নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসাদুজ্জামান জুয়েল

আসাদুজ্জামান জুয়েল

রওশনারা বেগম ও আবদুর রশীদ খানের কনিষ্ঠ পুত্র আমি আসাদুজ্জামান জুয়েল। ১৯৭৮ সালের ০৫ জুন শরীয়তপুর জেলার পালং থানা পালং গ্রামের এক সাধারণ মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করি। শিক্ষা জীবন শুরু মায়ের হাতে। তুলাসার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষে পালং তুলাসার গুরুদাস সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এস.এস.সি; শরীয়তপুর সরকারী মহাবিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এইচ.এস.সি; জাজিরা ডিগ্রী কলেজে থেকে বাণিজ্য বিভাগ হতে বি.কম পাস করার পর প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন অনুষদ হতে এলএল.বি ও এলএল.এম সম্পন্ন করি। প্রতিটি ক্যাম্পাসেই কেটেছে মধুর দিনগুলো। ২০০৯ সালের ০৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে আইনজীবী হিসাবে তালিকাভূক্ত হয়ে ২৩ ডিসেম্বর ২০০৯ ঢাকা বার এসোসিয়েশনে সদস্যভূক্ত হই। পরবর্তীতে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১০ শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যভূক্ত হয়ে আইন পেশার সাথে যুক্ত আছি। ঢাকা জেলা আইনজীবী সমিতি, শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতি ও শরীয়তপুর জেলা ট্যাক্সেস বার এসোসিয়েশনের সদস্য হিসাবে আইন পেশায় নিয়োজিত আছি। সাংবাদিকতা ও লেখালিখি করি মনের টানে। একই সাথে আইন পেশা ও সাংবাদিকতায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে নিরন্তন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কর্ম জীবন শুরু লেখালিখির মাধ্যমে। দৈনিক ভোরের কাগজ দিয়ে সাংবাদিকতার শুরু। এর পর দৈনিক প্রথম আলো, দৈনিক কালের কন্ঠ, দৈনিক গণমুক্তি সহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে কাজ করেছি। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৬টি। প্রবাসীদের সুখ-দুঃখ নিয়ে লেখা আমার প্রথম উপন্যাস ‘যেমন আছি লন্ডনে’ প্রকাশিত হয় ২০১২ সালের একুশে বই মেলায়। দীর্ঘ বিরতির পরে ২০১৯ এর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয় ভ্রমণ কাহিনী ‘কলকাতা ভ্রমণঃ জীবনে প্রথম কিছু’; প্রবন্ধ সংকলন ‘সমকালীন ভাবনা’ ও প্রথম কাব্য গ্রন্থ ‘হৃদয়ের শব্দক্ষরণ’। ২০২০ সালের একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয় প্রবন্ধ সংকল ‘সমকালীন ভাবনা-২’ ও দ্বিতীয় কাব্য গ্রন্থ ‘তুই থাকিস পরাণের গহীনে’। এছাড়াও বেশ কিছু বই প্রকাশের অপেক্ষায় আছি। লেখালিখি করি বিভিন্ন ব্লগে। আমার ওয়েবসাইটঃ www.asadjewel.com, নিজস্ব ব্লগঃ www.asadjewel.blogspot.com এছাড়া www.somewhereinblog.net এ নিয়মিত লেখালিখি করি। শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হিসাবে তিনবার ও লাইব্রেরী সম্পাদক হিসাবে দু্ইবার দায়িত্ব পালন করেছি। বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, শরীয়তপুর জেলা ইউনিটের জীবন সদস্য। প্রগতি লেখক সংঘ, শরীয়তপুর জেলা শাখার সভাপতি হিসাবে দ্বায়িত্বে আছি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছি। সোনালী ব্যাংক লিমিটেড শরীয়তপুর, রূপালী ব্যাংক লিমিটেড, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড, মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড, পূবালী ব্যাংক লিমিটেড, কর্মসংস্থান ব্যাংক, আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক শরীয়তপুর এর আইন উপদেষ্টা হিসাবেও কর্মরত আছি। গরীব-দুঃখীদের মামলা পরিচালনার জন্য জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা শরীয়তপুর জেলা শাখার প্যানেল আইনজীবী হিসাবে দুস্থ্যদের আইনগত সহায়তা প্রদান কাজে নিষ্ঠার সাথে জড়িত আছি। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন), শরীয়তপুর জেলা শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, শিক্ষানিকেতন কর্ম কেন্দ্রীক পাঠাগার, শরীয়তপুরের কার্যনির্বাহী সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছি দীর্ঘদিন। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ও অস্ট্রেলিয়ান বার এসোসিয়েশনের উদ্যোগে ইনটেনসিভ ট্রায়েল এডভোকেসী ওয়ার্কশপ, ২০১০ সালে এশিয়ান লিগ্যাল রিসোর্স সেন্টার এর উদ্যোগে হিউম্যান রাইটস এন্ড রুল অফ ‘ল’, ২০০২ ও ২০১০ সালে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট এর উদ্যোগে শিশু ও নারী বিষয়ক রিপোর্টিং কর্মশালা, ১৯৯৯ সালে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর আয়োজিত কম্পিউটার ট্রেড প্রশিক্ষণ, ২০১০ সালে ইউএসএইড-প্রগতি-কালেরকন্ঠ আয়োজিত দুর্নীতি বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরী ও তথ্য অধিকার আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণসহ পেশাগত উৎকর্ষ সাধনের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছি। লেখালিখি ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে নিজেকে জড়িয়ে সমাজ সংস্কারে একজন কর্মী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। আমার অর্ধপ্রাণ কন্যা রওশন আসাদ প্রিয়ন্তী। সহধর্মীনি মুনমুন সুলতানা লুনা পেশায় শিক্ষিকা। দুই বোন রেহানা আক্তার রেখা এবং কহিনুর আক্তার শিখা এবং একমাত্র ভাই মোহাম্মদ রুহুল আমীন খান আজাদ একজন প্রবাসী। যোগাযোগের জন্য আমাকে মেইল করতে পারেনঃ [email protected]

