নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মৌন পাঠক

মৌন পাঠক › বিস্তারিত পোস্টঃ

নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা ও নব্য, আধুনিক ও রপ্তানিযোগ্য শিক্ষাবিদ!

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:১৮


চিত্রঃ অন্তর্জাল


নতুন শিক্ষা কারিকুলাম চালু হইছে দেশে।

বরাবরের মত জাতির সিংহভাগই ধারণা করছে এই শিক্ষা ব্যবস্থা কোনো কাজের ই না।

এই শিক্ষা ব্যাবস্থা দেশের শিক্ষারে পংগু কইরা দিবে, জাতির মেরুদণ্ড ভাইংগা দিবে (ছিল কবে?)

তবে আপনাদের সহমত ভাই হইতে পারি নাই বইলা আমি অত্যন্ত দু:খিত।

এই শিক্ষা ব্যবস্থা যে আসলেই কার্যকর, সে আপনাদের প্র‍্যাক্টিক্যাল উদাহরণ দিয়া ই বুঝাইয়া দেয়ার অপপ্রয়াস চালাচ্ছি:

দেখেন, এই শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হওয়ার ফলে, আচুক্কা দেশে শিক্ষাবিদের সংখ্যা বাইড়া গেছে কয়েক মিলিয়ন!

ভাবা যায়!

৩ বারে এসএসসি পাশ করা লোকও শুধুমাত্র এই কারিকুলাম এর প্রভাবে শিক্ষাবিদ!

৪ বারে দাখিল পাশ করা ব্যক্তিএ এই কারিকুলাম এর ছোয়ায় শিক্ষাবিদ!

৫০০ এমসিকিউ দাগায়া পাশ করা ব্যক্তিও এই কারিকুলাম এর স্পর্শে শিক্ষাবিদ!

চার হাত পায় নকল কইরা পাশ করা ও ব্যক্তিও এই কারিকুলাম এর স্পর্শে শিক্ষাবিদ!

সেই "আই এম জিপিএ ৫" ও কিন্তু আজ শিক্ষাবিদ!

মুখস্ত বিদ্যার ধারক ও বাহক তোতা পাখি ও এই কারিকুলাম এর আলোয় উদ্ভাসিত হয়া শিক্ষাবিদ!

প্রশ্ন ফাস কারী চিটার, ও কর্মীগন, চোকিং্যের নোট সরবরাহকারী, সাজেশন বিক্রেতাগনও আজ শিক্ষাবিদ!

ফেসবুকে "ই" রে "য়" এবং "য়" রে "ই" লেখা মহান ব্যক্তিগনও আজ এই কারিকুলাম এর স্পর্শে শিক্ষাবিদ!

যাদের হাতে দেশ উচ্ছন্নে গেল তারা ও এই কারিকুলাম এর ছোয়ায় আজ শিক্ষাবিদ!

শিক্ষার নামে, মহান আল্লাহপাকের নামে রাস্তায় দাড়ায়া যারা বাচ্চাদের দিয়া ভিক্ষাবৃত্তি করায়, আজ তারা ও এই কারিকুলাম এর ছোয়ায় শিক্ষাবিদ!

ভাইবা দেখেন, এরা কেউই এই কারিকুলাম পাঠ করে নাই, পাঠ না কইরা ই শুধুমাত্র এর আলোয় আজ শিক্ষাবিদ!

আর এরা সকলে যদি পড়ত, বুঝতেই পারছেন..

বিগত হাজার বছরে এই বংগভূমিতে এরকম আলৌকিক কিছু এ বিশ্ব অবলোকন করে নাই।

এই শিক্ষা কারিকুলাম যে কাজ কার্যকর, তার সব থেকে বড় প্রমান আপনারা, যারা এর বিরোধিতা করছেন; দেখেন, আপনাদের মাঝেই পরিবর্তন ঘটছে, আপনারা প্রশ্ন করা শিখছেন, এই কারিকুলাম এর ছোয়ায়।

দেশে যে হারে শিক্ষাবিদ যে হারে বৃদ্ধি পাইছে, তাতে এইটাই সঠিক সময়, কিছু শিক্ষাবিদ বাইরে রপ্তানি করার, এই ডলারের সংকটকালীন সময়ে বড়ই উপকার হবে বৈদেশিক মূদ্রা আমদানিতে।

আর বাংলাদেশ হবে, বিশ্বের ১ম শিক্ষাবিদ রপ্তানিকারক দেশ!

