নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দ শ্রমিক! কেবলই গেঁথে যাই শব্দের মালা।

অরণ্য মিজান

শব্দ শ্রমিক! কেবলই গেঁথে যাই শব্দের মালা।

অরণ্য মিজান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভুল সবই ভুল!!!

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:০৩

‍"জ্ঞান অর্জনের জন্য সুদূর চীনে যাও"। মহানবী (সাঃ) কথাটি বলেছিলেন বিদায় হজ্বের ভাসনে। ইসলামের অন্যান্য সূত্র অনুযায়ী মানব জীবনের উৎকৃষ্টতম অর্জন হলো আল্লাহর পথে শহীদ হওয়া। আবার হাদিস অনুযায়ী জ্ঞানার্জন প্রত্যেক মুসলিম নর নারীর জন্য ফরজ। অন্য হাদিসে আছে বিদ্যানের কলমের কালি শহীদের রক্তের চেয়ে পবিত্র।
উপরের বক্তব্য যদি বিশ্বাস করা হয় তাহলে এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে মানব জীবনের উৎকৃষ্টতম অর্জন হলো আল্লাহর পথে শহীদ হওয়া কারণ শহীদেরা পরকালে নিশ্চিত বেহেস্ত বাসী আর এ জন্যই যুগে যুগে হাজারো মানুষ হাঁসি মুখে শহীদ হয়েছেন এবং হচ্ছেন। আল্লাহ সকল শহীদদের বেহেস্ত নসিব করুন এই কামনা করি কিন্তু সত্যিকার শহীদ কে এ বিষয়ে যথেষ্ট বিতর্কের সুযোগ আছে। প্রকৃত শহীদ কে তা নির্ধারণে ধোঁয়াসা থাকলেও সত্যিকার জ্ঞান অর্জন বলতে কি বুঝায় তা সুনির্দিষ্ট এবং প্রকৃত শহীদ হওয়ার চেয়ে জ্ঞান অর্জন এর বিষয়টি অনেক বেশি স্পষ্ট, সহজ,নির্দিষ্ট ও উৎকৃষ্টতম।
অনেকেই বলে থাকেন যে চীন দেশের উদাহরণ রুপক অর্থে ব্যবহৃত, সে সময়ে আরব থেকে চীন গমন খুবই দুর্গম ছিল তাই কষ্টকর দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে হলেও জ্ঞান অর্জন করতে চীনের উদাহরণ দেয়া হয়েছে আবার কেউ কেউ বলেন তৎকালীন চীন জ্ঞান বিজ্ঞানে অনেক উন্নত ছিল তাই চীনের উদাহরণ দেয়া হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা যাই হোক না কেন একথা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে সে সময় চীনে যত জ্ঞানই থাকুক না কেন কোন ইসলামী জ্ঞান বা হাদিস কোরআন এর জ্ঞান ছিল না। কিন্তু কোন এক অজ্ঞাত কারণে প্রায় সকল ইসলামী পন্ডিতগন বিধর্মীদের লেখা যে কোন বই পড়াকেই পাপাচার এবং হারাম মনে করেন কিন্তু তাদের প্রায় সকল আবিষ্কারের পর ইসলামী পন্ডিতগন দাবী করেন এ কথা ইসলামী কিতাবে আগেই বলা হয়েছে এবং বিধর্মীদের প্রায় সকল আবিষ্কারের মূল সূত্র হাদিস ও কোরআন গবেষণা করে প্রাপ্ত‌।
বিধর্মীরা আবিষ্কারের আগে কেন মুসলমানেরা এটা আবিষ্কার করতে পারল না এমন প্রশ্ন না তুলেও আমার ভোঁতা মাথার সরল প্রশ্ন-
*ইসলামে জ্ঞান অর্জন বলতে কি কেবলমাত্র ইসলামী জ্ঞানকেই বোঝানো হয়েছে নাকি জ্ঞান ধর্ম নিরপেক্ষ!
**বেহেস্ত লাভই যদি জীবনের পরম লক্ষ্য হয় তাহলে শহীদ হওয়ার চেয়ে জ্ঞান অর্জনই কি সহজ ও উৎকৃষ্টতম পথ নয়!