আসাদুজ্জামান জুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

করোনা রঙ্গঃ চুদক ও ঘুদক গঠন এখন সময়ের দাবী

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৪২


আজকের শিরনাম পাঠের পরে আপনারা হয়তো বলবেন, এ কেমন শিরনাম, এর মানেই বা কি! হ্যা, এই শিরনাম দেয়ার ও দাবী তোলার পেছনে একটা কারন আছে। দেশে দেশে হানা দিয়েছে করোনা ভাইরাস। বিশ্বের এমন কোন দেশ নেই যে দেশে এই ভাইরাস আক্রমন করেনি এবং প্রাণ কাড়েনি! এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে খোদ রাষ্ট্রযন্ত্রই শঙ্কার মধ্যে আছে। বিশ্বের পরাক্রমশালী ও প্রভাবশালী রাষ্ট্রনায়কতো বটেই দুর্বলদেরও কপালে চিন্তার বলিরেখা দেখা যাচ্ছে। সকলে মিলে এই ভাইরাস মোকাবেলায় ব্যস্ত হয়ে পরেছেন। শুধু যে রাষ্টনায়করা তা কিন্তু নয়। ধনীরাও এগিয়ে আসছে যার যার সামর্থ ও আবেগ অনুযায়। সেখানে আমাদের দেশের কিছু মানুষ ব্যস্ত আছে চুরি আর কমিশন নিয়ে। কমিশন একটু ভদ্র ভাষা হয়ে গেলো। আসলে ঘুষ বলাই বাঞ্চনীয়। আমাদের সামনে আরো খারাপ সময় আসছে। এমন পরিস্থিতিতে বর্তমানে ও ভবিষ্যতে চুরি ও ঘুষ বন্ধ করা জরুরী হয়ে পড়েছে এবং পড়বে।

