নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"এখনো সময় আছে আমাদের শিক্ষা কাঠামোতে যুগোপযোগী এবং কার্যকর পরিবর্তন এনে বেকার তৈরীর কারখানা
গুলোকে মানুষ তৈরীর কারখানায় রূপান্তরে"।
আমার জীবনের সেরা তিনটি ভুল
১) শিক্ষকরা যা বলতেন তা সবটুকুই মনে প্রানে বিশ্বাস করতাম।
২) বইপত্রে যা লেখা থাকে তা সব সময় সঠিক বলে বিশ্বাস করতাম।
৩) মিডিয়ায় যা কিছু প্রকাশিত হয় (সাহিত্যিক বা বুদ্ধিজীবীরা যা বলেন) তার সবই সঠিক বলে বিশ্বাস করতাম।
প্রায় অর্ধশতাব্দী লেগে গেল এটা বুঝতে যে জগতে সত্যি বলে কিছু নেই, দৃশ্যমান সত্যগুলো আসলে সত্যরূপে সাজিয়ে উপস্থাপিত বাস্তবে 'ভুল সবই ভুল'। আমার জীবনের একমাত্র অনুশোচনা বা ভুল হচ্ছে মানুষ হবার প্রলোভনে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলি নষ্ট করেছি শিক্ষাঙ্গনে!
বিনা প্রশ্নে সবকিছু মেনে নেওয়া আর মানিয়ে নেয়ার যে তালিম আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা দেয় তা এক সময় আমাদের প্রশ্ন করার ক্ষমতাকেই নষ্ট করে দেয়, এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় ক্ষতি তা অনিরাময়যোগ্য।
যে শিক্ষা ব্যবস্থায় (দেশে) স্নাতক পাশদের মধ্য শতকরা ৬৫ ভাগ এর বেশি বেকার সে দেশে উচ্চ শিক্ষা রাখার কোন যৌক্তিকতা আছে কি! কোন গবেষণার দরকার নেই, আপনার চারপাশে একটু খোঁজ নিলেই জানতে পারবেন তথাকথিত শিক্ষিতরাই বেকার, অশিক্ষিতদের মধ্যে বেকারত্বের হার খুবই কম অথবা শূন্যের খুব কাছাকাছি। আমরা যত বেশি শিক্ষিত হচ্ছি তত বেশি বেকার হচ্ছি।
আমাদের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় যে একেবারে কিছুই হয় না তা নয় তবে তা 'পর্বতে উকুন প্রসব' তুল্য, এ ব্যবস্থা না থাকলেই বরং আখেরে আমাদেরই লাভ! যে শ্বেত হস্তি ডিমও দেয় না বাচ্চাও পারেনা, লাঙ্গল বায়না বোঝাও টানে না, তাকে খাইয়ে পড়িয়ে থল থলে মেদবহুল করার প্রয়োজন টা কি!?
'নতুন শিক্ষা কারিকুলাম বাস্তবায়ন হলে সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে', এমন অলীক স্বপ্নে যারা বিভোর তাদের জন্য করুণা হয়! আসলে যা হবে তা 'যে লাউ সেই কদু' ধরনের একটা কিছু, কাজের কাজ কিছুই হবেনা, কিছু দিন পর আবারও নতুন শিক্ষা কারিকুলাম আসবে, এরপর আবারও, এভাবেই চলতে থাকবে কারণ আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা আমরা এখনো জানিই না আসলে আমাদের সমস্যা কি!
১৮ কোটি মানুষের সামস্টিক জ্ঞান ২/৩ ডজন তথাকথিত শিক্ষাবিদের জ্ঞানের চেয়ে অনেক বেশি কার্যকরী এবং দরকারি। তাই শিক্ষা কারিকুলাম যদি পরিবর্তন করতেই হয় (এবং পরিবর্তন জরুরী তবে সব পরিবর্তনই কিন্তু দরকারি বা উপকারী নয়) তাহলে এই প্রক্রিয়ায় সমস্ত মানুষেরই অংশগ্রহণ প্রয়োজন। কেউ হয়তো বলবেন, সব মানুষকে এই প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করে তাদের মতামত সংগ্রহ এবং সেই মতামতের ভিত্তিতে কারিকুলাম প্রস্তুত অসম্ভব।
আমার যতটুকু ক্ষুদ্র জ্ঞান আছে তার ভিত্তিতে বলতে পারি এটা সম্ভব, যদি কেউ আমাকে চ্যালেঞ্জ করেন তাহলে আমি তা সাদরে গ্রহণ করব।
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:০০
অরণ্য মিজান বলেছেন: ২০০০ সালে শেষ করেছি।
২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৫৭
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সত্যি তাই; এই শিক্ষা কাঠামোয় তেমন লাভ দেখি না। তারচেয়ে বরং কারিগরি শিক্ষা ভালো।
৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:০৭
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: হুমম, আমিও তাই বলবো, সব মানুষকে এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহনের মাধ্যমে নতুন কারিকুলাম করা অসম্ভব।
৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:১৬
ইলি বলেছেন: আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা আমরা এখনো জানিই না আসলে আমাদের সমস্যা কি!
৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:২৮
কামাল১৮ বলেছেন: আমাদের চিন্তায় সৃজনশীলতা তাই।সৃজনশীলতার জন্য চাই মুক্তচিন্তার বিকাশ।
৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৪:৪৭
কামাল১৮ বলেছেন: সৃজনশীলতা নাই হবে
৭| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:৩০
আহমেদ জী এস বলেছেন: অরণ্য মিজান,
ঠিকই বলেছেন - আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা আমরা এখনো জানিই না আসলে আমাদের সমস্যা কি!
জানিনা বলে্ই যে শ্বেত হস্তি ডিমও দেয় না বাচ্চাও পারেনা, লাঙ্গল বায়না, বোঝাও টানে না, তাকে খাইয়ে পড়িয়ে থল থলে মেদবহুল করতেই থাকি... করতেই থাকি আর নিজেদের বাহবা দেই।
৮| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫০
অনামিকাসুলতানা বলেছেন: কারিগরি শিক্ষা নিয়ে ভাবা উচিত।
মুক্তচিন্তার বিকাশ আমাদের শিক্ষার মুল ল্ ক্ষ্য হ ওয়া উচিত।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:১২
অরণ্য মিজান বলেছেন: প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে তিনটি গুণের বিকাশ ঘটানোঃ
1. Questioning
2. Reasoning
3. Analytical ability.
এই বিবেচনায় আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থার বর্তমান অবস্থা কিভাবে মূল্যায়ন করবেন!
৯| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: দুই হাজার সালের পর থেকেই বাংলাদেশে লেখাপড়ার মান খারাপ হতে শুরু করেছে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৫৩
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনি কোন সালের দিকে পড়ালেখা শেষ করেছেন?