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:১৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: প্রথম কথা হলো চীনে যাওয়ার কথা বলা হাদীসটি জাল। এটা বেশীর ভাগ মানুষই জানে। আপনি এখনো কেন জানতে পারলেন না জানিনা। আর বিদায় হজ্জ্বের ভাষণে এই কথা বলাও হয়নি।
প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর ওপর জ্ঞান অর্জন করা ফরজ - এই হাদীসটি সহীহ। এখানে অবশ্যই ইসলামী জ্ঞানকে বোঝানো হয়েছে। আরো ভালো করে জানতে নেট-এ সার্চ করুন।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:২৭

অরণ্য মিজান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। স্বীকার করতে দিধা নাই যে হাদিসটি যে জাল এ বিষয়ে আমার জানা ছিল না, অন্ধ জনে আলো দানের জন্য কৃতজ্ঞ এবং ঋণী রইলাম।
আমার লেখাটি আসলে হাদিসের সত্যতা নিয়ে নয় যদিও তা প্রাসঙ্গিক কারণে এসেছে। প্রকৃতপক্ষে আমার লেখাটির ফোকাস ইসলামে জ্ঞান বলতে কি বোঝানো হয়েছে সে বিষয়ে।

২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:২০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ইসলাম প্রতিষ্ঠার পথে শহীদ হলে জান্নাত পাবেন। এখন যেখানে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত সেখানে আপনি এলেম অর্জন করেন কোন সমস্যা তো নাই...

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৩০

অরণ্য মিজান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আমার লেখাটি আসলে জান্নাত নিয়ে নয় যদিও তা প্রাসঙ্গিক কারণে এসেছে। প্রকৃতপক্ষে আমার লেখাটির ফোকাস ইসলামে জ্ঞান অর্জন বলতে কি বোঝানো হয়েছে সে বিষয়ে।

৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৪:২৩

ঢাকার লোক বলেছেন: ‍"জ্ঞান অর্জনের জন্য সুদূর চীনে যাও"এবং "বিদ্যানের কলমের কালি শহীদের রক্তের চেয়ে পবিত্র।" দুটি বক্তব্যই আমাদের সমাজে হাদিস হিসাবে চালু থাকলেও এগুলো প্রকৃত হাদিস নয়, বানানো এবং জাল। জাল এবং সহি হাদিস সম্বন্ধে একটু খোজ খবর নিলেই জানতে পারবেন. ধন্যবাদ

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৩১

অরণ্য মিজান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। স্বীকার করতে দিধা নাই যে হাদিসটি যে জাল এ বিষয়ে আমার জানা ছিল না, অন্ধ জনে আলো দানের জন্য কৃতজ্ঞ এবং ঋণী রইলাম।
আমার লেখাটি আসলে হাদিসের সত্যতা নিয়ে নয় যদিও তা প্রাসঙ্গিক কারণে এসেছে। প্রকৃতপক্ষে আমার লেখাটির ফোকাস ইসলামে জ্ঞান বলতে কি বোঝানো হয়েছে সে বিষয়ে।

৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৬:৫২

মলাসইলমুইনা বলেছেন: কিন্তু কোন এক অজ্ঞাত কারণে প্রায় সকল ইসলামী পন্ডিতগন বিধর্মীদের লেখা যে কোন বই পড়াকেই পাপাচার এবং হারাম মনে করেন কিন্তু তাদের প্রায় সকল আবিষ্কারের পর ইসলামী পন্ডিতগন দাবী করেন এ কথা ইসলামী কিতাবে আগেই বলা হয়েছে এবং বিধর্মীদের প্রায় সকল আবিষ্কারের মূল সূত্র হাদিস ও কোরআন গবেষণা করে প্রাপ্ত‌।

