নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

https://www.facebook.com/asadali.ht

মোহাম্মদ আসাদ আলী

সাংবাদিক

মোহাম্মদ আসাদ আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষকে ধর্মহীন করা সম্ভব হলো না কেন?

১৮ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৬

ধর্মবিশ্বাসকে অস্বীকার করে কল্যাণ রাষ্ট্র পরিচালনা করা যাবে না। পশ্চিমা বস্তুবাদী ‘সভ্যতা’র শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের ফলে আমাদের সমাজেও তথাকথিত মুক্তমনা, শিক্ষিত ও উন্নাসিক একটি শ্রেণির প্রাদুর্ভাব হয়েছে যারা বলে থাকেন ধর্ম কুসংস্কার, ধর্ম প্রাচীন যুগের সমাজপতিদের তৈরি করা জুজুর ভয়, স্রষ্টা বলতে কেউ নেই, পরকাল, জান্নাত, জাহান্নাম সবই মানুষের কল্পনা ইত্যাদি ইত্যাদি। তারা ধর্মের প্রভাবকে, ধর্মের গন্ধকেও মানবজীবন থেকে ঝেড়ে ফেলতে চান। রাষ্ট্র ও সমাজ পরিচালনায় সম্পৃক্ত ব্যক্তিগণও অনেক ক্ষেত্রে তাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পড়েন। তাদের কথা ও কাজের দ্বারা যখন মানুষের ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে তখনই সমাজে দাঙ্গা ও গোলোযোগ সৃষ্টি হয়। আমাদেরকে অবশ্যই অনুধাবন করতে হবে যে, এই তথাকথিত মুক্তমনারা যতই বলুন, বইয়ে আর ব্লগে লেখালিখি করুন না কেন, মানুষের ধর্মবিশ্বাসকে মুছে ফেলার চেষ্টা ব্যর্থ হতে বাধ্য, অধিকাংশ মানুষই এসব কথা শুনবে না। এ কথা বিগত কয়েক শতাব্দীতে শত শতবার প্রমাণিত হয়েছে। ইউরোপে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের উদ্ভবের পাশাপাশি নাস্তিক্যবাদেরও উদ্বোধন ঘটে যা কম্যুনিজমের মাধ্যমে রাষ্ট্রব্যবস্থায় বাসা বাঁধতে সক্ষম হয়। পাশ্চাত্যের শিক্ষাব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধর্মহীন, এই শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে ঔপনিবেশিক যুগে বিশ্বের অধিকাংশ মানুষকেই ধর্মের প্রতি সন্দিহান করে তোলা হয়েছে। আর রাষ্ট্রব্যবস্থা থেকে তো বহু আগেই বাদ দেওয়া হয়েছে। বিগত শতাব্দীতে কম্যুনিস্ট শাসনাধীন এলাকাগুলোতে নাস্তিক্যবাদী দর্শনের যে রমরমা পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল তাতে করে নাস্তিক্যবাদী চিন্তানায়ক ও রাষ্ট্রনায়করা ধারণা করেছিলেন যে এবার বুঝি স্রষ্টার ধ্যান-ধারণাকে মানুষের মন-মগজ থেকে ঝেটিয়ে বিদায় করা সম্ভব হবে। কিন্তু কার্যত সেটা সম্ভব হয় নি। কারণ,
