নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দ শ্রমিক! কেবলই গেঁথে যাই শব্দের মালা।

অরণ্য মিজান

শব্দ শ্রমিক! কেবলই গেঁথে যাই শব্দের মালা।

অরণ্য মিজান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাম করে কামু, কলা খায় মামু!!!

১০ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৩:১৫

মাঝে মাঝেই এই সব বাজাইরা খবর নিয়া আজাইরা চিল্লা পাল্লা দেখে পিত্ত্বি জ্বলে যায়! রিজার্ভ ২৪০০ কোটি ডলার তো এতে খুশি হওয়ার কি আছে? যেখানে হাজার/বারশ কোটিতেই আমাদের বৈদেশিক বাণিজ্যের ভারসাম্য রাখা সম্ভব সেখানে এর দ্বিগুন কষ্টারজিত অর্থ বিদেশী ব্যাংকে জমা রেখে (যা সেখানকার উৎপাদনে ব্যবহার হচ্ছে) আর কেবলমাত্র কাগুজে হিসাব কানে গুঁজে থাকা তো মারা দেওয়া! এতো দেনমোহর দিয়ে বিয়ে করলেন আপনি আর বউ থাকে পাশের বাড়ীওয়ালার কাছে আর আপনি পকেটে কাবিন, বিছানায় ছারপোকা, মেঝেতে তেলাপোকা আর পাছায় কৃমি নিয়ে বিয়ে হইছে সেই ঘোড়ে বেঘোড়ে আছেন!!

দুনিয়ার তামাম দেশ যখন তাদের রিজার্ভে ডলার নিম্ন মাত্রায় নামিয়ে এনে তার স্থলে সোনার রিজার্ভ বাড়াচ্ছে সেখানে আমরা এখনও গুঁড়া কৃমি ধরার কল্প সূখে মশগুল। আম্রিকা ব্রিটন উড ভূতের ঘাড়ে ভড় করে তামাম দূনিয়াকে ধাপ্পা দিয়ে ৩৫ ডলারে ১ আউন্স সোনা দেয়ার কথা বলে ডলারকে আন্তর্জাতিক মূদ্রা হিসাবে চুক্তি করে দুনিয়ার ঘাড়ে গছিয়ে ধাপ্পাবজী করে চাহিদা বৃদ্ধির অজুহাতে অকাতরে ডলার ছাপানোর মচ্ছব শুরু করে যা এখনও অব্যাহত আছে।

আর সোনা?? এইবার নিজের সোনা সামলান! দাম বৃদ্ধি না করার চুক্তি থাকলেও ধান্ধাবাজী করে এক তরফা ভাবে প্রথমে ৩৭ এরপর ৪২ ডলারে ১ আউন্স সোনার দাম নির্ধারণ করা হয় আর এটাই গোল্ড স্ট্যানডার্ড ডলারের শেষ অফিসিয়াল মূল্য! এর পর সোনার দাম বেড়ে গেলে আবারও এক তরফা ঘোষণা তবে এবার আর কোন নির্দিষ্ট দাম নয়, বাজার মূল্যে। এখানেই মেজাজ খারাপ হলে ধৈর্য্য ধরুন! ঠিক যে বছরে আমরা স্বাধীন হই সেই বছর ১৫ আগস্ট এর নিক্সন শক (https://youtu.be/rcnhF09QN78 ) পরাধীন করেছে বিশ্বকে ! ভদ্রলোক ডলারের সাথে সোনার বিনিময় যোগ্যতা সাময়িক ভাবে স্থগিত করলেন যা এখনও প্রত্যাহার হয়নি বরং বিনিময় যোগ্যতা বাতিল করে ১৯৭৯ সালের মধ্যেই আম্রিকা থেকে সোনা রপ্তানিই নিষিদ্ধ করে যা আজও বহাল। সেই থেকে ডলারের দাম বাজার নামক আম্রিকা নিযুক্ত দালাল দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ও আম্রিকার স্বার্থে পরিচালিত।

ডলারের বদলে সোনা দেয়ার কথা বলে কাগজ ছাপিয়ে যখন দুনিয়া সয়লাব তখন ঘোষনা দেয় সোনা তো দুরে থাক কলাও দিবেনা! ডলারের মূল্য নাকি বাজার ছাড়া আর কারও নিয়ন্ত্রনে থাকাই উচিৎ নয়! আর তখন থেকেই ডলারের নিজস্ব মূল্য কাগজ ছাড়া কিছুই নয়। তারপরও তামাম দুনিয়ার মানুষ মাস হিষ্টেরিয়া আক্রান্তের মত কাল্পনিক মূল্য ধরে বাস্তবে লেনদেন চালাচ্ছে। মানুষ কেবল বিশ্বাস করে বলেই এর দাম আছে তাছাড়া এর কানা কড়িও মূল্য নাই। গল্প এখানে শেষ হলে তো ভালই হতো! ব্রিটন উডের জারজ বংশবদ আইএমএফ নামক শয়তানের চেলা দ্বারা ১৯৮০ সালের পরে কুট কৌশলাশ্রিত হুমকি ধামকির মাধ্যমে বাধ্য করে ডলার ছাড়া অন্য মুদ্রায় আমদানী রপ্তানী প্রকারন্তরে নিষিদ্ধ করে আরোপিত নানা চুক্তির বেড়াজালে। ১৯৯১ সালে অনেকটা হঠাৎ করেই ইরাক আক্রমনের কারণ ছিল দেরী করলে তখন ইরাক ইউরোতে তেল বিক্রি শুরু করে দিত যা সময়ে আরো বিস্তৃত হয়ে ডলার সাম্রাজ্যকে ক্ষয় করে ফেলত!

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ১৯৭৯ সালের মধ্যে আম্রিকা বিনা যুদ্ধে কেবল ‘সিস্টেম’ করে বিনা বাধায় কার্যত মহাবিশ্ব কিনে ফেলেছে মহা আশ্চর্যজনক ভাবে তেমন কোন হই চই ছাড়াই। এই ডলার সাম্রাজ্যই আম্রিকার আসল ক্ষ্যামতার উৎস, এই উৎস উন্মুক্ত রেখে কোন কালেই বিশ্বের অর্থনৈতিক মুক্তি সম্ভব নয়। এখন অবশিষ্ট দুনিয়া সিস্টেমের গ্যারাকলে পরে নিজেদের মুদ্রার রক্ত দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে মৃত ডলারকে। এই মূহুর্তে বিশ্ববাসী কেবল মাত্র ডলারে লেনদেন বন্ধ করলে জাতিসংঘের রিলিফ ছাড়া আম্রিকা ভাত পাবেনা, মানুষ বসনিয়া সোমালিয়ার কথা ভুলে যাবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.