![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সামুব্লগের নতুন সদস্য, এখনো অন্যের কোন ব্লগে মন্তব্য করতে পারিনা। তাই এই লেখা।
http://www.somewhereinblog.net/blog/omipialblog/29068339
ব্লগটির লেখক একটি হাদীস উদ্ধৃতি দিয়েছেন সেটায় একশ্রেণীর প্রতারকের সম্পর্কে সাবধান করে দেয়া হয়েছে। লেখক সরাসরি না বললেও বুঝা যাচ্ছে যে তিনি মনে করছেন হাদীসটির প্রতারকের সাথে জামায়াত-ই-ইসলামী দলটির মিল আছে।
এবার আসুন দেখি ওই ব্লগটিতেই সাহায্যপ্রাপ্ত নামক একজনের মন্তব্যগুলো।
জনাব সাহায্যপ্রাপ্ত এখানে পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন আয়াত উল্লেখ করে বলতে চেয়েছেন কুরআনে কিভাবে আল্লাহ আমাদেরকে ধর্মপ্রতিষ্ঠা করতে বলেছেন এবং এর বিনিময়ে কিভাবে আমাদের পুরষ্কার দিবেন। লেখক একপর্যায়ে সরাসরি তার প্রতি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেনঃ "আসল কথায় আসেন। জামাতে ইসলামী ভন্ড কিনা, ধর্ম নিয়া ব্যবসা করে কিনা"
উত্তরে জনাব সাহায্যপ্রাপ্ত আরেকটি আয়াত টেনে বলছেনঃ
"অবশ্যই করে। কেন করে দেখেন।
"হে ঈমানদারগন ! আমি কি তোমাদের এমন একটি (লাভজনক) ব্যবসার সন্ধান দেব যা তোমাদের উদ্ধার করবে মর্মন্তুদ শাস্তি থেকে? তোমরা আল্লাহ এবং রাসুলের উপর ঈমান আনো আর আল্লাহর (দ্বীন প্রতিষ্ঠার) পথে সংগ্রাম করো মাল এবং জান দ্বারা। এটাই হচ্ছে তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা জানতে। তিনি তোমাদের গুনাহসমুহ ক্ষমা করবেন এবং তোমাদর প্রবেশ করাবেন জান্নাতে যার নিচ দিয়ে বয়ে চলেছে ঝরনারাজি, আর নন্দন কাননের উৎকৃষ্ট গৃহসমুহে। ঐটিই মহাসাফল্য। আর অন্য একটি যা তোমরা ভালবাস - আল্লাহর কাছ থেকে সাহায্য এবং আসন্ন বিজয়।" সুরা আস সফ : ১০-১৩"
আয়াতটি পড়ে আমি যেটুকু বুঝলাম, আল্লাহ এখানেও ইসলাম ধর্মপ্রতিষ্ঠার কথা বলছেন, এবং তখনকার আরবদের জীবিকানির্বাহের প্রধান উপায় ব্যবসা হওয়ায় আল্লাহ এখানে ধর্মপ্রতিষ্ঠার পথে সংগ্রামের ফযীলতের কথা বলতে গিয়ে "(লাভজনক) ব্যবসার" কথা বলেছেন (মনে করুন, ইহকালে আমাদের ইসলাম কায়েমের চেষ্টা/সংগ্রাম আমাদের ব্যবসার মূলধন, পরকালে আল্লাহর থেকে পুরষ্কার, আল্লাহর নৈকট্যলাভ সেই ব্যবসার চূড়ান্ত লাভ।)
এবার আসি আমার মূলবক্তব্যে। ধরে নিলাম, জামায়াতে ইসলামী এই আয়াতের মর্ম বুঝেই তাদের "ধর্মব্যবসা" চালাচ্ছে। বাংলাদেশে ইসলামপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তারা সংগ্রাম করে যাচ্ছে। হয়ত তারা ""নি:সন্দেহে আল্লাহ তায়ালা মুমিনদের কাছ থেকে জান্নাতের বিনিনয়ে তাদের জান ও তাদের মাল খরিদ করে নিয়েছেন, এরা আল্লাহর পথে জিহাদ করে, অত:পর (এ জেহাদে কখনো কাফেরদের) তারা হত্যা করে, (কখনো আবার শত্রুর হাতে) তারা নিজেরা নিহত হয়। তার উপর (এ) খাঁটি ওয়াদা (এর আগে) তাওরাত এবং ইনজিলে ও করা হয়েছিল, আর (এখন তা) এ কোরআনে করা হচ্ছে, এই ওয়াদা পালন করা আল্লাহ তায়ালর নিজস্ব দায়িত্ব, আর আল্লাহর চাইতে কে বেশি ওয়াদা পুরন করতে পার? অতএব (হে মুমিনরা), তোমরা তাঁর সাথে যে কেনাবেচার কাজ (সম্পন্ন) করলে তাতে সুসংবাদ গ্রহন করো (কেননা) এটিই মহাসাফল্য" আত তওবা : ১১১"এই আয়াতটি অনুসরণ করেই সেই সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।
