নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দৃশ্যত সরকারি নীতিমালা, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রণোদনা ও 'সেবার' ব্রত নিয়ে দেশের সবগুলো তপশীলি ব্যাংক এসএমই খাতে ঋণ দিয়ে থাকে আর সঙ্গত কারণেই এই খাতে ঋণের সূদের হার বেশি। গড়ে বাৎসরিক প্রায় পঁচিশ ভাগ এর উপর সূদ ও অন্যান্য খরচ, এর অন্যতম কারণ এই ঋণের বিপরীতে 'যোগ্য' জামানত না থাকায় একদিকে অনিয়মিত ঋণের ঝুঁকি বৃদ্ধি অন্য দিকে সেই ঝুঁকি মোকাবেলার জন্য প্রভিশন ব্যায় বৃদ্ধি, এই দ্বিমূখী কারণে ব্যাংক গুলির পক্ষে এর চেয়ে কম খরচে সেবা দেয়া আসলে সম্ভব নয়। আবার এই খরচে তহবিল সংগ্রহ করে কারবার টিকিয়ে রাখাও মুশকিল, তাই ব্যাংক গুলি কেবলমাত্র প্রতিষ্ঠিত ও লাভজনক এসএমইতেই বিনিয়োগে আগ্রহী আর পুঁজির সুরক্ষার্থে সেটাই স্বাভাবিক। তাই সম্ভবত বাংলাদেশের কোন ব্যাংকই (সরকারি ছাড়া) নতুন এসএমই স্থাপনে ঋণ দেয় না আর সরকারী ব্যাংক গুলিতো আর সাধারণ জনগণের নয়।
আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি নতুন এসএমই স্থাপন সব সময়ই ঝুঁকি পূর্ণ ও এর সাফল্য ব্যাক্তি কেন্দ্রীক, এর কোন প্রমিথ ও নৈর্বাক্তিক মাপ কাঠি নাই যা দিয়ে এর ভবিষ্যত Calculate করা যাবে, বড় জোর Speculate করা যায় । কিন্তু নীতিগত ভাবে বাংক Calculative, Speculative নয় কারণ ব্যাংকের অর্থ জনগণের, কোন ঝুঁকি পূর্ণ খাতেই ব্যাংকের বিনিয়োগ করা উচিৎ নয়। এসএমইতে অর্থায়নের জন্য ব্যাংক যেমন উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান নয় তেমনি এসএমই এর জন্যও এটা লাভজনক তহবিলের উৎস নয়। তারপরেও এই ব্যাবস্থা বহাল থাকায় উচ্চ সূদ ব্যায় জনীত কারণে সামষ্টিক অর্থনীতিতে এর বিরূপ প্রভাব ফেলে। নতুন এসএমই তৈরিতে অর্থায়নের জন্য দরকার ভেঞ্চার ক্যাপিটাল যা ছাড়া আসলে এন্টারপ্রেনর সৃষ্টি অসম্ভব। সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশের কোন ব্যাংকই এন্টারপ্রেনরদের ঋণ দেয় না, ঋণ দেয় প্রতিষ্ঠিত ও সচ্ছল ব্যবসায়ীদের!
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৮
অগ্নি সারথি বলেছেন: কোন ব্যাংকই এন্টারপ্রেনরদের ঋণ দেয় না, ঋণ দেয় প্রতিষ্ঠিত ও সচ্ছল ব্যবসায়ীদের! - সহমত।