? অনেকদিন পর আপনার লেখা পেলাম। ভালো লাগছে।