নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মৌন পাঠক

মৌন পাঠক › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাস্তিকের মূলোৎপাটনঃ ডাইরেক্ট একশন (৪র্থ পর্ব)

১৩ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:০৫



চিত্রঃ এ আই

সময় চলে যাচ্ছে, সময়ের হাত ধরে;
সময়ের হাত ধরে বাজে সময় আসে, সুসময় যায়।

মেহেদী সাহেব থ্রেটের কথা ভুলেই গেছেন বলা চলে।
মাঝে মাঝে লেখেন ফেসবুকে, যদিও বুঝতে পারছেন,
এক জোড়া চোখ তার উপরে নজরদারি করছে।

অনিয়মিত লেখালেখির বদভ্যাসের সূত্র ধরে কিছু লেখা হয়।

ওই ঘটনার মাস ছয়েক পরে ফেসবুকে একটা নিম্ন মানের কবিতা লেখার অপরাধে
মেহেদী সাহেব "ধর্মবমাননা, নারী বিদ্বেষ ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার" অভিযোগে অভিযুক্ত হন,
যা উক্ত ডিজিএম কর্তৃক স্বাক্ষরিত, ও এর অনুলিপি সকল দপ্তরেই প্রেরণ করা হয়।

ভাগ্যিস, পত্রটি পান, তার প্রমোশনের দিনেই,
দুই একদিন আগে হলেই তার প্রমোশন আটকে যেত।

চিঠি পাওয়ার অব্যবহিত পরে, মেহেদী সাহেব,
ডিজিএম এর সাথে দেখা করতে যায়, তার পরিবার ও পরিজনের পরামর্শে।

যে কবিতা লেখার কারনে অভিযোগ করা হয়,
সে কবিতা একাধিক প্রফেশনাল ও উকিলকে দেখানো হয়,
যাদের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের জিএম লেভেলের কর্মকর্তা,
প্রশাসনের উচ্চপদস্থ লোকজন ও আছেন,
তাদের সকলের মতেই এই কবিতার দায়ে অভিযোগ রীতিমত হাস্যকর।

ব্যক্তিজীবনে কোন ও সেক্যুলার বা নাস্তিক, ধর্মত্যাগীর সাথে মেহেদী সাহেবের পরিচয় নাই,
সবই মূলত অনলাইন ভিত্তিক, এবং
অনলাইনে কাকে যে বিশ্বাস করা যায় আর কাকে যে বিশ্বাস করা যায় না,
সেটা খুব বড় একটা প্রশ্ন।

আশ্চর্য জনকভাবে সাহায্য আসে এক সিনিয়র কলিগ ও বড় ভাইয়ের নিকট থেকে;
নিরুপায় হয়ে মেহেদী সাহেব ই তাকে কল করে ও সকল ব্যাপার খুলে বলে।

ধরে নিলাম, সেই সিনিয়র ভাইয়ের নাম মুর্তজা। মুর্তজা সাহেব আরও কিছু তথ্য জানান,
সেটা হলো, মুর্তজা সাহেবেদের যে গ্রুপটা এককালীন ডিজিএমের খুব কাছের ছিল,
এবং ডিজিএমের লাস্ট প্রমোশনঃ এজিএম টু ডিজিএম এবং
একটা গুরুত্বপূর্ণ পদায়নে এদের প্রত্যক্ষ্য ও পরোক্ষ ভূমিকা ছিল।;
পরবর্তীতে, এরা প্রত্যকেই ডিজিএম এর কূটচালের শিকার।

সো এই গ্রুপ ও লাস্ট ভাইভাতে মুর্তজা সাহেবের ক্লোজ একজন বন্ধু
এবং ব্যাচমেট (সে ক্ষতিগ্রস্থ হয় ভিন্নধর্মী বলে)
ও ডিজিএমের ভিক্টিম মেহেদী সাহেবকে খুব সাহায্য করে।

তাদের সকলের সহায়তা ও পরামর্শ ও
নির্দেশনা অনুসরণ করেই ডিজিএমের সাথে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেয়।

সাক্ষাতে, ডিজিএম মহোদয় তাকে নিম্নোক্ত অভিযোগে অভিযুক্ত করে:

