নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের অর্থনীতির নায়ক যে দরিদ্র কৃষক কুল তাদের পুঁজির দরকার আছে কিন্তু যত দরিদ্র তাদেরকে ভাবা হয় আসলে তারা তত দরিদ্র নয়। বাংলাদেশের কৃষকেরা প্রত্যেক বছর ৩ কোটি টন এর অধিক ফসল দেশকে দেয় প্রায় কোন রকম সহযোগিতা বা প্রতিদান ছাড়াই। এই বিশাল উৎপাদন ব্যবস্থায় যে মহা বিশাল পুঁজি জড়িত তার অতি ক্ষুদ্র অংশই প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে সরবরাহ কৃত, প্রায় পুরটাই কৃষকের প্রচেষ্টায় সংগৃহীত আর মোট পুঁজির তুলনায় প্রদত্ত ভূর্তুকীতো নস্যি মাত্র। বর্তমানে দেশের যে প্রাতিষ্ঠানিক ঋণ কাঠামো তা থেকে প্রকৃত কৃষকেরা প্রায় কোন সুবিধাই পায়না, যা পায় তাও সময়মত পায়না। কৃষি উৎপাদনে জড়িত কৃষকের আর্থিক প্রয়োজন কেবল চাষাবাদের মৌসুমেই নয়, বরং সারা বছরই তার বিভিন্ন পরিমাণে আর্থিক প্রয়োজন দেখা দেয়। বাস্তবতার আলোকে প্রচলিত ব্যবস্থার বাইরে কৃষি উৎপাদনের জন্য একটি প্রাতিষ্ঠানিক ঋণ কাঠামো দরকার যা সত্যি কার অর্থেই কৃষকের জন্য উপকারী এবং লাভ জনক হবে, যা হতে পারে বাণিজ্যিক চলতিমুলধন/নগদ ঋণের আদলে গৃহস্থালী ঋণ বা অন্য কিছু।
বর্তমান ব্যবস্থায় কৃষকের আবেদনের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালার আলোকে ব্যাংক সমূহ তার চাষাধীন জমির পরিমাণ ও ফসলের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ঋণ মঞ্জুর ও বিতরণ করে থাকে। শস্য ঋণ সাধারণত এক কিস্তিতে ফসল চাষের সময় বিতরণ ও উঠানর সময় আদায় করা হয়। এই পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট ফসল বপন কালে ঐ ফসলের সমুদয় উৎপাদন খরচ এককালীন ঋণ হিসাবে প্রদান করা হয়। এবং ফসল উঠানর প্রায় সাথে সাথেই ঋণের টাকা সুদ সহ আদায় করা হয়। ঋণ উত্তোলনের পর একেবারেই সব অর্থ ব্যয় হয়না, কিন্তু ঋণের সুদ গুণতে হয় ষোল আনা সারা বছর। আবার বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে ঋণের অর্থ অন্য খাতে ব্যয় হয়ে যায়। ফলে সেচ, সার-কীট নাশক ইত্যাদি কাজে ব্যয় করার জন্য হাতে সময় মত অর্থ থাকে না এবং উৎপাদন ব্যাহত হয়। অধিকাংশ সময় কৃষকেরা ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া সত্ত্বেও ফসল ওঠার আগ মুহূর্তে চড়া সুদে মহাজনদের কাছ থেকে ধার নিতে বাধ্য হয়। আবার বপনের সময় বেশী দামে বীজ কিনে ফসল উঠানর সাথে সাথে তুলনামূলক কম দামে ফসল বিক্রয় করতে হয় ঋণ পরিশোধের জন্য। ফসল ওঠা মাত্রই মহাজনরা তাদের পাওনা টাকা নিয়ে যায়, ব্যাংকের টাকা অনাদায়ী পড়ে থাকে। আংশিক টাকা ব্যাংকে জমা দিলে আবার তা ওঠান যাবেনা ফলে পরবর্তী ফসলের সময় আরও বড় সমস্যা হবে ভেবে অনেকেই হাতে কিছু টাকা থাকা সত্ত্বেও ব্যাংকের টাকা