নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মোবাইল অপারেটরদের দান খয়রাতী এখন সর্বজন বিদিত এবং বহুজন প্রত্যাশিত। বর্তমানে দেশে এগার কোটি আশি লাখের উপরে মোবাইল কানেকশন আছে (বিটিআরসি, জানুয়ারী/২০১৪) যাদের বেশীর ভাগ চালু আছে, কিছু সাময়িক ভাবে, কিছু চিরতরে বন্ধ আছে। আমরা প্রত্যেক দিন নানা ভাবে মোবাইলে অতিরিক্ত খরচ গুনতে বাধ্য হই। দুর্বল নেটওয়ার্কে কথা না হলেও বিল, পাল্স নামক চৌর্যাস্ত্র/সিঁদকাঠি, নানা জটিল প্যাকেজের কুটিল ধুম্রজাল, ধোঁকাবাজি এসএমএস ও ভ্যালু এডেড সেবার ফিসিং/খপ্পড় তো আছেই, সেই সাথে গ্রাহকের ইউসেজ পরিমাপের সঠিকতা যাচাই এর অক্ষমতা কোম্পানিগুলোকে কেবল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারেরই সূযোগ দেয়নি, দিয়েছে শয়তানের স্বাধিনতাও। যদি ঘোষিত সংখ্যার অর্ধেক মোবাইলও চালু থাকে আর নানা ফাঁদে দৈনিক গড়ে দশ টাকা ঠকে তাহলে প্রতি মাসে ঠকে দেড় হাজার কোটি টাকারও বেশী! অনেক দিন বন্ধ থাকা সিমের টাকা এমনি এমনি গায়েব হওয়া ছাড়াও চিরতরে বন্ধ সিমের টাকা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র হলেও এর সমষ্টি অকল্পনীয়ও রকমের বড়। আমরা ভোক্তা স্বাধীনতা ও অধিকার নিয়ে চিল্লা পাল্লা কম করিনা, কিন্তু দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ভোক্তা ঠকানোর এই মহা অঘটনটি দিনের পর দিন চলে আসছে সবার নাকের ডগায় অথচ অবিশ্বাস্য ভাবে তা এখনো সম্পূর্ণ লোক চক্ষুর আড়ালেই পরে আছে! একবার ভেবে দেখেছেন এ পর্যন্ত আপনি কত ঠকেছেন?!
পৃথিবীর কোন দেশেই অদাবীকৃত বা পরিত্যাক্ত সম্পদ কোন বাক্তি বা প্রতিস্ঠান দখল/ভোগ করতে পারেনা। যেমন কোন ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানে যদি গ্রাহকের অর্থ-সম্পদ একটা নির্দ্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অদাবীকৃত থাকে তাহলে তা কেন্দ্রীয় বাংকে পাঠাতে হয়। কিন্তু মোবাইল এর অদাবীকৃত ও পরিত্যাক্ত ব্যালান্স কোম্পানিগুলো একেবারে নিজের বগলদাবা করেছে কোন বাধা ছাড়াই। জনস্বার্থে সরকারের উচিৎ অবিলম্বে এ বিষয়ে আইন করা এবং এযাবৎ হজমকৃত টাকা কোম্পানিগুলোর কাছে থেকে সূদাসলে আদায় করে জনস্বার্থে ব্যায় করা, কারণ এই অর্থের প্রকৃত মালিক জনগন।
২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৮
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: অনেকদিন বন্ধ রাখলে সেই টাকা কীভাবে কোম্পানি পায়?
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৩৩
ঢাকাবাসী বলেছেন: এরা যে ঠকাচ্ছে তা সরকার খুব ভাল করেই জানে তবে কিছু বলেনা কারণ মাসে মাসে ভাগটা তো আসে!@