নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কথায় নয় কাজেই পরিচয় হোক সবার

এ সামাদ

আমরা বাংলাদেশর নাগরিক হিসেবে দেশকে এগিয়ে নেয়ার দায়িত্ব আমাদেরই। এখানে দলমত নির্বিশেষে দেশের মঙ্গলের জন্য কাজ করে যেতে হবে।

এ সামাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাতাল আমি অতঃপর

২২ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৮:১৬



মাদক নিয়ে অনুসন্ধানী রিপোর্ট তৈরী করতে গিয়ে শেষে দেখি নিজেই তার খপ্পরে পড়ে গেছি। আমার কয়েকজন যুবদল ও যুবলীগের বন্ধুরা নিয়মিত ফেন্সি ও গঞ্জিকা সেবন করত। তো আমি তাদের সাথে প্রথমে একটু আধটু ফেন্সি সেবন শুরু করলাম। ওমা মাস না পেরুতেই দেখি এক বোতল শেষ করছি প্রতিদিন। আবার সীমান্ত এলাকায় বাড়ী হওয়ায় প্রায়ই সীমান্তে যেতাম এটা সেবন করার জন্য। সেখানে অনেক দাম কম। ধরুন আমাদের এখানে ৩০০ টাকা হলে ওখানে ১২০ টাকা। একটু কষ্ট করে হলেও সেখানে যেতাম।

তো কথা হচ্ছে কোন ভাবেই ওদের সঙ্গ ছাড়তে পারছিলাম না। আর একটা জিনিস ল্যনীয় যে, আমার এক ছাত্রবন্ধু একদিন আমাকে বল্লো একটা কথা বলবো কিছু মনে নিয়েন না। আমি বল্লাম বলো সমস্যা নেই। সে বল্লো আপনার পরিবারে মনে হয আপনিই প্রথম এ লাইনে আসলেন তাই নয় কি? আমি বল্লাম হ্যাঁ ঠিক তাই তবে খুব শিঘ্রী ছেড়ে দেব। সে একটু হেসে চলে গেল।

যাই হোক একদিন আমরা সীমান্ত থেকে একটা বিদেশী মদ নিয়ে আসলাম। ১০০% এ্যালকোহল নাকি তাতে আছে। তো আমরা ৪ জন পান করা শুরু করলাম। বলে রাখা ভালো যে আমিই নতুন আর সবাই পূরানো প্লেয়ার। একজন এক গ্লাস সেবন করে বল্লো কোন সমস্যা নেই। অথচ সে ফোর থেকে চেয়ারে উঠে বসতে যেয়ে পড়ে গেল। আর একজন তো বমি করেই দিল। ২ জন সুস্থ্য বা স্বাভাদিক থাকলাম। আমি ঐ অবস্থায় বাইক চালিয়ে বাড়ীতে গেছিলাম। কোন সমস্যা হয় নাই।

এটা আস্তে আস্তে আমার সহধর্মীনি ল্য করতে লাগল। অনেক রাত করে বাড়ীতে ফেরা তার সাথে ভালো ব্যবহার না করা। উল্লেখ্য আমি আমার বউকে খুবই ভালোবাসি। আসলে আমাদের ভালোবাসাটা হয়েছে বিয়ের পরে। অল্প বয়সে বিয়ে করেছি কিনা? আমার আর আমার বউয়ের বয়সের পার্থক্য মাত্র ২ বছর। মানে আমার ২ বছরের ছোট।

যা আয় রোজগার হয় প্রতিদিন সেটা মাদকে শেষ হয়ে যায়। এটা নিয়ে একটা বড় সমস্যায় পড়ে গেলাম। তো আস্তে আস্তে ওদের থেকে দূরে আসতে চাইলাম। যে আমার টাকা নেই আমি যাবোনা আপনারা যান ইত্যাদি বলে ৭ দিন হয়তো ১ দিন গিয়েছি।

যারা মাদকাসক্ত দেখতাম তারা কিভাবে প্রতিদিন টাকা নষ্ট করছে। আমি অবশ্যই গরীবের ঘরের এজন্য টাকার অভাবে শেষ পর্যন্ত বেঁচে আসতে পেরেছি। তবে মাদক যারা শুরু করেছে তাদের সেখান থেকে বেরিয়ে আসাটা খুবই কষ্টের। খুব কম মানুষ সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারে।



তো যাই হোক বিদেশে আসার পরে এখানে তো সবই ওপেন। আমি মাঝে মধ্যে বিয়ারটা একটু সেবন করি। থার্টিফাষ্ট নাইট উদযাপন করবে বলে কয়েকজন আমাকে বললো আমি বল্লাম সমস্যা নাই।

তো আমরা ৫ জন, পোলাও রান্না হলো আর ৪ বোতল বিয়ার আনা হলো সাথে অন্যান্য সামগ্রী। এখন বিয়ার সেবন নিয়ে বড় ভাইদের কথায় তো আর কিছু বলা যায়না। কেউ কম না। শুরু হলো দেখি সমান গ্লাস শেষ হচ্ছে। সব চেয়ে যিনি বড় তিনি তো বল্লেন আগে সপ্তাহে ১-২ কার্টুন শেষ করতাম এখন তো খা-য়ই না। তো তিনি যদি কম খান তাহলে তো প্রেষ্টিজ থাকেনা।

উনি খেতেই আছেন খেতেই আছেন কিছুন পরে বাইরে গেলেন। আমি মনে করলাম মনে হয় প্রস্রাব করতে গেছেন। আমিও ২০ মিনিট পরে বাইরে গেলাম। যেয়ে যা দেখি সেটা আর কি বলবো উনি বমি করে আবার এসে আমাদের সাথে শুরু করে দিয়েছেন।

না খেলে যে প্রেষ্টিজ থাকেনা। অবশ্য আর ৩ জন এটা বুঝতে পারেনি। কেননা শীতের দিনে ওটা আমি বরফ দিয়ে ঢেকে রেখে এসেছিলাম। বড় ভাইয়ের সম্মান বলে কথা!!!

তো সেখান থেকে এখন খুবই কম বিয়ার খাওয়া হয়। মনে করেন ১৫ দিন একবার। তবে চেষ্টা করছি মোটেও না খাওয়ার জন্য।

মনে হয় কোম্পানী চেঞ্জ করার পরে এটা ছেড়ে দিতে পারব। এখন একই জায়াগায় দুইজন থাকি। উনি খেলে আমি না বললে আবার সমস্যা।



তবে মাতলামি বিয়ারে হয়না।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৮:২০

এ সামাদ বলেছেন: বলে রাখা ভালো আমি সরাসরি কোন দল করিনা। ভোটের সময় শুধু সীল মারি।

২| ২২ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:১১

রোহান খান বলেছেন: ভালো লাগলো...।সত্য কথাগুলো ওকপটে বলেছেন। আমিও চিন্তা করেছি এ বিষয়ে লিখবো। যদিও তা ১০-১২ বছর আগের অভিগ্গতা। তবে কোথা থেকে নিতাম, কে দিত কার ও তাদের কে সাহায্য করত তা সবি মনে আছে। লিখব। লিখতেই হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.