নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্পর্শ করতে চাই তাকে, কিন্তু পারিনা তবুও চেয়ে তার পথ ছুয়ার আসায় ।

স্পর্শ

স্পর্স করতে চাই তাকে কিন্তু কিছুতেই পারিনা,তবুও আসায় আছি তার পথ চেয়ে।

স্পর্শ › বিস্তারিত পোস্টঃ

* সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল থাকলে অসুবিধা কী?

১৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৩৪



আমার দে‌শের রাষ্ট্রভাষা‌কে যারা কে‌ড়ে নি‌তে চে‌য়ে‌ছে তা‌দের প্রেতাত্মারাই আমার রাষ্ট্রধর্ম কে‌ড়ে নি‌তে চায়!

আবা‌রো গ‌র্জে উঠুক ৫২ এর অ‌কু‌তোভয় বীর বাঙ্গালী। গ‌র্জে উঠুক রফীক সালাম বরক‌তেরা। ৫২ ‌তে যে বাঙ্গালী রা‌ষ্ট্রের ভাষা কে‌ড়ে নি‌তে চাওয়া হা‌য়েনা‌দের বিরু‌দ্ধে গ‌ড়ে তু‌লে‌ছিল তীব্র আ‌ন্দোলন তা‌দের যোগ্য উত্তরসূরীরা ১৬ সা‌লে রা‌ষ্ট্রের ধর্ম কে‌ড়ে নি‌তে চাওয়া অর্বা‌চিন‌দের বিরু‌দ্ধে গ‌ড়ে তুল‌ুক দুর্বার প্র‌তিবাদ।

জাগ‌বে কি তৌ‌হিদী জনতা? রাষ্ট্র‌দ্রোহী‌দের বিরু‌দ্ধে রায় পা‌ল্টে দি‌তে গণজাগরন মঞ্চ তৈরীকারী বীর বাঙ্গালী ধর্ম‌দ্রোহী রায় পাল্টা‌তে গড়‌বে কি ইসলামী গণজাগরন মঞ্চ?

‌কেউ আ‌ছো কি আমার ধর্মীয় স্বাধীনতা খর্বকারী‌দের বিরু‌দ্ধে ব‌লিষ্ট প্র‌তিবাদী? তাহ‌লে তু‌মিও গ‌র্জে উ‌ঠো ৫২ এর আদ‌র্শে ব‌লিয়ান হ‌য়ে। সেই আ‌বেগ। সেই উচ্ছা‌সে ।


আসুন একটু জেনে নেই আসলে কি একজন মুসলিম পাকিস্তান প্রেমিক হতে পারেঃ

১। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান মূলত গঠন হয়েছিলো শরিয়ত দ্বারা পরিচালিত হওয়ার জন্য। কিন্তু, পরবর্তী সময়ে এই রাষ্ট্রটি বিশ্বাসঘাতকতা করেছে আর সেকুলার সংবিধান দ্বারা দেশ পরিচালনা করেছে। কিভাবে একজন মুসলিম এমন দেশকে ভালোবাসতে পারে যেখানে শরিয়ত দ্বারা শাসন হয় না!!!

২। মুসলিম দুটি দেশের বিভাজনের পিছনে মূল হোতা এই পাকিস্তান। না হলে আজ ভারত আমাদের উপর দাদাগিরি করতে পারতো না। তাছাড়া, বাংলাদেশের মুসলিম নর-নারীদের উপর অমানবিক অত্যাচার, একটা হাদিসই যথেষ্ট। 'একজন মুসলিমের রক্তের চেয়ে আল্লাহর নিকট ক'বা ঘর ভাঙা অনেক সহজ'। মুসলিমের রক্ত কা'বা ঘরের চেয়েও দামি আর সে রক্ত নিয়ে তারা বাংলাদেশে হোলি খেলেছে। (তাগরিব ওয়াল তারহিব)

