নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধূসর ক্যানভাসে সবুজের গল্প

আসফি আজাদ

আমি খুঁজিতেছি নিজ লোকালয়

আসফি আজাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছবিতে ইতিহাস: পোশাকে বাঙ্গালীর বাঙ্গালীয়ানা

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:০৫

ছবি সমসাময়িক কালকে ধারণ করে। ছবির ভিন্নতা অনুযায়ী সেটা তুলে ধরতে পারে ব্যক্তি, সমাজ এবং রাষ্ট্রকে। স্বাভাবকভাবেই সেখানে উঠে আসে রুচি, সংস্কৃতি, পেশা, পোশাক, ধর্ম ইত্যাদি। এখানে উপস্থাপিত শতবর্ষের পুরোনো ছবিগুলোতে তেমনিভাবে উঠে এসেছে সেই সময়ের সমাজ, ধর্ম, পেশা এবং অবশ্যই পোশাক। যদিও ছবিগুলোর মূল উপজীব্য পোশাক নয়, তবুও আমরা ছবিগুলো থেকে নারী-পুরুষের সেই সময়ের পোশাক সম্বন্ধে বেশ ভালো ধারণা পেতে পারি। এই ছবিগুলো বেশীরভাগ বর্তমান বাংলাদেশের, অল্প কয়েকটি পশ্চিমবঙ্গের; কাজেই ছবির পাত্র-পাত্রীদের বাঙ্গালী হিসেবে ধরে নেওয়া যায় (যদিও নিশ্চিতভাবে বলা যায় না, কারণ কারও নৃ-ত্বাত্ত্বিক পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি)।



আসুন দেখি শতবর্ষের পুরোনো ছবিতে বাঙ্গালীর পোশাক।



১ম ছবি



টাইটেল: The Chouk (or Marketplace) and Husseinee Delaun

শিল্পী: Sir Charles D'Oyly

মাধ্যম: Engraving

Fourth Folio, Plate No.: 13

সময়কাল: 1827

Accompanying Text: Dr. James Atkinson



ছবির পুরুষদের বেশীরভাগ (একজন বাদে) মাথায় পাগড়ি পরিধান করেছেন, দাড়িও লক্ষ্যণীয়। একমাত্র নারী চরিত্রের (বাঁ দিক থেকে ৪র্থ জন, শিশুকোলে দণ্ডায়মান) পরিধেয় বস্ত্র হল শাড়ি এবং মাথায় কাপড়।



২য় ছবি



টাইটেল: The Great Kuttra (Bara Katra)

শিল্পী: Sir Charles D'Oyly

মাধ্যম: Etching

Fourth Folio, Plate No.: 6

সময়কাল: 1823



যথারীতি সব পুরুষ পাগড়ি মাথায় এবং নারীর (প্যারাসোল হাতে ভৃত্যের পাশে) পরিধেয় বস্ত্র শাড়ি এবং মাথায় কাপড়।



৩য় ছবি



টাইটেল: An Indian woman and child in a Bengal village

শিল্পী: জর্জ চিনারী

সময়কাল: c1800

Category : Drawings

মাধ্যম: Pen and ink



চিত্রে আবহমান বাংলার একজন নারীকে শিশুকোলে দেখা যাচ্ছে। পরিধেয় শাড়ি এবং মাথায় কাপড়।



৪র্থ ছবি



টাইটেল: Pilgrims Bathing in the Sacred River During the Nangalband Mela

বইয়ের নাম: The Romance of an Eastern Capital

লেখক: F. B. Bradley-Birt

প্রকাশকাল এবং স্থান: ১৯০৬, লন্ডন



বিখ্যাত লাঙ্গলবন্দের মেলা। কাজেই মোটামুটি নিশ্চিতভাবেই বলা যায় পাত্র-পাত্রী সকলেই হিন্দু ধর্মাবলম্বী। ছবির মাঝামাঝি তিনজন নারীকে স্নানরত অবস্থায় দেখা যাচ্ছে এবং মাথা থেকে কাপড় সরেনি।



৫ম ছবি



টাইটেল: Muslim Lady Reclining

শিল্পী: ফ্রান্সিসকো রেনাল্ডি

মাধ্যম: তৈলচিত্র

সময়কাল এবং স্থান: ১৭৮৯, ঢাকা

ছবির বর্ণনা: This portrait represents a young Muslim bibi reclining on an expensive carpet, propped up on a plump cushion in a corner of her small, private house, known as a bibi khana.



