নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প প্রথম আমাদের অন্তরে প্রোথিত হয় আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় আবশ্যিক ধর্মীয় পাঠ্য বইয়ের মাধ্যমে। প্রাথমিক বা মাধ্যমিক পর্যায়ে ধর্ম শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত থাকা উচিত নয় বিশেষ করে এখন যেভাবে যে যে ধর্মের ছাত্র তাকে সেই ধর্মের বই পড়ানোর ব্যবস্থা, এই অবস্থায় প্রতিটি ছাত্র তার নিজ ধর্মকে সর্বশ্রেষ্ঠ ভাবতে এবং অন্য ধর্মকে অবজ্ঞা করতে শিখে। আমাদের আবশ্যিক পাঠ্যসূচিতে ধর্মীয় শিক্ষা যদি অন্তর্ভুক্ত করতেই হয় তবে তা ধর্ম বর্ণ গোত্র নির্বিশেষে সকলকে একই ধর্ম বই পড়ানো উচিত যেখানে বিশ্বের সকল প্রধান প্রধান ধর্ম এবং তার মূল নীতি সম্পর্কে আলোকপাত করা থাকবে। এর ফলে মানুষের মনে একদিকে যেমন ধর্মীয় বিদ্বেষ ঢোকার সুযোগ পাবে না অপরদিকে নিজ ধর্ম ছাড়াও অন্যান্য সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ সৃষ্টি হবে। যতদিন আমরা এই ব্যবস্থায় যেতে না পারবো ততদিন ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার কারণে সৃষ্ট ঘৃণা বিদ্বেষ বা সহিংসতা দূর হবে না, ধর্মের বা ধর্মীয় শিক্ষার প্রকৃত লক্ষ্য অর্জিত হবে না।
বিদ্যমান ধর্ম সমূহের মধ্যে মত ও পথের পার্থক্য থাকলেও সকল ধর্মের লক্ষ্য একই, একটি হিংসা-বিদ্বেষ মুক্ত ন্যায় ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা সৃষ্টি।
তাই আমাদের আবশ্যিক শিক্ষার অংশ হিসেবে আমাদের পাঠ্যসূচিতে ধর্ম থাকবে কিনা সে বিষয়ে নতুন করে চিন্তা করা দরকার, এটা আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা এবং ধর্ম ব্যবস্থা উভয়ের স্বার্থেই প্রয়োজন।
তবে ব্যক্তি জীবনে যার যার ধর্ম পালনের জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা অর্জনের আলাদা ব্যবস্থা থাকতেই পারে তবে সেটা মূলধারার শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হবে।
২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: যে মাছ যাচাই বাছাই না করেই টোপ ফেলা খাবারের দিকে আকৃষ্ট হয় সে মাছ কি খুব বুদ্ধিমান? মোটেও না। বোকা।
৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৪:৪২
অনামিকাসুলতানা বলেছেন: জাপানে এম্ ন ই ক রা হয়।
৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:১৯
নূর আলম হিরণ বলেছেন: এটাই সঠিক পদ্ধতি।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৫৬
সোনাগাজী বলেছেন:
বেশীরভাগ সাবজেক্ট ৪ বছর ( স্কুলের পরে ) পড়ানো হয়; ধর্মও স্কুলের পর ৪ বছর কোর্স হিসেবে চালু করুক।