বিরোধিতা করা সাপোর্ট করি, সেটা যৌক্তিক ও বস্তুনিষ্ঠ হোক।

বিরোধিতা করার জন্য বিরোধিতা করা, বা ব্যক্তিগত গেইনের জন্য বিরোধিতা করা গ্রহনযোগ্য না।

এইটা আর ও ক্ষতিকারক, এই পয়েন্টলেস বিরোধিতা শিক্ষা ব্যবস্থার যে অংশ নিয়া সমালোচনা করা দরকার, সেইটারে আড়াল করে ফেলছে, মূল ফোকাসটা সরে যাচ্ছে, আল্টিমেটলি আমরাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৪৯

আমি নই বলেছেন: এত বড় একখানা প্রবন্ধ লিখলেন কিন্তু নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা ঠিক কেন ভাল তার পক্ষে কোনো যুক্তি দিলেন না, খালি সমালোচনা করলেন। যুক্তি শুনলে না হয় বিরোধিতা বা সমর্থন কোনো একটা করা যেত।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১:০৬

মৌন পাঠক বলেছেন: প্রবন্ধখানা মূলত সমালোচকদের অহেতুক ও অর্থহীন সমালোচনার বিরুদ্ধেই লেখা।

আর পক্ষে বেশ কিছু ভালো লেখা আছে, বরাবরের মতই ইতিবাচক লেখা প্রচার পায় না।

খানিক খুজলে পাবেন আশা করি

২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৫৫

বাকপ্রবাস বলেছেন: পক্ষের যত গুলি যুক্তি পাইলাম সেগুলো কোন যুক্তিই না, পক্ষবাজিরা প্রধান যে কথা বলে সেটা হল আগে বিষয়টা জানেন, বুঝেন তারপর সমালোচনা করেন।
অথচ অভিভাবক হতে শুরু করে ইউনিভার্সিটির টিচাররা পর্যন্ত তাদের যুক্তিগুলো প্রকাশ করছে, তবুও বলা হচ্ছে আগে জানেন, বুঝেন, আর কী জানার আছে?
আপনারা পয়েন্ট ধরেধরে বলেন যে, সিলেভাসে এটা আছে এটা এই কারনে দরকারী, কথায় কথায় ফিনল্যান্ড দেখাচ্ছেন, আর পিকনিক আর ব্যাং লাফ দিচ্ছেন
আমাদের আর্থিক সক্ষমতা, গ্রামে যেখানে অভাব তাদের কী অবস্থা, শিক্ষক প্রশিক্ষণ, স্কুলের সক্ষমতা এসবের ধারেকাছে না থেকে একই কথা বলে যাচ্ছেন যে, আগে বুঝেন তারপর বলেন
আমার সন্তার স্কুলে আছে, সে তার মা এর মোবাইল না নিয়ে পড়তে পারছেনা, এসাইনম্যান্ট আছে, সে বাড়ি থেকে রান্না করে নিয়ে যাচ্ছে, এসব দেখেইতো আমার মাথা বিগড়ে যাচ্ছে সিলেভাস আর দেখব কি?
আমার সন্তান তার সিকিউরিটির জন্য মোবাইল ব্যাবহার করতে বলি, কিন্তু সে নেবেনা, কারণ স্কুলে নিষিদ্ধ, সেই সন্তান সন্ধ্যা হলে তার মায়ের মোবাইল নিয়ে নিচ্ছে পড়ার জন্য লাগবে বলে, এখন গুগল সার্চ করলে কী কী চলে আসবে সেটা আমরা সবাই জানি
লিখে রাখেন সেদিন আর বেশী দূরে নাই স্কুলে কনডম বিলি করবে এই শিক্ষা ব্যাবস্থা

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১:১৫

মৌন পাঠক বলেছেন: বিরোধিতা যারা করছে এদের বিরোধিতার লজিক্যাল গ্রাউন্ড খুজে পাই নাই বইলা ই এই লেখা।