আপনার মন্তব্যটা খুবই জেনারেলাইজড হয়ে গ্যাছে | জ্ঞান অর্জন করে বেহেস্ত লাভের কথাতো কোথাও বলা হয় নি | সবার আগে আল্লাহকে বিশ্বাস করতে হবে | তার আদেশ নিষেধ মানতে হবে | ওগুলো ছাড়া শুধু জ্ঞান অর্জন করেতো কিছু হবে না | ধরুন হিটলারের সময় তার অধীনস্ত বিজ্ঞানীরা অনেক কিছুই আবিষ্কার করেছিল সেই সময়ের নিরিখে যা ছিল খুবই উন্নত | সেগুলো দিয়ে বিশ্বব্যাপী ধ্বংসযজ্ঞও তারা চালিয়েছিল |সেই মহা উন্নত জ্ঞান দিয়ে কি আপনি বলেন তাদের বেহেস্তে যাবার সুযোগ আছে? পৃথিবীর জন্যই দরকার এমন জ্ঞান অর্জনকে ইসলাম নিষেধ করেনি কখনোই | কারণ মানুষতো পরকালের জন্য পৃথিবীতেই প্রস্তুতি নেবে | কিন্তু সেই জ্ঞান অর্জন করতে গিয়ে আল্লাহ কে ত্যাগ করলে কোনো লাভ হবে না এটাই ইসলাম বলছে |এখানেই একজন বিশ্বাস আর অবিশ্বাসীর মধ্যে পার্থক্য করে ইসলাম |

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৩৮

অরণ্য মিজান বলেছেন: আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আমার লেখাটি আসলে জান্নাত লাভের উপায় নিয়ে নয় যদিও তা প্রাসঙ্গিক কারণে এসেছে। প্রকৃতপক্ষে আমার লেখাটির ফোকাস ইসলামে জ্ঞান বলতে কি বোঝানো হয়েছে সে বিষয়ে। আর ক্ষতিকর ও উপকারী জ্ঞান বিষয়ে আপনার বক্তব্যের সাথে আমি সম্পূর্ন একমত।

৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৫২

মরুচারী বেদুঈন বলেছেন: আল কুরআনের সুরা আয-যারিয়াহ এর ৫৬ নং আয়াতে বলা হয়েছেঃ সূরা আয-যারিয়াত, আয়াত: ৫৬

وَ مَا خَلَقۡتُ الۡجِنَّ وَ الۡاِنۡسَ اِلَّا لِیَعۡبُدُوۡنِ

উচ্চারণঃ ওয়ামা-খালাকতুল জিন্না ওয়াল ইনছা ইল্লা-লিইয়া‘বুদূন।

অর্থঃআমি (আল্লাহ) জ্বীন এবং মানব জাতিকে আমার ইবাদত ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করি নাই।



ইবাদত শব্দটি আবদ্ বা দাস/ হুকুম পালনকারী থেকে এসেছে।

অর্থাৎ-আল্লাহর ইবাদত বলতে তিনি যা কিছু করার হুকুম দিয়িছেন তা পালন করতে হবে এবং যা কিছু করতে নিষেধ করেছেন তা থেকে বিরত থাকতে হবে।


ইসলাম প্রতিস্টার আন্দোলন,হজ্জ, যাকাত, সালাত,রোজা,........................ ইত্যাদি ইত্যদি সব কিছু পালন করার জন্য আপনাকে জ্ঞান অর্জন করতেই হবে।

একারণে জ্ঞান অর্জনে অক্ষমদের জন্য নিয়ম শিতিল করা হয়েছে। যেমন- উন্মাদ এর জন্য নামায পড়া ফরজ নয়।


আপনি যদি সঠিক জ্ঞান অর্জন করেন এবং বাস্তব জীবনে এর প্রতিফলন ঘটান তাহলে আপনার মমনে শহীদ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা জাগবে।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৪৫

অরণ্য মিজান বলেছেন: আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আমার লেখাটি আসলে জান্নাত লাভের উপায় নিয়ে নয় যদিও তা প্রাসঙ্গিক কারণে এসেছে। সব কিছু বাদ দিয়ে জ্ঞান অর্জন নয় বরং আমার লেখাটির ফোকাস ইসলামে জ্ঞান বলতে কি কেবল ইসলামী জ্ঞান বোঝানো হয়েছে সে বিষয়ে।

৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:০৩

মরুচারী বেদুঈন বলেছেন: অন্যায়ের প্রতিবাদ ঈমানের দাবিঃ“হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা) বলেছেন, তোমাদের সামনে যখন ইসলামবিরোধী কাজ হতে দেখবে তখন হাত দিয়ে প্রতিরোধ করবে। যদি এতে অক্ষম হও তবে মুখ দিয়ে প্রতিবাদ জানাবে। যদি তাতে অক্ষম হও তবে অন্তর দিয়ে তাকে ঘৃণা করবে, তবে এটি দুর্বল ঈমানের পরিচায়ক।” (সহীহ মুসলিম)[/sb