এটি একটি বিখ্যাত পেইন্টিং। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ১৮ শতকের খুব বেশী ছবি নেই; তার উপর তৈলচিত্র। সমসাময়িক কালের আরও একটি পেইন্টিং (সৌভাগ্যক্রমে সেটিও তৈলচিত্র) বরার্ট হোমের লালবাগ কেল্লার (নীচে দেখুন ১৩ম ছবি)।



নিজ কক্ষে বিশ্রামরত একজন মুসলিম নারী। পরিধেয় শাড়ি, লম্বা হাতা ব্লাউস এবং মাথায় ওড়না।



৬ষ্ঠ ছবি



বইঃ Folk Tales of Bengal

প্রকাশক: ম্যাকমিলান এন্ড কোং লিঃ, লন্ডন

প্রকাশকাল: ১৯১২

ইলাষ্ট্রেশন: ওয়ারউয়িক গোবল



ঘরের দাওয়ায় শাড়ি পরিহিতা ঘোমটা দেওয়া নারী; পুরুষের পোশাক জোব্বা, পাগড়ি, দাড়ি।



৭ম ছবি



টাইটেল: Prayer meeting of Muslim supporters of British Empire

সময়কাল এবং স্থান: ১৯০৬, ঢাকা



ঈদের জামাতে শত শত মুসুল্লী। নামাজহেতু টুপির আধিক্য বোধগোম্য; তবে অনেকের দাড়িও দেখা যাচ্ছে।



৮ম ছবি





টাইটেলঃ Children and teachers pose for the camera during prize-giving at a school

আলোকচিত্র: Hulton Archive -Getty Images

সময়কাল এবং স্থান: ১৯০০, ঢাকা



যে ক’জন নারী দেখা যাচ্ছে (বায়ে এবং ডানে দন্ডায়মান), তাদের সবার পোশাক শাড়ি এবং মাথায় কাপড়।



৯ম ছবি



আলোকচিত্রী: অজানা

মাধ্যম: Photographic print

সময়কাল: ১৮৬০

বর্ণনা: Photograph of a village scene in Bengal, from an Album of Miscellaneous views in India; a view of thatched village dwellings by the side of the road. - British Library



ছবির বায়ে ঘরের কোনায় তিনজন নারীকে দেখা যাচ্ছে সাদা শাড়ি এবং মাথায় কাপড় দেওয়া।



১০ম ছবি



টাইটেল: Hut of a pariah woman

আলোকচিত্রী: Frederick Fiebig

সময়কাল এবং স্থান: ১৮৫১, কলকাতার নিকটে



নিজ গৃহের সম্মুখে অন্ত্যজ নারী। পরিধেয় শাড়ি, যথারীতি মাথায় কাপড়।



১১শ ছবি



আলোকচিত্রী: অজানা

মাধ্যম: Photographic print

সময়কাল: অজানা



একটি পারিবারিক ছবি। ছবিটি সম্ভবত মাঝে দন্ডায়মান কিশোরিটির কল্যাণে প্রাপ্ত। গৃহকর্তা এবং গৃহকর্ত্রীর পরনে আবহমান কালের পোশাক। কর্তার দাড়ি-টুপি এবং কর্ত্রীর মাথার ঘোমটা লক্ষ্যণীয়।



১২শ ছবি



টাইটেল: The Famine in India, a Bengal Village

সময়কাল: ১৮৭৪

সূত্র: The Illustrated London News C1850-1899



দু’জন নারীর উভয়েরই মাথা কাপড় দিয়ে ঢাকা। অবশ্য পরনে ঘাগড়া জাতীয় পোশাক।



১৩ম ছবি



টাইটেল: View of the Gate of the Lal Bagh, Dacca

শিল্পী: রবার্ট হোম

মাধ্যম: তৈলচিত্র

সময়কাল: ১৭৯৯



ছবিতে দু’জন নারীকে দেখা যাচ্ছে যথারীতি শাড়ি পরিহিতা এবং ঘোমটা মাথায়।



১৪শ থেকে ১৯ম ছবিগুলো তৎকালীন বৃটিশ সরকারের তত্ত্ববধানে তথ্য সংগ্রহের অংশ হিসেবে একটি অস্থায়ী ষ্টূডিওতে তোলা হয়েছিল।



১৪শ ছবি



টাইটেল: A Woman of Eastern Bengal (বর্তমান বাংলাদেশ)

আলোকচিত্রী: অজানা

মাধ্যম: Photographic print

সময়কাল: ১৮৬০

বর্ণনা: Half-length portrait of a woman, standing with folded arms against a plain background। It forms part of an album entitled 'Portraits of Bengal types, trades and castes'.