১) ইসলাম বিদ্বেষ, অর্থাৎ, মেহেদী সাহেব শুধুমাত্র ইসলামের বিরুদ্ধেই লেখে,
অন্য কোন ধর্মের বিরুদ্ধে লেখে না।

অফিসার: আমি কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে লেখি না,
যে কোন ও ধর্মের নামে প্রচলিত অধর্মের বিরুদ্ধেই আমার লেখনী।

তবে, যেহেতু বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান দেশ,
এবং আমিন নিজে মুসলিম কমিউনিটি থেকে আসছি,
সেকারণে ইসলাম নিয়ে মিথ্যাচারটা বেশী চোখে পরে,
ও এর বিরুদ্ধে বলা হয়।

২) মেহেদী সাহেব, হিন্দুদের উপর হামলা হলে লেখেন,
ফিলিস্তিন এ হামলা হলে লেখেন না।

(ডিজিএম সাহেব জানান, সে নিজেও দাঙ্গাকালীন সময়ে
হিন্দুদের বাড়ি পাহারা দিয়ে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন)

অফিসার: আমি সব সময়ই শোষিতের পক্ষে,
সে চট্টগ্রাম বা ফিলিস্তিন না, আমার টাইমলাইন এ ফিলিস্তিনের পক্ষে লেখা আছে,
তবে আমার লেখাটা সস্তা আবেগ বিবর্জিত, ফ্যাক্ট এর উপরে ভিত্তি করে লেখা;
আমার দুর্ভাগ্য, সেটা আপনার চোখ এড়িয়ে গেছে।

৩) ইসলামিক স্কলারদের বিরুদ্ধে লেখালেখি করা।

অফিসার: আপনারা যাদেরকে ইসলামিক স্কলার বলছেন,
তাদের অনেক বক্তব্যই মিথ্যা ও শঠতাপূর্ণ ও হাস্যকর,
তাদের এই সব বক্তব্য বরং ইসলামের বিরোধীদের হাসির খোরাক জোগায়।

আমরা যদি এদের এই মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে না বলি,
এটা মহামারির মত ছড়িয়ে যাবে,
যা আদতে মুসলমানদের ই লং রানে ক্ষতি করবে।

আর এ কারনেই এদের বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্চার হতে হবে।

৪) ইসলামিক বিভিন্ন দলের সমালোচনা করা।

অফিসার: কোনও ইসলামিক দলের সমালোচনা করা "ইসলামের" সমালোচনা না;
কোনও দলই ইসলামকে রিপ্রেজেন্ট করে না,
যেমন, “রবিউল ইসলাম” সমালোচনা করা ইসলামের সমালোচনা না,
এবং ইসলাম কোন রাজনৈতিক দলের একক সম্পদ না।

এই একপেশে আলোচনায় ডিজিএম মেহেদী সাহেবকে সিরিয়াস ভার্বালি এটাক করে
ও এবিউজ করে, এমনকি সে মেহেদী সাহেবের শিক্ষা
এবং ভার্সিটি নিয়াও কটুক্তি করতে ছাড়ে নাই।

পুনশ্চঃ আলোচনা টুকুন মেহেদী সাহেব ওয়ার্ড বাই ওয়ার্ড বলতে না পারায়
প্রশ্ন ও উত্তর আকারে দেয়া হল, আসলে, এত এত ঝাড়ি, থ্রেড
ও এবিউজের পুরোটা ওয়ার্ড বাই ওয়ার্ড মনে রাখা সম্ভবপর ছিল না।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:৩৮

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: াস্তিকেরা সংখ্যায় কম হলেও একাত্রিত।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৬:২০

মৌন পাঠক বলেছেন: প্রথমত, ওরা সংখ্যালঘু।

২য়ত, মেহেদী সাহেব ওদের কাউকে চেনে না।

২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:০০

কিরকুট বলেছেন: উতপাটন কি চলমান?!

১৩ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:০১

মৌন পাঠক বলেছেন: মেহেদী সাহেব জানিয়েছেন, উহা চলমান, নানান অজুহাতে।

৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: নাস্তিক বা আস্তিক এদের আসল পরিচয় মানুষ। তাই ধর্ম দিয়ে মানুষকে আলাদা করবেন না।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:০২

মৌন পাঠক বলেছেন: যে নিজেকে ধর্ম দিয়ে পরিচিতি দেয়, ধর্মই যার পরিচিতি, তারে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.