নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

https://www.facebook.com/asadali.ht

মোহাম্মদ আসাদ আলী

সাংবাদিক

মোহাম্মদ আসাদ আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

গানের অর্থ না বুঝলে যা হয়

১৭ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:১৯

ও মোর রমজানের ঐ রোজার শেষে . . . . . গানটা শোনেন নি এবং পছন্দ করেন না আমার জানামতে এমন একজন ব্যক্তিও নেই। ঈদুল ফিতর উদযাপন হচ্ছে অথচ এই গানটি কোথাও শোনা যাচ্ছে না- এমনটা আর যাই হোক আমাদের দেশে কল্পনা করা যায় না। এখানে ঈদুল ফিতর মানেই ও মোর রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ। আচ্ছা, এই গানে কী বার্তা প্রদান করা হয়েছে? প্রকৃতপক্ষেই কি গানটি মুসলিমদের আনন্দের বার্তা বহন করে নাকি ভিন্ন কিছু? আমরা গানের কথাগুলো নিয়ে ভেবেছি কিনা? সম্ভবত ভাবি নি। কারণ এই গানটি উপলব্ধি করতে পারলে আমাদের আনন্দ করার কথা নয়, লজ্জায়-অনুতাপে মরে যাবার কথা। অথচ লজ্জার বালাই তো নেই-ই, বাস্তবতা হলো- এই গান না হলে যেন আমাদের আনন্দই জমে না। খুবই হাস্যকর! চলুন দেখে নেয়া যাক কী বলা হয়েছে-

রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ
আপনাকে তুই বিলিয়ে দে , শোন আসমানী তাক্বিদ।
আমরা আসমানী তাগিদ পালন করতে গিয়ে নিজের জীবনকে বিলিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা রাখি তো? রাখলে ভালো, না রাখলে কিন্তু গোড়ায় গলদ। যাই হোক, পরেরটুকু দেখুন-

তোরা সোনা-দানা, বালাখানা সব রহে ইল্লিল্লাহ
দে যাকাত , মুর্দা মুসলিমের আজ ভাঙাইতে নিঁদ
তার মানে এই জাতি মুর্দা? এ জাতির দেহে প্রাণ নেই? তাহলে মুর্দা মুসলিমের আবার ঈদ কীসের? আর কীসের অভাবেই বা জাতি প্রাণ হারাল? যাক সে কথা, পরেরটুকু দেখি

ও মন রমযানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।
আজ পড়বি ঈদের নামাজ রে মন সেই সে ঈদগাহে
যে ময়দানে সব গাজী মুসলিম হয়েছে শহীদ।
রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।
কী বলা হচ্ছে বুঝতে পারছেন তো? অর্ধপৃথিবীতে ইসলামের বিজয়কেতন উড়ানো সম্ভব হযেছিল ইসলামের জন্য প্রাণ উৎসর্গকারী লাখ লাখ মুজাহিদের রক্তের বিনিময়ে, তারা জীবন দিয়েছে কিন্তু রণাঙ্গন ত্যাগ করে নি, সত্য প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম থেকে পিছপা হয় নি। কিন্তু আজ এই জাতির অবস্থান কোথায় তা কি বলে দিতে হবে? এরা শত শত বছর পূর্বেই যে রণাঙ্গন (ঈদগাহ) ছেড়ে দিয়েছে এবং তার পরিণতিতে কয়েকশ বছর ভিন জাতির দাসত্ব করেছে, আজ কপালে দাসত্বের রেখা বয়ে নিয়ে ও নির্লজ্ব হাস্যমুখে তারা নামাজ পড়তে চলেছে সেই রণাঙ্গনেই, সেই ঈদগাহেই যেখানে 'সব গাজী মুসলিম হয়েছে শহীদ'। এর চেয়ে লজ্জার বিষয় আর কী হতে পারে? কাজী নজরুলের এই ভর্ৎসনা বোঝার ক্ষমতাও কি আমাদের নেই?