ভার্সিটির টিচারেরা ও এর পক্ষে লিখছে, যুক্তি ও তথ্য সহকারে, আপনি পান নাই, সেইটা আপনার দুর্ভাগ্য।
অথবা, এলগরিদমের কারসাজিতে আপনার নিকট ওগুলো পৌছায় না।

সক্ষমতার আলাপ টা ভিন্ন, আর সেই আলাপে গেলে এ জাতি জীবনেও সক্ষমতা অর্জন করবে না।

এই যে মাঝ দিয়া কনডম ডাউনলোড করলেন, এইটা ঠিক কোন লেভেলের উদাহরন বা এই উদাহরন্টা এই প্রসংগের সাথে কিভাবে যায়?

এই শিক্ষা ব্যবস্থা যে কার্যকর হবে, তার বড় প্রমান আপনি ও আপনারা।
কিভাবে?
পোস্টে ই বাস্তব উদাহরণ সহ বলা আছে, আবার না হয় পড়ে নিয়েন।

৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১:০৭

কামাল১৮ বলেছেন: আসল গলদ কি শিক্ষা দিচ্ছে সেখানে।কেমন করে শিক্ষা দিচ্ছে সেটা আসল না।স্কুলে কি বিবর্তন তত্ত্ব শিক্ষা দেয় নাকি বিদায় হজ্ব শিখায়।বিজ্ঞান শিখায় নাকি ধর্ম শিখায়।ব্জ্ঞানীদের জীবনী শিখায় নাকি নবীদের জীবনী শিখায়।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১:২০

মৌন পাঠক বলেছেন: কি শিক্ষা দিচ্ছে তার সাথে কিভাবে শিক্ষা দিচ্ছে সেটাও গুরুত্বপূর্ণ।

বিজ্ঞানের যে বিষয়গুলো আমরা মুখস্ত করছি, সে আর আজা আমাদেরর মনে নাই, ঐ একই বিষয় যদি ব্যবহারিক দেখানো হত, আমাদের এট লিস্ট প্রসেসটা মনে থাকত।

সেছাড়া, আনন্দের সাথে যে যেটা শেখা যায়, সেটা খুব সহজে শেখা যায়।

আমি নিজে গনিত, বিজ্ঞান ও ইংরেজিতে ভালো করতাম, আর সাধারণ জ্ঞান বা মুখস্ত বিদ্যায় খারাপ ছিলাম;
১ম তিনটা খুব ভালো লাগলেও শেষেরটা বিরক্ত বোধ করতাম, ফলে সাধারন জ্ঞান ও মুখস্ত যা কিছু সেখানে আমি দুর্বল।

৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১:১৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: মজা পেলাম :)

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১:২১

মৌন পাঠক বলেছেন: আমি ও .....

৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১:৪৪

কামাল১৮ বলেছেন: মুখস্ত না করে যদি বুঝতেন তবে সারা জীবন মনে থাকতো।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:২১

মৌন পাঠক বলেছেন: আমার মন্তব্যটা সম্ভবত বুঝাইতে পারি নাই,
আমি মুখস্ত বিদ্যায় খারাপ ছিলাম, বাট গনিত, বিজ্ঞান ইংরেজিতে ভালো,
কেননা, এগুলো পইড়া মজা পাইতাম।

৬| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৪২

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আগেরদিনের মুখস্থ বিদ্যাই এদের কাছে ভালো। এক্সপেরিমেন্ট জাতীয় কিছু ভালো লাগে না।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১৮

মৌন পাঠক বলেছেন: তোতাপাখি বরাবর ই তাদের নিকট প্রিয়, ওতে আজ্ঞাবাহী, ভারবাহী দাস পাওয়া যায়..