আংশিক পরিশোধ করে না। কালক্রমে তা শ্রেনী কৃত তথা কু ঋণে পরিণত হয়। এক সময় সুদে আসলে ঋণের টাকা পরিশোধ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে কৃষকেরা নিজেরাও অর্থনৈতিক ভাবে পঙ্গু হয়ে যায়। প্রকৃত পক্ষে একজন কৃষককে প্রচলিত নিয়মে নিয়মিত ঋণ নেওয়া-দেয়া করতে হলে তার উৎপাদিত ফসল বেচতে হবে সংশ্লিষ্ট ফসলের জীবন চক্রে সর্ব নিম্ন দামের সময়, আর প্রয়োজনীয় ফসল বা বীজ কিনতে হবে সর্বোচ্চ দামের সময়।
বাংলাদেশের সাধারণ কৃষকদের জীবন ধারণ সময়ের সাথে সাথে চ্যালেনজিং হয়ে উঠেছে। সরল উৎপাদন প্রক্রিয়ায় যে কৃষক নিপুণ শিল্পী তার অর্থনৈতিক জীবনেও এসেছে বহুমাত্রিকতা। বেশীর ভাগ কৃষক পরিবারের জীবন ধারণের জন্য যথেষ্ট ভূমি নাই। সে জন্য তাকে হতে হয় অতি হিসাবী। যেমন; ফসল উৎপাদনের বীজ সে যথাসম্ভব নিজের উৎপাদিত ফসল থেকে সংগ্রহ করে, যদি একান্তই সম্ভব না হয় তবে ঐ নির্দিষ্ট ফসল উৎপাদনের সময়ই প্রয়োজনের চেয়ে সাধ্যমত বেশী কিনে রাখার চেষ্টা করে, কারণ এ সময় উক্ত ফসলের দাম তুলনামূলক কম থাকে এবং বপনের সময় দাম বেশী থাকে। বপনের সময় অতিরিক্ত বীজ বিক্রি করে অন্যান্য ব্যয় নির্বাহ করে থাকে। আবার সুযোগ পেলে বাজারে যখন যে ফসলের দাম কম থাকে তা কিছুটা কিনে রেখে দাম বাড়লে বিক্রয় করে। অর্জিত মুনাফা তার জীবনকে সহজ করে। এভাবে খুব সাবধানে এবং ধীর গতিতে প্রায় কৃষকই শস্য কেনা-বেচার ব্যবসায় নিয়োজিত। অনেক অঞ্চলে যেটা ‘বান্দাই’ হিসেবে পরিচিত। এছাড়াও বছরের বিভিন্ন সময় সাময়িক ভাবে বিভিন্ন আয় উৎসারী কর্মকান্ডে নিয়োজিত থাকে। প্রায় সকল কৃষকই বহুমাত্রিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে তাদের জীবনের চাকা সচল রাখে, এখন আর কেউ কেবলমাত্র কৃষক বা কৃষি শ্রমিক নয়। শস্য ঋণের টাকা আনুষ্ঠানিক ঢঙ্গে বিতরণ না করে যদি একজন কৃষকের বাৎসরিক চাহিদা এবং তার ঋণ প্রাপ্তির যোগ্যতার ভিত্তিতে সর্বোচ্চ ঋণ সীমা নির্ধারণ করে চলতি/নগদ মূলধন ঋণের ন্যায় ঋণ হিসাব সৃষ্টি করা হয় যেখানে ঋণ গ্রহীতারা নির্দিষ্ট সময় অন্তর সুদ পরিশোধ সাপেক্ষে প্রয়োজন মত লেন-দেন করতে পারবে তাহলে ঋণের টাকার সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার নিশ্চিত হবে যার ফলে সার্বিক উৎপাদনশীলতাও বৃদ্ধি পাবে এবং ঋণ ব্যবহার জনিত ব্যয় হ্রাস পাবে কিন' ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে।