আমরা সবাই জানি দুদক সম্পর্কে। দুর্নীতি দমন কমিশন বা দুদক বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন, নিয়ন্ত্রণ ও দুর্নীতি প্রতিরোধে গঠিত একটি কমিশন। ২০০৪ সালের ৯ মে দুর্নীতি দমন আইন অনুসারে কার্যকর হয়েছে দুদক। একজন চেয়ারম্যান ও দুজন কমিশনার নিয়ে গঠিত দুর্নীতি দমন কমিশন ঢাকার সেগুনবাগিচা থেকে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করে। এ সংস্থার লক্ষ্য হচ্ছে দেশে দুর্নীতি ও দুর্নীতিমূলক কাজ প্রতিরোধ করা। যে কোনো ব্যক্তি অথবা সংস্থার বিরুদ্ধে কমিশনের একতিয়ারভুক্ত বিষয়ে কোনো অভিযোগ সমন্বিত জেলা কার্যালয়, বিভাগীয় অথবা সেগুনবাগিচা, ঢাকাস্থ প্রধান কার্যালয় প্রেরণ করা যায়। দুদক কতটা কার্যকরী তা যদিও প্রশ্নসাপেক্ষ বিষয়। অনেকে দুদকের প্রতি আস্থা রাখতে পারছে না, আর না পারার কারনও আছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দুদক চুনোপুঁটি ধরছে বলে অভিযোগ উত্থাপন করে। বিশাল জনগোষ্ঠীর বাংলাদেশে জনবল সংকট একটা কমন কথা। এমন কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান নেই যেখানে জনবলের সংকট নেই। যদিও বেকার সমস্যা সমাধান করতে পারেনি কোন সরকারই। তবুও অনেক দুর্নীতিবাজ আছেন এখন দুদকের কারনে তটস্থ। অল্প অল্প ধরলেও ধরা শুরু হয়েছে। এমন অনেক সেক্টর আছে যেখানে প্রকাশ্যে ঘুষ গ্রহণ চলতো। কিছু কিছু জায়গায় দুদক হানা দেয়ার পর একটু হলেও দুর্নীতিবাজরা পর্দানশীন হয়েছে। ঘুষ গ্রহণ হয়তো র‌্যাপিড আকারে কমেনি। কিন্তু একটু হলেও ধাক্কা খেয়েছে। এমন আরো সংগঠন বা সংস্থা গঠন করেছে সরকার, যার কারনে কিছু কিছু সেক্টরে একটু হলেও ধাক্কা লেগেছে। একদিন একটি রাত শেষে ভোর হওয়ার পর আমরা দেখবো সবাই ভালো হয়ে গেছেন, অনিয়ম কমে গেছে, সবাই সাধু-সন্যাসী হয়ে গেছেন এমনটা শুধু স্বপ্নেই ভাবা যায়। আমরা যেহেতু ভাত খাই, তাই ঘুষও খাই। কেউ একটু বেশি খায়, কেউ পরিমানে কম হলে খায় না! অনেকে আছেন সুযোগের অভাবে এখনও সৎ! দুদক দরকার ছিলো। সময়ের প্রয়োজনেই দুদক গঠন করা হয়েছিলো। সময়ই বলে দেবে কতটা সফল হয়েছে তারা। আমি যেহেতু আশাবাদী মানুষ তাই মনে করি একদিন দুদক সফল হবেই। কেউ না কেউ এসে এমন শক্ত হাতে হাল ধরবে যে দুদককে গন্তব্যে পৌছে দিবে। সেদিন মানুষ ভুলেও দুর্নীতি করতে সাহস পাবে না। মানুষ বাঁচে আশায়। আমিও আশায় রইলাম।

