নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাহিত্য হল স্ব-পরিচালিত আলোকিত মানুষ তৈরির বিজ্ঞান আর রাজনীতি সব মানুষের আলোকিত মানুষ হবার সুযোগ নিশ্চিত করার বিজ্ঞান। সাহিত্যের লক্ষ্য মানুষকে ভবিষ্যতের আলোকিত পৃথিবীর উপযোগী করে গড়ে তোলা আর রাজনীতির কাজ বর্তমানকে সবার উপযোগী করে গড়ে তোলা। আমাদের বর্তমান সভ্যতা ঊষা লগ্ন থেকেই সাহিত্য আর রাজনীতির যৌথ অবদানে বিকশিত। তবে কুলীন সাহিত্যিক আর সাহিত্যের কুলীনেরা এক নয়, যেমন এক নয় নীতিরাজ আর রাজনীতি! কুলীন সাহিত্যিকরা জীবদ্দশাতেই খ্যাতি পায় যার স্থায়িত্বকাল ঐ জীবনকাল পর্যন্তই কিম্বা তারও কম বা কেবল এক ঝলক কিন্তু সাহিত্যের কুলীনদের খ্যাতি আসে সাধারণত মরণোত্তর তবে এর স্থায়িত্বকাল সুদীর্ঘ বা ক্ষেত্র বিশেষে অনন্ত। কর্পোরেট বদান্যতায় কুলীন সাহিত্যিকদের দৌরাত্ম্যে সাহিত্যের কুলীনেরা বহু আগেই লাইব্রেরীতে আশ্রয় নিয়ে কোন মতে নিজেদের অস্তিত্ব বিলুপ্তির হাত থেকে টিকিয়ে রেখেছেন অসহায় ছাত্রদের সহায়তায়। নীতিরাজের বাস কেবল কেতাব আর তত্ত্বে কিন্তু রাজনীতি কোন স্বতন্ত্র স্বাধীন নীতি নয় বরং বিজয়ীর নীতিই রাজনীতি, সবলের নীতি বা সরল হওয়ার জন্য নীতিই রাজনীতি। রাজনীতি শয়তানের মতই বহুরূপী অসীম ক্ষমতাধর এবং সর্ব কালে সর্বগামী। সব রাজনৈতিক দলের নিজস্ব নীতি থাকলেও কোন নীতি ভিত্তিক দল নাই। রাজনীতিবিদদের কর্মকাণ্ড দেখে কোন মতেই যৌক্তিক সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব নয় যে কে কোন দলের আবার তাদের দলীয় কর্মসূচী দেখে বোঝা অসম্ভব কোন দল কোন মতাদর্শের ভিত্তিতে পরিচালিত।
সাহিত্যিক আর রাজনীতিবিদরাই আমাদের পরিবর্তন ও জাতিগত মূল্যবোধ, নীতি-বোধ আর প্রগতির কাণ্ডারি, এদের ব্যর্থতায় প্রকৃতির নিয়মেই এই শূন্যস্থান পূরণ করে ধর্মের ভাণ্ডারী! ধর্ম কখনও ঐক্য আনে না আর সেটা ধর্মের ধর্মও নয়, ধর্মের লক্ষ্যই অন্যের চেয়ে নিজেকে স্বতন্ত্র ও শ্রেষ্ঠ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করা। এমনকি কোন দেশের প্রায় শতভাগ নাগরিক একই ধর্মের হলেও সেখানে ধর্মের অবদান ঐক্যের চেয়ে অনৈক্য সৃষ্টিতেই বেশী। ধর্ম আমাদের চরিত্র গঠনে কি ভূমিকা রেখেছে তা সুস্পষ্ট না হলেও আমাদের প্রগতির গতিতে এর নেতিবাচক প্রভাবের অসংখ্য নজির আছে, মাঝে মাঝে তো গতির চাকাই ভেঙ্গে গেছে ক্রুসেড আর জিহাদ গোলার আঘাতে। ঐতিহাসিক ভাবে আমাদের সকল গুনগত উন্নতির স্থপতি প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতিবিদরা হলেও এর রূপকার সাহিত্যিকরা। বিশ্ব ইতিহাসে বিভিন্ন দেশের সর্বোচ্চ মানবিক ও আত্মিক উন্নয়ন হয়েছে যখন তাদের রাজনীতি ও সাহিত্যের গুনগত মান সর্বোচ্চ ছিল। মানসিক ও আত্মিক উন্নয়ন ছাড়া কেবল প্রযুক্তি জ্ঞান যে একটা পুরা জাতিকে আত্মঘাতী স্টুপিডের দলে পরিণত করতে পারে তার প্রমাণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পূর্ব জার্মানি।
প্রয়োজন মাফিক সাহিত্যিক উৎপাদন করা না গেলেও প্রয়োজন মাফিক রাজনীতিবিদ উৎপাদন পদ্ধতি প্লেটো আমাদের বহু আগেই শিখিয়েছেন যদিও আমরা সে পথে কখনই হাঁটিনি। অবশ্য এখন প্লেটো মশাই বেঁচে থাকলে রাজনীতিবিদদের 'অতি উচ্চ নৈতিক গুন ও বিশুদ্ধ জ্ঞানের অধিকারী' হিসেবে শ্রেণীভুক্ত করার জন্য অনুতপ্ত হতেন। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে কোন গ্রহণ যোগ্য জাতীয় রাজনৈতিক দর্শন গড়ে ওঠেনি, আর নিজস্ব সাহিত্যিক ধারা বিকশিত না হওয়ায় সে অভাবও অনুভূত হয়নি। এর অবধারিত ফল হিসেবে আমাদের সমগ্র ব্যবস্থাই কোন না কোন স্বার্থান্বেষী মহলের মদদে ও সুবিধায় প্রতিষ্ঠিত। আত্ম বিকাশ ও আত্মোন্নয়নের জন্য রাজনীতির সাহিত্যে কিছু ইতিবাচক দিক থাকলেও সাহিত্যের রাজনীতি সর্বদাই ক্ষতিকর ও পরিত্যাজ্য, আর সে কারণেই রাজনীতিবিদের জন্য সাহিত্য চর্চা সমাদৃত গুন হলেও সাহিত্যিকের জন্য রাজনীতি চর্চা বর্জনীয় ত্রুটি। আমাদের বর্তমান সাহিত্য রাজনীতির ভারে ভারাক্রান্ত হলেও রাজনীতি প্রায় সাহিত্য মুক্ত কিন্তু অর্থনীতি আসক্ত।
২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৯
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: সাহিত্যিক ন্যায়ের দলে । রাজনীতি রক্ষা করা সাহিত্যের কাজ না ।
সৃষ্টি আর বিরোধিতা তারসঙ্গে সংকট । সাহিত্যের উপস্থিত সেখানে
৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০০
দধীচি বলেছেন: বাংলার ফেসবুক ব্লগারটারে উশটা দিয়া ডিম থেরাপি মারা লাগবে, হালায় সব পোস্টে ঘুরে ঘুরে সবাইরে ওর আইডিতে ডাকে
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৯
বাংলার ফেসবুক বলেছেন: অনেক সুন্দর পোষ্ট। পড়ে ভাল লাগলে । ভাল লাগা রেখে গেলাম সেই সঙ্গে আমার আইডিতে চায়ের নিমন্ত্রণ রইল।আপনার আসার অপেক্ষায় রইলাম কিন্ত। ধন্যবাদ।