ক) আল্লাহর রূহ: যিনি সৃষ্টি করেছেন অর্থাৎ সেই স্রষ্টার রূহ বা আত্মা প্রত্যেকের ভেতরে আছে। স্রষ্টাকে বিশ্বাস করার মতো যথেষ্ট রকম উপাদান প্রকৃতিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, যেগুলোকে পবিত্র কোর’আনে আল্লাহ আয়াত, নিদর্শন বা মো’জেজা বলেছেন। তারকারাজি, পর্বতমালা, সমুদ্রের জলরাশি, পশু-পাখি, এক কথায় প্রকৃতির অপূর্ব, অনিন্দ্য সুন্দর, নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখে মানুষ অবচেতন মনেই এই সবকিছুর স্রষ্টাকে খুঁজতে থাকে এবং একজন মহান স্রষ্টা যে অবশ্যই আছেন সে ব্যাপারে আত্মার সাড়া পায়। এসব দেখার পরও মানুষ অন্ধের মতো নাস্তিকে পরিণত হবে না।
খ) ধর্মগ্রন্থ: আল্লাহর নাজেলকৃত ধর্মগ্রন্থগুলোর বেশ কয়েকটি এখনও মানুষের কাছে আছে যেগুলো স্রষ্টার অস্তিত্বের স্বাক্ষর বহন করছে। মানুষ সেগুলো সম্মানের সঙ্গে পড়ছে, জানছে, বিচার বিশ্লেষণ করছে। এগুলোর স্বর্গীয় বাণীসমূহ মানুষের আত্মার গভীরে প্রভাব ফেলছে। অধিকাংশ মানুষ সেগুলোকে মাথায় করে রাখছে, সন্তানকে যেমন যতœ করা হয় সেভাবে যতœ করছে।
গ) অতীত ইতিহাস: অতীতে হাজার হাজার হয়তো লক্ষ লক্ষ বছর মানুষকে শান্তি দিয়েছে ধর্ম। এই ইতিহাস মানুষের জানা আছে। সময়ের সেই বিশাল ব্যাপ্তির তুলনায় গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ইত্যাদির শাসনামল এক ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ভগ্নাংশ মাত্র এবং এগুলোর অভিজ্ঞতাও শান্তিময় নয়। ধর্মের শাসনে প্রাপ্ত সেই শান্তির স্মৃতি মানবজাতির মন থেকে মুছে যায় নি। অধিকাংশ মানুষ এখনও দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে একমাত্র স্রষ্টার বিধানেই শান্তি আসা সম্ভব। কাজেই যুগের হাওয়া তাদেরকে যতই অন্য দিকে ঠেলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুক, তারা শান্তির আশায় বারবার ধর্মের পানেই মুখ ফেরায়।
ঘ) ভবিষ্যদ্বাণী: প্রতিটি ধর্মগ্রন্থেই ভবিষ্যদ্বাণী আছে যে, শেষ যুগে (কলিযুগ, আখেরি যামানা, The Last hour), আবার ধর্মের শাসন বা সত্যযুগ প্রতিষ্ঠিত হবে, মানুষে মানুষে কোনো ভেদাভেদ বৈরিতা থাকবে না, কোনো অবিচার, অন্যায়, শোষণ থাকবে না, পৃথিবীটা জান্নাতের মত শান্তিময় (Kingdom of Heaven) হবে। এই বিশ্বাস থেকে অধিকাংশ মানুষ ধর্মের উত্থানই কামনা করে। এটা তাদের ঈমানের অঙ্গ, এ বিশ্বাস মানুষের অন্তর থেকে মুছে ফেলা সম্ভব নয়।