আজ ভুলে যা তোর দোস্ত-দুশমণ, হাত মেলাও হাতে,
তোর প্রেম দিয়ে কর বিশ্ব নিখিল ইসলামে মুরীদ।
রমযানের ঐ রোযার শেষে এলো খুশির ঈদ।
প্রেম দিয়ে বিশ্ব-নিখিলকে জয় করবে কি, এই জাতির নিজেদের রক্তে আজ নিজেদেরই হাত রঞ্জিত। ছাগল দিয়ে আর যাই হোক হালচাষ হয় না

যারা জীবন ভরে রাখছে রোযা, নিত্য উপবাসী
সেই গরীব ইয়াতীম মিসকিনে দে যা কিছু মুফিদ
রমযানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ
আপনাকে আজ বিলিয়ে দে শোন আসমানী তাগিদ।
একমাসের সওম পালন করে যারা হাফ ছেড়ে বাচল তাদের বোঝা উচিত যে, তাদেরই মতো অসংখ্য আদম সন্তান এই পৃথিবীতেই ছড়িয়ে আছে যাদের পেটে খাবার নেই, পরনে কাপড় নেই, মাথার উপর ছাদ নেই। এরা ইয়াতীম, এরা মিসকিন। তুমি এক মাসের এক বেলা খাবারের অভাবে এত কষ্ট পেয়েছে তাহলে এদের কথা ভাবো। এদের কষ্টও উপলব্ধি করার চেষ্টা কর। এই কাজ তোমার ঈমানী দায়িত্ব থেকে করতে হবে। যে সমাজে দারিদ্রতার কষাঘাতে মানুষকে মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়, যে সমাজে যাকাতের ভাগ নিতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে একই সাথে ২৭ জন দুস্থ মানুষকে জীবন হারাতে হয়, যে সমাজে ১৩ বছরের বাচ্চাকে নির্মমতার পরাকাষ্ঠা দর্শন করে অসহায়ভাবে প্রাণত্যাগ করতে হয়, যে সমাজে পিতার কাছে মেয়ে নিরাপদ নয়, মেয়ের কাছে পিতা নিরাপদ নয়, যে সমাজে বিনা অপরাধে নিরীহ নারী-শিশুকে যানবাহনের মধ্যে জীবন্ত দগ্ধ হতে হয়, সেই সমাজে ঈদ নয়, সংগ্রাম প্রয়োজন। মানুষের জন্য, মানুষের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়া প্রয়োজন

এলো খুশির ঈদ এলো, এলো খুশির ঈদ। এলো খুশির ঈদ,
ও মন রমযানের ঐ রোযার শেষে এলো খুশির ঈদ।
এত কিছুর পরও যদি খুশিতে বুদ হয়ে থাকতে পারেন থাকুন। নামাজ পড়ুন, রোজা রাখুন, ঈদ করুন, ভোগ-বিলাসিতায় মত্য থাকুন, সময় হলে মরে যান- মনুষ্যত্বহীন পশুর চেয়ে এর বেশি কিছু আশা করি না। আল্লাহ হাফেজ।
https://www.facebook.com/asadali.ht

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৪০

অযাযিত তুর্য্য বলেছেন: ভাল লাগলো :)

১৭ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৪৯

মোহাম্মদ আসাদ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৪৭

এস বাসার বলেছেন: বেশী বুঝলে ছাগল হতে হয়........

১৭ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৫৩

মোহাম্মদ আসাদ আলী বলেছেন: মনে হচ্ছে উপযুক্ত বুঝনেওয়ালা কোনো ছাগলের উপযুক্ত শিষ্য আপনি। আপনার গুরু বেশি বুঝে ছাগল হয়েছে- আপনিও এ কাজ করতে যাবেন না কিন্তু :-B