দেশে একসময় সন্ত্রাস এমন ভাবে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছিলো যে সরকার তার নিয়মিত বাহিনী দিয়ে দমন করতে পারছিলো না। নিজের দলের অনেকেই সন্ত্রাস, চাঁদাবাজীর সাথে জড়িয়ে পড়েছিলো। এর পরেই গঠিত হলো র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটলিয়ন বা র‌্যাব। বাংলাদেশের আভ্যন্তরিক সন্ত্রাস দমনের উদ্দেশ্যে গঠিত চৌকস বাহিনী হিসাবে সমাদৃত র‌্যাব। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত এই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ২০০৪ সালের ২৬ মার্চ গঠিত হয় এবং একই বছরের ১৪ এপ্রিল (পহেলা বৈশাখ) তাদের কার্যক্রম শুরু করে। বাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে র‌্যাব গঠিত হয়। ঢাকার উত্তরায় সদর দপ্তর গঠন করে এর কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করে। প্রতিটি সংস্থারই কিছু সুনাম ও দুর্নাম থাকে। র‌্যাবও এর বাইরের কোন সংস্থা নয়। সন্ত্রাস দমন, চাঁদাবাজী বন্ধে র‌্যাবেরও রয়েছে আকাশ ছোঁয়া সুনাম। একই সাথে রয়েছে বিচার বহির্ভূত হত্যা, খুন, গুম, চাঁদাবাজীসহ অনেক অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়ানোর অভিযোগ বা বদনাম। সে যাই হোক, কাজ করতে গেলে ভুল ত্রুটি হবেই। সেই ভুল ত্রুটি যদি ইচ্ছাকৃত হয় বা আইনের ভাষায় মিনস রিয়া অর্থাৎ অপরাধমূলক মন বা দোষী মন নিয়ে করে থাকে সেটাই পরিত্যাজ্য। এই র‌্যাব গঠনের আগে দেশে বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলসহ রাজধানীতে প্রতিদিনই খুন, গুম, চাঁদাবাজী চলতে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে চলতো খুনখারাপি, মাদক কেনা-বেচাসহ নানান অপরাধ। দেশে তখন বুক ফুলিয়ে চলতো মুরগি মিলন, কানকাটা মফিজ, গালকাটা জব্বার, পিচ্চি আবুল, ধলা কসাই এমন নানান খেতাবে ভরপুর ভয়ংকর সন্ত্রাসীরা। কালো পোশাক পড়া, কালো কাপড়ে মাথা ঢেকে, কালো চশমা পড়ে র‌্যাব মাঠে নামার পর এদের বেশিরভাগকেই হয় ভোগে পাঠিয়ে দিয়েছে অথবা ধরে ধরে আইনের আওতায় এনে জেলে পুরেছে। শিশুরা এখন শাকচুন্নি আসবে বললে ভয়ে না ঘুমালেও সন্ত্রাসীরা র‌্যাব আসছে বললে প্যান্টে হাগু-মুতু ছেড়ে দেয়। ভয়টা দরকার ছিলো। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী, দস্যুতা অনেকেই ছেড়েছে র‌্যাবের ভয়ে এটা স্বীকার করতেই হবে। একদিন র‌্যাবও তার সকল বদনাম ঘুচিয়ে মানুষের বন্ধু হয়েই আবির্ভূত হবে। এই আশাটা করা খুব বাড়াবাড়ি নয়। এমন এক কমান্ডার আসবে যে নিজের দলেল ভিতর শৃঙ্খলা আনবে, শৃঙ্খলা আনবে সমাজেও।