ঙ) বিকল্প ব্যবস্থার অনুপস্থিতি বা ব্যর্থতা: শান্তির আশায় ধর্মের পানে ছুটে চলা মানুষকে ফেরাতে চাইলে স্বাভাবিকভাবেই প্রয়োজন হবে ধর্মের বিকল্প এমন একটি জীবনব্যবস্থা প্রণয়ন যা তাদেরকে সেই কাক্সিক্ষত শান্তি দিতে পারবে, একই সঙ্গে দেহ ও আত্মার প্রশান্তি বিধান করতে পারে। কিন্তু সত্যি বলতে কি সেটা মানুষ আজ পর্যন্ত করতে পারে নি এবং কোনো কালে পারবেও না। বহু চেষ্টা করেছে কিন্তু সবই মাকাল ফল। শান্তির শ্বেতকপোত রাজতান্ত্রিক, সমাজতান্ত্রিক বা গণতান্ত্রিক কারো হাতেই ধরা দেয় নি। মানুষের আবি®কৃত জীবনব্যবস্থাগুলোকে যত সুন্দর সুন্দর নামেই ডাকা হোক না কেন তা হচ্ছে মানবজাতির সামনে মৃত্যুর বিকল্প পথ। জীবনের পথ একটাই; আর সেটা হলো ধর্ম। বর্তমান স্রষ্টাবর্জিত জীবনদর্শন মানুষকে কেবল নিকৃষ্ট থেকে নিকৃষ্টতর জীবন উপহার দিয়েছে। কাজেই মানুষ এখন জীবন রক্ষার আশায় ধর্মের দিকেই যেতে চাইবে, কেননা তাদের বস্তুত শান্তি দরকার। সুতরাং মানবজাতিকে ধর্মহীন করে ফেলার চেষ্টা অপ্রাকৃতিক, বাস্তবতাবর্জিত, নিতান্তই অর্বাচীন ও মূঢ়তাসুলভ পরিকল্পনা।
এখন একটাই করণীয়, মানুষের ঈমানকে, ধর্মবিশ্বাসকে সঠিক পথে চালিত করা। প্রথমেই কয়েকটি মৌলিক বিষয় মানুষকে জানাতে হবে যেমন- ধর্মের আগমনের প্রধান উদ্দেশ্য মানবতার কল্যাণ। মানবতার কল্যাণে জীবন-সম্পদ উৎসর্গ করাই মো’মেনের প্রধান শর্ত। অন্য মানুষের দুঃখ-দুর্দশা হৃদয়ে ধারণ করা এবং তা দূর করার জন্য আপ্রাণ প্রচেষ্টাই তার প্রকৃত এবাদত। ধন অর্জন ও জ্ঞান অর্জনের মূল লক্ষ্য হলো অন্য মানুষকে নিঃস্বার্থভাবে দান। এতেই জনমের সার্থকতা নিহিত, এতেই স্বর্গ প্রাপ্তি বা জান্নাত লাভ সম্ভব। অন্য পথে নয়। ধর্মব্যবসা সকল ধর্মে নিষিদ্ধ। ধর্মকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে ধর্মব্যবসায়ীরা কীভাবে মানুষকে প্রতারিত করছে, কীভাবে মানুষের ইহকাল ও পরকালকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, কীভাবে তারা মিথ্যা ফতোয়াবাজি ও ধর্মের অপব্যাখ্যা দ্বারা সমাজে অন্যায়, অশান্তি, দাঙ্গা ও সাম্প্রদায়িকতা বিস্তার করছে আর নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করছে এসব বিষয় সাধারণ মানুষকে জানাতে হবে। এটা করতে পারলে তারা আর ভবিষ্যতে ধর্মব্যবসায়ীদের দ্বারা উত্তেজিত হয়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামায় জড়াবে না। ধর্মব্যবসায়ীরা তাদের আচার-অনুষ্ঠানসর্বস্ব ধর্মের অপব্যবহার থেকে বিরত হতে বাধ্য হবে। সমাজ ধর্মব্যবসার অভিশাপ থেকে মুক্ত হবে। পাশাপাশি ধর্মের গায়ে লেগে থাকা অধর্মগুলোকে চিহ্নিত করে ধুয়ে ফেলে ধর্মকে নির্মল করতে হবে। ধর্মের সত্য ও সুন্দর রূপটিকে যদি মানুষের সামনে তুলে ধরা যায় তাহলে আলো ও অন্ধকার, সাদা ও কালো পৃথক হতে সময় লাগবে না। তখন ধর্মই হবে সুশীতল শান্তির আধার।
https://www.facebook.com/asadali.ht