৩| ১৭ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৫৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: গত সপ্তাহে প্রথম অালোতে মোস্তাহাব জামান অাব্বাসী নজরুলের এই গভীর তাৎপর্যপূর্ণ গানটা নিয়ে বিশদভাবে অালোচনা করেছিলেন । অাব্বাস উদ্দীনের অনুরোধে নজরুল এটা লিখে ছিলেন । সে-ই সময়, অর্থাৎ ১৯৩২ সালে গানটা দারুণ জনপ্রিয় হয় । এই গানের জনপ্রিয়তার ওপর ভিত্তি করেই নজরুল ইসলামী গান লেখা শুরু করেন । তার প্রায় সবগুলো গান হিট হয় । অনেক হিন্দু শিল্পী নাম পাল্টে ইসলামী গান গাওয়া শুরু করেন । যাহোক, নিঃসন্দেহে এটা বলা যায় যে, এই গান ছাড়া রমজানের ঈদ পূর্ণতা পায়না ।

১৭ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:১২

মোহাম্মদ আসাদ আলী বলেছেন: নজরুলের এই গান যে ঈদকে পূর্ণতা দেবে সেই ঈদ আর আজকের এই ঈদের মধ্যে আকাশ-পাতালের তফাৎ আছে।

৪| ১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:১২

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: মোহাম্মদ আসাদ আলী আপনি একটা ছাগু। নজরুলের গানের উল্টা মানে করছেন কেন?
আপনি প্রথমত বলেছেন:
রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ
আপনাকে তুই বিলিয়ে দে , শোন আসমানী তাক্বিদ।
আমরা আসমানী তাগিদ পালন করতে গিয়ে নিজের জীবনকে বিলিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা রাখি তো? রাখলে ভালো, না রাখলে কিন্তু গোড়ায় গলদ। যাই হোক, পরেরটুকু দেখুন-
আসমানী তাক্বিদ বলতে কবি বুঝিয়েছেন আল্লাহর আসমান হতে আসা বাণী পৌছাতে হেব আমার মানুষের মাঝে।

আপনি দ্বিতীয়ত বলেছেন:
তোরা সোনা-দানা, বালাখানা সব রহে ইল্লিল্লাহ
দে যাকাত , মুর্দা মুসলিমের আজ ভাঙাইতে নিঁদ
তার মানে এই জাতি মুর্দা? এ জাতির দেহে প্রাণ নেই? তাহলে মুর্দা মুসলিমের আবার ঈদ কীসের? আর কীসের অভাবেই বা জাতি প্রাণ হারাল? যাক সে কথা, পরেরটুকু দেখি
আপনি বলেছেন মুর্দা আসলে কথাটা হবে হবে মুর্দ্দা আপনি বলছেন মুর্দা মানে মরা লাশ। কবি তা বলে নাই ,কবি বলেছে
তোর সোনা-দানা বালাখানা সব রাহেলিল্লাহ্‌।
দে জাকাত মুর্দ্দা মুসলিমের আজ ভাঙাইতে নিদ্‌।

কবি প্রথম লাইনে বলছে তোর সোনা দানা বালাখানা সব হিল্লায় রবে তুমি যখন পরপারে চলে যাবে। অতএব জাকাত টাকা হিসাবে দিতে হবে এই মুসলিম জাতীর ঘুমভাঙ্গাতে।

ও মন রমযানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।
আজ পড়বি ঈদের নামাজ রে মন সেই সে ঈদগাহে
যে ময়দানে সব গাজী মুসলিম হয়েছে শহীদ।
রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।

সেই পথে নয় যে পথে মিথ্যাচার ধ্বন দৌলত, বিলাশিতা ভরা সেই পথে কিংবা সেই মাঠে নয়। কবি এখানে বলেছে: আজ পড়বি ঈদের নামাজ সেই ঈদগাহে। মানে সেই রাস্তায় সে পথে, যে মাঠে ইসলামের জন্য প্রাণ দিয়ে শহীদ হয়েছে মুসলিম গাজী, সেই মাঠে কবি নামাজ পড়তে বলেছেন।