সাহায্যপ্রাপ্তের কাছে তাহলে আমার প্রশ্নঃ
১) পাকিস্তানের সৃষ্টি হয়েছিল দুটি মুসলমানপ্রধান অঞ্চল নিয়ে, সেই হিসেব ধরেই তাহলে ১৯৭১এও পূর্ব পাকিস্তান মুসলিমপ্রধান অঞ্চল। এমন কোন প্রমাণ পাওয়া যায়না যে তখন বাঙ্গালী মুসলমানরা মূর্তিপূজা বা অন্য কোন দেবতার পূজা শুরু করেনি, এখনকার মত হিন্দী গানেরও এত চল হয়নি তখন, যা ছিল তা হল হাজার বছরের পুরনো বাংলা সংস্কৃতি। তারপরেও তাদের উপর পশ্চিম পাকিস্তানের আক্রমণের কারণ কি? খুব স্থূলভাবে বললে, তারা তাদের শাসকদের শোষণ, বৈষম্য ইত্যাদির প্রতিবাদ করেও কোন ফল না পেয়ে শেষপর্যন্ত স্বাধীনতা চেয়েছিল (প্লিজ, এখানে কেউ প্রমাণ চেয়ে নিজের বুদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন না)। শাসকরা অবশ্যই তখন বিদ্রোহ দমনের জন্যে সৈন্য পাঠাবেই। অতএব, পাকিস্তানীদের আক্রমণ ইসলামপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ছিল - এমন যুক্তি দেখানো হাস্যকর।
এই আক্রমণের সময় জামাতের ভূমিকা যা ছিল তা কি ইসলামসম্মত? কিছু উদাহরণ পাবেন এখানে। হয়ত বলবেন তারা তাদের স্বদেশ (৭১পূর্ব পাকিস্তান) রক্ষার জন্যে জিহাদ করেছে। জিহাদের অর্থ হতে পারত স্রেফ পাকসেনাদের সাথে মিলে যুদ্ধ করা। কিন্তু পাকসেনা-রাজাকারদের বেসামরিক গণহত্যা কতখানি "দ্বীনপ্রতিষ্ঠা"র জন্যে? গ্রামের পর গ্রাম জালানো কতখানি ইসলামসম্মত?
২) ৭১ এর জামাতের ভূমিকার আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো "গনিমতের মাল" যেটা দেখিয়ে তারা হিন্দু পরিবার/ মুসলমান মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের মেয়েদের অপহরণ, ধর্ষণ, হত্যা সহ আরও অনেককিছুই করেছে। ইসলাম ধর্মের কোন জায়গায় দ্বীনপ্রতিষ্ঠার জন্যে একটি চৌদ্দ বছরের মেয়েকে (সে যে র্ধমেরই হোক) ধর্ষণ করার কথা বলা আছে বলতে পারবেন, জনাব সাহায্যপ্রাপ্ত? দিতে পারবেন মহানবী (সাঃ) এর জীবনী থেকে এমন কোন উদাহরণ (নাউযুবিল্লাহ)? বা তাঁর কোন সাহাবীর উদাহরণ (নাউযুবিল্লাহ)? দিতে পারবেন মহানবী (সাঃ) অংশ নিয়েছেন এমন কোন যুদ্ধের উদাহরণ যেখানে কোন মূর্তিপূজারী মেয়েকে কোন মুসলমান যোদ্ধা গনিমতের মাল হিসেবে ধর্ষণ করেছে?
এই ক্ষেত্রে জামায়াতের ভূমিকা কি ছিল? পাকসেনাদের হিন্দু বাড়ি দেখিয়ে দেওয়া, হিন্দু মেয়ের হদিস দেওয়া এবং/অথবা ধর্ষণে অংশ নেওয়া।
৩) এগুলো যদি ইসলামপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামের অংশ না হয়, তাহলে ৭১ এর জামায়াতের ধর্মব্যবসা কিভাবে আপনার দেওয়া ওই আয়াতটিতে ব্যবসার সমতুল হয়?
৪) বর্তমানের জামাত কারা চালাচ্ছে? তখনকার সেই মইত্যা রাজাকাররাই না? তাহলে কেন আমি ইসলামের জন্যে জিহাদ করার মডেল হিসেবে সেই ধর্ষকদের অনুসরণ করব?