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


পোস্টগুলো ইংরেজীতে লিখেন, আমেরিকান ও বৃটিশেরা পড়তে পারবে।

২| ১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:০৭

মোহাম্মদ আসাদ আলী বলেছেন: আপনার মাথায় এত বুদ্ধি আগে তো বোঝা যায় নি! কিন্তু সমস্যা হলো- আমেরিকান ও ব্রিটিশদের পড়ানোর কোনো ইচ্ছা আমার নাই। আপনার থাকলে অনুবাদ করে নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করুন- কপিরাইট প্রদান করলাম।

৩| ১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


ওখানে আসল পাঠকেরা, আমেরিকান ও বৃটিশ পাঠকের কথা শুনে ইচ্ছার পতন?

১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৫৮

মোহাম্মদ আসাদ আলী বলেছেন: আমেরিকা ও ব্রিটিশ পাঠক আপাতত দরকার পড়ছে না। নিজের দেশের মানুষ পশুর অধম জীবে পরিণত হয়েছে, চোয়াল বের নিজেদের মধ্যেই কামড়াকামড়ি করে চলেছে, আর তাদের ফেলে আমি পশ্চিমা পাঠকদের জন্য প্রবন্ধ রচনা করি- এই তো আপনার বাসনা? পশ্চিমাদের উপর এত দরদ কেন? ইসলামবিদ্বেষীর তকমা না থাকলে পশ্চিমের দুয়ারে সারাদিন গড়াগড়ি করলেও এন্ট্রি হবে না। ও চিন্তা বাদ রেখে- নিজের দেশকেই কীভাবে উন্নত করা যায় সে চিন্তায় মন দিন। আমাকেও পাশে পাবেন।

৪| ১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:

" পশ্চিমা বস্তুবাদী ‘সভ্যতা’র শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের ফলে "


-সৌদী ও আরবের বেশীর ভাগ মানুষে পড়তে পশ্চিমে যায়, বাংলায় আসে না।

-পড়ালেখা হয় পশ্চিমে; পুর্বের লোকদের পড়ালেখা শিখতে দেয় না আপনাদের মত লোকেরা; তখন ঐসব লোকেরা আরবদের উট চরায়, আর মালয়েশিয়ায় রাবার ও পাম বাগানে কাজ করে।

১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৫৪

মোহাম্মদ আসাদ আলী বলেছেন: সৌদি আরবের লোকেরা পশ্চিমে যায় তাই পশ্চিমা শিক্ষা ও সংস্কৃতি উৎকৃষ্ট। কী খায়ে ব্লগিং করতে আইসেন ভাই? সৌদি আরবকে আপনি ইসলামের মডেল ভাবেন কোন হিসাবে? পৃথিবীতে ধর্মব্যবসার কদর্যতার উপর যদি র‌্যাংকিং করেন তাহলে সৌদি আরব থাকবে এক নাম্বারে।
আর একটি কথা, সৌদি আরবের ধনী ব্যক্তিদের স্বার্থপর বিলাসিতা ও মানবতাহীন জীবনযাপনের পেছনে যে পশ্চিমা শিক্ষার দারুন প্রভাব রয়েছে সে কথা জানানোর জন্য ধন্যবাদ। বিষয়টা জান্তাম না।

৫| ১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:২৫

যাইনুল আবিদিন বলেছেন: ধর্ম আসলে আত্মার মত, দেহ থেকে আত্মার প্রস্থান যেমন দেহকে মূল্যহীন করে তোলে তেমনি ধর্মহীন জিবন ও তাই।

১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:০১

মোহাম্মদ আসাদ আলী বলেছেন: একদম সত্য কথা। বর্তমানের মানুষগুলোকেই দেখুন না, ধর্মব্যবসা ও ধর্ম নিয়ে ভণ্ডামীর কারণে যতই মানুষ ধর্ম থেকে দূরে সরে যাচ্ছে ততই তারা আধ্যাতিক শুন্যতায় পড়ে পশু পর্যায়ের জীবে পরিণত হচ্ছে।

৬| ১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:

" সৌদি আরবের লোকেরা পশ্চিমে যায় তাই পশ্চিমা শিক্ষা ও সংস্কৃতি উৎকৃষ্ট। "

-সৌদিরা 'আরবী' জনে, সৌদিরা ৩ ধর্মের উৎপত্তি স্হলে আছে। ওরা বাংলাগালীদের চেয়ে ভালো বুঝে দেখে ওরা পশ্চিমে পড়ে, বাংগালীরা ওদের উট চরায়, ঘরে ঝাড়ু দেয়। বাংগালীদের মাঝে আপনার মত বড় বড় লিখক আছেন।

১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:২২

মোহাম্মদ আসাদ আলী বলেছেন: সৌদি আরবে উট চরানো বাঙালিদের চোখে পড়ল, আর পশ্চিমে আপনার সমগোত্রীয় অজ্ঞাতকুলশীল প্রভুভক্ত মাছি মারা কেরানীমার্কা বাঙালিদের চোখে পড়ল না?

