নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দ শ্রমিক! কেবলই গেঁথে যাই শব্দের মালা।

অরণ্য মিজান

শব্দ শ্রমিক! কেবলই গেঁথে যাই শব্দের মালা।

অরণ্য মিজান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঋণের জাল!

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৭

ঋণ বা অনুদান বা সাহায্য কোনটাই দারিদ্রের বিরুদ্ধে কোন কার্যকর অস্ত্র নয় যা ইতোমধ্যে বহুল প্রমানিত ও স্বতসিদ্ধ প্রপঞ্চ! এগুলি আসলে পুঁজিবাদের স্টান্ট যাতে মানুষকে সাময়িক ভাবে ধোকা দিয়ে অধিকার বোধহীন করে, তাদের বিমোহিত করে অন্য দিকে বড় ফায়দা লুটে। দারিদ্রের বিরুদ্ধে একমাত্র কার্যকর অস্ত্র হল এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের স্থায়ী সক্ষমতা গড়ে তোলা। অনেকেই বলে থাকেন ক্লিন্টন পরিবারের সাথে বন্ধুত্বের কারনে ড. ইউনুস ও মাইক্রো ক্রেডিটকে আমেরিকাসহ পশ্চিমারা প্রমোট করেছে যদিও মাইক্রো ক্রেডিটের ফলাফল নিয়ে তারা আগে থেকেই নিশ্চিত ছিলেন যে এর দ্বারা দারিদ্রকে যাদুঘরে পাঠানো যাবে না। কিন্তু কর্পোরেট আমেরিকার (বিশ্ব ব্যাংক) বিশ্বব্যাপী বেসরকারী করনের প্রভাব জন জীবনে এতটাই নেতিবাচক অবস্থার সৃষ্টি করত যে জন বিক্ষোবের মূখে এই প্রক্রিয়া চালানো প্রায় অসম্ভব ছিল। কারন বেসরকারী করনের ফলে অনেক সেবা যা আগে ফ্রী পায়া যেত তা এখন বাজার মূল্যে কিনে নিতে হচ্ছিল। মাইক্রো ক্রেডিটের কল্যানে মানুষের হাতে কিছু বাড়তি অর্থ যাওয়ায় তা উৎপাদনমূখী কাজে বিনিয়োগের বদলে বাড়তি জীবন যাত্রার ব্যায় মেটাতে অধিকাংশই খরচ হয়ে গেছে। দরিদ্ররা দরিদ্রই আছে কেবল মাথার উপর জমেছে ক্রমপুঞ্জিভূত ঋণ। মাইক্রো ক্রেডিটের ফল যাই হোক বিশ্ব ব্যাংক ১০০ ভাগ সফল তাদের সর্বগ্রাসী বাণিজ্যের থাবা বিস্তারে। আমার ধারনা ইউনুস সাহেব হিলারীকে নিয়ে পালিয়ে আসলেও ক্লিন্টন তার সহযোগীতা অব্যাহত রাখত অন্যথায় মাইক্রো ক্রেডিট চালু না থাকলে SAP & ESAP প্রায় অসম্ভব ছিল। বিশ্বকে বেনিয়াদের হাতে তুলে দেয়ার ক্ষেত্রে ইউনুস সাহেব অজ্ঞাতে যে পাপ করেছেন তিনি তার প্রায়শ্চিত্ত হিসেবেই হয়ত এখন 'সামাজিক ব্যাবসা'র পথে নেমেছেন!

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


ড: ইউনুসের অংশ সঠিক

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.