পরিধেয় কামিজ জাতীয় পোশাক, মাথায় কাপড়।



১৫ম ছবি



টাইটেল: Group of Unidentified female, Eastern Bengal.

আলোকচিত্রী: অজানা

মাধ্যম: Photographic print

সময়কাল: ১৮৬০

বর্ণনা: Portrait of a group of women and children from Bangladesh



সেই সময়ের কিছু নারী ও শিশু। যথারীতি পোশাক এবং মাথার কাপড় লক্ষ্যণীয়।



১৬শ ছবি



টাইটেল: Group of Unidentified female, Eastern Bengal.

আলোকচিত্রী: অজানা

মাধ্যম: Photographic print

সময়কাল: ১৮৬০

বর্ণনা: Three-quarter length portrait of three women, probably a mother and her two daughters।



বড় মেয়েটির মাথায় কাপড়; মাঝের জন (যিনি মা), তার গালের কাছের শাড়ীর ভাজ থেকে বোঝা যায় মাথায় কাপড় ছিল যেটা পড়ে গেছে।



১৭ম ছবি



টাইটেল : Group of unidentified female, Eastern Bengal

আলোকচিত্রী: অজানা

মাধ্যম: Photographic print

সময়কাল: ১৮৬০

বর্ণনা: Portrait of two Bangladeshi women।



১৮ম ছবি



টাইটেল: Group of Darwash (Dhara Wala), Eastern Bengal

আলোকচিত্রী: অজানা

মাধ্যম: Photographic print

সময়কাল: ১৮৬০

বর্ণনা: Portrait of two male figures, one seated in a European chair, the other standing; both are holding tambourine-like instruments.



পুরুষ, একজন পরিহিত ঢোলা পাজামা-পাঞ্জাবী জাতীয় পোশাক এবং অন্যজন পাঞ্জাবীর সাথে লুঙ্গি। উভয়ের মাথায় পাগড়ি এবং মুখে দাড়ি।



১৯ম ছবি



টাইটেল: Group of Chutki-Kuti (cocoanut shell hooka-makers), Eastern Bengal.

আলোকচিত্রী: অজানা

মাধ্যম: Photographic print

সময়কাল: ১৮৬০

বর্ণনা: Portrait of a row of hookah makers posed to demonstrate various stages in the manufacture of hookahs from coconut shells।



উর্ধাঙ্গের পোশাক টুপি-দাড়ি!



ছবিগুলোতে সামাজিক অবস্থানভেদে পোশাক এবং তার পরিধানের পার্থক্য বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয় যা আজও বিদ্যমান।



তথ্যসূত্র:

British Library

http://www.artvalue.com

http://angustrumble.blogspot.sg/

http://www.cqout.com

flickr.com

http://www.archive.org

মন্তব্য ৪৯ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৪৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫৩

মুগ্ধ মাহি বলেছেন: +++++

ভালো লাগল ।

বাংলা ভাষার সনামধন্য পণ্ডিত ড মো শহিদুল্লাহ টুপি পড়তেন , দাড়ি

রেখেছিলেন।

রবীন্দ্রনাথ দাড়ি রেখেছিলে।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:০১

আসফি আজাদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মুগ্ধ মাহি। ঠাকুর পরিবারের নারীরা মাথায় কাপড়ও দিতেন, তথ্যটি বোধকরি আজকের যুগের রবীন্দ্র অনুসারীরা জানেন না। জানলে নিশ্চিত ওনাকে বর্জনের তালিকায় ফেলে দিতেন।

২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫৬

সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত বলেছেন: ভালো সংগ্রহ

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:০১

আসফি আজাদ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০৪

খেয়া ঘাট বলেছেন: ভালো সংগ্রহ। চমৎকার ছবিগুলোর জন্য
++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
একগুচ্ছ প্লাস।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:০২

