নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দ শ্রমিক! কেবলই গেঁথে যাই শব্দের মালা।

অরণ্য মিজান

শব্দ শ্রমিক! কেবলই গেঁথে যাই শব্দের মালা।

অরণ্য মিজান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের অনলাইন ব্যাংকিং!

২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:৩৬

অনলাইন ব্যাংকিং আমাদের প্রথাগত অনেক জটিল 'ব্যাংকিং' কাজকে সাধারণ মামুলি কাজে পরিণত করেছে, বিশেষ করে অর্থ স্থানান্তর। বাণিজ্যিক লেনদেনকে দ্রুত, সহজ ও সস্তা করেছে যা ইতোমধ্যে অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। অর্থের কারবারে ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের মনোপলি অনেক আগেই চলে গেছে, মানি সার্ভিসসহ অনেক লেনদেনই এখন অব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান যেমন পেপাল, গুগল ওয়ালেটসহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠানের হাতে চলে যাচ্ছে। যদিও বিশ্ব চলে ইকমার্সে, এখন পর্যন্ত আমাদের দেশে অনলাইন ব্যাংকিং মূলত অর্থ স্থানান্তরেই সীমাবদ্ধ, যদিও অনলাইন বিল কালেকশন অনেকটাই প্রচলিত কিন্তু অনলাইন কেনাকাটা বা লেনদেন এখনও 'ফর ডিসপ্লে অনলি'। আমাদের সামগ্রিক উৎপাদন ব্যবস্থার মোট ব্যায়ের অনেক খানিই এই ব্যাবস্থায় জড়িত অর্থের লেনদেন ও মুদ্রা বিনিময় জনিত ব্যায়ের কারণে। অনলাইন ব্যাংকিং এর সুপরিকল্পিত ব্যবহার এবং আর্থিক লেনদেন এর 'অটোমেশন' বা ইলেকট্রনিক মানির সার্বজনীন ব্যবহার একদিকে যেমন মুদ্রা ব্যবস্থাপনা জনিত ব্যায় কমাবে তেমনি সামগ্রিক উৎপাদন ব্যবস্থা আরও গতিশীল হবে যা আখেরে উৎপাদন ব্যায় হ্রাস করবে।

বাংলাদেশের অনলাইন ব্যাংকিংএবং লেনদেন ব্যাবস্থা ততক্ষন পর্যন্ত 100% নিরাপদ যতক্ষন না আক্রান্ত হচ্ছে, আক্রমন হলেই এর নিরাপত্ত্বা 000%, এইটা কোন ফ্যাক্টর নয় আমরা কয় ফ্যাক্টর নিরাপত্ত্বা ব্যাবস্থা ব্যাবহার করছি! অনলাইন ব্যাংকিং বা লেনদেনের সুবিধা বহুবিধ কিন্তু সবচেয়ে বড় অসুবিধা এবং হুমকি এর নিরাপত্তা ব্যাবস্থা যার ডাক নাম হ্যাকিং আর ভাল নাম সাইবার ক্রাইম! আর এই হ্যাকিং কখনই শতভাগ বন্ধ করা সম্ভব নয়। এর কারণ এটাই বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে লাভ জনক পেশা হওয়ায় এই পেশায় এই গ্রহের অন্যতম সেরা মেধাবী প্রাণীরা জড়িত। অনলাইন ঝুঁকি জানার জন্য আমাদের ঐ হ্যাকারদের জন্যেই অপেক্ষা করতে হয়, কারণ ঝুঁকিটি তখনই জানা যায় যখন কেউ আক্রান্ত হয়। তাই সাইবার অপরাধ আক্ষরিক অর্থেই বন্ধ করা সম্ভব নয়, কেবল মাত্র আক্রান্তের সংখ্যা সীমিত রাখা এমনকি তা এক এ নামিয়ে আনা সম্ভব। তবে সে জন্য দরকার এর সাথে সংশ্লিষ্ট সেবা দাতা, গ্রহীতা, প্রযুক্তি সহায়তাকারী ও নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সমন্বিত ও সমমানের প্রতিরোধ ব্যবস্থা। সামগ্রিক সাইবার নিরাপত্তার মান নির্ভর করে এর সাথে সংশ্লিষ্ট পক্ষ সমূহের দূর্বলতম মানের উপর। যা অনলাইন তা অবশ্যই আন্তর্জাতিকও বটে, তাই বহমান নদীর যেমন একটা নির্দিষ্ট অংশের পানি পরিস্কার রাখা সম্ভব নয় তেমনি একক কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কোন ক্রমেই শতভাগ নিরাপদ ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব নয়। তবে আমার ব্যক্তিগত অনুমান সাইবার ঝুঁকি মোকাবেলার মান নির্ভর করে 25% সেবা দাতা যেমন ব্যাংকি ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান, 25% ব্যবহৃত প্রযুক্তি ও 50% ব্যবহারকারীর উপর। এই বিবেচনায় বাংলাদেশের অনলাইন সেবাদাতা ও প্রযুক্তি যদি তাদের সর্বোচ্চ সক্ষমতায় কার্যকর থাকে তাহলে আমাদের অনলাইন/ইব্যাংকিং ব্যাবস্থা গাণিতিক ভাবে 50% আর বাস্তবে 00% নিরাপদ! কারণ হ্যাকারদর সবচেয়ে সহজ প্রবেশদ্বার ব্যাবহারকারীর যন্ত্র, আর সেই যন্ত্রে যদি পাইরেটেড সফটওয়ার থাকে তবে তাকে তুলনা করা যেতে পারে সেই গোডাউনের সাথে যার ভিতরে আছে মূল্যবান সম্পদ, লৌহকপাটে বিশাল তালা কিন্তু একদিকে দেয়ালই নাই! তার উপর অনেকের দরজা আছে তো তালা নাই, কারও আবার দরজাটাও নাই। আমাদের কপাল ভাল এখনও বিদেশী অনেক গোডাউনেরই ভাল তালা নাই আবার ঐসবে আমাদের চেয়ে দামী মাল আছে তাই হ্যাকারদের চোখ এখনও সেভাবে আমাদের উপর ফেলার প্রয়োজন হয়নি।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশে কোন কোন Bank এ ফুল ইন্টারনেট ব্যানকিং আছে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.