৭| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৪৫

নাহল তরকারি বলেছেন: আমিও এই শিক্ষা সিস্টেম এর বিরোধী।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৫

মৌন পাঠক বলেছেন: বিরোধিতা করতেই পারেন, সেটা লজিক্যাল গ্রাউন্ড থেকে করুন,
যে সমালোচনা আমাদের উন্নয়নে কাজে আসবে।

৮| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০৩

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: আজ কাল ফেসবুকে দেখলাম কি ভাবে শিক্ষক কে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে
এতে বুঝলাম আমরা অনেক উন্নত হয়েছি----

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৭

মৌন পাঠক বলেছেন: ওর বেশ কিছু ভিডিও নাকি ভারতের।

ধরেন ওগুলো দেশের, সে প্রশিক্ষণের ভিডিওর গঠনমূল্ক সমালোচনা করুন, কুল সাজার জন্য সমালোচনা করা অবশ্যই গ্রহনীয় না।

৯| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:১৪

বুনোগান বলেছেন: বিষয়টি অবতারণার জন্য ধন্যবাদ। জাতীয় শিক্ষাক্রম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি হাসি মষ্করার মত কোন বিষয় না। সোশ্যাল মিডিয়ায় এটা নিয়ে বিভিন্ন ট্রল চলছে। জাতীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে ট্রল করার পক্ষপাতি আমি না। সরকারের কাজ সরকার করেছে। এর আগেও বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা হয়েছে। স্থবিরতার চেয়ে কিছু চেষ্টা করা ভাল। এই প্রয়াসে প্রকৃত শিক্ষাবিদ, বিশেষজ্ঞ ও জনগণের কতটুকু সংপৃক্ততা ছিল তা আমি এখনও দেখিনি। এর মন্দ ভাল অবশ্যই তুলে ধরা দরকার। কিছু মন্তব্য করার আগে আমি শিক্ষাক্রমটি পড়ছি। আপনারা নিশ্চই পড়েছেন? জাতীয় শিক্ষাক্রম

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১৮

মৌন পাঠক বলেছেন: সুন্দর আলাপন।

১০| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৫২

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: প্রশ্ন ফাস কারী চিটার, ও কর্মীগন, কোচিং এর নোট সরবরাহকারী, সাজেশন বিক্রেতাগনও আজ শিক্ষাবিদ!

এইটাই হইল আসল কথা। কোচিং সেন্টার ও গাইড বই এর প্রকাশকেরা ঠিকই বুঝে গেছেন নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা পুরো মাত্রায় চালু হয়ে গেলে তাদের তথাকথিত ব্যবসার লাল বাত্তি জ্বলতে দেরি হবে না, এই কারণেই তারা উঠে পরে লেগেছে।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২০

মৌন পাঠক বলেছেন: জাতি হিসেবে ভালো কিছু ধ্বংস করায় আমাদের জুড়ি নাই
এর ও একটা বিহিত করে ছাড়ব ইনশাল্লাহ

১১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:০২

নিমো বলেছেন: কিছু কূপমন্ডুক দেশ, রাষ্ট্র, সরকার, রাজনৈতিক দলের পার্থক্যটা বুঝতে অক্ষম। তাই কোন রাজনৈতিক আদর্শের বিরোধিতা করতে দেশকে উগান্ডা বানিয়ে দেন, একটি শিক্ষাক্রম ও তাকে ঠিক মত বুঝে প্রয়োগ করাদের পার্থক্য বুঝেন না, বিরোধিতা করতে হবে, তাই করব। ব্লগেরতো একটি নীতিমালা আছে, সেটা সঠিক ভাবে বুঝে কয়জনই বা ব্লগিং করে থাকেন। এখন দোষটা কার, ব্লগের নীতিমালার নাকি যারা নীতিমালা সঠিক ভাবে বুঝে নি, নিজের ইচ্ছামত ব্লগিং করেন।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২১

মৌন পাঠক বলেছেন: না বোঝায় কিন্তু আমাদের লাভ,
সেই লাভের গুড়ে আপনারা হাত দিচ্ছেন
হাউ ডেয়ার ইউ