আজ ভুলে যা তোর দোস্ত-দুশমণ, হাত মেলাও হাতে,
তোর প্রেম দিয়ে কর বিশ্ব নিখিল ইসলামে মুরীদ।
রমযানের ঐ রোযার শেষে এলো খুশির ঈদ।
কবি এখানে বলেছে:
এই ঈদের দিনে, ঈদের খুশিতে রাগারাগি না করে থেকে হাতে হাত মিলাও, কোলাকুলি কর, দুশমুনি ভুলে যাও। ২য় লাইনে কবি বলছে তোর শান্তির ইসলাম দিয়ে তোর প্রেম ভালোবাসা দিয়ে বিশ্ব শত্রুদের আপন করে নিতে বলেছে , মুরিদ করে নিতে বলেছে, মানে ইসলামে বশিভুত করতে বলেছে।
আপনিেআরও বলেছে:
যারা জীবন ভরে রাখছে রোযা, নিত্য উপবাসী
সেই গরীব ইয়াতীম মিসকিনে দে যা কিছু মুফিদ
রমযানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ
আপনাকে আজ বিলিয়ে দে শোন আসমানী তাগিদ।
একমাসের সওম পালন করে যারা হাফ ছেড়ে বাচল তাদের বোঝা উচিত যে, তাদেরই মতো অসংখ্য আদম সন্তান এই পৃথিবীতেই ছড়িয়ে আছে যাদের পেটে খাবার নেই, পরনে কাপড় নেই, মাথার উপর ছাদ নেই। এরা ইয়াতীম, এরা মিসকিন। তুমি এক মাসের এক বেলা খাবারের অভাবে এত কষ্ট পেয়েছে তাহলে এদের কথা ভাবো। এদের কষ্টও উপলব্ধি করার চেষ্টা কর। এই কাজ তোমার ঈমানী দায়িত্ব থেকে করতে হবে। যে সমাজে দারিদ্রতার কষাঘাতে মানুষকে মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়, যে সমাজে যাকাতের ভাগ নিতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে একই সাথে ২৭ জন দুস্থ মানুষকে জীবন হারাতে হয়, যে সমাজে ১৩ বছরের বাচ্চাকে নির্মমতার পরাকাষ্ঠা দর্শন করে অসহায়ভাবে প্রাণত্যাগ করতে হয়, যে সমাজে পিতার কাছে মেয়ে নিরাপদ নয়, মেয়ের কাছে পিতা নিরাপদ নয়, যে সমাজে বিনা অপরাধে নিরীহ নারী-শিশুকে যানবাহনের মধ্যে জীবন্ত দগ্ধ হতে হয়, সেই সমাজে ঈদ নয়, সংগ্রাম প্রয়োজন। মানুষের জন্য, মানুষের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়া প্রয়োজন

এই অর্থগুলো বেশ ভালো বলেছেন দু-একটা জায়গা বাদে
পরিশেষ বলি কবির গানকে মানে করে আপনি উল্টো বুঝিয়েছেন, এর জন্য আপনার দোষ নেই কারন আপনি নিজে যা বোঝেন সেটাই বোঝাতে চেয়েছেন। আর আপনি কবি নজরুলের গান তেমন একটা বোঝেন বলে আমার মনে হয়নি। ছাগুদের মাঝে নজরুল বিদ্দেশী মনভাব একদিনের নয়, এটা বহুদিনের।

১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৪৩

মোহাম্মদ আসাদ আলী বলেছেন: ইদানীং ছাগুরাও দেখি ছাগু ছাগু বলে চিল্লাই, পাছে নিজের ছাগুত্ব প্রকাশ হয়ে পড়ে। যাক প্রসেসটা ভালোই। চালিয়ে যান।
আর শোনেন, কাজী নজরুল ইসলামের গানের অর্থ বোঝার মতো অবস্থা এই জাতির নেই, আর আপনি এই জাতিরই প্রতিনিধিত্ব করছেন। আমি যে অর্থ করেছি তাতে দু-একটা শব্দের ব্যাকরণগত ভুল থাকতে পারে, কিন্তু প্রকৃত অর্থ সেটাই যেটা আমি উল্লেখ করেছি। আপনার এন্টেনায় যেটুকু ধরেছে আপনি সেটুকু বুঝেছেন, বাকিটা মাথার উপর দিয়ে গেছে। এটা আমার দোষ?