৭| ১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৫৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ধর্মকে সংস্কার করে মানব কল্যানে ব্যবহার করলে ক্ষতি নেই, বরং উপকারই বেশি । কারণ, সাধারণের মধ্যে ধর্মের প্রতি প্রবল আনুগত্য আছে । কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে, কাঠ মোল্লারা ধর্মটাকে ব্যক্তি স্বার্থে ব্যবহার করার হাতিয়ার বানাচ্ছে । দেশ ও দশের প্রভূত ক্ষতি সাধন করছে ।

১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:২৮

মোহাম্মদ আসাদ আলী বলেছেন: খোদ ধর্মকেই প্রতিপক্ষ না বানিয়ে তাই যদি ওইসব ধর্মব্যবসায়ীদের প্রতিপক্ষ হিসেবে নেয়া হতো এবং তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে সচেতন করে তোলা যেত তাহলে বহু আগেই সমাজটাকে পাল্টে ফেলা সম্ভব হতো। মুক্তমনা নামধারীরা সব বুঝে, কিন্তু এই সহজ সত্যটি বুঝতে চায় না।

৮| ১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৫৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ধর্মকে সংস্কার করে মানব কল্যানে ব্যবহার করলে ক্ষতি নেই, বরং উপকারই বেশি । কারণ, সাধারণের মধ্যে ধর্মের প্রতি প্রবল আনুগত্য আছে । কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে, কাঠ মোল্লারা ধর্মটাকে ব্যক্তি স্বার্থে ব্যবহার করার হাতিয়ার বানাচ্ছে । দেশ ও দশের প্রভূত ক্ষতি সাধন করছে ।

৯| ১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৫৬

যাযাবরমন বলেছেন: লেখা টা ভাল, তবে কমেন্টের জবাব তার চেয়েও ভালো হচ্ছে।

১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৩৩

মোহাম্মদ আসাদ আলী বলেছেন: লেখাটা পত্রিকার জন্য লেখা হয়েছিল, তাই যে কোনো প্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এড়িয়ে যাবার প্রয়াস ছিল। কিন্তু কমেন্টগুলো স্বাধীন মতের বহিঃপ্রকাশ এবং এতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা নাই, এ কারণেই হয়তো।

১০| ১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:

" যাযাবরমন বলেছেন: লেখা টা ভাল, তবে কমেন্টের জবাব তার চেয়েও ভালো হচ্ছে। "

-অবশ্যই ভালো, কম্প্যুটার আছে, লিখছেন।
উটচরালে টের পেতেন।

১১| ১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৪৭

নতুন বলেছেন: ধম এখন মানুষের নামের টাইটেলের মতন হয়ে যাচ্ছে।

আমার কাজের ক্ষেত্রে ৮০+ দেশের মানুষের সাথে কাজ করি। বেশির ভাগেরই ধম আছে কিন্তু তাদের খুবই কমই ধম প্র্যাকটিস করে।
চাইনিজ:- অনেকই কোন ধম অনুসরন করেনা।
খৃস্টানরা:- বেশির ভাগই বড়দিনে চাচে যায়। খুবই কম সংখক প্রতি রবিবারে চাচে যায়।
হিন্দু:- ঘরে/গাড়িতে দেবীদের ছবি থাকে। পুজায় প্রতিমা দেখতে যায়।
বৌদ্ধ:- দৈনিক কোন প্রাথনা করতে শুনিনাই। কিছু অনুস্ঠানে এরা যায়। প্রাথনা শুনতে।

মুসলমান:- ২%-৫%... ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে। ৩০-৪০% শুক্রবারের জুম্মা পড়ে।.. বাকিরা ঈদের নামাজ পরে। কিছু তাও পড়তে পারেনা। .. অনেকেই মদ খায়, বালিকা বন্ধু আছে। কিন্তু ঠিক মতন রোজা রাখে। সুদ খেতে সমস্যা নাই।