১২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: নতুন বইয়ের নবম শ্রেণীতে শিক্ষার্থীরা ৫৮ পাতার ৩টা চ্যাপ্টার পড়বে। প্রথম চ্যাপ্টারে নিউটনের সূত্র, দ্বিতীয় চ্যাপ্টারে তাপমাত্রা ও তাপ আর তৃতীয় চ্যাপ্টারে পড়বে আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান যেখানে তরঙ্গ-পার্টিকেল ডুয়ালিটি, হেইসেনবার্গের অনিশ্চয়তার প্রিন্সিপল ইত্যাদি। একই দেশের ইংরেজি মাধ্যমের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী (মানে আমার বড় কন্যা পড়েছিল) ২১৬ পাতার ৮ চ্যাপ্টারের পদার্থবিজ্ঞানের বই যেখানে ছিল ইউনিটস এবং মেজারমেন্ট, ইলেকট্রিসিটি, ফোর্সেস এন্ড মোশন, রশ্মি এবং তরঙ্গ, আর্থ এন্ড স্পেস, এনার্জি, মাগনেটস এন্ড কারেন্ট, atoms এন্ড nuclei প্রভৃতি পড়বে। অর্থাৎ ইংরেজি মাধ্যমের সপ্তম শিক্ষার্থীরা যা পড়বে বা জানবে আমাদের বাংলা মাধ্যমের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরাও তা পড়বে বা জানবে না।
আর নবম দশম অর্থাৎ ও লেভেলে আছে ২৭১ পাতার পূর্ণাঙ্গ পদার্থবিজ্ঞান বই যেখানে আছে ৮টি ইউনিট। প্রথম ইউনিট হলো ফোর্স এন্ড মোশন, দ্বিতীয় ইউনিট হলো ইলেকট্রিসিটি, তৃতীয় ইউনিট হলো ওয়েভস, চতুর্থ ইউনিট হলো এনার্জি রিসোর্সেস, পঞ্চম ইউনিট হলো সলিড্স, লিকুইডস এন্ড গ্যাসেস, ষষ্ঠ ইউনিট হলো মাগনেটিজম এন্ড ইলেক্ট্রোমেগনেটিজম, সপ্তম ইউনিট হলো রেডিওএক্টিভিটি এন্ড পার্টিকেল এবং অষ্টম ইউনিট এস্ট্রোফিজিক্স।
তাহলে একই দেশের নবম দশম শ্রেণী পাশ করা ইংরেজি ও বাংলা মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের পার্থক্য বুঝতে পারছেন? একটা দেশে অর্থেবিত্তে ইংরেজি মাধ্যমের খরচ বহন করতে পারবে সেই ধনীর সন্তানরা সপ্তম শ্রেণীতেই যতটা পদার্থবিজ্ঞান পড়বে আমাদের বাংলা মাধ্যমের নবম শ্রেনীতে এসেও ততটা গভীরে পড়বে না। এই বৈষম্য আপনি কিভাবে ঘুচাবেন? কোনদিন ঘুচবে না। আবার উচ্চতর গণিততো নবম দশম শ্রেণী থেকে সম্পূর্ণ বাদ। অথচ ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীরা গণিতে পড়ে ৪৪৩ পাতার একটি পূর্ণাঙ্গ বই। এই বইয়ে আছে ১২টি চ্যাপ্টার যেখানে আছে নাম্বার, এলজেব্রা-১, Mensuration, জিওমেট্রি, এলজেব্রা-২, ট্রিগোনোমেট্রি, গ্রাফস, সেট্স ভেক্টরস এন্ড functions, matrices & ট্রান্সফর্মাশন্স, স্ট্যাটিসটিক্স এন্ড প্রোবাবিলিটি, ইনভেস্টিগেশনস, প্রাকটিক্যাল প্রব্লেমস এন্ড ধাঁধা। যেহেতু বিভাগ উঠিয়ে দিয়েছে তাই বর্তমান শিক্ষাক্রমের এইসব বিষয়ের সামান্যতম রাখলেও সবার জন্য করা যাবে না। তাহলে গণিতও কত কম জানবে বুঝতে পারছেন? একই কথা বলা চলে রসায়ন ও জীববিজ্ঞানের ক্ষেত্রে। শুধু ইংরেজি মাধ্যমে না। চীন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জার্মানিতে যারা বিজ্ঞান বিষয় নিয়ে পড়ে তারা আরো ডিপ লেভেলে ফিজিক্স পড়ে। দুইদিন আগেই বলেছিলাম ১০০ বছরেরও অনেক আগে ম্যাক্স প্ল্যাংক মাত্র ১০ বছর বয়সে শক্তির নিত্যতা সূত্র সম্মন্ধে স্কুলে পড়েছিলেন।
৯ম বা ১০ম শ্রেণীর নতুন পাঠ্যক্রমের ভেতরে কতটুকু বিজ্ঞান আর গণিত রয়েছে, সেটা কি একাদশ শ্রেণীতে উঠে তাদের যেই বর্তমান সিলেবাস আছে সেটার সাথে কোপ করার মত করে তাদের তৈরী করা হবে? একদম না। নতুন শিক্ষাক্রমে একটা মা্ত্র বিজ্ঞানের বই পড়ে একাদশে ওরা ফিজিক্স, কেমেস্ট্রি আর বায়োলজির আলাদা তিনটে বিশাল সিলেবাসের ভার বইতে পারবে না না। এই সামান্য জিনিসটা বুঝতে কি বড় বিজ্ঞানী হওয়া লাগবে? এইটা বোঝা তো কমনসেন্সের ব্যাপার। তার মানে এখন উচ্চমাধ্যমিকের সিলেবাসও কেটেছেঁটে লঘু করতে হবে! তাহলে নতুন শিক্ষাক্রম পড়ে আমাদের ছেলেমেয়েরা কিভাবে গণিত অলিম্পিয়াড করবে? কিভাবে ফিজিক্স অলিম্পিয়াড করবে? অথচ বর্তমান কারিকুলাম পড়ে আমাদের ছেলেমেয়েরা এই দুটিসহ অন্যান্য সব অলিম্পিয়াডে খুবই ভালো করছে। এরা আরো ভালো করতো যদি আমাদের স্কুলগুলোতে আরো ভালো মানের শিক্ষক দিতে পারতাম। আমাদের স্কুলের শিক্ষকরা যদি শ্রেণীকক্ষে আরো অধিক মনোযোগী হতেন। হবে কিভাবে? এত অল্প বেতনে এরাতো চলতে পারে না।
