নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দ শ্রমিক! কেবলই গেঁথে যাই শব্দের মালা।

অরণ্য মিজান

শব্দ শ্রমিক! কেবলই গেঁথে যাই শব্দের মালা।

অরণ্য মিজান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিপ্লবীদের বিচার চাই!!!

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:২৪

শ্রেনী সংগ্রাম চলে গেছে দুর ঐ চাঁদে,
বিপ্লবের স্বপ্ন এখন নিভৃতে কাঁদে।।
ডান বাম সুখেই আছে ভাতে মরে জনতা,
সেবাই আমার পরম ধর্ম চাই শুধু ক্ষমতা!

মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী প্রথম দশক যে কোন জাতীর জন্যই ভীষন নাজুক এবং গুরুত্বপূর্ন, এই সময়কে এ্রক্সটেনডেড মুক্তিযুদ্ধও বলা যায় কারন এই সময় একদিকে সহজ লভ্য থাকে মারণাস্ত্র অন্য দিকে উসকে থাকে মানুষের নিয়ম ভাঙ্গার প্রবনতা আবার এই দশকই মুলত পরবর্তী সহস্রাব্দ গড়ে দেয়।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী প্রথম দশক রক্তাক্ত এবং হারানোর ব্যাথায় নূহ্য! বিপ্লবী ফোবিয়ায় আক্রান্ত কিছু বিপথগামী তরুনদের হঠকারীতায় শ্রেনী হীন ইঊটোপিয়ান সমাজের স্বপ্নের ঘোরে অনেকেই বেঘোরে প্রাণ হারায় জনযুদ্ধ বা তথাকথিত শ্রেণি সংগ্রামে। বাক পটু ও বাক সর্বস্য কিছু পরগাছা আর পিকিং মস্কো'র তোতা পাখি ঐ তরুনদের সাথে সুর মেলালে আরেকটি যুদ্ধের আবহ তৈরী হয়, অনেক সূর্য সন্তানেরা "ভোট কর বোকা জনগন আমরা গেলাম সুন্দরবন" মন্ত্রে হ্যালুসিনেশনে ভোগে। শ্রেণি সংগ্রামের মুল দর্শন সমাজ বদলের যুদ্ধ পরিণত হয় কেবলমাত্র ক্ষমতা দখলের ইলিউশনে। যে শক্তি গড়তে পারত সোনার বাংলা তাদের হঠকারিতা, বিপথগামীতা ও বহু বিভক্তির আলো আঁধারীতে দাঁও মারে সূযোগ সন্ধানীরা যাদের মুল মন্ত্র "তুমি উত্তম তাই বলে আমি অধম হইবনা কেন"।

এইসব অর্বাচীন বিপ্লবীদের কান্ড জ্ঞান বিহীন ক্ষমতার দিবা স্বপ্ন আর পিকিং মস্কোর বিষাক্ত হালুয়া রুটির প্রভাবে দেশের সেই সব সাবেক সূর্য সন্তানদের মনোবৈকল্য অনুমিত ও অবধারিতই ছিল। যাদের হবার কথা ছিল দেশ ও জাতীর অতন্ত্র প্রহরী তারা হয়ে যায় অশান্তির বেপারী। আর এই ঘোলা পানির সূযোগে দস্যুরা যখন বাঙ্গালী জাতীর সর্বকালের সবচেয়ে দামি সম্পদ বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে বিনাশ করে ইতিহাসের সর্বকালের নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে তখন আমরা এই সব পারভার্টেড বিপ্লবীদের দেখি ট্যাংক নৃত্য করতে।

অমিত সম্ভাবনা ময় একটি নব্য স্বাধীন দেশ অন্ধকার চোরাগলীর ততোধিক অন্ধকার গভীর খাদে নিপতিত হয়। যাত্রার শুরুতেই জাতী পথ হারায় কেবল গুটি কয় উশৃংখল তরূন ও কিছু মাথা মোটা ক্ষমতা বিলাসীদের লোভের অনলে পুড়ে। আহাম্মুখ আর শয়তানেরা গোটা জাতীকে অন্ধকার চোরা গলির ভেতর ঠেলে দেয় যেখানে আজও ঘুরপাক খাচ্ছে, আর তার দায় মেটাচ্ছে শ্রমিক-জনতা রক্ত ঘাম ও জীবন দিয়ে অথচ ঐ সমস্ত বিপ্লব বাজেরা এখন ভালই আছে বিপ্লবী বুর্জোয়া হয়ে, অনেকেই সাংসদ হয়েছেন, কেউ কেউ মন্ত্রীও হয়েছেন।

মুক্তিযুদ্ধকালীন সংগঠিত মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার জাতীকে কিছুটা কলংক মুক্ত করছে কিন্তু জাতীকে সম্পূর্ন রপে কলংকের দাগ ও ভার মুক্ত হতে হলে এ্রক্সটেনডেড মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে অর্বাচীন ও পারভর্টেড বিপ্লবীরা তরুন সমাজকে বিভ্রান্ত করে আত্মাহুতির পথে ঠেলে দিয়ে ও সূযোগ সন্ধানীদের সূযোগ করে দিয়ে যে মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছে তার বিচার হওয়া উচিত ইতিহাসের স্বার্থেই ইতিহাসের দায় মেটাতে। তাদের দ্বারা সংঘঠিত মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার বর্তমান আইনী কাঠামোতেই এবং ঐ একই ট্রাইবুনালের মাধ্যমে করা সম্ভব এবং যত দ্রুত তা করা যায় ততই মঙ্গল। মানবতা বিরোধী যে কোন অপরাধের বিচারহীনতার দায় কেবল কোন নির্দিষ্ট জাতি বা দেশের নয় বরং তা সমগ্র মানব জাতীর দায়। তাই বিশ্বমানবতার দায় মুক্তির জন্যই বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী পতিত বিপ্লবীদের যত তারাতারি বিচারের আওতায় আনা যায় ততই মঙ্গল কারণ এরা রাষ্ট্র-সমাজ-সভ্যতার শরীরে ক্রমবর্ধমান ক্যানসার।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.