আসফি আজাদ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১৮

আপেল বেচুম বলেছেন: ইহা মোটেই বাঙ্গালিয়ানা নহে । ছবির ক্যাপশন থেকেই ইহা স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় । আপনি কী দেখিতেছেন না যে ক্যাপশনে আছে মুসলিম এই, মুসলিম সেই; তো তাহারা মোটেই বাঙ্গালি নহে । শুধুমাত্র চতুর্থ ছবিখানা ব্যতিত আর কোন ছবিতেই বাঙ্গালি বলিয়া কোন বস্তু নাই, সব যবন, ম্লেচ্ছ, মুসলিম !

সময়োপযোগী পোস্ট । যাহাদের বোঝার,তাহারা বুঝিলে হয় !!!

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:০৪

আসফি আজাদ বলেছেন: "যাহাদের বোঝার,তাহারা বুঝিলে হয়!"
কিন্তু তাহারা বুঝিবে কি?
ধন্যবাদ।

৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৪৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সুন্দর !!!

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:০৪

আসফি আজাদ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫৮

হাছন রাধা করিম বলেছেন: আজাদ ভাই ওরা চোখ থাকতে অন্ধ, কান থাকতে বধির এবং ওদের অন্তর সীলমোহরকৃত।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:০৬

আসফি আজাদ বলেছেন: যা বলার তা বলেই দিলেন হাছন ভাই। তবুও আশা করি ওনারা বুঝবেন। আমাদের দেশের সামগ্রিক কল্যানের জন্যই ওনাদের বোঝাটা জরুরী।
ধন্যবাদ।

৭| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫৯

সাইফুল আলী বলেছেন: ভালো সংগ্রহ।অজস্র ++++++ দিলাম :)

তবে ছায়ানটিদের মনের কথা ক্লিয়ার করে দিয়ে ভালই করেছে।তারা এবং তাদের ক্ষমতাসীন সরকারের মনোভাবের কথা তাদের বক্তব্যতেই স্পষ্ট হয়।নিচের এই পেপার কাটিংটা দেখুন।এটা ২০১৩ সালের ১২ জানুয়ারির ভারতের হিন্দুত্ববাদী আনন্দ বাজারের লেখা।বাঙালি জাতিয়তাবাদ দিয়ে যে তারা আমাদের আবারও হিন্দুত্ববাদের দিকে নিচে যেতে চায় এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:২১

আসফি আজাদ বলেছেন: ওনাদের সমস্যাটা হচ্ছে ইসলামকে ওনারা স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেন না। ওনাদের মধ্যে এক ধরণের ফোবিয়া কাজ করে। ওনাদের আরেকটি সমস্যা হল ওনারা মনে করেন 'ইসলাম' এবং 'বাঙ্গালী' এই সত্ত্বাদুটি পারস্পরিক সহাবস্থানে সক্ষম নয়। কিন্তু যুগ যুগ ধরে এই জনপদে সত্ত্বাদুটি পারস্পরিক সহাবস্থান করে আসছে কোন প্রকার সমস্যা ছাড়াই। ইনশাআল্লাহ আগামী দিনগুলোতেও এই সহাবস্থান বজায় থাকবে।
ধন্যবাদ।

৮| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২৬

মেংগো পিপোল বলেছেন: আজাদ ভাই দারুন কালেকশন করছেন। যারা জিন্স টিশার্ট কে ফ্যাশন ভাবে এবং এতে তাদের বাংয়ালীত্বে কোন আইডেন্টিটি ক্রাইসিস হয় না যত আইডেন্টিটি ক্রাইসিস শালিন পোষাকে। তাদের ব্যাপারে আর বলার কিছু নাই। তবুও সাধুবাদ জানাই আপনার এই কাজের। একটা ছবি মিস হয়েছে সেটা দিলাম,



