নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দ শ্রমিক! কেবলই গেঁথে যাই শব্দের মালা।

অরণ্য মিজান

শব্দ শ্রমিক! কেবলই গেঁথে যাই শব্দের মালা।

অরণ্য মিজান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্যাংকিং সেবা নাকি বাটপারি!

২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১১

ব্যাংকিং নাকি সেবা! হাও ফানি!

বিগত প্রায় দুই দশক ধরে প্রযুক্তির যে উন্নয়ন হয়েছে তা মনে হয় ইতিপূর্বের সমস্ত উন্নয়নের সমষ্টির চেয়ে বেশি, এজন্যই হয়তো প্রযুক্তি বিস্ফোরণ শব্দ যুগলের আবির্ভাব। যদিও যন্ত্র উন্নয়নের মৌলিক জ্ঞান আগের শতাব্দীর অর্জন কিন্তু গত সিকি শতাব্দী ধরে চলা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিপ্লব এখন এর শীর্ষে বা এর কাছাকাছি আছে বলে অনেকে মনে করেন কারণ বর্তমান প্রযুক্তিগত এই সক্ষমতা মানুষকে দিয়েছে যন্ত্রের উপর সীমাহীন নিয়ন্ত্রন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মূল সুবিধাভোগী বা অন্য কথায় এই উন্নয়নকে সর্বোচ্চ ক্ষমতায় কাজে লাগিয়ে সুফল নিয়েছে ব্যাংকিং খাত তা জাতীয় বা আন্তর্জাতিক সকল ক্ষেত্রেই। যোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যাণে ব্যাংকিং এখন প্রচলিত ধারণার বাইরে নানা সুবিধা বিশেষ করে অনলাইন ব্যবহারের ক্ষেত্রে বহু মাত্রিকতা এর মৌলিক চরিত্র বদলে আন্তর্জাতিক করে দিয়েছে, এখন জাতীয় ব্যাংকিং এর ধারণা ইতিহাস, ব্যাংকিং এখন জন্মসূত্রেই আন্তর্জাতিক। সেই সাথে জটিল, শ্রম ও সময় সাধ্য হিসাবায়নের কাজ কম্পিউটার নামক দৈত্যের ঘাড়ে চালান করে সময় ও খরচ অবিশ্বাস্য ভাবে কমিয়ে দিয়ে সামগ্রিক ভাবে এই খাতের সক্ষমতা বাড়িয়ে দিয়েছে। সাধারণ গ্রাহক প্রত্যক্ষ ভাবে এর সুফল পায় সেবা প্রাপ্তির সময়ে, প্রায় প্রতিটি ব্যাংকিং সেবা আগের চেয়ে এখন অবিশ্বাস্য দ্রুততার সাথে পাওয়া যায় প্রায় সব খানে সব মাধ্যমেই। এখন যে কেউ চাইলেই আক্ষরিক অর্থেই টাকা স্পর্শ না করেই তার জীবনের সমস্ত আর্থিক লেনদেন সারতে পারবে।
ব্যাংকগুলি তাদের প্রথাগত খাতের অবমুক্ত শ্রম নানা সৃষ্টিশীল কাজে ব্যবহারের সুযোগ পায় যার প্রতিফলন হিসাবে বিশ্বের সব ব্যাংকেরই সুদ বহির্ভূত আয় ক্রমবর্ধমান যার ফলে খাত হিসাবে ব্যাংকিং সবচেয়ে বেশী চাকচিক্যময় অফিসের মালিক ও সর্বোচ্চ বেতনদাতা, সেই সাথে সর্বাধুনিক তথ্য ও যোগাযোগ সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি এবং সঙ্গত কারণেই নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ব্যবহারকারী, এর সাথে সাম্প্রতিক সংযোজন কর্পোরেট দায়বদ্ধতার বিলাসিতা।
এই পর্যন্ত সবই ভাল লাগে, কিন্তু যখন মনে হয় ব্যাংকের প্রায় সব কাজ সম্পাদনে আগের চেয়ে ধারাবাহিক ভাবে কম শ্রম ও সময় লাগলেও কেন প্রত্যেকটি ব্যাংকিং সেবার খরচ ধারাবাহিক ভাবে উর্ধমুখী! এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে সামনে আসে ঝাঁ চকচকে বিজ্ঞাপন, সামাজিক দায়বদ্ধতার নামে নানা ব্যাক্তি ও গোষ্ঠীর প্রতি অযাচিত আনুকূল্য, অযৌক্তিক বেতন ভাতার মাধ্যমে সজন তোষন, নানা সেবা ও পণ্য ক্রয়ে সরবরাহকারীকে উচ্চ মূল্য প্রদান ইত্যাদি, কিন্তু এর মধ্যে কোন ব্যাংকিং কারণতো খুঁজে পাই না! গভর্নর মহোদয় মাঝে মাঝেই ব্যাংকগুলিকে তাদের সিএসআর খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য অনুনয় বিনয় করেন, কিন্তু ব্যাংক তো আর মালিকের টাকা খরচ করে না, তারা এতটাই মুনাফা করে যে জনগণের টাকায় যাচ্ছে তাই মচ্ছব করেও তাদের মুনাফার সূযোগ ক্রমবর্ধমান। যদিও ব্যাংকিং সেবার ব্যায় একেবারে লাগামহীন অবস্থা থেকে দৃশ্যত কিছুটা লাগামিত বাস্তবে যেই লাঊ সেই কদু সবই শুভংকরের ফাঁকি! যে কোন ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধনের তুলনায় মুনাফার হার বিবেচনা করলেই বোঝা যাবে যে ডাকাতির চেয়েও ব্যাংক ব্যাবসা বেশি লাভজনক, আর এ জন্যই অর্থনৈতিক বিবেচনায় প্রয়োজন না থাকলেও নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স এত বেশি আরাধ্য। আর এই ব্যবসা সর্বদাই মাফিয়া চক্রের নিয়ন্ত্রণে পারস্পরিক সুবিধার্থে সরকারের জ্ঞাতসারেই!!!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ব্যাংক কখনো দারিদ্র বিমোচনে কাজ করেনা। এটা ধনীকে অধিকতর ধনী করার সিস্টেম বই অন্য কিছু নয়।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৩৭

অরণ্য মিজান বলেছেন: একদমই হক কথা বলেছেন, ধন্যবাদ।

২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৫৯

দি রিফর্মার বলেছেন: পুঁজিপতিদের সম্পদের পাহাড় গড়ার যন্ত্র, যার নীচে পিষ্ট হয় স্বল্প আয়ের লোকেরা। কিছুই বলার নাই।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:০৫

অরণ্য মিজান বলেছেন: যথার্থ বলেছেন, ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.