নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মনে আমার হাজার প্রশ্ন উত্তর কোথাও নাই,
উত্তরটা সবারই জানা বলার দরকার নাই।
শুধু প্রশ্ন বাণেই বধিব সিঁদেল রাম ও রাবণ,
অসঙ্গতি ভেসে যাবে হলে প্রশ্নের প্লাবন।
আমার ধারণা শ্রেণীহীন পৃথিবীটা প্রেমহীন পৃথিবীর মতই শ্রীহীন হবে! মানুষের মধ্যে শ্রেনী ভেদ আছে বলেই বেঁচে থাকাটা এতটা বর্নিল আর শ্রেনীবদলই বেঁচে থাকার আসল প্রেরণা। যদিও আজতক নিজেকে ছাত্র ছাড়া আর কোন শ্রেনীভুক্ত বলে বিশ্বাস করতে পারিনি। বাস্তবে শ্রেনীহীন সমাজ-রাষ্ট্র-পৃথিবী সম্ভব বলে মার্ক্স নিজেও বিশ্বাস করতেন এটা আমার মোটেও বিশ্বাস হয় না। পৃথিবীর কোথাও কখনই ধ্রুপদী সমাজতন্ত্র ছিল না আর তা সম্ভবও নয়। আর পূঁজিবাদ যে রুপেই থাকুক তাতে শোষনের ধরণ বদলায় পরিমান নয়। সব মানুষ সমান এই ধারণাটা আমাদের পূর্বপুরুষদের জঙ্গল জীবনের জন্য প্রযোজ্য ছিল কারণ ওটাই ওখানকার নীতি। সভ্য মানুষেরা নিজেদের প্রাণী থেকে মানুষে রুপান্তর করবে আর এই রুপান্তরের হার নির্ধারণ করবে যার যার শ্রেনী। তবে অধিকারের প্রশ্নে মানুষ মাত্রই সমান অধিকার। পৃথিবীতে সাম্য বা ভারসাম্য কোনটাই সম্ভব নয় সম্পদের ব্যাক্তিগত উত্তরাধিকার প্রথা বহাল রেখে। ধরনীতে ধনী গরীব বৈষম্যের মূল হোতা এই উত্তরাধিকার প্রথা। পৃথিবীর সকল সম্পদে সকল মানুষের সম অধিকার জীবনের মৌলিক অধিকার যা ছাড়া নিজেদের সভ্য ভাবার কোন অধিকারই মানব জাতীর নাই। উত্তরাধিকার প্রথা বহাল রেখে মানব জাতীর পক্ষে কোন দিনও মানুষ হওয়া সম্ভব নয়!
আমাদের জাগতিক ধারণার মৌলিক ভিত্তি গুলোর প্রেক্ষিত সাংঘাতিক ভাবে শিল্প বিপ্লব ও পূঁজীবাদী ধ্যান ধারণা দ্বারা সচেতন কৌশলে প্রভাবিত। আর নিয়তি নির্ভর মনুষ্য প্রজাতির সদস্যরা কৃত্রিম ও সূযোগী সংকটের দায় কপালের উপর চাপিয়ে সব কিছু মেনে নিয়ে নিজেকে সর্বসহ্য বলদ প্রাণীতে পরিণত করার তালিম নিচ্ছে। যে সব প্রেক্ষিতে আমাদের জীবন নির্ধারণী নীতি গুলি তৈরী হয়েছিল তা আমুল বদলালেও তার সাথে সংগতি রেখে নীতি বদলায়নি তা শাসক গোষ্ঠীর সুবিধার্থে বরং যে টুকু বদলেছে তাও তাদেরই সুবিধার্থে। বর্তমান ব্যাবস্থা আর কোন ক্রমেই মেরামত যোগ্য নয় দরকার এর আমুল পরিবর্তন যা বিপ্লব ছাড়া সম্ভব নয়। তবে এই বিপ্লবের জন্য বন্দুক বা জঙ্গল কোনটাই দরকার নেই দরকার কেবল প্রশ্ন করতে শেখা সিস্টেমকে তার অসারতা নিয়ে। বাকিটা সবাই জানে কোনটা ঠিক আর কোনটা বেঠিক।
সসস্ত্র বিপ্লবের বা ক্ষমতা দখলের হিরোইজম ফ্যান্টাসি বহু আগেই মেয়াদোত্তীর্ন হলেও যারা বাম কানে শোনে তারা এখনো সেটা জানেনা। এখন বন্দুক দিয়ে বিপ্লব কোন মতেই সম্ভব নয় তবে প্রশ্ন দিয়ে অবশ্যই সম্ভব! প্রশ্নহীনতাই অসঙ্গতিকে সঙ্গত করে মৌন সম্মতি দিয়ে। উত্তর পাওয়ার না পেলেও কিচ্ছু যায় আসে না। আকাশ বাতাস প্রশ্ন গুলি জেনে গেলে উত্তর একদিন আসবেই। কিম্বা উত্তরের আর প্রয়োজনই হবে না সঙ্গত কারণেই। যে কোন অসঙ্গতি দেখা মাত্রই প্রশ্ন করুন, এমনকি ঈশ্বরও বাদ যাবে না।
ভাবছ তোমার মতলব আমার জানা নাই,
সবই জানি সবই বুঝি ধরলে রক্ষা নাই।
প্রশ্ন দিয়ে লড়াই হবে আগামীর রাজপথে,
প্রশ্ন বিনা ছাড় নাই ঈশ্বর আসলেও পথে।
২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪০
জনাব জব্বর বলেছেন: হুম্ম। দ্যাখা যাক কতদিনে হয়। প্রশ্নই যদি ঈশ্বর হয়ে উঠতে পারে, আপত্তি কিসের?
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩২
চাঁদগাজী বলেছেন:
প্রলাপ