এটা 1860 সালের বাংয়লীর ছবি। এখানে নারীরা ব্লাউজ ও ব্যাবহার করেনি। তাহলে কি টিপিকাল বাংয়ালী হতে হলে এখন বাংয়ালী নারীদের ব্লাউজ ত্যাগ করতে হবে! সেই প্রশ্ন আইডেন্টিটি ক্রাইসিস আলাদের কাছে। সভ্যতায় বিভিন্ন আচার বা ব্যাবহারের পরিবর্তন, সংযোজন এবং বিয়জন হয় এই টুকু যারা বোঝনা তারা যখন নিজেকে স্কলার দাবি করে খারাপ লাগে। আর দেখুন ছবিটার পুরুষেরা সব খালি গায়ে। জানিনা আইডেন্টিটি ক্রাইসিস আলারা বাংয়ালিত্ব বাচাতে খালিগায়ে থাকবেন কিনা। হয়তো অনেকে যুক্তি দিবে এ তো সেদিনের ছবি। বাংয়ালী জাতির গোড়া পত্যন আরো প্রাচীন। অতি প্রাচীন কালির প্রতিমা বা মন্দীরের গায়ের টেরা কোটায় নারী, বা দেব দেবীর অবাক্ষ মুর্তি থেকে ধারনা হয় যে ইসলাম পুর্ববর্তি সময়ে এই উপমহাদেশে নারীদের পোষাকের অবস্হা চিন্তা করলে ভির্মি লাগবে। একটু খেয়াল করলে দেখবেন আমি যে ছবিটা দিয়েছি সেখানেও একজন নারী মাথায় কাপর দিয়ে আছে এ থেকে বোঝা যায় বাংয়ালী নারীর মাথায় কাপর দেয়ার প্রথা বহু দিনের আর ব্লাউজ কোন কালেই বাংয়ালীর পোশাক ছিলোনা। 1800 সালের শেষের দিকে এটা ইংরেজ অভিজাত নারীর ঘর থেকে (আপনার দেয়া ২ নং ছবি) আমাদের নারীরা ধিরেধিরে গ্রহন করেছে। তাও সভ্রান্ত জমিদারের বৌয়েরা (আপনার দেয়া ৫ম ছবি) । রবিন্দ্র নাথের চোখের বালি পরা থাকলে এই ব্যাপারে আর তর্কের প্রয়জন হয় না। সব কথার শেষ কথা কি জানেন আইডেন্টিটি ক্রাইসিস আলাদের আসল এলার্জি হলো ধর্মে, এইসব জাতীয়তা বাদের বুলি কেবল ভাওতা।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৪১

আসফি আজাদ বলেছেন: মেংগো পিপোল ভাই, উনি কিন্তু বলেই দিয়েছেন যেসমস্ত জায়গায় একটু জনসমাগম হয়, সেই সমস্ত জায়গায় যখন উনি যান, সেখানে দেখেন "উনি একাই বাঙ্গালী"! এই 'একাই বাঙ্গালী' আসলে সব সমস্যার মূল এবং এর কারণেই এই 'আইডেন্টিটি ক্রাইসিস'। এই 'আইডেন্টিটি ক্রাইসিসটা' আসলে 'একাই বাঙ্গালী' অলাদের; এটা সাধারণ জনগণের সমস্যা নয়। উনি ওনাদের সমস্যাটা জনগণের উপর চাপিয়ে দিতে চাইছেন।

ওনাদের অন্য একটি সমস্যা যেটা ধরা পরে, সেটা হল ওনারা মনে করছেন একজন ব্যক্তির সত্ত্বা/পরিচয় একটিই! কিন্তু আদতে তা নয়। একজন ব্যক্তির বিভিন্ন পরিচয় থাকতে পারে কোনরূপ songhaসঙ্ঘাত-বিরোধ ছাড়াই। যেমন একজন নারী শুধু একজন নারী নন, তিনি কন্যা-জায়া-জননী। শুধু তাই নয় তিনি একজন বোন, বান্ধবী। তিনি এখন প্রতিবেশীনী। তিনি পেশাজীবি এবং তিনি এই রকম আরও অনেক কিছু। এই আরও অনেক কিছুর মধ্যে অন্যতম একটি পরিচয় হল ধর্মীয়। তিনি হতে পারেন মুসলিম কিংবা অন্য কোন ধর্মাবলম্বী। ব্যক্তি নিজে যে পরিচয়কে প্রধান্য দেবেন, তিনি সেই মোতাবেক পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রে নিজেকে উপস্থাপিত করবেন।

আপনি আইডেন্টিটি ক্রাইসিস আলাদের আসল এলার্জিটা ধরতে পেরেছেন। তবে আরও যথাযথভাবে বললে বলতে হয় ওনাদের এলার্জিটা একটি নির্দিষ্ট ধর্মে।

ধন্যবাদ।

৯| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১২

জাহাজ ব্যাপারী বলেছেন: বাঙ্গালীও ব্রিটিশ সাম্প্রদায়িকতার শিকার – আফসোস। বাঙ্গালী যে যুগ যুগ ধরে আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভুগছে এটা একমাত্র মিতা বুঝতে পারলো! “হক” নামটাও সাম্প্রদায়িক – কেমন আরবী গন্ধ!