উত্তরগুলো আমি চাচ্ছি জনাব "সাহায্যপ্রাপ্ত "র কাছ থেকে। প্লিজ আর কোন জামাতভক্ত এখানে বাগড়া দেবেন না।
সবশেষে আমি বলতে চাই, আমার এতো কথা বলার কারণ আর কিছু না, বরং আপনার এই উক্তিটি "জামায়াতে ইসলামী কে কটাক্ষ তো করবেন ই। রাসুল পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ হয়েও তাঁকে রক্ত ঝরাতে হয়েছে, আর জামায়াতে ইসলামী কি বা এমন এসে গেছে যে সামান্য কটাক্ষ সহ্য করতে পারবে না। পারবে।" আপনি মহানবী (সাঃ) এর সাথে জামাতের তুলনা কোন সাহসে করলেন? আমি এই পোস্টটা যতটা না বাংলাদেশী হিসেবে লিখলাম, তার চেয়ে বেশি লিখলাম জামাতবিদ্বেষী হিসেবে, তার বেশি একজন মুসলমান হিসেবে, কারণ আপনি আমার ধর্মকে অপমান করেছেন, আপনি আমার নবীকে অপমান করেছেন! আর আপনার এইরূপ ইসলামের জন্যে যদি আল্লাহ আপনাকে/জামাতীকে বেহেশত দেয়, আমি বলব, "হে আল্লাহ! তুমি আমার বিচার কইরো না, আমি এমনেই দোযখে যাই! এই শুয়ারগুলার সাথে বেহেশতে থাকার চেয়ে দোযখের আগুনে পুড়া আরাম হবে!"
২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:২৫
সাহায্যপ্রাপ্ত বলেছেন: দু:খিত, আপনার ব্লগ টি আগে আমার চোখে পড়েনি। আজ সাহায্যপ্রাপ্ত নামে সার্চ দিতে গিয়ে পেলাম।
আপনি ইসলাম নামক জীবন ব্যবস্থা কে কতখানি বোঝেন বা একজন মুসলমানের দায়িত্ব কি তা কতখানি সুস্পষ্টভাবে জানেন আমি বলতে পারছিনা তাই ঐদিকে আরা যাচ্ছিনা। আপনার অভিযোগ মুক্তিযুদ্ধ তথা ইতিহাস কেন্দ্রিক। মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াতের ভুমিকা এবং তা তাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্যের সাথে কতটা সঙ্গতিপূর্ণ? যেহেতু ইতিহাস কেন্দ্রিক তাই মনে করলাম এই বিষয়টা আপনার গভীরভাবে জানার প্রয়োজন আছে। আমার কাছ থেকে আপনি যদি সত্যিই জানতে চান তাহলে যে বই এর লিঙ্ক টা দিলাম সেটা পুরাটুকু পড়বেন। শেষ হলে আমার সর্বশেষ ব্লগে একটা কমেন্ট দিয়েন যে আপনি আপনার প্রশ্নগুলার উত্তর শোনার জন্য সত্যিই কষ্ট করেছেন।
বাংলার মুসলমানদের ইতিহাস - ১
বাংলার মুসলমানদের ইতিহাস - ২
বাংলার মুসলমানদের ইতিহাস - ৩
২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৯:৫০
আশাহত বলেছেন: ভাই, আপনি যদি কতগুলা ধর্ষককে আপনার ধর্মগুরু বানাতে চান, তাহলে আপনার পেছনে নষ্ট করার মত সময় এই পোস্টটা লিখতে লিখতেই শেষ।
নিক নিয়েছেন "সাহায্যপ্রাপ্ত", কিন্তু যা বুঝছি, আপনার (মানসিক) সাহায্য দরকার আরো।
ভাল থাকবেন।
৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৫৩
সাহায্যপ্রাপ্ত বলেছেন: কতগুলা ধর্ষক বলতে কাদের বুঝিয়েছেন জানিনা তবে এটা যে আপনার ধারণা ছাড়া আর কিছুই না সেটা আমি ঠিকই বুঝতে পারছি। আপনি এই ধারণাতে অনেক খুশী এবং তা কোনোভাবে পাল্টে যাক তা আপনি চান না। চাইলে অবশ্যই প্রমাণ খুজতে চাইতেন।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ৯:১৫
আশাহত বলেছেন:
এদ্দিন পড়ে আইসা শেষমেষ এই ব্রেইনওয়াশড মার্কা রিপ্লাই! গড়াগড়ি খাইতেসি! ভাই, আপনে পারেনও।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ৯:৩৭
হাল্ক বলেছেন: ছাগু সম্প্রদায় নিয়া চিন্তা কইরা খালি সময় নষ্ট।
তোর ব্লগে ভালো যুক্তি আছে। সুতরাং কোন ছাগু উত্তর দিতে আসবে না।