নতুন প্রজন্মের কতভাগ আরবী পড়তে যানে? কতভাগ আরবী অথসহ বুঝতে পারে? ( এর পরিমান কমছে ব্যাপক হারে)

উপরের ধমগুলি এখন বংসের টাইটেলের মতন। ইসলামও অনেকটাই এমন হয়ে যাবে সময়ের সাথে।

পরিবতন আসবেই। মানুষ এখন মৃত্যুকে আগের মতন ভয় পায়না। তাই অদৃস্টের প্রতি ভয়টাও অনেক কমে যাচ্ছে। মানুষ অনেক বেশি যৌক্তিক চিন্তা করছে।

আপনি যখন বলবেন, চাদ দুইটুকরা হয়ে আবার যোড়া লেগেছে এটা উপরে ১০০% বিশ্বাস কতজনের আছে... তখন মানুষের মাঝে খটকা দেবেন।

কারন মানুষ এখন যৌক্তিক চিন্তা করে।

change is inevitable .... আমেরিকা/ইউরোপ এখন এই সামাজিক অবস্হায় আছে... আমরাও সেখানে পৌছাবো কিছুদিন পরে।

১৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৪৭

মোহাম্মদ আসাদ আলী বলেছেন: ধর্মবিশ্বাস কমছে না বাড়ছে সেটা ওইটুকু দেখে বলা যায় না। সারা পৃথিবীই আজ ধর্ম ইস্যুতে টালমাটাল। কোথায় ধর্ম ইস্যু নয়? চীনে ধর্মবিশ্বাস শিথীল, তো চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের মুসলিমদের প্রতি কেন বৈষম্য করা হচ্ছে? সেখানে কি ধর্ম ফ্যাক্টর নয়?
আমাদের উপমহাদেশ- ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মিয়ানমার- সব দেশেই আমি মনে করি ধর্ম এক নাম্বার ইস্যু, এবং ধর্মের ভুল ব্যবহার প্রতিটি রাষ্ট্রের জন্য নিরাপত্তার হুমকি হয়ে দাড়িয়ে আছে। হিন্দুরা পূজা-আচার-আচরণের মধ্যে যতই সীমাবদ্ধ থাকুক, ভোট কিন্তু দিয়েছে বিজেপিকে। যে মুসলিম হয়তো এক ওয়াক্ত নামাজও পড়ে না, সুদ খায়, ঘুষ খায়, মদ খায়- সেও বিশ্বের মুসলিমদের প্রতি অত্যাচার, অবিচার দেখে স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে আমেরিকা বা ব্রিটেনকে গালি দিয়ে বসে। খ্রিস্টানরা ধর্ম ছেড়েছে সবার আগে, সেই খ্রিস্টান সমাজে ইরাক যুদ্ধকে জায়েজ করার জন্য বুশকে ক্রুসেড শব্দ প্রয়োগ করতে হয়। বৌদ্ধরা নিয়মিত ধর্মের কিছু করুক আর না করুক, মিয়ানমারে কিন্তু নিয়মিতই মুসলিম নিধনযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ ধর্ম কোথাও না থাকলেও ধর্মের প্রভাবেই পৃথিবীর বড় বড় ঘটনাগুলো ঘটছে এবং যতই দিন যাচ্ছে ধর্মীয় ইস্যুটি ততই উত্তাপ ছড়াচ্ছে। কাজেই আপনি যে স্কেলে ধর্মের প্রচার-প্রসার বা ঘাটতি পরিমাপ করেছেন সেটা দিয়ে আসল চিত্র যাচাই সম্ভব নয়।
আবার আপনি আমেরিকা-ইউরোপের যে সামাজিক অবস্থার কথা বলেছেন সেটাও কি অনুসরণীয় হবার যোগ্য? ধর্মবিশ্বাস না থাকায় ইউরোপ জাগতিকভাবে উন্নতি লাভ করেছে ঠিকই কিন্তু মানুষ কেবল জাগতিক ঐশ্বর্য দিয়েই টিকে থাকতে পারে না। দেহ ও আত্মা উভয়ের সহাবস্থানে মানুষ। দেহের খাবার দিবেন, আত্মাকে না খাইয়ে রাখবেন তা হয় না। আত্মা মরে গেলে মানুষের আর কিছু থাকে না। পশুর সাথে আত্মাহীন বস্তুবাদী মানুষের কার্যত কোনো অমিলই নেই। জন্মালাম, ইনকাম করলাম, খেলাম, সন্তান জন্ম দিলাম, মরে গেলাম- এটা তো পশুর জীবন। অথচ মানুষ পশুর চেয়ে অনেক অনেক অনেকগুণ উন্নত প্রাণী এবং তার মধ্যে স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি আছে যা অন্য কোনো জীবের নেই। মানুষের আত্মার চাহিদা পূরণ করে ধর্ম। কাজেই ইউরোপ আমেরিকাকে আদর্শ ধরে তাদের কাতারে পৌছবার সামর্থ থাকলেও বারবার ভাবতে হবে- সত্যিকার অর্থেই ইউরোপ-আমেরিকার সবকিছুকেই উৎকৃষ্ট ভাবা যুক্তিসম্মত কিনা। ধন্যবাদ।