৩। ১৯৯৬ সালে প্রায় ৭২ বছর পর পৃথিবীর বুকে শরিয়তি রাষ্ট্র আফগানিস্তানে প্রতিষ্ঠা হয়। প্রথমে যদিও পাকিস্তান এই রাষ্ট্রের পক্ষে ছিলো কিন্তু পরবর্তীতে আমেরিকার গোলামী করতে গিয়ে সেই ইসলামি রাষ্ট্র ধ্বংস করতে তাদের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি। একজন মুসলিমের জন্য যে জায়গায় ফরজ সে শরিয়তের ছায়াতলে জীবন অতিবাহিত করবে সেখানে পাকিস্তান সে রাষ্ট্র ধ্বংস করেছে।

আর ভারতের সাথে যাদের দরদ তাদের কিছু বলবার নাই।

আমরা বিশ্বাস করি এই জমিন আল্লাহর। তাই এখানে আল্লাহর দেয়া বিধান চলাই ন্যায্য দাবি। তাই রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম দেয়ার পাশাপাশি দেশের সংবিধানও যেন কোরান দেয়া হয় এবং দেশে শরিয়ত প্রতিষ্ঠিত হয়।

জমিন যার, বিধান তাঁর।

আসুন, একটু চিন্তা করি!!!! @* সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল থাকলে অসুবিধা কী?


হ্যাঁ! অসুবিধা আছে।ইসলাম হবে এদেশের প্রধান ধর্ম।মুসলিমরা হবে এদেশের প্রথম শ্রেণীর নাগরিক।অন্যন্য ধর্মাবলম্বী হবে দ্বিতীয় শ্রেণীর। এই বিভাজন ঠিক নয়।ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার।রাষ্ট্রযন্ত্রে সকলের অধিকার সমান।

আচ্ছা ভাই,এই যদি হয় আপনার যুক্তি; তবে সংবিধানে রাষ্ট্রভাষা বাংলা কেনো বহাল রাখা হবে? এতেও তো অসুবিধা আছে। বাংলাভাষীরা হবেন প্রথম শ্রেণীর নাগরিক।অন্যান্যভাষী হবেন দ্বিতীয় শ্রেণীর। যেমন : চাকমা,বিহারীসহ অন্যান্য উপজাতি। তারা তো বাংলা ভাষায় কথা বলে না।কথা বলে তাদের নিজস্ব ভাষায়।

তাহলে এখানেও তো সেই একই বিভাজন চলে আসছে।অথচ ভাষা যার যার,রাষ্ট্র সবার।রাষ্ট্রযন্ত্রে সকল নাগরিকের অধিকার সমান হওয়া চাই।এখন কি করবেন? সংবিধান থেকে আগে রাষ্ট্রভাষা বাংলা সরান! তারপরে না হয় ইসলামে হাত দিবেন।

আমরা একথা মানি না যে,রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানে বহাল থাকলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার সমান থাকে না।কেননা সংবিধানের ২৮/১ উপধারায়, রাষ্ট্রযন্ত্রে সকল নাগরিকের অধিকার সমান বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। অতএব,শ্রেণী বৈষম্যের যে আশংকা, এর উপশম তো ওই সংবিধানেই আছে।তাহলে এতো মাথা ব্যাথা কেন?

আসল কথা হচ্ছে, সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকলে নাস্তিকরা হীনমন্যতায় ভোগে।কারণ,তাদের তো কোনো ধর্ম নেই।কিন্তু এই নাস্তিকরা যে আধুনিকতা আর গণতন্ত্রের শ্লোগান দেয়, সেই আধুনিক কানাডার সংবিধানের প্রথমেই তো " ফেইথ অফ গড " লিখা আছে।

