| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপদ্রুত উপকূল
প্রশ্নপত্র ফাঁস "বিষয়টি বাংলাদেশে এখন ডালভাতের মত।এমন
কোন পরীক্ষা নেই যেখানে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়না। যখন
মিডিয়া খুব বেশি বিষয়টি নিয়ে মাতামাতি করে ঠিক তখন
কর্তা ব্যক্তিদের টনক নড়ে ওঠে, একটা যেনতেন বিহিত
না করলে কেলেঙ্কারিটা ধামাচাপা দেয়া যাবেনা। তখন
সবচেয়ে বড় বিহিত হলো পরীক্ষা স্থগিত করে দেয়া। নতুন প্রশ্ন
পত্রে পরীক্ষা নেয়া। সহজ সমাধান। কিন্তু চক্রটা তো চলতেই
থাকে নিরন্তর। এবারো উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস
হলো। জানাজানি হলো। পরীক্ষা স্থগিত।
যে কোন দলীয় সরকারের আমলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের জন্য
দায়ী সরাসরি শিক্ষামন্ত্রী, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এবং যে কোন
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বোর্ডের সভাপতি /সদস্যবৃন্দ। আবার একটু
উল্টো করে দেখলে বলা যায় এই রাঘববোয়ালদের সামান্য
সদিচ্ছার কারণে খুব সহজেই এই " ফাঁস পদ্ধতি " থেকে বলা বাহুল্য
অসুস্থ প্রতিযোগিতা থেকে চিড়েচ্যাপ্টা শিক্ষার্থীদের
মুক্তি দেয়া সম্ভব।
✔পরীক্ষা শুরুর দুই তিন ঘন্টা আগে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের হল
রূমে প্রশ্ন প্রণয়নকারী শিক্ষকদের একটা টিম প্রশ্নের সফট
কপি তৈরি করবেন, প্রত্যেক পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রজেক্টের
থাকবে নেট কানেক্টেড। পরীক্ষা শুরুর পাঁচ মিনিট আগে সেই
সফট কপিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে পাঠানো (সেন্ড)
হবে এবং সেটা প্রজেক্টরে দেখাবে।
পরীক্ষার্থী প্রজেক্টরে প্রশ্ন দেখে উত্তর দেবে।
এটাও যদি সম্ভব না হয় তবে ডিজিটাল বাংলাদেশ
বলে যে শ্লোগান, বাক -ট্রেন্ডস জাতির উদ্দেশ্য
ক্ষমা চেয়ে সেটা বন্ধ করা উচিত।
©somewhere in net ltd.