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৪২

আসফি আজাদ বলেছেন: এমন 'নাহক' কথা আপনি কিভাবে বলতে পারলেন জাহাজ ব্যাপারী ভাই।
ধন্যবাদ।

১০| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১৩

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: সুন্দর পোস্ট

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৪৩

আসফি আজাদ বলেছেন: ধন্যবাদ।

১১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২২

শাবালক ফায়েক বলেছেন: ভালো লাগলো+++

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৪৩

আসফি আজাদ বলেছেন: ধন্যবাদ।

১২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:১৮

রামন বলেছেন:
দুটো ছবি দিলাম। ছবিগুলো ১৮৬০ সালের তোলা।

১ম ছবিতে এক বৃদ্ধকে দেখা যাচ্ছে যিনি আওলান দিয়ে ঘোমটা দেয়ার মত মাথা ঢেকে রেখেছেন।



২য় ছবিতে শাড়ি পরিহিতা এক বৃদ্ধাকে দেখা যাচ্ছে যিনি তার আচল মাথায় রাখার বদলে কাধে ঝুলিয়ে রেখেছেন।



এখন নারীর মাথার কাপড় পুরুষের মাথায় দেখা গেলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন জাগতে পারে- এ দেশের পুরুষের কি মাথায় কাপড় দেয়ার রীতি ছিল ? আসলে ব্যাপারটা সে রকম কিছুই নয়। প্রচন্ড সূর্য্যতাপ ও শৈত্যপ্রবাহ থেকে রক্ষা পাবার জন্য নারীরা শাড়ির অচল ও পুরুষেরা আওলান মাথায় চাপিয়ে দুর্দশাগ্রস্থ আবহওয়া থেকে বাঁচার চেষ্টা করত। একই ভাবে আরবদেশের মরুভূমির লোকেরা মরুর ঝড় থেকে রক্ষা পাবার জন্য কেবল চোখ দুটো খোলা রেখে বাকি শরীর কাপড় দিয়ে আবৃত করে রাখত। যা কালক্রমে আরব দেশের এই রীতি মিশ্র সংস্কৃতি হিসেবে আমাদের কালচারে অনুপ্রবেশ করেছে। ধন্যবাদ।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৫৪

আসফি আজাদ বলেছেন: ধন্যবাদ রামন ভাই। সংস্কৃতি, জীবনাচরণ, মূল্যবোধ এইগুলো কোন স্থির কিংবা নিশ্চল বিষয় নয়। বরং এগুলো স্বতঃ পরিবর্তনশীল। যে পাঞ্জাবীকে উনি বাঙ্গালীর পোশাক হিসেবে সনদ দিয়েছেন, আমি পুরোনো কোন ছবিতেই বর্তমান কালের পাঞ্জাবী দেখিনি। যেটা দেখা যায় সেটা হল ঢোলা জোব্বা জাতীয় পোশাক। বোধকরি কালক্রমে বিবর্তিত হয়ে আজকের পাঞ্জাবী রূপ ধারণ করেছে।

সংস্কৃতিও অনুরূপ। ভিন্ন সংস্কৃতির লোকজনের পারস্পরিক মেলামেশার ফলে এক সংস্কৃতির লোকাচার অন্য সংস্কৃতিতে প্রবেশ করতে পারে। তবে এই প্রবেশের মাত্রা নির্ভর করে ব্যক্তির এবং সমাজের মূল্যবোধের উপর।

ধন্যবাদ।

১৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:২২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।:)

একটি ফেইসবুক পেইজ বাংলাদেশ ও বাঙালির সাথে সম্পৃক্ত অনেক ছবি সংগ্রহ করে রেখেছে। এখানে তার অনেকগুলোই আছে।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৬

আসফি আজাদ বলেছেন: ধন্যবাদ মইনুল ভাই। বাংলাদেশের পুরোনো ছবি সংগ্রহ করা আমার একটি শখ। তবে ছবিগুলো এই ভাবে উপস্থাপন করতে হবে তা কখনও ভাবিনি।

১৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৫৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

সুন্দর কালেকশন

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৭

আসফি আজাদ বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:২৬

কালো পাখি বলেছেন: চমৎকার কালেকশন ...............