৫| ১৯ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৪৯

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: মোহাম্মদ আসাদ আলী আপনি যে একটা বড় আতেল তাতে কোন সেন্দেহ নাই। আদার ব্যাপারী হয়ে জাহাজের খোজ নিচ্ছেন। কোথায় শেখসাদি আর কোথায় বকরির লিদি। নজরুলকে চিনতে হলে আগে আপনি নিজেকে চিনুন, নিজেকে জানুন, তার পর নজরুলের সাহিত্যে সমালোচনা করুন। নচেত মানুষের কাছে আপনি সুন্দর গাধা হিসেবে পরিচিতি লাভ করবেন খুব দ্রুত। নজরুলের গান নিয়ে আপনার এই অপবাখ্যা কেবল আপনাদের মত ছাগুদের মাথা দিয়েই বের হয়।মোহাম্মদ আসাদ আলী আপনি যে একটা বড় আতেল তাতে কোন সেন্দেহ নাই। আদার ব্যাপারী হয়ে জাহাজের খোজ নিচ্ছেন। কোথায় শেখসাদি আর কোথায় বকরির লিদি। নজরুলকে চিনতে হলে আগে আপনি নিজেকে চিনুন, নিজেকে জানুন, তার পর নজরুলের সাহিত্যে সমালোচনা করুন। নচেত মানুষের কাছে আপনি সুন্দর গাধা হিসেবে পরিচিতি লাভ করবেন খুব দ্রুত। নজরুলের গান নিয়ে আপনার এই অপবাখ্যা কেবল আপনাদের মত ছাগুদের মাথা দিয়েই বের হয়।

১৯ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৫১

মোহাম্মদ আসাদ আলী বলেছেন: সাত খণ্ড রামায়ন পড়ে সীতা রামের মাসি? এতক্ষণ ধরে প্যাচাল পাইড়্যা আপনি এটাই বুঝলেন যে, আমি কাজী নজরুল ইসলামের সমালোচনা করছি, তাই না? বুদ্ধি কি হাটুর নীচে আটকায়ে রাখছেন? কাজী নজরুল ইসলাম যা লিখেছেন এক লাইনও ভুল লিখেন নাই, তিনি ঠিকই লিখেছেন, কিন্তু তার লেখা উপলব্ধি করে সংশোধন না হয়ে আপনার মতো ছাগুরা তার ভর্ৎসনাকেই প্রসাদ ভেবে খেয়ে যাচ্ছেন। উপরের ছবিটা নিজের প্রোফাইল পিকচার হিসেবে আপলোড করতে গিয়ে কি ভুল করে কমেন্টে আপলোড করে দিছেন?

৬| ১৯ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৮

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: আরে এই গাধা তোমার লিখাটা হুবুহু তুলে দিলাম দেখুন কি বাখ্য করেছেন:
তোরা সোনা-দানা, বালাখানা সব রহে ইল্লিল্লাহ
দে যাকাত , মুর্দা মুসলিমের আজ ভাঙাইতে নিঁদ

তার মানে এই জাতি মুর্দা? এ জাতির দেহে প্রাণ নেই? তাহলে মুর্দা মুসলিমের আবার ঈদ কীসের? আর কীসের অভাবেই বা জাতি প্রাণ হারাল? যাক সে কথা, পরেরটুকু দেখি

দেখুন আপনি লিখেছেন মুর্দা আসলে কথাটা হবে মুর্দ্দা
দেখুন কবি বলেছে দে যাকাত মুর্দ্দা মুসলিমের আজ--কবি নিশ্চয় যাকাত আর মরদেহ দিতে বলে নাই, আপনার মত গাড়ল মুর্দ্দা কথার অর্থ করেছেন প্রাণহীন, জাতীর দেহে প্রাণ নেই। কি করেননি? আপনার লিখাটাতো এখনো আছে পড়ে দেখুন। আপনি এও বলেছেন মরা মুসলিমের আবার ঈদ কিসের। আপনার লিখাটি পড়ে দেখুন আপনার কোথায় ভুল। আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.