গণতন্ত্রের মহান প্রহরী আমেরিকার ডলারেও " IN GOD WE TRUST " লিখা আছে।ওরা তাদের ডলারে গডের কথা বলতে পারে, তাদের সংবিধানে গডের ওপর বিশ্বাস রাখার কথা বলতে পারে।এতে বিশ্বাসী অবিশ্বাসীর মধ্যে বিভাজন বৈষম্য সৃষ্টি হয় না।নাস্তিকদের কোনো এলার্জিও সৃষ্টি হয় না; যত্তোসব এলার্জি বাংলাদেশের সংবিধানের ওই "ইসলাম" শব্দ নিয়ে।

আমরা স্পষ্ট বলতে চাই, সরকার মহাদয় যদি গুটি কয়েক নাস্তিকের জন্য দেশের ৯০ ভাগ মুসলমানের কলিজায় হাত দেন ; তবে তা হবে মারাত্মক আত্মঘাতি ভুল।



Very important point !!!

.
"মানবরচিত কুফুরি সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে রাখলেও কী বা না রাখলেও কী, গোঁড়াতেই তো কুফুরি আসন গেড়ে বসে আছে!" কিছু ভাইদের এই স্টেইটমেন্টটা কিছুটা লজিক্যাল মনে হলেও এর মাঝে খুব ভালোই বুঝার ভুল আছে। ২৮ বছর আগে কিছু মুরতাদের ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের করা রিট আবেদনের শুনানিকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের কুফুরি সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে বাতিল করার গভীর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এতে ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া ত্বাগুতের জন্য আরও সহজ হয়ে যাবে। রাষ্ট্রধর্মে ইসলাম থাকা না থাকার উপর কিছু হলে বা না হলে এতদিন যা কুফুরি সংবিধানে ছিল তা হুট করেই পরিবর্তন করার চিন্তা এলো কেন? আর এটিকে চেইঞ্জ করা হলে ইসলামের বিভিন্ন বিধানের উপর বাধা দেয়া আরও সহজ হয়ে যাবে। এমনিতেই জুমার খুতবা-মাদ্রাসা শিক্ষা-ইসলামী বই- দাড়ি-টুপি-হিজাবের বিরুদ্ধে যে পরিমাণ বাধা আসছে তাতে যে কেউই বুঝবে এটি কেন করা হচ্ছে। এটি কাদের খুশির জন্য করা হচ্ছে তা বুঝতে পলিটিকাল অ্যানালিস্ট হওয়ার প্রয়োজন নেই।
.
তুরস্কের কামাল আতার্তুক, মিসরের আব্দুন নাসের, হোসনি মুবারক সহ মুসলিম প্রধান রাষ্ট্রগুলোর ত্বাগুত শাসকদের পরিণতি তো বিশ্ববাসী ভুলে যায়নি। একদিন এইসব মানবরচিত কুফুরি সংবিধানকেই মুছে ফেলে আল্লাহ্র দেয়া বিধান কায়েম হবেই। আল্লাহ্ কুরআন দিয়েছেন শুধু তিলাওয়াতের জন্য নয় বরং এই কুরআন দিয়ে যেন মুসলিমরা সারা দুনিয়া শাসন করতে পারে তার বিধানও দিয়ে দিয়েছেন। জাতীয়তাবাদের বড়ি খেয়ে ঘুমন্ত উম্মাহ কবে জাগ্রত হবে? তোমাদের শেষ আইডেন্টিটি নিয়ে যে কাফির মুরতাদরা হোলি খেলা শুরু করেছে তা কবে বুঝবে পাঞ্জেরী? এখনো কি বুঝার সময় আসেনি?
.
“তারা মুখের ফুঁৎকারে আল্লাহর আলো (ইসলাম) নিভিয়ে দিতে চায়। আল্লাহ তাঁর আলোকে পূর্ণরূপে বিকশিত করবেন যদিও কাফিররা তা অপছন্দ করে।



আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে সুমতি দান করুন।

ফেসবুকের ভিবিন্ন স্ট্যাটাস থেকে

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৩৮

বিজন রয় বলেছেন: আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে সুমতি দান করুন।

আমিন!

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:০৯

স্পর্শ বলেছেন: আমীন! !