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮

আসফি আজাদ বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:২৮

রেজা এম বলেছেন: ++++++++++++ প্রিয়তে নিলাম.।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫০

আসফি আজাদ বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে...


সুন্দর পোস্ট...

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১

আসফি আজাদ বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

১৮| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৫৬

মামুন রশিদ বলেছেন: চমৎকার এই সংগ্রহে আবহমান বাঙালীর পোষাকের ঐতিহাসিক চিত্র উঠে এসেছে ।


++

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৪

আসফি আজাদ বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই।

১৯| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:০৬

মদন বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম।

যাদের উদ্দেশ্যে আপনার এতো কষ্ট তারা যে যেগে ঘুমায়। ঘুম ভাংগাবেন কিভাবে?

মিতা বুবু (যদি) ব্রা/প‌্যান্টি/ব্লাউজ পরে থাকেন তাহলে সেটি কি করে বাঞ্গালী পোশাক হয়? সেগুলোতো বৃটিশদের আমদানী করা পোশাক।

কারো পোশাকের আইডল যদি সানি লিওনি হয় তারে আপনি ঘোমটা দেয়াবেন কিভাবে?

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:২৯

আসফি আজাদ বলেছেন: মদন ভাই, আমরা গভীরে না যাই। এমনিতেই বোঝা যাচ্ছে ওনাদের চিন্তার গভীরতা সামান্যই।

যাই হোক, ওনাদের ঘুম ভাঙ্গাতেই এই আয়োজন। যদি কারও উপকারে আসে তবেই পরিশ্রম সার্থক।

কিন্তু অন্তর্জাল মারফত যতটুকু জেনেছি, উক্ত নামধারী পোশাক ভালোই বিকিয়েছে ঈদের মওসুমে। তাই যদি হয় তাহলে শুধু একজনকে দোষ দিয়ে কি লাভ? সামগ্রিকভাবে আমরা সবাই কি দায়ী নই বর্তমান প্রেক্ষাপটের জন্য।

ধন্যবাদ।

২০| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৭

ইচ্ছের ঘুড়ি বলেছেন: অনেক সুন্দর............

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৬

আসফি আজাদ বলেছেন: ধন্যবাদ।

২১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:০৯

ছািব্বর বলেছেন: ++++++

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:২২

আসফি আজাদ বলেছেন: ধন্যবাদ।

২২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৩

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। আপনাকে অনুসরন করলাম। পোস্ট প্রিয়তে :)

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:১৫

আসফি আজাদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আমি খুব অনিয়মিত, জানি না আপনার প্রত্যাশা পূরণ করতে পারব কিনা।

২৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:০৫

পারভেজ রানা বলেছেন: লেখা বিষয়ে কোনো কমেন্ট দিচ্ছি না। আপনি দেশে আসলে অবশ্যই রেজা উদ্দিন স্টালিন ভাইয়ের সাথে দেখা করবেন। উনি আপনাকে দেখা করতে বলেছেন।

২৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:০৬

পারভেজ রানা বলেছেন: আপনার লেখা বিষাদ সমীকরণ পড়ে উনি আপনাকে দেখা করতে বলেছেন।

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:০৯

আসফি আজাদ বলেছেন: পারভেজ ভাই, ডিসেম্বরে গিয়েছিলাম। আবার কবে যাব জানি না। যাই হোক যখন যাব তখন চেষ্টা করব। ওনাকে শুভেচ্ছা জানাবেন আর আপনাকেও শুভেচ্ছা এবং ধন্যবাদ।

২৫| ১৯ শে জুন, ২০১৪ ভোর ৪:৪৭

নাইমুল ইসলাম বলেছেন: এতো দেখি পোষাক লাইব্রেরি পোষ্ট ! :) +

১৯ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৯:১৯

আসফি আজাদ বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.