১২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১:০২

নতুন বলেছেন: মানুষ অনেক কিছুই খুব সহজে গ্রহন করেনা। আবার ছাড়তেও পারেনা।

অমঙ্গল/ লক্ষী অলক্ষী... পায়ে হাত দিয়ে সালাম করা... এমন অনেক কিছুই সমাজে আছে ...

যেমন আপনার ছবিটা কোট টাই, ক্লিন সেইভ করা ...এটা আধুনিকতার অনুসরন...কিন্তু লিখেছেন ধম বিশ্বাসের বাস্তবতা নিয়ে।

সমাজে যেহেতু ধমান্ধ/ধমভিরু আছে তাই দুস্ট নেতারা অবশ্যই ধমকে ব্যবহার করবে তাদের পক্ষে জনমত ভিরাতে।

ধমের প্রভাব যেতে যে কোন সমাজেরই কয়েক প্রযন্ম লেগে যায়। সাথে সাথে হয় না। কিন্তু এখন গতিটা অনেক বাড়ছে।

। মানুষের আত্মার চাহিদা পূরণ করে ধর্ম।

ইসলাম ধম কখনোই মানুষের নিজের চাহিদা পুরনের জন্য না। ধমমতে মানুষ সৃস্টির কারন হলো সৃস্টিকতার উপাশনা করা অন্য কোন কিছু না।

সত্যিকার অর্থেই ইউরোপ-আমেরিকার সবকিছুকেই উৎকৃষ্ট ভাবা যুক্তিসম্মত কিনা।

সত্যিকারের অথে ধম কে সবাই নিজের কাজেই ব্যবহার করেছে ইতিহাসে। ক্ষমতার জন্য ধমের ব্যবহার সব সময়েই।

ধম যদি সত্যিই মানুষের জন্য চিন্তা করতো তবে::: পোপের মাথায় সোনার মুকুট থাকতো না। মিলিওন ডলারের মসজিদ বানাতো না... যেখানে এখনো প্রতিদিন মানুষ না খেয়ে মারা যায়।

ধম একটা প্রচন্ড শক্তিশালী আফিম যা দিয়ে অনেক মানুষকে একটা ঘোরের মাঝে রাখা যায়।

১৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৩২

রসায়ন বলেছেন: দারুন । নাস্তিকের মায়রে বাপ

১৯ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:০৭

মোহাম্মদ আসাদ আলী বলেছেন: ??????????????????????