এটা ঠিক যে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ নয়, আভ্যন-রীন ভাবে প্রয়োজনের চেয়ে কিছু কম খাদ্য শস্য উৎপাদিত হয়। তবে এ ঘাটতি পুষিয়ে দেয় ঐ দরিদ্র কৃষকেরাই বছরের খানিক টা সময় (মঙ্গা,বন্যা,খরা ইত্যাদি দুর্যোগ কালে) এক বেলা/দু বেলা না খেয়ে বা কম খেয়ে। আমার বিশ্বাস পরিকল্পিতও সমন্বিত উৎপাদন ব্যবস্থায় বাংলাদেশের শস্য উৎপাদন বর্তমানের চেয়ে শতকরা ২০-৫০ ভাগ বৃদ্ধি করা সম্ভব অনায়াসেই। এখনো প্রতি বছর বিপুল পরিমাণে শস্য উৎপাদন যোগ্য সরকারী-বেসরকারি জমি অনাবাদী পড়ে থাকে। আবার যেগুলিতে চাষ করা হয় তার ফসল নির্বাচনও খুব একটা যৌক্তিক ও লাভ জনক নয় যথোপযোগী তথ্য, প্রযুক্তি ও উপকরণের অভাবে। সরকারের এক ঘোষণায় এক বছরের মধ্যে দেশের চাহিদা মিটিয়েও আভ্যন-রিন মোট উৎপাদিত খাদ্য শস্যের শতকরা প্রায় তিরিশ ভাগ বিশ্ব বাজারে রপ্তানির জন্য খাদ্য আমদানি কারক বিভিন্ন দেশে রোড শো এবং নৈশ ভোজের আয়োজন করার সুযোগ এনে দিতে পারে কর্তাদের। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক গুলিকে শস্য ঋণ প্রদানে নীতি সহায়তা করার জন্য বাংলাদেশে আবাদ যোগ্য প্রায় সকল ফসলের একর প্রতি উৎপাদন খরচ এবং ফসল ভিত্তিক জমির মৌসুমি ভাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারণ করাই থাকে, সেটাকে আরও বিজ্ঞান সম্মত করা যেতে পারে, সেই সাথে দরকার ছোট-খাট কিছু আইনি পরিবর্তন ও সমন্বয়। যেমন, কেউ তার নিজের জমি তিন মাসের বেশী ফেলে রাখতে পারবে না, রাখলে ঐ জমিতে স্বল্পতম সময়ে উৎপাদিত ফসলের জন্য মৌসুমি ভাড়ার সম পরিমাণ জরিমানা দিতে হবে। তবে সে নিজে অন্য কাউকে ভাড়া দিতে অক্ষম হলে কৃষি কর্মীকে জানালেই তার দায়িত্ব শেষ। চাষীরা হয় নিজেরাই অথবা কৃষি কর্মীর মাধ্যমে (সমবায় পদ্ধতি বা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের তত্ত্বাবধানে) সহজেই জমি চাষের জন্য ভাড়া নিতে পারবে, একই জমিতে একাধিক চাষি আগ্রহী হলে নিজেদের মধ্যে লটারি করে নেবে। এছাড়া আবাদ যোগ্য সরকারী জমি একই ভাবে ফসল ভিত্তিক ভাড়া নেয়ার ব্যবস্থা থাকবে, অধিগ্রহণ কৃত জমিতেও কাজ শুরুর আগে স্বল্পকালনি সবজি চাষ করা যেতে পারে। সরকারী লোকদের পরিবার সহ প্রায় অর্ধ কোটি সদস্যরা শুধু খায়, বেশী খায়, কখনো কম খায় না, কিন্তু খাদ্য শস্য উৎপাদনে যে মহান কৃষকের অবদান, খাবার কম পড়লে তারাই নিজেরা কম খেয়ে, কখনো না খেয়ে এই ঘাটতির সমন্বয় করে। তাই তারা এই মহা নায়কদের বিভিন্ন স্বাস্থকর ফল খাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারে, তারা তাদের অফিস-আদালত, সরকারী আবাসন সহ যত অব্যবহৃত খালি জায়গা আছে সেগুলির কোন স্থায়ী বড় কোন ভৌত পরিবর্তন না করে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী বিভিন্ন ফলের গাছে পূর্ণ করে দিতে পারে। উৎপাদিত ফল কে পেল আর কে খেল সেটা বড় নয়, বড় কথা হল দেশজ উৎপাদন বৃদ্ধি তো হলো,দেশের মানুষের পুষ্টি গ্রহন বাড়ল। খুব সহজেই হতে পারে বাংলাদেশের সবচেয়ে কম খরচের পানীয় খাঁটি ফলের রস, আর কেনা জানে রসের প্রতি রসনার আসক্তি?