বাংলা মাধ্যমের বর্তমান সিলেবাসের উপর একটা কালিমা লেপে দেওয়া আছে। একটা কথা চালু আছে যে বাংলা মাধ্যমের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাটা মুখস্থনির্ভর, কোচিং নির্ভর। না বুঝলেতো মুখস্ত করতেই হবে। পদার্থবিজ্ঞান কিংবা গণিততো মুখস্তের তেমন কিছু নাই। অথচ মুখস্তের কালিমা লেপে এইগুলোকেই কেটে ছেঁটে দেওয়া হয়েছে। সমস্যা হলো শ্রেণী কক্ষে বিজ্ঞানকে সার্জারি করে স্লাইস করে করে লজিক্যাললি পড়াতে পারার মত যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয় না। কিছু কিছু কোচিং সেন্টারে ভালো শিক্ষক আছে বলেই শিক্ষার্থীরা কোচিং মুখী হয়েছে। কিন্তু যত ভালো শিক্ষকই সেখানে থাকুক কোচিং একটা ব্যবসা। সেখানে সঠিকভাবে পড়ানোর বদলে ওই মেধাবী শিক্ষকরা ট্রিকস বা শর্টকাট রাস্তা শেখায়। অথচ কোচিং এর শিক্ষকদের মানের শিক্ষকই যদি বিদ্যালয়ে নিয়োগ দেওয়া হয় এবং তাদের যথেষ্ট বেতন দেওয়া হয় আর তারা যদি বিদ্যালয়ে যথেষ্ট সময় দেয় তাহলেই বর্তমান বাংলা মাধ্যমের সিলেবাস দিয়ে ম্যাজিক্যাল সাফল্য সম্ভব।
গতবার যারা অনার্স শেষ করেছিল তাদের অনেকেই অত্যন্ত মেধাবী কিছু শিক্ষার্থী ছিল। এদের একজন জার্মানি চলে গিয়েছে, কয়েকজন তত্তীয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে চলে গিয়েছে বাকিরা পদার্থবিজ্ঞান বিভাগেই আছে। তত্বীয় পদার্থবিজ্ঞানেও আমি একটি কোর্স পড়াই বলে ওদের সবাইকেই আমি পড়িয়েছি। পড়িয়ে আমি মুগ্ধ। এদের অন্তত একজন ভর্তি পলীক্ষায় একদম প্রথম দিকে থেকেও পদার্থবিজ্ঞানেই ভর্তি হয়েছে। সে বুয়েটেও সুযোগ পেয়েছিল। সম্প্রতি এদের কয়েকজন ফিজিক্স সাবজেক্ট জিআরই দিয়েছিল। এদের অন্তত দুজনের কথা জানি যারা ৯৩০ এর উপরে পেয়েছে, ১ জন সাধারণ জিআরইতে ৩২৩ পেয়েছে, IELTS-এ ৮.৫ পেয়েছে। এছাড়া আমার আরো ৩ জন ছাত্র খুবই অল্প প্রস্তুতিতে IELTS-এ ৮পেয়েছে। এরা সবাই বাংলা মাধ্যমে পড়ে এসেছে। এরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। আমি এদের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িয়ে এত আনন্দ পাই। আমার আশংকা নতুন শিক্ষাক্রম যারা পড়ে আসবে তাদের মধ্যে থেকে এমন মেধাবী আর হয়ত পাব না। আমার এই আশংকার কারণগুলো নিশ্চই উপরের লেখা থেকে বুঝতে পারছেন? বর্তমান বাংলা মাধ্যমের কারিকুলামকে আরেকটু কেটেছেঁটে, স্কুলগুলোতে ভালো শিক্ষক দিয়েই আমরা অভূতপূর্ব সাফল্য পেতে পারতাম। আসলে বিজ্ঞানের বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। এই দেশ থেকে আর বড় বিজ্ঞানী, ইঞ্জিনিয়ার ও ডাক্তার পাব না।
ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত আপনারা সিভিক আইন সেখান, রান্না বান্না সেখান, সুস্থ থাকা সেখান, বনে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে পরিবেশ ও প্রাণীদের সম্মন্ধে সেখান। পরীক্ষা কম থাকুক। এইসবে আমার কোন আপত্তি নাই। কিন্তু সপ্তম শ্রেণী থেকে আস্তে আস্তে সিরিয়াস জিনিস পড়াতে হবে। নবম শ্রেণীতে এসে যাদের গণিত ও বিজ্ঞানের বিষয় ভালো লাগবে তাদেরকে গণিত ও বিজ্ঞান নিতে দিন, যাদের মানবিকের বিষয় ভালো লাগবে তাদের মানবিকের বিষয় নিতে দিন আর যাদের ব্যবসার বিষয় ভালো লাগবে তাদের ঐসব বিষয় নিতে দিন। এই সময়টাই ভিত্তি গড়ার সময়। বড় বহুতল ভবন বানাতে হলে যেমন ভিত্তির জন্য মাটির নিচে গভীরে যেতে হয় অর্থাৎ যত বেশি উঁচু ভবন হবে তত বেশি গভীরে ফাউন্ডেশন দিতে হবে। তাই সপ্তম শ্রেণী থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত এই ফাউন্ডেশন তৈরির কাজকে স্কুল ও কলেজকে করতে হয়।
(লেখক ঃ Kamrul Hassan Mamun ( Professor at University of Dhaka )

