![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জাগতিক দুনিয়ার ঝড় ঝঞ্ঝা বিশ্রাম পায় কল্পনায় আবার কল্পনার কালিতে লিখা যায় কঠিন সব জাগতিক বাস্তবতা। অনেকটা আমি তোমার তুমি আমার! আইন্সটাইন তো আর এমনি এমনি বলে যাননি যে, 'Imagination is more important than knowledge'. কিন্তু আমাদের কল্পনা কি এমন কোন রঙ নিয়ে খেলতে পারে যা আমরা অনুভব করিনি? উত্তর হচ্ছে-না। আমাদের কল্পনা আমাদের ঔরসজাত বলেই এর আবেগ, অনুভূতি জাগতিক বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি না হোক অন্তত কিছু একটা হয়েই ঘুরাফেরা করে। লেখকরা লেখায় কল্পনার দ্যুতি ছড়ায়, গবেষকরা কাল্পনিক সম্ভাব্যতার উপর নির্ভর করে গবেষণা এগিয়ে নেয়, ব্যবসায়ীরা ভবিতব্য বাজার অবস্থা বিবেচনা করে কাল্পনিক বানিজ্যনীতি তৈরি করে, রাজনীতিবিদরা মেধা আর জনসমর্থন নিয়ে মাঝেমধ্যে কাল্পনিক জুয়ার চাল মারেন। প্রেমিকারা পঙ্খিরাজ ঘোড়ায় চেপে আসা রাজপুত্রের ছবি কল্পনা করে, প্রেমিকরা কল্পনা করে অপরূপ সিগ্ধা রূপসীর। পেশা, অবস্থান ও সময় ভেদে আমাদের কল্পনাগুলো তাই ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। কিন্তু এর মৌলিক ব্যাপার ও বৈশিষ্ট্যগুলো কিন্তু এক। আবার একজন রাজনীতিবিদের কল্পনা একজন লেখকের কল্পনা থেকে প্রখর ও গাঢ় হতেই পারে। বঙ্গবন্ধুর কল্পনা জিন্নাহর কল্পনা থেকে গাঢ় ছিল। নষ্ট ভ্রষ্ট কল্পনা মার খায় শ্রেয়তর কল্পনার কাছে। আইনস্টাইনের কথা চলে আসে- 'কৌতূহলের পিছনে ছোটো'। কৌতূহলের পিছনে ছুটতে ছুটতেই কি কল্পনার দেখা মেলে?এই কৌতূহলের পিছনেই ছুটতে ছুটতে একটি কঠিন সত্য উপলব্ধি হয়- আমাদের কল্পনা আমাদের আবেগ অনুভূতির বাইরে গিয়ে এখনো খেলতে পারেনি। হলিউডের সাইফাই মুভিগুলোও হাতিঘোড়া কিছু নয়। সেই একই সুত্র – ভালো শক্তি আর মন্দ শক্তির যুদ্ধ। তারমধ্যে দুই ছটাক কাহিনী, তিন ছটাক প্রযুক্তি, পাঁচ ছটাক কল্পনা আর আপন বন্ধনা! কাল্পনিক এক গ্যালাক্সিতে সেই দুইপক্ষের লড়াই। এ তো আমাদেরই লড়াই। সবার লড়াই। কাল্পনিক লড়াই নয়। আমরা আমাদের নিত্য যন্ত্রণা মন্ত্রনাকেই কল্পনাও রঙ দিয়ে বসে আছি কি? এ ত সেই বাজার ধরার হিসেব। হিসেবটা কি এই - বাজার ধরতে হলে আগে ক্ষমতা আর টাকায় পরিপূর্ণ করো নিজেকে। তারপর দুনিয়া তোমার। কল্পনাও তোমার!
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪৫
স্বরূপ অরূপ বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: ্খুব সুন্দর।