বাংলাদেশের কৃষকেরা যে পরিমাণ ফসল উৎপাদনের জন্য যে পরিমাণ কায়িক শ্রম ব্যয় করেন তা পৃথিবীর অন্য কোন দেশের কৃষক করেনা , বাংলাদেশের কৃষি ব্যবস্থায় যন্ত্রের ব্যবহার সম্ভবত পৃথিবীতে সবচেয়ে কম বা তার কাছাকাছি। তাই নীতি গত ভাবে বাংলাদেশের কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের মূল্য অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশী হওয়া উচিতৎ, কারণ বর্তমানে খুব সামান্য বিনিয়োগেই কৃষি জমি চাষ থেকে শুরু করে ফসল কর্তন পর্যন্ত প্রায় সব কাজই যান্ত্রিক উপায়ে করা যায়। অথচ বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থা মূলত কৃষকের কায়িক শ্রম নির্ভর যা খুব সহজেই যান্ত্রিক উপায়ে প্রতিস্থাপন যোগ্য এবং তাতে ফসল উৎপাদনের প্রকৃত খরচও হ্রাস পাবে বহুলাংশে, আবার কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থা থেকে অব মুক্ত শ্রম শক্তির সুনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার সার্বিক ভাবে দেশজ উৎপাদন বাড়াবে ও মানুষের জীবন-মান এর উন্নয়ন ঘটাবে। রাষ্ট্র ব্যবস্থা কোন রকমে দরিদ্র কৃষকদের বাঁচিয়ে রেখেছে প্রায় বিনা পয়সায় কৃষি উৎপাদন অব্যাহত রাখার জন্য। অথচ সার ও তেলে যদি কোন ভর্তুকি না দিয়েও সম পরিমাণ অর্থ কৃষি যন্ত্র-প্রযুক্তি-উপকরণ খাতে বরাদ্দ দেয়া হয় তাহলে অচিরেই বাংলায় কৃষি বিপ্লব ঘটতে বাধ্য। কারণ সরকার যদি প্রতিটি গ্রামে সমবায়ের বা অন্য কোন ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামে একটি করে কলের লাঙ্গল দিতে চায় তবে তা বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন খাতে যা বরাদ্দ থাকে তার এক তৃতীয়াংশেরও কম খরচেই সম্ভব। অথচ বৃহত্তর স্বার্থে কৃষি উৎপাদনে বিনিয়োগই সর্বাধিক লাভ জনক এবং কৃষিতে যত বেশী যন্ত্র ও প্রযুক্তির ব্যবহার হবে তা তত বেশী লাভ জনক হবে এবং কৃষিতে যন্ত্রায়নই কৃষি বিপ্লবের কামানের গোলা যা ছাড়া যুদ্ধ জয় অসম্ভব।
বর্তমানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বকে নিয়ে এসেছে হাতের মুঠোয়, আর বাংলাদেশ ভৌগোলিক ভাবে খুবই ছোট্ট এবং প্রাকৃতিক ভাবে প্রায় সু সমতল বিরল একটি দেশ। প্রতিটি গ্রামকে উন্নয়নের একক (সমবায় বা অন্য কোন আদলে) ধরে একটি জীবন্ত নেটওয়ার্কের আওতায় আনা যায় সহজেই। কারণ লাখ খানেক এককের নেটওয়ার্ক নজরদারি করা সম্ভব সার্ব ক্ষণিক ও কেন্দ্রীয় ভাবে। এজন্য নতুন বা বিশাল ব্যয়বহুল কোন প্রযুক্তির প্রয়োজন নেই আদৌ। কেবল প্রয়োজন সমন্বিত পরিকল্পনা ও উদ্যোগ।
২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৮
আখেনাটেন বলেছেন: কৃষকেরা তাদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দেশের খাদ্যের যোগান দিয়ে যাচ্ছে। বিনিময়ে তাদের নিজেদের খাদ্যের যোগান কঠিন হয়ে পড়ছে। কৃষি পণ্যের ন্যায্য মূল্য বলে কিছু নেই এখন। সরকার তো কৃষির সাফল্যে বগল বাজাচ্ছে। যারা গ্রামের সাথে সম্পর্কিত তারা জানে কিভাবে গ্রামীন অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়েছে। কিছুদিনের মধ্যে ভারতের মত এ দেশেও কৃষকের আত্নহত্যার খবর শুনলে অবাক হবো না।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: অরণ্য মিজান ,
সুন্দর প্রসঙ্গ তুলেছেন । কৃষকরাই বাংলাদেশের অর্থনীতির নায়ক । যে কৃষক প্রত্যেক বছর ৩ কোটি টন এর অধিক ফসল দেশকে দেয় প্রায় কোন রকম সহযোগিতা বা প্রতিদান ছাড়াই , তাদেরকেই আমরা সহযোগিতা প্রদানের সর্বনিম্ন ধাঁপে রেখেছি ।
রাষ্ট্রীয় ভাবে যে অর্থনৈতিক সহযোগিতার কথা এবং তার পরবর্তী চরিত্র বিশদ ভাবে এখানে দেখিয়েছেন তা এই সব নায়কদের জন্যে মোটেও সম্মানজনক নয় । আমরা দেখি , হাযার হাযার কোটি টাকা ব্যাংকগুলো কৃষিতে না দিয়ে অন্যত্র ঋন হিসেবে দিয়েছে যার সিংহভাগই অনাদায়ী , খেলাপীতে পরিনত । হতাশ হয়ে যাবারই চিত্র ।
অথচ কাউকেই বোঝাতে পারবেন না ,বৃহত্তর স্বার্থে কৃষি উৎপাদনে বিনিয়োগই সর্বাধিক লাভ জনক ।
আপনার সাথে একমত হয়ে বলি - প্রতিটি গ্রামকে উন্নয়নের একক বা কমিউন হিসেবে নিতে হবেই ।