১৪| ১৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:০১

শাশ্বত স্বপন বলেছেন: রসায়ন দিল তো বেশি ছোঁয়াব কামানোর আশায়, পেছন থেকে কোপ। বলেন, যুক্তি কি আর এগোবে? কার ঘাড়ে ২টা গলা অাছে? তবে, আমারে গালি দিলে মডারেটররে ফোন দিব।

ধর্মকর্ম কমে যাচ্ছে, এই দেশে, ভারতে , পাকিস্তানে? আমি মনে করি, আরো বাড়ছে। নতুন ভাইয়ের সাথে তাই একমত না। শুনেন এবারের ঈদের নামাজের গল্প-

ঈদের নামাজ পড়ে আসলাম। আমার সামনের কাতারে ছিল একজন কুখ্যাত গাজা ব্যবসায়ী- যে নিয়মিত মসজিদেও আসে, গাজা বিক্রির কারণে নিয়মিত জেলও খাটে। আরো দুটি ভয়াবহ স্মৃতি রয়েছে। একবার নামাজ আর শুরু হয় না, ১০ মিনিট..২০ মিনিট.. পার হয়ে যাচ্ছে। এরমধ্যে ফিসফিস শুনলাম শিল্পপতি শামসুল আলম সবজল আসবে তাই অপেক্ষা....। এক সময় ওনি আসলেন সাথে অনেকগুলি গুণ্ডা-পাণ্ডা আর চাটুকার। ওদের ধাক্কায় আমরা যারা প্রথম কাতারে ছিলাম তারা ছিটকে দাঁড়ালাম শেষ কাতারে। আরেকবার একনিষ্ট মনে নামাজ পড়ছি। প্রথমে ডানে সালাম ফিরিয়ে দেখি এলাকার সবচেয়ে কুখ্যাত প্রতারক, লম্পট, ধান্ধাবাজ, নারী নির্যাতনকারী; তাড়াতাড়ি বামে সালাম ফিরিয়ে দেখি বেশ্যার দালাল, কুখ্যাত জোয়াড়ি, নিপিড়ক একজন। মনটাই খারাপ হয়ে গেল। সুরম্য মসজিদগুলো আমার মতো স্বল্প আয়ের মানুষের ২০-৫০ টাকা দানে নির্মিত হয় না। এখানে সবজল, আবদুল্লাহদের টাকার ঢল লাগে। যখন দেয়াল জোড়া টাইলসের দিকে তাকাই তখন মনে হয় এ স্থান আমার নয়, যখন বড় বড় বীমের দিকে তাকাই তখনও মনে হয়, আমি এখানে আগুন্তক, আমার ছনের ঘরই আমার মসজিদ।আমার ঘরে কি খোদা নাই?( না ভাই, ধর্ম খারাপ না কিন্ত ‍ ধর্ম, ধর্মের খরচ, ধর্মের স্ট্যাক্চার সবতো ওদের দখলে, হুজুররা ওদেরকে পেছনে সমালোচনা করে, কিন্তু স্বার্থের কারণে সামনে ওদেরকেই ভালবাসে, ১০-২০টাকা চাঁদা দেওয়া আমাদেরকে না)

১৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:১৪

মোহাম্মদ আসাদ আলী বলেছেন: ওদের হাত থেকে ধর্মকে রক্ষা করা কেবল ধর্মীয় দিক দিয়েই প্রয়োজনীয় তা-ই নয়, মানবতার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলেও তো মনে হয়- এদের হাত থেকে ধর্মকে মুক্ত করে জনকল্যাণের পথে ব্যবহার করার জন্য প্রচেষ্টা করা মানুষ হিসেবেই প্রত্যেকের কর্তব্য হয়ে পড়েছে। এ দায় থেকে রেহাই নেই। আল্লাহকে বিশ্বাস করলে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য একাজ করতে হবে, আর বস্তুবাদী হলে অন্তত মানবতার খাতিরে হলেও এ কাজকে এড়ানো চলে না। ঠিক বলেছি কিনা?

১৫| ২১ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:৫১

স্বপ্নাতুর পুরব বলেছেন: আক্রমণাত্মক মন্তব্যগুলো প্রমাণ করে দিতে চাচ্ছে যে - আজ সমগ্র পৃথিবীর মানুষ ধর্মহীন, নাস্তিক হয়ে গেছে ! :P

১৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৯

তাজ - সৈয়দাবাদী । বলেছেন: Informative article, discussion , carry on brothers.........

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.