এভাবেই আরো কিছু সংস্থা গঠন এখন সময়ের দাবী। দেশ যখন করোনায় বেহাল তখন সরকার মানুষের কল্যানে কাজ করতে গিয়ে জনবান্ধব অনেক প্রকল্প হাতে নিচ্ছে। খাদ্যবান্ধব প্রকল্পের অংশ হিসাবে চাল দিচ্ছে ন্যায্যমূল্যে। আর সেই চাল কোথায় যাচ্ছে তা আমরা সবাই অলরেডি জেনে গেছি। অনেক চেয়ারম্যান আছে যারা শত শত বস্তা চাল নিজের গুদামে মজুদ করছে। দশ টাকার চাল পরে সুযোগ বুঝে বিক্রি করবে ত্রিশ-চল্লিশ টাকা দরে। রাতারাতি টাকার পাহাড় গড়ে ফেলবে। ডিলাররা কিছু চাল দিয়ে বাকীটা বিক্রি করছে কালোবাজারে। কালো বাজার কিন্তু কালো না বা রাতে বসে না। গোপনে সরিয়ে নেয়া হয় নিজের গুদামে। সবাই এখন দোষ দেয় যে, দলের সভাপতি চাল চুরির দায়ে গ্রেফতার! সভাপতি আর কেউ নয়, সে ঐ এলাকার ডিলার। এখনতো সভাপতিই চুরি করবে। কারন আমরা একটা প্রবাদ জানি, যার বাপে হাটে যায়, তার পোলায়ই কলা খায়। অন্য দল যখন ক্ষমতায় থাকে তখন এই দলের নেতারা তো ডিলারি পায় না। যখন যে দল ক্ষমতায় বসা থাকে তখন সেই দলের নেতা-কর্মীরাই চেয়ারম্যান হয়, ডিলার হয়। তখন তো সেই সভাপতিই চাল চুরি করবে। আর পানি সবসময় নিচের দিকে গড়ালেও টাকা কিন্তু উপর দিকে গড়ায়। কেমন? এই নেতারা ডিলারি পেয়েছে তখন, যখন সে এলাকার সভাপতি হয়েছে বা নেতা হয়েছে। এই সভাপতি বা পদস্থ নেতা হওয়ার জন্য তার বিশাল বিনিয়োগ করতে হয়েছে। সম্মেলনের সময় কেন্দ্র থেকে আসা নেতাদের আদর আপ্যায়ন করতে হয়েছে, খুশি করতে হয়েছে। আর সেই কেন্দ্রীয় নেতাদের মনোরঞ্জনের জন্য তাকে বিশাল অংকের টাকা খরচ করতে হয়েছে। সেই টাকা তো তার তুলতে হবে! বাপের টাকা ভেঙ্গে কেউ কি পদ-ডিলারি-চেয়ারম্যানী বা নেতাগীরি নেয়? নেয় না। এভাবেই টাকা বিনিয়োগ করে নেতা-ডিলার-চেয়ারম্যান হয়। হওয়ার পর সেই বিনিয়োগের টাকা তুলতে চুরি-ছ্যাচরামী-অপকর্ম করতে হয়। একটা রাজনৈতিক দলের দু’চার-দশজন ভালো হলেতো হবে না। উপর থেকে যদি ভালো হতো তবে নিচের এরাও ভালো হতো। আর ন্যায্যমূল্যের চাল খাদ্যগুদাম থেকে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে নেয়া পর্যন্ত ঘাটে ঘাটে পানি খরচ করতে হয়। পরিবহন খরচ তুলতে হয় ঐ চাল থেকেই। সেটা পোষাতে গিয়ে অনেকে পরিমানে কম দেয়। আর পরিমানে কম দিয়ে অপরাধ শুরুই যখন করেছে তখন চুরি করে আরেকটু অপরাধ করতে বিবেক বাঁধা দেয় না। দেশে এই চুরি প্রতিরোধেই গঠন করা দরকার চুদক বা চুরি দমন কমিশন। চুদকের কাজ হবে এসব চুরি দমন করা। ওৎ পেতে থাকবে চুদক। যেখানেই চুরি সেখানেই হাজির হবে চুদক। একদিন দেখবেন চুদকের ভয়ে এসব চুরি থেমে গেছে। কিভাবে গঠন করতে হবে সেটা বিজ্ঞজনরাই ঠিক করবেন। আমি আমার ভাবনা শেয়ার করলাম মাত্র। একদিন নিশ্চই চুরি মুক্ত বাংলাদেশ দেখতে পাবো। সেই স্বপ্ন দেখাটা আমার অধিকার।

