নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সব মানুষই জন্মগত ভাবে দাসত্ব প্রবণ! তাই অজ্ঞাতসারেই প্রতি নিয়ত গড়ে তোলে নিজের স্বেচ্ছা দাসত্বের শৃংখল। ব্যক্তিগত পর্যায়ে এর নাম বিশ্বাস (Beliefs) বা নীতিবোধ (Ethics) , সমষ্টি গত পর্যায়ে পারিপার্শিকতা বা 'সিস্টেম'। মানব পিড়নের যত সিস্টেম পৃথিবীতে আছে তার অধিকাংশই আমাদের সচেতন সৃষ্টি। মানব সভ্যতার ঊষালগ্ন থেকে আজতক মানবজাতী তার মেধা ও সম্পদের সিংহভাগ ব্যায় করে আসছে অপর মানবের বিরেদ্ধে আক্রমন বা আত্মরক্ষায়।
যেহেতু এখন পর্যন্ত মানুষ তার সিংহ ভাগ ক্ষমতা ও সম্পদ ব্যয় করে অপর মানুষকে আক্রমণ এবং অপর মানুষের আক্রমণ থেকে আত্ম রক্ষ্যায়, তাই সভ্যতার মাপ কাঠিতে পশু হতে খুব বেশি উপরে নাই! পশুরা জৈবিক প্রবণতা ও অভ্যাসে পরিচালিত, মনুষ্য প্রজাতির সিংহ ভাগ সদস্যরা কেবল পশুর চেয়ে যৎকিঞ্চিত উন্নত, বেশীর ভাগ মানুষ প্রথাগত অভ্যাস ও অন্ধ বিশ্বাসে পরিচালিত, খুব অল্প মানুষই জ্ঞান দ্বারা পরিচালিত।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:১৪
অরণ্য মিজান বলেছেন: ধন্যবাদ জনাব। কারও উপর যদি কেউ ভর করে তবে সে কি নিজে তা বোঝে! আপনার অনুমান সত্যি হলে খুশিই হতাম): হাহ্ হা!
২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:০৪
পুলক ঢালী বলেছেন: সুন্দর বলেছেন। তবে আমি একটু দ্বিমত করবো সব মানুষই জন্মগত ভাবে দাসত্ব প্রবণ
এই কথাটির সাথে। আসলে সব মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা বোধ কাজ করে, তাই' শক্তিমান বা শক্তিশালী কারো কাছে আশ্রয় খোঁজে আত্মসমর্পনের জন্য এবং সেক্ষেত্রে স্রষ্টাকেই একমাত্র আশ্রয় হিসাবে বেছে নেয় এবং তার কাছেই আত্মসমর্পন করতে চায়।
বাকী কথাগুলির সাথে সহমত।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:১৬
অরণ্য মিজান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্য।
৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:১৩
মলাসইলমুইনা বলেছেন: " মানুষ তার সিংহ ভাগ ক্ষমতা ও সম্পদ ব্যয় করে অপর মানুষকে আক্রমণ এবং অপর মানুষের আক্রমণ থেকে আত্ম রক্ষ্যায়...|"
"বেশীর ভাগ মানুষ প্রথাগত অভ্যাস ও অন্ধ বিশ্বাসে পরিচালিত, খুব অল্প মানুষই জ্ঞান দ্বারা পরিচালিত "
মনে হলো আপনার এই দুটো কথা কন্ট্রাডিক্ট করলো | প্রথম কথাটার ক্ষেত্রে কিন্তু প্রথাগত অভ্যাস বা অন্ধ বিশ্বাস জড়িত নয় | এখানে মানুষ কিন্তু জ্ঞান বুদ্ধি দিয়েই ঝামেলা করছে |
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:৩২
অরণ্য মিজান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্য।
দেখুন বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আমাদের আক্রমন বা আত্মরক্ষার তাগিদের পেছনে কোন যৌক্তিক কারণ থাকে না আবার যে উপায়ে এই তাগিদের প্রকাশ ঘটে তাও বাস্তব সম্মত নয়, বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই প্রথা, অভ্যাস বা বিশ্বাস তাড়িত হয়ে জ্ঞান বুদ্ধি দিয়েই ঝামেলা করে। এখানে ঝামেলা সৃস্টিতে তার মেধা ও জ্ঞানের সর্বোচ্চ প্রয়োগ ঘটালেও ঝামেলার কারণটি অবিবেচনা প্রসুত।
৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: কথা সত্য বলেছেন।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:৩৩
অরণ্য মিজান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন।
৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:২৩
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
প্রাচীন কালথেকে মানুষের মধ্যে অনিশ্চয়তা নিরাপত্তাহীনতা বোধ কাজ করে,
তাই বিপদে কল্পিত শক্তিমান দেবতা বা ঈশ্বরকে ডাকে, আশ্রয় হিসাবে বেছে নিতে চায় এবং তার কাছেই আত্মসমর্পন করতে চায়।
তখন সুযোগ নেয় অপেক্ষাকৃত বুদ্ধিমানরা। নিজেকে বা নিজেদের পুরোহিত, আউলিয়া, পীর-পয়গম্বর ইত্যাদি মহামানব রুপে দাবি করে বিচ্ছিন্ন ভাবে নিজেকে/নিজেদের ঈশ্বরের প্রতিনিধি দাবী করে।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:৩৫
অরণ্য মিজান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, আপনি যথার্থই বলেছেন।
৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৪
অরণ্য মিজান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ, একটু দৌড়ের উপর আছি, শিঘ্রই আসছি!
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৬:২৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার মাঝে ভগবান বুদ্ধের আত্মা ভর করেছে, মনে হয়!