২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:১৩

বাংলার জামিনদার বলেছেন: রাষ্ট্রকে হতে হবে নিরপেক্ষ। একটাই কথা। এখানে সবাই সমান মর্যাদার।

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:১০

স্পর্শ বলেছেন: সহমত এটা সংবিধান এ আছে! !

৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:০০

ফাহিম আবু বলেছেন: লেখকের সাথে একমত !
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে সুমতি দান করুন।

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:১০

স্পর্শ বলেছেন: আমীন! !

৪| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১৯

শোভ বলেছেন: আমি খাটি আস্তিক মানুষ পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি , এই ব্যপারে সটিক মন্তব্য করে নাস্তিক হতে চাই না ।

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:১১

স্পর্শ বলেছেন: এমন মন্তব্যের দ্বারা কিভাবে আস্তিকতা প্রকাশ পায়? ?

৫| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৩৫

ফেরদৌসুর রহমান বলেছেন: দাদাদের খুশি করতেই এই সু-ব্যবস্থা। সরকারের উচিৎ হবে সংবিধানে ধর্ম হিসেবে হিন্দু ধর্ম রাখা। তাহলে দাদারা বেশি খুশি হবেন।

আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য হলো প্রধান বিচারপতি একজন হিন্দু তিনি ইসলাম সংবিধানে থাকবে কিনা এই বিষয় রায় দিবেন। যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় কৌতুক।

৬| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:২৩

সাগর মাঝি বলেছেন: হ্যাঁ! অসুবিধা আছে।ইসলাম হবে এদেশের প্রধান ধর্ম।মুসলিমরা হবে এদেশের প্রথম শ্রেণীর নাগরিক।অন্যন্য ধর্মাবলম্বী হবে দ্বিতীয় শ্রেণীর। এই বিভাজন ঠিক নয়।ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার।রাষ্ট্রযন্ত্রে সকলের অধিকার সমান।

৭| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৩৫

রাবব১৯৭১ বলেছেন: মানুষ আর জীন ছারা কারো ধর্ম নাই
রাষ্ট কি কোন প্রানী?যার ধর্ম থাকবে?

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২৯

স্পর্শ বলেছেন: অাল-ইসলাম বলেছেন: রাবব১৯৭১ ভাই, আমাদের রাষ্ট্রভাষা কিন্তু বাংলা।
এখন বলেন মানুষ আর জীন ছাড়া রাষ্ট্রের কি কোন ভাষা আছে?
রাষ্ট্রের যদি ধর্ম না থাকে তাহলে রাষ্ট্রের নিজস্ব ভাষাও থাকেনা সেই যুক্তিতে!
আমার মনে হয় সরকার এ বিষয়টি নিয়ে গনভোটের ব্যবস্থা করতে পারে।

৮| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:১৭

আমি যাযাবর বলিছ বলেছেন: একটা ব্যাপার আমি বুজতে পারছি না রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম নিয়ে তথাকথিত কিছু মানুষের এত চুলকানি কেন?আমি বি এন পি , আওয়ামিলীগ ,বা জাতীয়পার্টি যাই হই না কন যে দেশের ৮৭% মানুষ মুসলিম সে দেশের সংবিধানে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম থাকবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেই কেন বার বার ধর্ম নিয়ে টানা হেচরা শুরু হয়?

৯| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২৭

অাল-ইসলাম বলেছেন: রাবব১৯৭১ ভাই, আমাদের রাষ্ট্রভাষা কিন্তু বাংলা।
এখন বলেন মানুষ আর জীন ছাড়া রাষ্ট্রের কি কোন ভাষা আছে?
রাষ্ট্রের যদি ধর্ম না থাকে তাহলে রাষ্ট্রের নিজস্ব ভাষাও থাকেনা সেই যুক্তিতে!
আমার মনে হয় সরকার এ বিষয়টি নিয়ে গনভোটের ব্যবস্থা করতে পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.