প্রলয়ংকারী করোনার আঘাত মোকাবেলায় দেশের অর্থনীতি, সামাজিক নিরাপত্তা রক্ষার বা অর্থনীতির চাকা সচল রাখার জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা প্রনোদনা ঘোষণা করা হয়েছে। এই হাজার হাজার কোটি টাকা যখন লেনদেন শুরু হবে তখন শুরু হবে না বেড়ে যাবে ঘুষ লেনদেন। ঘুষ লেনদেন আমাদের দেশে আগে থেকেই আছে। আমাদের দেশে মসজিদের জন্য বরাদ্দ টিআর এর চাল-গম-টাকা ঘুষ বিনা ছাড় করা যায় না। এমন অনেক নজীর আছে। মসজিদের টিআর এর চাল-গম-টাকা ছাড় করাতে মসজিদ কমিটি দানের বাক্স ভেঙ্গে ঘুষখোরদের হাতে ঘুষ তুলে দিতে বাধ্য হয়। সামনে আরো খারাপ সময় আসতেছে। সেই সময়ে মানুষ যেভাবে পারবে নিজেকে দাড় করাতে রাষ্ট্রের কাছে হাত পাতবে। প্রাপ্য টাকার বড় একটা অংশ যাতে ঘুষ দিতে না হয় সেই ব্যবস্থা এখনই করতে হবে। তাইতো আমার মনে হয় ঘুদক গঠন এখনই প্রয়োজন। আগের ঘুষখোর এবং সামনের সময়ের ঘুষখোরদের দমন করতে ঘুদকই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারবে। দেশে এমন কোন সেক্টর নেই যেখানে ঘুষের জ্বালা নেই। ঘুষ লেনদেন বন্ধ করতে পারলে দেশ আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি। অর্থনীতির চাকা স্বচল রাখার জন্য বরাদ্দকৃত টাকা যেনো এহাত ওহাত করে বাইরে পাচার হয়ে না যায় সেদিকে নজর দিতে হবে। আমাদের দেশের সরকারী বড় বড় অসৎ কর্মকর্তারা, অসৎ নেতারা, অসৎ ব্যবসায়ীরা টাকা হাতিয়ে পাঠিয়ে দেয় বিদেশে। কেউ কি শুনেছেন, এ পর্যন্ত কোন কৃষক বা কোন খেটে খাওয়া মানুষ, অশিক্ষিত মানুষ বিদেশে দেশের টাকা পাচার করেছে? বলতে পারবেন না, কারন কেউ পাঠায়নি। কিন্তু অসৎ শিক্ষিত অমানুষগুলোই দেশের টাকা বিদেশে নিয়ে মোজ-মাস্তি করছে। একদিন দেশ ঘুষমুক্ত হবে। হবে নিশ্চই একদিন। ঘুষ সাধার কারনে কর্মকর্তারা অসৎ ব্যক্তিদের আইনের হাতে তুলে দেবে এমন স্বপ্ন দেখায় কোন দোষ আছে বলে আমি মনে করি না। আর স্বপ্ন দেখতেতো ঘুষ দিতে হয় না।

সংকট থাকবে না। আধার কেটে যাবে। নুতন আলোর অপেক্ষায় আছি আমরা সবাই। আলো শুধু করোনা ভাইরাসই আড়াল করেনি। আমাদের দেশের চুরি, ঘুষ, দুর্নীতিও আলোকে আড়াল করে রেখেছে। আমাদের দেশেও একদিন নতুন আলো উঠবে। আলো ঝাটকা মেরে উঠে না। সময়ের কিছুটা তারতম্য হয়। তাইতো দেখি দেশের সকল এলাকায় একসাথে ভোর হয় না, একসাথে রোজার সাহরি খাই না, ইফতার করি না। আস্তে আস্তে আলো আসে, আলো যায়। এটা হয়তো দূরত্বের কারনে হয়। আলোও আস্তে আস্তে ছড়িয়ে যাবে। এক পর্যায়ে তীব্র আলোয় আলোকিত হবে সারাটা দেশ। সবাই তখন নতুন আলোয় অবগাহন করবে। অমিত সম্ভাবনার দেশ বাংলাদেশ। নতুন ভোরের আশায় আমরা সবাই তাকিয়ে আছি। আসুন সবাই ভালো হই। সবাই ভালো হলেই ভালো থাকবে দেশ। একজন করোনা রেগি যেমন সাড়া বিশ্বকে কাপিয়ে দিয়েছে তেমনি একজন চোর-ঘুষখোর-দুর্নীতিবাজ-অসৎ লোক দেশটাকে অসুস্থ্য করে ফেলতে পারে। ভালো থাকুক সোনার দেশ।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: আসলেই শিরোণাম দেখে ভড়কে গিয়েছি।

দুদকের উপর আমার আস্থা ভরসা নেই।

২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৫৮

ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: ভালো আইডিয়া B-)

৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: চুদক আর গু দক চুদুর বুদুর শুনবে না

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.