বিশদভাবে জানতে এইখানে ক্লিক করুন

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৪৮

অরণ্য মিজান বলেছেন: আশা করি আপনার আগের মন্তব্যের উত্তরে আমার অবস্থান পরিষ্কার করতে পেরেছি।

৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:১১

মরুচারী বেদুঈন বলেছেন: ইসলামী জ্ঞান অর্জন করা ফরজ। তবে অন্যান্য জ্ঞান অর্জনের জন্য ও তাগিত দেয়া হয়েছে। জ্ঞান হল তোমাদের হারানো সম্পদ, তা তোমরা যেখানে পাও সেখান থেকে কুড়িয়ে নাও।~~~মহানবী (সঃ)

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৫১

অরণ্য মিজান বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার এই মন্তব্যের সাথে সম্ভবত আমার বক্তব্যের দ্বিমত নাই।

৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


বিশ্বে সকল প্রকার শিক্ষা ফ্রি করার জন্য হাদিসে বলেছে? বলেনি।

সুতরাং নিজের মাথা খাটায়ে দেখেন, কি করা যায়; যেসব জাতি ফ্রি শিক্ষা দিচ্ছে, তারা সবাই উন্নত।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৫৪

অরণ্য মিজান বলেছেন: আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। সম্ভবত আপনার বক্তব্যটি আরেকটু বিস্তৃত হলে আলোচনায় সুবিধা হত।

৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:২৬

মরুচারী বেদুঈন বলেছেন: @চাঁদগাজী অন্যদের কে ফ্রি শেখানোর জন্য আপনি কি কি করেছেন?

সকল প্রকার শিক্ষা ফ্রি করার কথা ইসলাম কেন বলবে?
যদি বলত তাহলে ঠিক কি বিপর্যয় ঘটত তা একটু চিন্তা করে দেখুনতো!


আর ইসলামে ফ্রি শিক্ষা না দেওয়ার কথা কোথায় বলা আছে একটু বলতে পারবেন কি?

১০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৩০

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: খুব সুন্দর লেখেছেন। ধন্যবাদ


পরকথা হল, আপনি বলেছেন, "প্রায় সকল ইসলামী পন্ডিতগন বিধর্মীদের লেখা যে কোন বই পড়াকেই পাপাচার এবং হারাম মনে করেন"
এখানে প্রায় হবে না। এখানে হাতেগুনা কতেক ভিতু পণ্ডিতরা এটা মনে করে থাকেন। সব ধর্মের সকল পণ্ডিতগণ মনে করে থাকেন এবং উপদেশ দিয়ে থাকেন যে, প্রথমে নিজের ধর্মের পুস্তকাদি পড়ার পর অন্য বইগুলো পর, তাহলে নিজের ধর্মের সাথেকার সাদৃশ্যতা বুঝতে পারবে। মনে করুন, একজন মানুষ, যে সামু ব্লগ সম্পর্কে জানে না, তাকে যদি বলা হয় সামু খারাপ, সামু খারাপ। তখন দেখা যাবে সামু সম্পর্কে তার ধারণা না থাকার কারণে সে সামুকে কোন এক সময় খারাপ মনে করে বসবে। এই খারাপ মনে করার কারণ, সামু সম্পর্কে তার অজ্ঞতা। ঠিক তেমনি আপনি যদি স্বধর্মীয় গ্রন্থাদি পড়ার পর অন্য বইগুলো পড়েন তাহলে আপনি অন্তত ভুল শুদ্ধটা ধরতে পারবেন।সে জন্যই ধর্মীয় পণ্ডিতরা মনে করেন এবং বলে থাকেন, আগে নিজের ধর্ম সম্পর্কে জান তারপর সকল বিষয়ে। এতে উপকার বৈ অপকার হবে না। আর এভাবেই নিরপক্ষতার সঠিক জায়গায় দাঁড়ানো সম্ভব। আর তাই আমি মনে করে থাকি কোন বিষয়ে একটি বই না পড়ে ঐ বিষয়েই একাধিক লেখকের বই পড়া প্রয়োজন তাহলে খুব সহজেই বিচার বিশ্লেষণ করে সঠিক পথ নির্ণয় সম্ভব।