উপড়ের লেখায় নতুন কারিকুলামের সমালোচনার জবাব বস্তুনিষ্ঠ ও গঠনমুলক যুক্তি সহকারে দিন । মুখস্থ বিদ্যার ধারক বাহক তোতা পাখি, জিপিএ ৫ শিক্ষাবিদ এ জাতীয় শব্দগুলো নিশ্চই বস্তুনিষ্ঠ ও গঠনমুলক নয় !!

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪২

মৌন পাঠক বলেছেন: এইটা লজিক্যাল আলোচনা, এই ধরনের সমালোচনা অবশ্যই হওয়া উচিৎ।

আমার লেখা, যারা হুযুগে নাচে এদের জন্য।

১৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: দেশে সব কিছু বদলে যাচ্ছে। সরকার বলছে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে। এদিকে লেখাপড়ার মান কমেছে। বেকার বাড়ছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। টাকা পাচার হচ্ছে।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৭

মৌন পাঠক বলেছেন: মহাসড়কে স্লিপ কাটতে ই পারে (হাহাহা)

১৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৪

আমি সাজিদ বলেছেন: ছাত্রলীগ যুবলীগ তাঁতিলীগ আর আওয়ামী তে যে সবাই শিক্ষাবিদ এই বিতর্কে প্রমাণিত হল।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১৩

মৌন পাঠক বলেছেন: বড্ড একপেশে মন্তব্য হইল।

অবশ্য, ঢিলা কুলুপ বিজ্ঞান স্কুলে আমরা এসবই শিখে আসছি কিনা..

১৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০১

অপু তানভীর বলেছেন: হুজুগে শিক্ষাবিদদের জন্য একেবারে যুতসই পোস্ট !
যতগুলো এই ব্যাপারে পোস্ট পড়লাম তাদের একজনও নিজে এই কারিকুলাম ঘেটে দেখেছে বলে মনে হল না । এদের সব ইনফরমেশনের সোর্স হচ্ছে ফেসবুক ।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১৪

মৌন পাঠক বলেছেন: ফেসবুক ভার্সিটির ছাত্র বলে কথা

১৬| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২৯

রসায়ন বলেছেন: আপনার পোস্টের ভাষা যথার্থ। এরা এর থেকে ভালো শব্দ ডিজার্ভ করে না।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১৫

মৌন পাঠক বলেছেন: শুকরিয়া জনাব।

১৭| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০৯

বিজন রয় বলেছেন: আমি নতুনের পক্ষে।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১৬

মৌন পাঠক বলেছেন: বাংলা সিনেমার নায়িকা নতুনের কথা কচ্ছেন?
আমি ও তার পক্ষে

১৮| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:০৯

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আপনি তো ব্লগার ঢাবিয়ানের প্রশ্নের উত্তর দিলেন না পাশকেটে চলে গেলেন কারণ এর উত্তর আপনার কাছে নেই, দিতেও পারবেন না। সেই সংগে এই নতুন কারিকুলামের প্রভাবে কয়েক মিলিয়ন শিক্ষবিদের মধ্যে আপনিও মস্তবড় শিক্ষাবিদ হয়ে গেলেন?

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৩

মৌন পাঠক বলেছেন: ঢাবিয়ান যে মন্তব্য করেছে, সেটা তার লেখা না, সে কামরুল হাসান মামুন সাহেবের একটা পোস্ট কে হুবহু কপি পেস্ট করেছে।

২য়ত, আমার লেখাট মূলত শিক্ষাব্যবস্থার সমালোচনা না,
বরং যারা হুযুগে নেচে, যাচাই বাছাই না করে বিরোধিতা করার জন্য বিরোধিতা করে, তাদের এই অর্থহীন বিরোধিতারে মক কইরা।

আপনি যদি পইড়া থাকেন, খেয়াল করবেন, আমার লেখায় লজিক্যালি উদাহরণ সহ দেখাইছি, এই শিক্ষা ব্যবস্থা কেন ও কিভাবে কার্যকর। (সেইটা ও যদি ও আয়্রনি)

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৮

মৌন পাঠক বলেছেন: সরি, বাট ব্লগার ঢাবিয়ানের প্রশ্নের উত্তর দেয়ার মত সময় না আমার হাতে নাই।

১৯| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪০

মৌন পাঠক বলেছেন: ব্লগে লিং শেয়ার করা নিষিদ্ধ কিনা, আমার জানা নাই।

এই লেখায় আলোচিত বিষয় নিয়া রিউমার স্ক্যানার কিছু কাজ করছে, আপনারা সেগুলো তাদের এফবি পেজে দেখতে পারেন,

নিচে লিংক দিলাম, কত্তিপক্ষ চাইলে মুছে দিতে পারেন, যদি ল ভায়োলেট হয়।

https://fb.watch/oLJJoW1KpP/?mibextid=2JQ9oc


https://fb.watch/oLJKP5Ene6/?mibextid=2JQ9oc


https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=pfbid09tC7YvpMj5JV4gzcZCoot8rNqbKpFeWhPLKeVHpNoG8PLEPa9qoPUZfVwCHxU2bZl&id=100063242680226&mibextid=2JQ9oc

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.