নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বৃহৎ পুঁজির বিরুদ্ধে লড়াই করতে বৃহত্তর পুঁজি দরকার আর সেটা আমাদের প্রান্তিক জনগণেরই আছে যার লোভে আর লাভে টিকে আছে বর্তমান পুঁজিবাদী ব্যবস্থা! কৃত্রিম 'অভাব' আর সাময়িক লাভের লোভই পুঁজিবাদের টিকে থাকার শক্তি দেয়। আমরা যতটা না বাস্তবে অভাবী তার চেয়ে অনেক বেশি মানসিক ভাবে অভাবী আর এটা পুঁজিবাদের সচেতন কন্ডিশনিং। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে ঐ দাতাদের ভাতা যোগাতে গিয়েই কৃষক আজ অভাবী। ঐ ত্রাতাদের চাপা থেকে বেরুতে পারলেই কৃষক হবে ঈশ্বরের মত স্বাধীন ও সূখী। অথচ কেবলমাত্র হিসাবে গোঁজামিল দিয়ে ধোঁকা দিয়ে কৃষকের সম্পদ চুষে নেয় পুঁজি।
বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদনে প্রত্যেক বছর সরকার ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে বিশাল পুঁজি সরবরাহ করে, যে সুবাদে মাঝে মাঝেই গভর্নর মশাই এর স্মীত হাস্য দর্শনের সুযোগ হয় আর আমারা কৃষক ও কৃষকের সন্তানেরা তাদের অবতার ভেবে নিশিদিন পূজা আর ভোগ দেই। তাদের এই দয়া না থাকলে কৃষক যে এতদিনে মরে ভূত হয়ে যেত সেটা ইনিয়ে বিনিয়ে ধমকিয়ে চারবেলা মনে করিয়ে দেওয়া হয় যাতে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকি।
এবার আসুন একটা উল্টো হিসাব করি!
প্রত্যেক বছর সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতায় দেশে আবাদযোগ্গ ও আবাদকৃত সকল ফসলের একর প্রতি উৎপাদন ব্যায় নির্ধারন করে যা মোটামুটি বাস্তবসম্মত আর বিভিন্ন উৎস থেকে হিসেবে করা হয় প্রত্যেক বছর দেশে কি পরিমান জমিতে কি ফসল চাষ করা হয়। এই তথ্যগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক সহ অনেক যায়গাতে পাওয়া যাবে। এবার ঐকিক নিয়মে বের করুন দেশে শস্য উৎপাদনে মোট কত পুঁজি জড়িত আর কত অংশ কে সরবরাহ করে। কৃষক নিজ দায়িত্বে কৃষি উৎপাদনে পূঁজি বিনিয়োগ না করলে এতে যে মহাবিশাল পুঁজি লাগে তা আমাদের রার্ষ্ট্র ব্যবস্থার সরবরাহের সক্ষমতাই নাই! সরকার, দাতা, ত্রাতা সবাই মিলেও পাঁচ দশ ভাগের বেশী পূঁজি সরবরাহ করে না কিন্তু এই উৎপাদনের উপর ভর করে টিকে আছে আমাদের সমগ্র অর্থনীতি।
পুঁজির মোকাবেলা পুঁজি দিয়েই করতে হবে এবং তা অবশ্যই সম্ভব।আপনি হয়তো বিশ্বাস করতে চাইবেন না তাই হিসাবটা নিজেই করে দেখুন বাংলাদেশে যে কোন বছরে শস্য উৎপাদনে জড়িত পুঁজি ঐ বছরের জাতীয় বাজেটে জড়িত মোট পুঁজির চেয়েও বেশী !!! কৃষকের ব্যালান্স সীট স্বয়ং রাষ্ট্রের চেয়ে বড় আর বাংলা মায়ের আছে বিশ্বের উর্বরতম জরায়ু, বাংলার কৃষক গরীব হবে কেন !? বাংলার কৃষকের অবস্থান হওয়া উচিত ঈশ্বর ও মানুষের মাঝামাঝি কারণ তারা ধরনীর ঈশ্বর!
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
কি লিখেছেন, নিজে বুঝেছেন তো?
কৃষিতে অপ্রয়োজনীয় ভর্তুকী দিয়ে শিক্ষা ও যোগাযোগকে কম দিচ্ছে।