আপনি বললেন, "প্রকৃত শহীদ কে তা নির্ধারণে ধোঁয়াসা থাকলেও সত্যিকার জ্ঞান অর্জন বলতে কি বুঝায় তা সুনির্দিষ্ট এবং প্রকৃত শহীদ হওয়ার চেয়ে জ্ঞান অর্জন এর বিষয়টি অনেক বেশি স্পষ্ট, সহজ,নির্দিষ্ট ও উৎকৃষ্টতম" বস্তুত তা না, দেখেন এই কথা বলা হয়েছে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা, গুরুত্ব বুঝানোর জন্য। যেমনটা আমরা বলে থাকি কোন মানুষের ক্ষেত্রেও, যখন কোন মানুষ চরম সাহসিকতার পরিচয় দেয় তখন তাকে আমরা বলে থাকি ' মিজান ভাই তো সিংসের মত সাহসী ' আসলেই কি আপনি সিংহের মত সাহসী। এটা বলা হয়ে থাকে আপনার সাহসীকতার দৃষ্টান্ত সরূপ, যেমনটা বিভিন্ন হাদিস বা রেফারেন্সে আমরা পাই। কিন্তু শহিদের মর্যাদা সবার উপরে। তাই বলে বর্তমানকার আইএস রা মুজাহিদ বা তাদের মৃতরা শহিদ এটা বলা যাবে না।

ধন্যবাদ, শুভকামনা থাকলো।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:৪৮

অরণ্য মিজান বলেছেন: আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। সম্ভবত আমার এই লেখাটি স্বার্থকতা পেয়েছে আপনার বিশ্লেষন মূলক এই মন্তব্যটির জন্য।
প্রকৃতপক্ষে আমার লেখাটির ফোকাস ইসলামে জ্ঞান বলতে কি কেবল ইসলামী জ্ঞান বোঝানো হয়েছে সে বিষয়ে। আর এ বিষয়ে আপনার বক্তব্যের সাথে আমি সম্পূর্ন একমত।

১১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৭

মরুচারী বেদুঈন বলেছেন: IS= ইবলিশ শয়তান
Is = ইসরাইলি সোল্ডিয়ার
IS= ইন্টারন্যাশনাল শয়তান........

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:৫০

অরণ্য মিজান বলেছেন: ধন্যবাদ।

১২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:১৪

প্রামানিক বলেছেন: অনেক হাদীস আছে যেগুলি সহী হাদীস নয় কিন্তু সমাজে ব্যাপক প্রচলিত। হাদীসগুলি বাছাই করে মানুষের ভুল ভাঙানো দরকার।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:৫৩

অরণ্য মিজান বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আপনার বক্তব্যের সাথে আমি সম্পূর্ন একমত। আর এ জন্যই লেখাটির শিরোনাম দিয়েছি, "ভুল সবই ভুল"।

১৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩২

ঢাকার লোক বলেছেন: ড: আবদুল্লাহ জাহাংগীরের একটা জাল হাদীসের সংকলন বাজারে পাওয়া যায়, দেখা যেতে পারে।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:৫৪

অরণ্য মিজান বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩২

ঢাকার লোক বলেছেন: ড: আবদুল্লাহ জাহাংগীরের একটা জাল হাদীসের সংকলন বাজারে পাওয়া যায়, দেখা যেতে পারে।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:৫৫

অরণ্য মিজান বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:০৬

অরণ্য মিজান বলেছেন: এই লেখাটিতে যারা মন্তব্য করেছেন তাদের প্রত্যেকের কাছেই আমি ঋণী এবং কৃতজ্ঞ কারণ প্রতিটি মন্তব্যই আমাকে ঋদ্ধ করেছে, আলোকিত করেছে।
আপনাদের সদয় জ্ঞাতার্থে জানান উচিৎ যে আমি কোন বিশেষজ্ঞ নই এবং এই ব্লগে প্রকাশিত আমার কোন মতামতই বিশেষজ্ঞ মতামত নয় বরং আমার আত্ম শিক্ষণের পথে আত্ম জিজ্ঞাসা মাত্র।
আশা করি আমার ভবিষ্যত লেখাগুলিতেও আপনাদের সুচিন্তিত মতামত দ্বারা একই ভাবে আলোকিত করবেন।
আবারও সকলকে ধন্যবাদ সময় দিয়ে লেখাটি পড়ার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.